ভবিষ্যতের বিজয়ন, আনচেরি খুঁজতে সুপার-লিগ-কেরালার নতুন প্রোজেক্ট ‘গেমচেঞ্জার’

সুপার-লিগ-কেরালা তাদের রাজ্য থেকে প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার খুঁজে বার করার জন্য নতুন প্রোজেক্ট শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল। প্রোজেক্টটির নাম ‘গেমচেঞ্জার’। রাজ্য জুড়ে চলবে প্রভাব অন্বেষণের কাজ। উদ্দেশ্য যদি, ভবিষ্যতে আর একটা বিজয়ন, আনচেরি, সুরেশদের খোঁজ পাওয়া যায়। তার জন্য সুপার-লিগ-কেরালার উদ্যোক্তাদের তরফে ট্রায়ালের আয়োজন করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে। কান্নুর, মল্লপুরম, থিরুঅনন্তপুরম এবং এর্ণাকুলামে হবে ট্রায়ালগুলো। ১৫ জুলাই থেকে ৬ অগস্ট পর্যন্ত চলবে ট্রায়াল। দু’দিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে এক একটি ট্রায়াল। প্রথম দিন পরীক্ষা করা হবে রাজ্যের অনূর্ধ্ব-২৩-দের। দ্বিতীয় দিনের ট্রায়ালে ডাকা হচ্ছে সেই ফুটবলারদের যাদের জন্ম ২০০২-এর ডিসেম্বরের আগে। সুপার-লিগ কেরালার ডিরেক্টর ম্যাথিউ জোসেফ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, “প্রত্যেকটি ছেলের জন্য ধার্য করা হয়েছে আধ ঘন্টা করে। তারা তাদের ‘বেসিক স্কিল’ দেখাবে। মাঠে রাখা হচ্ছে এআই ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি, ফুটবলারদের গুণগত মান নির্ধারণ করার জন্য।” এছাড়াও কারা থাকছেন মাঠে? সুপার-লিগ কেরালার নিজস্ব স্কাউটরা, আর সুপার-লিগের ৬টা দলের কোচেরা এবং স্কাউট। কিন্তু স্কাউটিং প্রোগ্রামের পর খুঁজে বার করা তরুণ ফুটবলারদের ভবিষ্যত কী হবে? সুপার-লিগ কেরালায় খেলা দলগুলোর যে প্রাক-মরশুম ট্রেনিং শুরু হবে সেখানে সেই ফুটবলারদের সরাসরি সুযোগ করে দেওয়া হবে। বাকিটা সেই প্রতিভাবান ছেলেদের হাতে। প্রাক-মরশুম ট্রেনিংয়ে যে যেরকম দক্ষতা দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কোচদের নজর কাড়তে পারবে তাকে সংশ্লিষ্ট ক্লাব পরের বছরের সুপার-লিগের দলে সই করাবে। কেরালা ফুটবল সংস্থার সচিব সাজি কুরিয়েন বলছেন, “আমাদের বিশ্বাস এখনও কেরালার ফুটবলে ৪০ শতাংশ প্রতিভা লুকিয়ে আছে। এই প্রোজেক্টের কাজ সেই ৪০ শতাংশ প্রতিভাবান ফুটবলারকে তুলে আনা। কে বলতে পারে এদের মধ্যে থেকে অদূর ভবিষ্যতে আর এজন বিজয়ন, আনচেরি বেরিয়ে আসবে না?” বাংলায় এরকম উদ্যোগ নেওয়া যায়?