‘ভারত গৌরব’ হয়ে আপ্লুত সৃজেশ, ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন ডার্বি জয়ে লাল-হলুদ সুর্য উঠেছে!

শুক্রবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইস্টবেঙ্গল দিবসে চাঁদের হাটের সমাগম! গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে সমর্থকদের উল্লাস চলছে জয় ইস্টবেঙ্গল স্লোগানে। মঞ্চে বসে এই ছবিটা দেখে তিনি, পি আর সৃজেশ অভিভূত। আবেগে আরও আপ্লুত ‘ভারত গৌরব’ হয়ে! সৃজেশ এখন জুনিয়র জতীয় দলের কোচ। শুক্রবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, “এটা বিরাট মুহূর্ত আমার কাছে। কারণ আমি তো হকি খেলোয়াড়। ইস্টবেঙ্গলের মত ভারতীয় ফুটবলের মহীরুহ ক্লাবের দেওয়া এই সম্মানে আমি অভিভূত। অবশ্যই আইএম বিজয়নকে কে না চেনে, উনি তো সবারই আইডল।” এদিন সৃজেশের হাতে সেই সম্মান তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই ঐতিহ্যময় দিনের মঞ্চ থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন অরূপ বিশ্বাস ক্রীড়ামন্ত্রী বলে দিলেন, “ডার্বি দিয়ে শুরু হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলে সূর্য উঠছে, ডার্বি দিয়ে শুরু হয়েছে। সমর্থকদের ফুটবলারদের আরও পাশে থাকতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে সব জায়গায় যাই। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সবার একটা জায়গাতেই পার্থক্য, ইস্টবেঙ্গল অতীত কে মনে রাখে। সবাইকে সম্মান দিতে জানে। প্রতিবার এই যে ভারত গৌরব। ভারতের ক্রীড়া নক্ষত্রদের দিয়েছে। বাংলার লিয়েন্ডার, সৌরভ, অরুণ ঘোষদের দিয়েছ। এবার দলের সাফল্য আসবে। খেলোয়াড়রা খেলুক মাঠে, দর্শকরা মাঠের বাইরে।” তবে এদিন সকলের অপেক্ষা ছিল একটাই কখন প্রিয় দল মঞ্চে উঠবে। অস্কার ব্রুজোর সঙ্গে যখন একে একে লাল হলুদ তারকারা মঞ্চে উঠলেন, সেই সময় গোটা স্টেডিয়ামে ফেটে পড়ে হাততালি। স্লোগান জয় ইস্টবেঙ্গল। এই মঞ্চেই এদিন সেরা উঠতি তারকা সম্মানে সম্মানিত হলেন পিভি বিষ্ণু। সম্মান পেলেন সৌভিক চক্রবর্তী। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা মঞ্চে উঠতেই সমর্থকদের ছিল বন্ধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। আবদার একটাই, এবার সাফল্য। আর সেই সঙ্গেই বেজে উঠলো ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্যের গান।