অল্পের জন্য হাতছাড়া সৌরভের, প্রথম বাঙালি বিশ্বকাপ জয়ী রিচা

অল্পের জন্য হাতছাড়া সৌরভের(Sourav Ganguly)। পারেননি পঙ্কজ রায়ও। অবশেষে বাংলায় এল বিশ্বকাপ। তাও আবার এক বঙ্গ তনয়ার হাত ধরে। বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী তারকার নাম রিচা ঘোষ(Rich Ghosh)। এদিন ভারত যেমন ইতিহাস তৈরি করল। তেমনই বাংলার মেয়ে রিচাও নিজের নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। প্রথম বাঙালি তো তিনিই, যাঁর হাতে উঠল বিশ্বকাপ ট্রফিটা। ম্যাচ শেষে সেই রিচার(Rich Ghosh) মুখ থেকেই ঝড়ে পড়ল শুধুই আবেগের ভাষা। ২০০৩ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ফাইনালে হার। মন ভেঙেছিল অগণিত বাঙালির। এরপর ভারত বিশ্বকাপ জিতলেও, কোনও বাঙালির হাতে ওঠেনি সেই বিশ্বকাপ। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটালেন বঙ্গ তনয়া রিচা ঘোষ(Richa Ghosh)। তাঁর নামের পাশে এখন থেকে লেখা থাকবে বিশ্বকাপ জয়ী। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে তাঁর অবদানও খুব একটা কম নয়। বিশেষ করে ফাইনালের মঞ্চে শেষ মুহূর্তে রিচা ঘোষের ঝোড়ো ইনিংসটাই তো ভারতের রান ২৯৮-এ পৌঁছতে সাহায্য করেছিল। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁর স্টাম্পটি। ম্যাচ শেষে রিচা ঘোষও আবেগতাড়িত। বলেই ফেললেন এই একটা মুহূর্তের অপেক্ষাতেই তো আমরা সকলে ছিলাম। বিশ্বজয় হয়ে গিয়েছে। এবার বাংলার মেয়ের বাংলায় ফেরার পালা।
সুরুচির পুজোয় হরভজন, ইডেন থেকে সৌরভকে নিয়ে আবেগতাড়িত ভাজ্জি

এসে গেছে দুর্গা পুজো(Durga Puja)। গোটা বাংলা জুড়ে পুজোর আবহে গা ভাসিয়েছে ৯ থেকে ৯০ সকলেই। কলকাতার একের পর এক বড় পুজো প্যান্ডেলে নানান চমক। সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) পুজোয় বিশেষ অতিথি বিশ্বকাপ জয়ী তারকা হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। বাংলার দুর্গা পুজো এখন ইউনেস্কো হেরিটেজ। দুর্গা পুজোকে ঘিরে গোটা রাজ্যবাসী এই সময় মাতোয়ারা হয়। শুধু রাজ্যই, গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) উৎসব। তারই শরিক হতে পেরে আপ্লুত হরভজন সিং। কলকাতা শহর যে তাঁরও সেটাও শোনা গেল আবেগতাড়িত হরভজনের গলা থেকে। সুরুচি সংঘের পুজো মানেই সেখানে সেলিব্রিটিদের ভিড়। সেই পুজোর অন্যতম আকর্ষণই হল সেলিব্রিটি। দুর্গা পুজো শুরু হতে এখনও কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। তার আগেই সুরুচির পুজোয় অতিথি হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। তাঁকে ঘিরেই এদিন সুরুচি সংঘে ছিল হৈচৈ। বাংলার দুর্গা পুজোর এই উৎসবে গা ভাসাতে চান সকলেও। সেই কারণেই তো অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) ডাকে কলকাতায় না এসে থাকতে পারেননি তিনি। হরভজন সিং (Harbhajan Singh) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমি যে এমন একটা উৎসব উপলক্ষে এখানে আসতে পেরেছি, সেই কারণে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ মা দুর্গার কাছে। এচাড়া ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তরফ থেকে বহু সম্মান এবং আতিথেয়তা পেয়েছি আমি। এমন একটা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। কলকাতায় যখনই আসি সেইসময় অসংখ্য ভালোবাসা পাই। এখানেও মা দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থণা যে তিনি যেন সকলের ওপরই তাঁর কৃপা রাখেন”। ভারতীয় দলের হয়ে বহু সাফল্য রয়েছে ভাজ্জির ঝুলিতে। আর তার বেশিরভাগটাই পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) নেতৃত্বে। প্রিয় দাদি বরাবরই তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শহরে এসে আপ্লুত হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। এই ইডেন গার্ডেন্স থেকেই তো তাঁর সাফল্যের রাস্তায় হাঁটা। কোনওদিনই খালি হাতে ফেরেননি ইডেন। সেই শহরে এসে তিনি যে আবেগতাড়িত হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হরভজন সিং বলছিলেন, “দাদা আমার কাছে একেবারে বড় ভাইয়ের মতো। তাঁকে নিয়ে যখনই কিছু বলতে যাই বলতেই হয় এই কথা গুলো। জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন কাউকে পাশে খুব প্রয়োজন হয়। আমার কাছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গা কতটা ওপরে তা হয়ত বলে বোঝাতে পারব না। তাঁর শহরেই এবার এসেছি। তবে এই শহরটা কিন্তু আমারও। কারণ ইডেনই তো আমায় হরভজন তৈরি করেছে”। কলকাতার প্রতি বারবরই একটা আলাদা টান রয়েছে হরভজন সিংয়ের। এবার সেই কলকাতার দুর্গা পুজোর অংশ হয়েছেন তিনি। খুশিটা যে এখন দ্বিগুন তা বলাই বাহুল্য।
সভাপতি সৌরভ, অসন্তোষ থাকলেও সচিব বাবলু কোলেই

ঘোষণা হওয়াটা শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা। সিএবির(CAB) সভাপতি পদে ফের বসতে চলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়(Sourav Ganguly)। কার্যত তালিকা প্রস্তুত। আগামী রবিবার নিয়ম মাফিক জমা পড়বে প্যানেল। সূত্রের খবর সভাপতি সহ অন্যান্য কোনও পদেই বিরোধি শিবির তরফে কোনওরকম মনোনয়ন পড়ছে না। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরই নতুন সভাপতি হিসাবে নাম ঘোষণা হবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Sourav Ganguly)। একইসঙ্গে সচিব হিসাবে বসবেন বাবলু কোলে, কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন সঞ্জয় দাস এবং সহ সভাপতি হবেন অনু দত্ত। এই প্যানেলে শুধু বাবলু কোলের(Bablu Koley) নাম নিয়েই খানিকটা অসন্তোষ ছিল। অনেকেই নাকি প্রশ্ন তুলছিলেন তাঁর সচিব পদে মনোনয়ন ঘিরে। তবে সেই অসন্তোষ শেষপর্যন্ত আর টেকেনি। সূত্রের খবর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা ভেবেই নাকি শেষপর্যন্ত এই প্যানেলকে সম্মতি দিচ্ছেন সকলে। অসন্তোষ থাকলেও শেষপর্যন্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সচিব পদে বসবেন বাবলু কোলে। স্পোর্টস বিল এলেও তা এখনও পর্যন্ত আইন হিসাবে হয়নি। সেই কারণে এবারও সিএবির নির্বাচন লোঢা কমিটির নির্দেশিকা মেনেই হচ্ছে। তবে স্পোর্টস বিল আইন আকারে আসার পর এই চিত্রটা বদলাতেও পারে। সেক্ষেত্রে নতুনভাবে যদি ফের পরবর্তী মরসুমে নির্বাচন হয়, সেখানে একটা দুটো পদে নতুন নাম দেখা গেলেও যেতে পারে। তবে আপাতত লোঢা নির্দেশিকা মেনেই সবকিছু হচ্ছে। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে স্পোর্টস বিল অনুযায়ী পরবর্তীতে যদি নির্বাচন হয়, সেই সময় নাকি কয়েকটি নতুন পদও তৈরি হতে পারে। আপাতত ১৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সিএবি সভাপতি হিসাবে এবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পথে তিনি।
লর্ডসে ‘সৌরভের গেঞ্জি’ ওড়ানোর দৃশ্যে অনুপ্রাণিত হয়েই আর্চারের আগুনে বোলিং!

লর্ডসে ভারতকে হারানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল আর্চারের। সোমবার লর্ডসে টেস্টের পঞ্চম দিনে খেলতে নামার আগে লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জার্সি খুলে ঘোরানোর ভিডিও দেখেছিলেন তিনি। গোপন কথা ফাঁস করলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। সোমবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে স্টোকস বলেন, “খেলার আগে আর্চার সৌরভের জার্সি খুলে ঘোরানোর ভিডিয়ো দেখছিল। ও ভেবেছিল, বিশ্বকাপের ফাইনালে ওটা হয়েছিল। আমি ওকে বললাম, না। ওটা ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে হয়েছিল। বিশ্বকাপ ফাইনালে আমরা জিতেছিলাম।” ২০০২-এ ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে নাসের হুসেনের ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন সৌরভেরা। ফাইনালে মহম্মদ কাইফ এবং যুবরাজ সিংহের জুটি দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিল। তুমুল উত্তেজনার ম্যাচ জয়ের পর ব্রিটিশ ক্রিকেটের ট্র্যাডিশন ভেঙে লর্ডস দেখেছিল তার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সৌরভের জয়ের ঐতিহাসিক উৎসব পালন, গায়ের জার্সি খুলে ওড়ানো! বেন স্টোকস বলছেন সেই ভিডিয়ো দেখেই অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন আর্চার। যার প্রতিফলন মাঠে নেমে তার আগুনে বোলিং! এবং ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়া। ছ’বছর আগে ১৪ জুলাই এই লর্ডসেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন আর্চার। সোমবার সকালে আর্চারের সঙ্গে পরিকল্পনা সেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্টোকস। তিনি বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠেই ছ’বছর আগের দিনটার কথা মনে পড়েছিল। আমি সোজা আর্চারের কাছে গেলাম। বিশ্বকাপ ফাইনালে আমাদের জয়ে আর্চারের বড় অবদান ছিল। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল। এই ম্যাচটা আমরা কী ভাবে জিততে পারি, সেটা নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বললাম। আরও এক বার নিজের কাজ করল আর্চার।’’ স্টোকস মেনে নিয়েছেন ভারতের প্রথম ইনিংসে পন্থের রান আউট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় পন্থকে আমরা আউট করতে পেরেছি। ও একটু দ্বিধায় ছিল। সেটা দেখেই উইকেটে বল ছুড়েছিলাম। হাত থেকে বল বেরিয়ে যাওয়ার পরই বুঝতে পারি, উইকেট ভাঙবে। ওটাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিল।’’
ইংল্যান্ড সফরে ভারতের আসল প্লেয়ার জসপ্রীত বুমরা : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শুভমন গিল নন, বা অন্য কেউ নন, ইংল্যান্ড সফরে ভারতের আসল প্লেয়ার জসপ্রীত বুমরা, মনে করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুমরার ফিটনেসের ওপরই এই সিরিজের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে, বিশ্বাস মহারাজের। তিনি মনে করেন বুমরাকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরামর্শ, বুমরাকে দিনে ১২ ওভারের বেশি বল করানো উচিত নয়। সৌরভ সতর্ক করে দেন অস্ট্রেলিয়া সফরে যে ভুল হয়েছিল, ইংল্যান্ডে যেন সেই ভুল না করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় বুমরার ওপর অত্যাধিক চাপ পড়েছিল, সে কারণেই চোটের কবলে পড়েন তিনি। ইংল্যান্ডে দেখতে হবে যেন তাঁকে বেশি ধকল নিতে না হয়। বাকি বোলাররা চাপটা নিন, পরামর্শ মহারাজের। অস্ট্রেলিয়ায় ১৫০ ওভার বল করেছিলেন বুমরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০ ওভারের বেশি বল করেছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে চতুর্থ টেস্টে। দুই ইনিংসে বল করেন যথাক্রমে ২৮.৪ ওভার ও ২৪.৪ ওভার। আর তার ফলেই পিঠের ব্যথার জন্য শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে পারেননি। ছিটকে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। তাই সৌরভ বলেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে বুমরাকে ১২-১৩ ওভারের বেশি বল করতে না হয়। অস্ট্রলিয়ায় যেটা সমস্যা হয়েছিল, বুমরা সেভাবে সাপোর্ট পাননি। ইংল্যান্ডে অন্য পেসারদের বাড়ি দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন সৌরভ।
শ্রেয়স আইয়ারকে বাদ দেওয়ায় অজিত আগরকরদের একহাত নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

ক্ষোভে, হতাশায় ভারতীয় নির্বাচক মণ্ডলীকে একহাত নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতীয় দল নির্বাচনের তীব্র সমালোচনা করলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। শ্রেয়স আইয়ার বাদ পড়ায় তিনি রীতিমত বিস্মিত। সৌরভ উল্লেখ করেন গত এক বছর শ্রেয়স সব ফরম্যাটে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ক্যাপ্টেন হিসাবে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন ও পঞ্জাবকে রানার্স করেছেন। রণজিতে দারুন পারফরম্যান্স করেছেন। মহারাজ আরও বলেন, শর্ট বল খেলা নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে উন্নতি করেছেন শ্রেয়স। তাই শ্রেয়সের দলে না থাকা তাঁকে যেমন হতাশ করেছে, তেমনি ক্ষুব্ধও করে তুলেছে। এমনিতে বর্তমান নির্বাচক প্রধান প্রাক্তন ক্রিকেটার অজিত আগরকর বরাবরই সৌরভের খুব প্রিয়। তা সে তিনি অধিনায়ক থাকাকালীন ভারতীয় দলেই হোক বা কেকেআরেই হোক। তবু শ্রেয়স ইস্যুতে তিনি আগরকরের তীব্র সমালোচনা করতে একটুও দ্বিধা করেননি। শর্ট বলে একটু দুর্বলতা ছিল শ্রেয়সের। তাই টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে সেই দুর্বলতা কাটিযে উঠেছেন। ফিরেওছেন দারুনভাবে। একদিনের বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও রানের বন্যা বইয়েছেন। এবারের আইপিএলেও ১৭ ম্যাচে ৬০৪ রান করেছেন। এত কিছু সত্ত্বেও দল নির্বাচনী সভায় শ্রেয়সকে নিয়ে বেশি আলোচনাই হয়নি। কারণ নির্বাচকরা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে লাল বলের ক্রিকেটে শ্রেয়সকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন ভারতীয় দলে শ্রেয়সের থাকা অবশ্যই উচিত ছিল, কারণ সব ফরম্যাটে তাঁর বর্তমান ফর্ম। সৌরভ বলেন, “শ্রেয়স চাপের মুখে রান করতে পারে। দায়িত্ব নিতে পারে। শর্ট বল এখন ভাল খেলছে। যদিও টেস্ট ক্রিকেট আলাদা তবু আমি হলে ওকে দলে রাখতাম, ও কী করতে পারে সেটা দেখার জন্য।“ দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট থাকাকালীন শ্রেয়সকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সৌরভ, ভালভাবেই জানেন শ্রেয়সের দক্ষতা কতটা, সে কারণেই এতটা ক্ষুব্ধ দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।
ইডেনের ফুটবল নস্ট্যালজিয়া, ডিসেম্বরে ক্রিকেটের নন্দন কাননে হতে পারে মেসি শো

রীতিমত চমকপ্রদ খবর। বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য খুশির খবর। তিন দশক পর নাকি ইডেনে আবার ফুটবল গড়াবে। এবং তার চেয়েও বড় কথা, সেটা নাকি লিওনেল মেসিকে মধ্যমণি করে। মেসি শো। হ্যাঁ, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ইডেনে হতে পারে এই মেসি শো। ডিসেম্বরের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে মেসির কলকাতা সফর। তখনই যে কোনও একদিন সম্ভবত ইডেনে দেখা যাবে মেসি শো। প্রায় তিন দশক আগে ইডেন থেকে মুছে গিয়েছে ফুটবল। ফুটবলের ঠিকানা এখন যুবভারতী। কিন্তু এতকাল পরে মেসি শোকে কেন্দ্র করে ইডেনে ফিরতে পারে ফুটবলের ফ্লেভার। ফুটবল অনুরাগীদের জন্য দারুণ একটা খবর। প্রবীণরা যেমন ইডেনে ফুটবল নিয়ে নস্ট্যালজিক হয়ে উঠবেন, তেমনি লিও মেসির মত কিংবদন্তির নাকি পা পড়বে ইডেনে। ক্রিকেটের নন্দন কাননে ফুটবল পায়ে মেসি। ইডেনে ফুটবল নস্ঠ্যালজিয়া ফিরে আসবে লিও মেসিকে কেন্দ্র করে। আপাতত অপেক্ষা দুর্দান্ত, চমকপ্রদ, রোমাঞ্চকর এই ঘটনার। এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার চেষ্টা করছেন সেই শতদ্রু দত্ত। যিনি এর আগেও বহু মহাতারকাকে নিয়ে এসেছেন। এবং শোনা যাচ্ছে, গোটা ব্যাপারচার পিছনে নাকি আছেন দাদাও। বাংলার মহারাজ। এই পরিকল্পনা সফল করে তুলতে ঝাঁপিয়েছেন শতদ্রুরা।
বিরাটদের অনেক দেরি হয়ে গেল, তবে পেয়েছে তো: সৌরভ

২০২৩ এর ১৯ নভেম্বর। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। ২০২৫ এর ৩ জুন। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। দুবছরের মধ্যে মোতেরার মাঠে প্রায় একই ঘটনা চোখে পড়ল। দুটির মধ্যে মিল যেমন আছে, তেমন অমিলও আছে। প্রথমটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর শুধু ভারতীয় ক্রিকেট দল নয়, কেঁদেছিল গোটা দেশ। আর দ্বিতীয়টি এখনও টাটকা। আইপিএল ফাইনালে বিরাট কোহলিরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিরাট কাঁদলেন। কাঁদল বিরাটের ফ্যানরাও। মোতেরা ব্যর্থতায় জলে চোখ ভরিয়ে দেয় না, আনন্দেও চোখে জল এনে দেয়। তাঁদের অপেক্ষার অবসান হল দীর্ঘ ১৮ বছরের মাথায়। একটু দেরিতে হলেও ট্রফি এল তো। সেটই মনে করিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, হ্যাঁ, সেরার শিরোপা জিততে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। তবে সাফল্য এল তো! সেটাই কম কিসের। আইপিএল একটা নতুন চ্যাম্পিয়নকে পেল। এটা মানতেই হবে, এবারের টুর্নামেন্টে ওরা শুরু থেকে ভাল ক্রিকেট খেলে এসেছে। ফাইনালেও একই ধারা ধরে রেখেছে। তাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সৌরভের কাছে আইপিএল পর্ব এখানেই শেষ। কিন্তু ক্রিকেট শেষ হল না। সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ। ভারতীয় দলে খেলতে দেখা যাবে না বিরাট ও রোহিতকে। তাঁদের অবর্তমানে ভারতীয় দল কতটা ভাল পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারে তা দেখার ব্যাপার। তাদের সামনে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। প্রসঙ্গ উঠতে সৌরভ বলছিলেন, ভারতীয় দল আশা করি ভাল ক্রিকেট খেলবে। এবারের দলটিকে কেন নতুন বলে মনে হচ্ছে। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভারতের যে দলটি খেলছিল, সেখানেও তো অনেক করুন ক্রিকেটার ছিল। তা-ও ভারতীয় দল সিরিজ জিতেছিল। সেদিনের কথা কেউ একবারও বলছেন না। তাই এবার কিছু একটা হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। অপেক্ষায় আছি বুমরা কতটা ফিট হয়ে খেলতে পারবে। বুমরা যদি পাঁচটি টেস্ট খেলতে পারে, তা হলে ভারত কিছু একটা রে দেখাতে পারে। ইংল্যান্ডের কথা উঠলে আমার ১৯৯৬ সালের কথা মনে পড়ে। আমার সঙ্গে রাহুলেরও সেই সিরিজে অভিষেক হয়েছিল। আমরাও ভাল ক্রিকেট খেলেছিলাম। এবার কেউ হয়তো সেভাবে আলোচনায় চলে আসতে পারে। করুন নায়ারকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ভারতীয় এ দলের হয়ে ডবল সেঞ্চুরি করলেন নায়ার। টেস্ট সিরিজে বিরাটের জায়গায় তাঁকে কি খেলানোর কথা ভাবা যেতে পারে! সৌরভ এই সিদ্ধান্তটি গিলর উপর ছেড়ে দিলেন। বললেন, আইপিএলে গিল গুরাটকে ভাল নেতৃত্ব দিল। আশা করি জাতীয় দল নিয়েও এমনভাব চলতে পারবে। নায়ার খেলবে কি খেলবে না, সেটা পুরোপুরি গিলের উপর নির্ভর করবে। গিল চাইলে খেলবে, নইলে নয়। আরও অনেকে তো দলে আছে। তাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন চার নম্বরে চলে আসবে। এখনও সময় আছে। তাই আলাদা করে ভাবনা চিন্তার সময়ও আছে। এখনই আলোচনা করার দরকার নেই।
আইপিএল ফাইনালে প্রত্যাশার চাপ বিরাটের উপর তো থাকবেই: সৌরভ

আইপিএল ফাইনালের আগেরদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে পেলে ক্রিকেট থাকবে না, তা হয় নাকি! সোমবার বিকেলে সিএবি এসেছিলেন অ্যাপেক্স কমিটির মিটিংয়ে যোগ দিতে। তার সঙ্গে মিশে গেল ঘরোয়া ক্রিকেটের লিগ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুরের ম্যাচ নিয়ে গোলমাল। সেটা প্রথমে সামলালেন। তারপর অ্যাপেক্স কমিটির মিটিং শেষ করলেন। মিটিংয়ে বেঙ্গল প্রো লিগ নিয়ে নানা কথা হল। ১১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল প্রো লিগ। হাতের সামনে এসে যাওয়ায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নিলেন। এসব করে বাড়ি ফিরতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠার আগে চলে এল আইপিএল ফাইনাল। আগে ট ঠিক ছিল ৩ জুন ইডেনে আইপিএল ফাইনাল হবে। সেটা যদি হত তা হলে সোমবার বিকেল থেকে সাজ সাজ রব দেখা যেত নন্দন কাননে। কিন্তু বৃষ্টিকে সামনে এনে বোর্ড অনেক আগে তা নিয়ে গিয়েছে আমেদাবাদের মাঠে। তাই ইডেন শান্ত। নেই হুডে়াহুড়ি। কেন ম্যাচ সরল তা নিয়ে এখন আর কথা বলে লাভ নেই। সবাই জানেন কেন ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হল। কিন্তু আমেদাবাদে ফাইনাল সরে গেলেও ইডেনে তার আলোচনা হবে না সেট কি করে হয়। সৌরভের সামনে প্রশ্ন তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, কে জিতবে তা বলা মুশকিল। কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। দুটো দলই ভাল খেলে ফাইনালে এসেছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব অসাধারন ক্রিকেট খেলল। শ্রেয়সের ব্যাপারে কোনও প্রশংস যথেষ্ট নয়। একার হাতে ম্যাচকে টেনে নিয়ে গেল। আর আরসিবি কদিন আগে পাঞ্জাবকে সহজে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। তাই দুদলের এই খেতাবি লড়াই অনেক জমজমাট হবে। যে ভাল খেলবে সে জিতবে, এর বাইরে তো কোনও কথা বলার জায়গা নেই। পাঞ্জাব ১১ বছর পর আবার ফাইনাল খেলছে। তারা এর আগে ট্রফি জেতেনি। আর আরসিবি! বিরট কোহলি টানা ১৮ বছর এই দলের হয়ে খেলে চলেছেন। অনেক ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু আইপিএল জয় হয়নি। এবার আরসিবি ফ্যানদের চাহিদা ট্রফি চাই। এই প্রত্যাশার চাপ বিরাটকে নিজের খেলা থেকে সরিয়ে দেবে না তো! সৌরভ শুনে বললেন, এমন অনেক চাপ নিয়ে বিরাট আগেও খেলেছে। বিরাটের মতো ক্রিকেটারের উপর চাপ তো থাকবেই। নিজের পারফরম্যান্সের কারনে ফ্যানরা ওর উপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের সেরাটা কি করে বের করে আনতে হয় তা বিরাট জানে। আর জানে বলে ওর কাছ থেকে অনেক ভাল ইনিংস আমরা দেখতে পেয়েছি। আশা করি ফাইনালে আমাদের একটা ভাল ইনিংস বিরাট উপহার দেবে। আইপিএল থেকে অনেক ভাল ক্রিকেটার আলোচনায় চলে আসে। জাতীয় দলে নিজেদের জায়গা পাকা করে নেয়। এবার কাকে তাঁর চোখে পড়ল। একথা শুনে সৌরভ কিছুটা সময় নিলেন। তারপর বললেন, অনেকে চোখে পড়েছে। এই যেমন শ্রেয়স। এই মরশুমে দারুন খেলছে। ওর সঙ্গে আরও অনেকের নাম করতে হয়। সকলের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। তবে পাঞ্জাবের নেহাল, আরসিবির জিতেশ শর্মা, সিএসকের ব্রেভিস। অনেকে আছে। যারা এবারের আইপিএল থেকে নিজেকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। বৈভবের কথা বললেন নাা! সৌরভ বললেন, বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের খেলা এমনিই সকলের ভাল লাগে। বৈভবের মধ্যে ট্যালেন্ট আছে। মানসিক জোরও চোখে পড়ার মতো। তবে সামনের দিনে নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে যায়, সেটা দেখতে হবে। তারপর ওকে নিয়ে কথা বলার সময় আসবে।
ঘরোয়া লিগ ক্রিকেটের ফাইনালে গোলমাল, সৌরভের হস্তক্ষেপে পাঁচ ঘন্টা পর খেলা শুরু

বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে কজনের মাথাব্যথা আছে! কতজন রনজিতে খেলা বাংলার ১১ জন ক্রিকেটারের নাম বলতে পারবেন! কেউ পারবেন না। আসলে ফুটবলের মতো বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেট জনপ্রিয় না হওয়ায় এমনটা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দুপুরে সেই ক্রিকেট নিয়েই গোল বাঁধল। খেলা বন্ধ হল। শুরু করতে এগিয়ে আসতে হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। পাঁচ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হল। এমন ঘটনা বাংলার ক্রিকেটে আগে হয়েছে কিনা অনেকেই মনে করতে পারলেন না। এটাই হয়তো ময়দানে ক্রিকেটকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এল। ঘটনাটি কি হয়েছে। সেদিকে তাকানো যেতে পারে। লিগ ফাইনাসল শুরু হয়েছে রবিবার। দিনরাতের ফাইনাল গোলাপি বলে খেলা হয়। দুপুর একটায় খেলা শুরু। প্রথমদিনের শেষে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভবানীপুর করে ৩ উইকেটে ২৫৭ রান। সেঞ্চুরি করে নজর কাড়েন শাকির হাবিব গাধীঁ। তিনি ১০২ রান অপরাজিত ছিলেন। সোমবার দুপুরে তাঁকে ঘিরেই গোল। প্রথম ওভারে দ্বিতীয় বলে কনিষ্ক শেঠের বোলিংয়ে গাধীঁ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। আম্পায়ার অভিজিত ভট্রাচার্য ( যিনি এবার আইপিএল ম্যাচ করেছেন) আউটের সিদ্ধান্ত দেন। তাঁর সিদ্ধান্ত জানার পর গাধীঁ প্যাভিলিয়েনের দিকে হাঁটা শুরু করেন। পরের ব্যাটসম্যান বিবেক সিংও মাঠে ঢুকে পড়েন। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে আসার আগে গাধীঁকে আটকে দেন প্যাভিলিয়েনের বাইরে বসে থাকা ভবানীপুরের ক্রিকেটার ও কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য গাধীঁ আউট নন। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে ক্যাচ ঠিকভাবে ধরা হয়নি। তাঁদের অভিযোগে তৃতীয় আম্পায়ার টিভিতে ঘটনাটি দেখেন। তিনি দেখে বোঝেন ক্যাচটি ঠিকভাবে ধরা হয়নি। এনিয়ে গোল বাঁধে দুই দলের মধ্যে। ভবানীপুরে জানায় গাধিঁকে আবার ব্যাট করতে না দিলে তার খেলবেন না। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলও এক কথা জানায়। এই টাপান উতোরে খেলা বন্ধ হয়ে য়ায়। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় মাঠে এসে দুই দলের কর্তাদের সঙ্গে বলেন। কিন্তু সেই কথায় কাজ হয় না। ফলে আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করে মাঠের বাইরে চলে আসেন। এটাই লিগ ফাইনালকে আলোচনায় নিয়ে আসে। খবর যায় সৌরভের কাছে। সোমবার বিকেলে সিএবিতে অ্যাপেক্স কমিটির মিটিং ছিল। তার জন্য সৌরভ বিকেলের দিকে ইডেনে আসেন। এসে পুরো ঘটনা শোনেন। দুই শিবির তাঁর সঙ্গে কথা বলে। তাঁদের কথা শুনে সৌরভ যান আম্পায়ার্স রুমে। সেখানে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানিয়ে দেন গাধীঁ আবার ব্যাট করবেন। কারন টিভি রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে গাধীঁর ক্যাচ ঠিকভাবে ধরা হয়নি। এতেই সব মিটে যায়। সন্ধ্যে ৬টা ১০ মিনিটে আবার খেলা শুরু হয়। খেলা বন্ধ হয়েছিল দুপুরে ১টা ৫ মিনিটে। এর অর্থ পাঁচ ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হল। এখন প্রশ্ন, সৌরভ শহরের বাইরে থাকলে কি হত! খেলা কি শুরু করা যেত! মাঠের কেউ কেউ বলছেন প্রচন্ড গরমের জন্য নাকি ক্রিকেটাররা খেলতে চাইছিলেন না। তাঁরাও মনে করেছিলেন খেলা বন্ধ থাকলে ভাল হয়। ঘটনা বাস্তব কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে এটাও ঘটনা যে দুপুরে প্রচন্ড গরম ছিল। এই তাপদাহে খেলা সম্ভব নয়। দিনরাতের খেলা। তাহলে বিকেল তিনটেয় শুরু করলে অসুবিধা কোথায়! ফ্লাড লাইটে খেলা হবে। সেটা তো করাই যায়। এটা ভেবে দেখতে পারেন বাংলার ক্রিকেটার কর্তারা।