শার্দূল না কুলদীপ? সিদ্ধান্ত অধিনায়কেরই, কোচ নয়—সোজাসাপটা গাভাসকর

ম্যানচেস্টার টেস্টে ভারতের বোলিং রণনীতির চূড়ান্ত ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাসকর। শার্দূল ঠাকুরের পরিবর্তে কুলদীপ যাদবকে খেলানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও সোজাসাপটা বলেন—“একাদশ নির্বাচনের পূর্ণ দায়িত্ব অধিনায়কের, কোচ নন।” গাভাসকরের মতে, “দিনের শেষে দায়ভার অধিনায়কের। ওটাই তাঁর দল। ওর সিদ্ধান্তেই চলা উচিত। যদি শুভমান গিল কুলদীপকে খেলাতে চাইতেন, তাহলে সেটাই হওয়া উচিত ছিল।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি জানি এইসব বিষয় বাইরের লোকজনের সামনে আসে না। সবকিছু ঠিকঠাক আছে দেখানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু সত্যিটা এড়ানো যায় না—দলের নেতৃত্ব ক্যাপ্টেনই দেন, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তাঁরই থাকা উচিত।” এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা চলাকালীন ইংল্যান্ডের ওপেনাররা যখন ভারতীয় বোলিংকে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তখনও শার্দূলকে মাত্র পাঁচ ওভার ব্যবহার করেন গিল। তিন-চার দিন মিলিয়ে শার্দূল বল করেছেন মাত্র ১১ ওভার—৫৫ রান খরচ করে একটি উইকেটও পাননি। অথচ কুলদীপের মতো বৈচিত্র্যময় স্পিনার বেঞ্চেই বসে রইলেন। গাভাসকর আরও বলেন, “ধোনি, গাঙ্গুলির মতো ক্যাপ্টেনরা দলকে বদলে দিয়েছিলেন। কারণ ওরা নিজের সিদ্ধান্তে চলতেন। কোচের উপর ভরসা নয়, নিজের সাহসে নেতৃত্ব দিতেন। ক্যাপ্টেনকে যদি শুধু পোস্টার বয়ের মতো বসিয়ে রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সংস্কৃতি ধ্বংস হবে।” গাভাসকরের এই মন্তব্য শুধু গম্ভীরের কোচিং কৌশল নয়, বরং গোটা টিম ম্যানেজমেন্টের রণনীতিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল। ওল্ড স্কুল হলেও আজও গাভাসকর এর মতো সরল, ধারালো বিশ্লেষণই ক্রিকেটের আসল স্পাইন।
পন্থের শতরানের জবাব পোপের, বুমরার আগুনে বোলিং সত্ত্বেও ক্যাচ ফেলে সুযোগ হাতছাড়া ভারতের

প্রথম দিনটা যদি শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়ালের হয়, তাহলে দ্বিতীয় দিনটা ঋষভ পন্থ, জসপ্রীত বুমরা ও ইংরেজ ওলি পোপের। পন্থের শতরানের জবাব দিলেন পোপ। অপরাজিত শতরানে। তবে আগুনে বুমরার সামনে বিপদে পড়তে পারত ইংল্যান্ড, যদি না রবীন্দ্র জাদেজা ও যশস্বী জয়সওয়াল ক্যাচ ফেলতেন। গতদিনের ৩ উইকেটে ৩৫৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। গিল ও পন্থ প্রথম দিন যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করেন। একই রকম আত্মবিশ্বাসী, জমাট ব্যাটিং। যশস্বী, গিলের পর এদিন পন্থও শতরান করলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় শতরান। একমাত্র ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে টেস্ট সাতটি শতরান করলেন। এখনই পিছনে ফেলে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। মাহি করেছিলেন ৬টি শতরান। ১৩৪ রান করে আউট হলেন। গিল করেন ১৪৭ রান। চতুর্থ উইকেটে দুজনে যোগ করেন ২০৯ রান। তারপরই বিরাট ধস। ৩ উইকেটে ৪৩০ থেকে ৪৭১ রানে অল আউট। শেষ সাতটি উইকেট পড়ল মাত্র ৪১ রানে। আর কোনও ব্যাটসম্যানই রান পেলেন না। ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তনটা সুখের হল না করুণ নায়ারের। কোনও রান না করেই ফিরলেন। টং ও স্টোকস চারটি করে উইকেট নিয়ে ভেঙে দিলেন ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডার। এরপর বুমরার আগুনে বোলিং। শুরুতেই তুলে নিলেন জ্যাক ক্রলিকে। তারপরই বেন ডাকেটকেও পেয়ে যেতেন, যদি ক্যাচটা ধরতে পারতেন জাদেজা। সেই ডাকেট ৬২ রান করে গেলেন। ওলি পোপ শতরান করে বড় জবাবের দিকে নিয়ে গেলেন ইংল্যান্ডকে। দিনের শেষে স্টোকসদের রান ৩ উইকেটে ২০৯। কিন্তু জয়সওয়াল যদি ক্যাচ না ফেলতেন তাহলে সমস্যায় পড়তে পারত ইংল্যান্ড। একা লড়াই চালিয়ে গেলেন জসপ্রীত বুমরা। ইংল্যান্ডের তিনটি উইকেটই নিলেন তিনি। ৪৮ রানে ৩ উইকেট। কিন্তু বাকি বোলাররা কী করলেন? বুমরাকে যদি অন্যরা নূন্যতম সহযোগিতা না করতে পারেন, তাহলে আর স্পিডস্টারের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হবে কী করে?
জোড়া শতরানে টেস্টের প্রথম দিনে লেটার মার্কস তরুণ ভারতীয় দলের

দুরন্ত শুরু। অনেক সংশয় ছিল। অনেক উদ্বেগ ছিল। অনেক সন্দেহও ছিল। কিন্তু তাগিদ, প্রয়োগ দক্ষতা ও দুর্দান্ত মানসিকতায় সেসব কিছুকে দূরে সরিয়ে দিয়ে হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিনে শুধু সসম্মানে পাস করা নয় রীতিমত লেটার মার্কস পেয়ে পাস করল তরুণ ভারতীয় দল। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫৯। শতরান করলেন শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে নেমেছে তরুণ ভারতীয় দল। চাপ ছিল বৈকি! টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন রাহুল ও জয়সওয়াল। রাহুল ব্যক্তিগত ৪২ রানে ও সাই সুর্দশন শূন্য রানে আউট হলেও গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। শতরান করে ব্যক্তিগত ১০১ রানে আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে জুড়ে দিয়েছেন ১২৯ রান। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ও কেরিয়ারের পঞ্চম শতরান করলেন জয়সওয়াল। এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও সহঅধিনায়ক পন্থ। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট দুজনে যোগ করেছেন ১৩৮ রান। শুভমন গিল ১২৭ রান করে ও ঋষভ পন্থ ৬৫ রান করে অপরাজিত আছেন। গিল হলেন চতুর্থ ভারতীয় যিনি অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেই শতরান করলেন। তাঁর আগে এই নজির আছে বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর ও বিরাট কোহলি। প্রথম দিনেই শুভমন গিলের তারুণ্যেভরা ভারতীয় দল এভাবে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেবে সেটা অনেক ভারতীয় যেমন ভাবেননি, তেমনি ইংল্যান্ড তো ভাবতেই পারেনি। প্রথম দিনেই গোটা সিরিজের জন্য অন্তত আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গেল গিলের ভারত।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মিশ্রন শুভমন গিল : জস বাটলার

অধিনায়ক হিসাবে শুভমন গিলকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন তাঁর গুজরাট টাইটানসের সতীর্থ ইংলিশ তারকা জস বাটলার। ইউ টিউব চ্যানেলে ফর দ্য লাভ অফ ক্রিকেট পডকাস্টে অধিনায়ক গিলকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন দুই ইংলিশ তারকা স্টুয়ার্ট ব্রড ও জস বাটলার। বাটলার বলেন, গিল যখন কথা বলে তখন খুব শান্তভাবে বলে ও মেপে কথা বলে। কিন্তু আকর্ষণীয় হল মাঠের মধ্য ও আগুনে মেজাজে ও ভীষণ তীব্র। আমি মনে করি অধিনায়ক হিসাবে ও বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মিশ্রন। কোহলি খুব আক্রমণাত্মক। রোহিত তুলনায় ঠান্ডা, শান্ত কিন্তু আগুনটা আছে। এই দুজনের মাঝামাঝি শুভমন গিল। বাটলার এবার গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক গিলকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। টাইটানসে গিলের সতীর্থ বাটলার। ইংরেজ ব্যাটসম্যান এবার আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৫৩৯ রান করেছেন। যদিও প্লে অফে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল গিল-বাটলারের গুজরাট টাইটানসকে। ইংল্যান্ডে এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গিলের ভারত। সিনিয়র দলের সঙ্গে ভারতীয় এ দলের ইন্ট্রা স্কোয়াড ম্যাচের পর মঙ্গলবার বেকেনহ্যাম থেকে লিডস উড়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই বুধবার থেকে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। একদিকে যেমন এই সিরিজ দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সাইকেল, তেমনি গম্ভীর-গিলের হাত ধরে পথ চলা শুরু হবে নতুন ভারতের।
মা গুরুতর অসুস্থ, ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে এলেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বড় ধাক্কা ভারতীয় দলে। পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে আসতে হল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। গত বুধবার গৌতির মা সীমা গম্ভীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সে কারণেই দেশে ফিরেছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ। ১৭ জুন তাঁর ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার কথা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে তাঁর মা কেমন থাকেন তার ওপর। আপাতত দিল্লির একটি হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে আছেন সীমা দেবি। গম্ভীর গত ৬ জুন দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। এবং বেকেনহ্যামে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার থেকে ভারতীয় দল ইন্ট্রা স্কোয়াড চারদিনের ম্যাচ খেলছে। ৩৬০ ওভারের ম্যাচ। ফলে বোলাররাও ভাল ম্যাচ অনুশীলন পাবেন। এই ম্যাচ শেষ হলেই লিডসে উড়ে যাবেন গিলরা। হেডিংলিতে ২০ জুন থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে ২০২৫ থেকে ২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এই সিরিজেই অধিনায়কত্বে অভিষেক হবে শুভমন গিলের। তার আগে কোচের দেশে ফিরে আসা চাপ বাড়ালো গিলের ওপর। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবসর নেওয়ায় ভারতীয় দলে নতুন জমানা শুরু হচ্ছে। কোচ গম্ভীর ও অধিনায়ক শুভমন গিলকে সামনে রেখে নতুন যুগের শুরু করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া।
ইংল্যান্ড সফরে ভারতের আসল প্লেয়ার জসপ্রীত বুমরা : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শুভমন গিল নন, বা অন্য কেউ নন, ইংল্যান্ড সফরে ভারতের আসল প্লেয়ার জসপ্রীত বুমরা, মনে করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুমরার ফিটনেসের ওপরই এই সিরিজের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে, বিশ্বাস মহারাজের। তিনি মনে করেন বুমরাকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরামর্শ, বুমরাকে দিনে ১২ ওভারের বেশি বল করানো উচিত নয়। সৌরভ সতর্ক করে দেন অস্ট্রেলিয়া সফরে যে ভুল হয়েছিল, ইংল্যান্ডে যেন সেই ভুল না করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় বুমরার ওপর অত্যাধিক চাপ পড়েছিল, সে কারণেই চোটের কবলে পড়েন তিনি। ইংল্যান্ডে দেখতে হবে যেন তাঁকে বেশি ধকল নিতে না হয়। বাকি বোলাররা চাপটা নিন, পরামর্শ মহারাজের। অস্ট্রেলিয়ায় ১৫০ ওভার বল করেছিলেন বুমরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০ ওভারের বেশি বল করেছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে চতুর্থ টেস্টে। দুই ইনিংসে বল করেন যথাক্রমে ২৮.৪ ওভার ও ২৪.৪ ওভার। আর তার ফলেই পিঠের ব্যথার জন্য শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে পারেননি। ছিটকে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। তাই সৌরভ বলেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে বুমরাকে ১২-১৩ ওভারের বেশি বল করতে না হয়। অস্ট্রলিয়ায় যেটা সমস্যা হয়েছিল, বুমরা সেভাবে সাপোর্ট পাননি। ইংল্যান্ডে অন্য পেসারদের বাড়ি দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন সৌরভ।
নো বিরাট, নো ফ্যানস, নো মিডিয়া, বিমানবন্দরে গিলদের পিছনে কাউকে ছুটতে দেখা গেল না

এটাও বুঝি ভারতীয় ক্রিকেটে একটা ইতিহাস হয়ে রইল। না হলে এমন হবে কেন! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে ভারতীয় দল শনিবার লন্ডনে পৌঁছে গেল। কিন্তু অবাক করার ব্যাপার এটাই যে বিমানবন্দরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দেখতে কোনও ক্রিকেট ফ্যানসদের চোখে পড়ল না। দেখা গেল না কোনও মিডিয়াকে। কেন! এর উত্তর ফ্যানসরাই দিতে পারেন। তাঁরা থাকলে না হয় জানা যেত এত কম লোক কেন এসেছেন। সেই প্রশ্ন করার মতো কাউকে পেলে তো! সেটাও যে নেই। গত নভেম্বরের ছবি সামনে চলে এল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় দল পা দেওয়ার সাথে সাথে বিমানবন্দরের বাইরে বিরাটের নাম ধরে ফ্যানসদের চিৎকার কানে তালা ধরিয়ে দেওয়ার মতো ব্য়াপার ছিল। টিম বসে ওঠার আগে বিরাট শুধু হাত নাড়লেন। ব্যস এটুকু। তাতেই খুশি ফ্যানসরা। এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় দলের প্র্যাকটিসে ফ্যানসদের ভিড়ে বিরাটরা ঠিকভাবে নেট করতে পারছিলেন না. তাই বাধ্য হয়ে স্টেডিয়ামের দরজা বন্ধ করে ক্রিকেটাররা প্র্যাকটিস করেন। তা হলে কি বিরাট ন থাকায় লন্ডন বিমানবন্দরের চেহারা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। হতে পারে। কারন, এই দলে সেই ক্রাউড পুলার কোথায়! তাঁরা কোন ক্রিকেটারকে দেখতে ছুটে আসবেন। সেই উত্তর নেই। শুরুটা এমন হলে শেষটা কেমন হতে পারে। ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজে লোকে মাঠে আসবে তো! এখানেও সেই উত্তর দিতে হবে। কাকে দেখতে তারা মাঠে আসবেন! বিরাট নেই। নেই রোহিত শর্মাও। তাই তারকাবিহীন দলের পিছনে কেউ আর ছুটতে চান না। এটা অন্তত শুরুতে বুঝিয়ে দিলেন প্রবাসী ভারতীয়রা।
গিলের পর এবার ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন হার্দিক, তিন শব্দে বন্ধুত্বের বার্তা

নিজেদের মধ্যে ঝামেলার গুজব আগেই উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শুভমন গিল। এবার তিন শব্দের বার্তায় বন্ধুত্বের কথা জানিয়ে ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন পার্দিক পাণ্ডিয়া। শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়ে ছিলেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার তার উত্তরে পোস্ট করলেন হার্দিক, সব সময় শুভু বেবি। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবার একই কাজ করলেন হার্দিক। এর ফলে আইপিএলে গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচের পর দুজনের যে ঝামেলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটার শেষ হল।
গিলের পর এবার ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন হার্দিক, তিন শব্দে বন্ধুত্বের বার্তা
নিজেদের মধ্যে ঝামেলার গুজব আগেই উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শুভমন গিল। এবার তিন শব্দের বার্তায় বন্ধুত্বের কথা জানিয়ে ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন পার্দিক পাণ্ডিয়া। শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়ে ছিলেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার তার উত্তরে পোস্ট করলেন হার্দিক, সব সময় শুভু বেবি। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবার একই কাজ করলেন হার্দিক। এর ফলে আইপিএলে গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচের পর দুজনের যে ঝামেলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটার শেষ হল।
চেন্নাইয়ের কাছে হেরে প্রথম দুইয়ে থাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল গুজরাটের

নিজেদের কাজটা নিজেরাই কঠিন করে তুলল গুজরাট টাইটানস। শেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে প্রথম দুইয়ে থাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল গিলদের। ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্টে শেষ করল গুজরাট। অন্যদিকে পঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দুটি দলেরই পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১৭। অর্থাৎ এই দুই দল যদি তাদের শেষ ম্যাচে জেতে তাহলে দুটি দলই পৌঁছে যাবে ১৯ পয়েন্টে। তখন আর প্রথম দুইয়ে থাকা সম্ভব হবে না গুজরাটের। অথচ রবিবার চেন্নাইকে হারালেই এক নম্বর জায়গাটা নিশ্চত হয়ে যেত গিলদের। এদিন ৫ উইকেটে ২৩০ রান করে সিএসকে। কিন্তু বড় রানের চাপে ভেঙে পড়ে ১৪৭ রানেই শেষ হয়ে যায় গুজরাটের ইনিংস। একমাত্র সাই সুর্দশন ৪১ রান করেন। ব্যর্থ গিল-বাটলাররা। ফলে চাপ বাড়ল গুজরাটের। এখন আরসিবি ও পঞ্জাবের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। গিলরা কোয়ালিফায়ারে খেলবেন না এলিমিনেটরে খেলবেন, সেটা বোঝা যাবে ওই দুটি ম্যাচের যে কোনও একটির ওপর।