দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরই কলকাতায় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ভারতীয় দল

দিল্লিতে ভয়াবহ ব্লাস্ট। সেইসঙ্গেই রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে মুম্বই(Mumbai), কলকাতাতেও(Kolkata)। এমন পরিস্থিতিতেই ইডেন গার্ডেন্সে(Eden Gardens) আগামী ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে নামছে ভারতীয় দল। গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir), শুভমন গিলদের(Shubman Gill) ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। কার্যত নিশ্ছিদ্র প্রহরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে ইডেন গার্ডেন্স(Eden Gardens) সহ টিম হোটেলকে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে দুই দলের জন্য। বাড়ানো হচ্ছে পুলিস ফোর্সের সংখ্যা। সেইসঙ্গে থাকছে বিশেষ পাইলট কারও। ইডেনে মঙ্গলবার থেকে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে দুই দলই। গোটা জায়গাটাই মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। বাড়ানো হয়েছে চেকিংয়ের ব্যবস্থাও। যা নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থা হয়েছিল, সেইসঙ্গে আরও ২০০ অতিরিক্ত ফোর্সের(Extra Police Force) ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে একজন অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার(ACP) পদের অফিসার থাকছেন দায়িত্বে। এছাড়াও দুই দলের টিম বাসের সামনে থাকবে বিশেষ পাইলট কার। গত সোমবার সন্ধে বেলায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল লালকেল্লা(Red Fort) চত্বর। সেই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১১ জন। সেইসঙ্গে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩০ জনের মতো সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনার সঙ্গ ইতিমধ্যেই জঙ্গি নাশকতার কোনওরকম ছক রয়েছে কিনা সেই নিয়েই তদন্তে নেমে পড়েছে এনআইএ এবং এনএসজি। দিল্লির পাশাপাশি মুম্বই এবং কলকাতাতেও জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বিশেষ করে ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের ম্যাচে নামছে ভারত(India Team)। সেইজন্য এখন অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। হোটেলের পাশাপাশি টিম হোটেলেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বুধবার থেকে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে ভারতীয় দল(India Team)। তবে অপশনাল প্রস্তুতি ছিল এদিন। একইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাও(South Africa) শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি শিবির। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে ভারত জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে শ্রেয়স, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে অনিশ্চিত!

শনিবারের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। সেই চোট অন্তত তিন সপ্তাহের জন্য ক্রিকেট থেকে ছিটকে দিল তাঁকে। তার বেশি সময়ও মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে তিনি অনিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়েই তাঁকে এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ক পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেই সিরিজ়ের শেষ ম্যাচে চোট পেলেন তিনি। বোর্ডের এক কর্তা ‘পিটিআই’-কে বলেছেন, “ম্যাচের সময়েই শ্রেয়সকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ওর পাঁজরে একটা বড় ঝাঁকুনি লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত তিন সপ্তাহ ওকে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে।” ওই কর্তা আরও বলেন, “চোট সারানোর পর আগে বোর্ডের উৎকর্ষ কেন্দ্রে যেতে হবে। সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে কি না তা বোঝা যাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেখার পরেই। যদি হাড়ে চিড় ধরে থাকে তা হলে সারতে আরও সময় লাগতে পারে।” দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে কি তিনি খেলতে পারবেন? ওই কর্তা বলেন, “এখনই তা বলা যাচ্ছে না। যদি সারতে তিন সপ্তাহ লাগে তা হলে ৩০ নভেম্বর প্রথম ম্যাচের ঠিক আগে ও সেরে উঠতে পারে।” শ্রেয়স এই মুহূর্তে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দলে নেই। খেলেন শুধু এক দিনের ক্রিকেটেই। সম্প্রতি লাল বলের ক্রিকেট থেকে ছ’মাসের বিরতি নিয়েছেন। এই চোট তাঁকে আরও সমস্যায় ফেলে দিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ৩৪তম ওভার চলছিল। শর্ট থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং করছিলেন শ্রেয়স। হর্ষিত রানার একটি বল আলেক্স ক্যারের ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায়। শ্রেয়স দৌড়তে থাকেন ক্যাচ ধরবেন বলে। পিছনে ছুটতে ছুটতে তিনি ক্যাচটি ধরেও ফেলেন। তবে টাল সামলাতে না পেরে খারাপ ভাবে মাটিতে পড়েন। তাঁর কোমর মাটিতে আছড়ে পড়ে।
অস্ত্রোপচার হবে না, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই ফিরছেন হার্দিক

অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ চলাকালীনই ভারতীয়(India) শিবিরে স্বস্তির খবর। অস্ত্রপচার করাতে হবে না হার্দিক পাণ্ডিয়ার(Hardik Pandya)। ঘরের মাঠে আগামী নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই(ODI) সিরিজে খেলতে চলেছেন ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। আপাতত তাঁকে চার সপ্তাহের রিহ্যাব সারতে হবে। এরপরই মাঠে নামার জন্য হার্দিক(Hardik Pandya) প্রস্তুত হয়ে যাবেন বলেই শোনায্চ্ছে। এই সংবাদ যে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে সত্যিই স্বস্তির খবর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারের এশিয়া কাপ ফাইনালের আগেই বাঁ পায়ের পেশীতে চোট পেয়েছিলেন ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া(Hardik Pandya)। এর ফলে ফাইনালেও নামতে পারেননি তিনি। যদিও এশিয়া কাপ জিততে ভারতীয় দলের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। এবার ঘরের মাঠে হতে চলা দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে সিরিজেও নামতে চলেছেন তিনি। ঘরের মাঠে ভারতের কাছে এই সিরিজ যে ভারতের কাছে বিশ্বকাপের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনটি ওডিআই ও চারটি টি টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। হার্দিক পাণ্ডিয়া(Hardik Pandya) চোট পাওয়ার পর থেকেই তাঁর মাঠে ফেরা নিয়ে একটা জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাঁ পায়ের পেশীতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও ওডিআই সিরিজে এই তারকা ক্রিকেটারকে দলে রাখা যায়নি সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন অজিত আগরকর(Ajit Agarkar)। কয়েকদিন আগেই বোর্ডের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে গিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। সেখানেই তাঁর নানান পরীক্ষা নীরিক্ষা হয়েছে। এরপরই বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে হার্দিকের কোনওরকম অস্ত্রপচারের প্রয়োজন নেই। তবে হার্দিকের পুরোপুরি সেরে উঠতে এখনও পর্যন্ত চার সপ্তাহ লাগবে বলেই জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে বোর্ডের চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার। তাঁর রিহ্যাব আপাতত শুরুও হয়ে গিয়েছে। তবে দিওয়ালির জন্য কয়েকদিনের ছুটি নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। দুদিনের মধ্যেই আবার বোর্ডের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে যোগ দেবেন হার্দিক।
শুধু লারার জন্য……!

তখন তিনি ৩৬৭ রানে অপরাজিত! লাঞ্চ এগিয়ে আসছে। ৪০০ রানের মাইলফলকটাও খুব কাছে। মাত্র ৩৩ রান দূরে। তখন থেকেই কি উইয়ান মুল্ডারের চোখে ভাসছিল কিংবদন্তির মুখটা? ৪০০ রানেই মাইলফলকে মুল্ডার পৌঁছননি। অধিনায়ক হওয়ার সুযোগটা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন এই ব্যাটসম্যান। ম্যাচের পর মুল্ডার বলেছেন ব্রায়ান লারাকে সম্মান জানাতেই তার এই সিদ্ধান্ত। “প্রথমত, আমি ভেবেছিলাম অনেক রান হয়ে গিয়েছে। এবার আমাদের বল করা উচিত। দ্বিতীয়ত, ব্রায়ান লারা এক জন কিংবদন্তি। ওঁর মতো মাপের একজন ক্রিকেটারের কাছে যোগ্য ভাবেই এই নজির থাকা উচিত। যদি আবার আমার কাছে সুযোগ আসে, আবারও একই কাজ করব আমি। শুক্সের (দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ শুকরি কনরাড) সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। ও একই কথা বলল। লারা কিংবদন্তি বলেই নজিরটা ওঁর নামের পাশে থাকা উচিত।” ৬০, ৭০, ৮০-র দশকে ক্রিকেট মাঠে এরকম ঘটনা দেখা যেত। রামাকান্ত দেশাইয়ের বাউন্সারে অ্যালান ডেভিডসনের টুপি মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর টুপিটা তোলার সময় দেশাইকে কুর্ণিশ করা ডেভিডসনের। গোটা ইডেন গার্ডেন্স কুর্ণিশ করেছিল ডেভিডসনের স্পোর্টসম্যানশিপে! মার্ক টেলরও এই স্পোর্টসম্যানশিপের সাম্প্রতিক উদাহরণ। ১৯৯৮-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৩৪ রানে অপরাজিত থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সেই সময়ের অধিনায়ক ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন। যাতে ব্র্যাডম্যানের রান টপকে না যেতে হয়! বিশ্বক্রিকেটে স্পোর্টসম্যানশিপের ঘটনার তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকাও উদাহরণ হয়ে থাকছে!
চোকার্স তকমা উড়িয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতে ইতিহাস দক্ষিন আফ্রিকার

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জয়ের পর ট্রফি হাতে বাভুমা।
জমে উঠেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, রাবাডার অনন্য নজির

রীতিমত জমে উঠেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২৮২ রান। প্রথম ইনিংসে যেমন বল হাতে কামাল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, তেমনি জ্বলে উঠেছিলেল দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অনন্য নজির গড়লেন। লর্ডসের ১৪১ বছরের ইতিহাসে তিনি হলেন দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি হোম ও অ্যাওয়ে দুটি ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডেই নিজের নাম তুলে ফেললেন। তৃতীয় দিনের ম্যাচ শুরু হয়েছিল আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। ম্যাচে টানটান উত্তেজনা। অজিরা প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২১২ রান। ওয়েবস্টার ৭২ ও স্মিথ ৬৬ রান করেছিলেন। রাবাডা নিয়েছিলেন ৫১ রানে ৫ উইকেট। এরপর কামিন্সের দাপটে ১৩৮ রানেই থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কামিন্স ২৮ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াও সুবিধা করতে পারল না। অল আউট হয়ে গেল ২০৭ রানে। মিচেল স্টার্ক ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের স্কোরকে ২০০ পার করে দেন। রাবাডা দ্বিতীয় ইনিংসেও নিলেন ৪ উইকেট। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে করতে হবে ২৮২ রান, এই অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে প্রোটিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে লর্ডসে নজির গড়লেন রাবাডা। লর্ডসে কেউ শতরান করলে বা পাঁচ উইকেট নিলে অনার বোর্ডে নাম উঠে যায়। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি হোম ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডে নাম তোলেন। ২০২২ –এ অ্যাওয়ে বোর্ডে নাম তুলেছিলেন। তাঁর আগে এই নজির গড়েছিলেন গ্রিনিজ। তিনি ১৯৮৪ সালে অপরাজিত ২১৪ ও ১৯৮৮ সালে ১০৩ রান করে অ্যাওয়ে বোর্ডে নাম তুলেছিলেন। এছাড়া ১৯৮৭ সালে এমসিসির হয়ে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে ১২২ রান করে নাম তুলেছিলেন হোম ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডে। ১৪১ বছরে দ্বিতীয় ক্রিকেটার – রাবাডাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে ঐতিহাসিক লর্ডস।
একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর ম্যাক্সওয়েলের, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন ক্লাসেন

একই দিনে দুই তারকার অবসর। একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে গেলেন হেনরিচ ক্লাসেন। ম্যযাক্সওয়েল অবশ্য টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে খেলা চালিয়ে যাবেন। তিনি শারীরিক কারণেই ওডিআই ছাড়লেন। অন্যদিকে পরিবারকে আরও সময় দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন ক্লাসেন। ৩৬ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল ১৩ বছরের একদিনের কেরিয়ার শেষ করলেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন। রান করেছেন চার হাজারের কাছাকাছি। এবং যাঁরা দু হাজারের বেশি রান করেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট ম্যাড ম্যাক্সেরই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ই তিনি অজি নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলিকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিললেন, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি খেলবেন না। পাশাপাশি মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই বিস্ময়করভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন হেনরিচ ক্লাসেন। সাদা বলের ক্রিকেটে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লাসেন লিখেছেন, আমার ও পরিবারের ভবিষ্যতের ভালোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই সময় লেগেছে। দুজনেই দুর্দান্ত আকর্ষণীয় ক্রিকেটার। তাঁদের অবসরে রসিক ক্রিকেট অনুরাগীরা বেশ হতাশ। ২০২৭-এ পরের বিশ্বকাপে যেমন দেখা যাবে না ম্যাক্সওয়েলকে তেমনি বিস্ফোরক ক্লাসেনকে মিস করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দুনিয়া।
ক্রিকেট মাঠে হাতাহাতি! লজ্জার ঘটনা ঘটালেন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ক্রিকেটার

ক্রিকেট মাঠে খুব খারাপ নজির। মারামারিতে জড়ালেন দুই ক্রিকেটার। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি! কলঙ্কিত হল ক্রিকেট। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং দলের খেলায় ঘটল এমন অনভিপ্রেত, লজ্জার ঘটনা। হাতাহাতিতে জড়ালেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান রিপন মণ্ডল ও দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার তসেপো এনতুলি। ঘটনার সূত্রপাত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১০৫তম ওভারে। এনতুলির প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান রিপন। তারপরই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুই ক্রিকেটার। এনতুলিকে দেখা যায় রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি করছেন। তাঁকে ধাক্কাও দিতে থাকেন। আম্পায়ার এগিয়ে এসে দুজনকে সরিয়ে দেন। ম্যাচ কমিশনার যদিও এখনও কোনও শাস্তি দেননি, কারণ এখনও মাঠের আম্পায়ারের কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি। তবে কড়া রিপোর্টই দিচ্ছেন তাঁরা। আশা করা যায় এমন লজ্জার ঘটনা ঘটানোর জন্য দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে খুব কঠোর সিদ্ধান্তই নেবে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। এটি ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ। আগের ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তার আগে একদিনের সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ম্যাচে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে ক্রিকেট মাঠে এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই দুই ক্রিকেটার যা সত্যিই বিরল ঘটনা। ২২ গজে বিতর্ক কম হয়নি। উত্তপ্ত পরিস্থিতি, তর্কাতর্কি সবই হয়ত হয়। কিন্তু হাতাহাতিতে জড়িয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন রিপন ও এনতুলি।