গাভাসকরের রেকর্ড ছুঁলেন শুভমন গিল

২০২৫ সালে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধেও একই ধারা বজায় রেখেছেন ভারতীয় টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক। ওয়স্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই ছুঁয়ে ফেললেন ভারতের আরেক কিংবদন্তী সুনীল গাভাসকরের(Sunil Gavaskar) রেকর্ড। ঘরের মাঠে টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেই গড়লেন বিরাট নজির। বিরাট, সচিনদের(Sachin Tendulkar) টপকে সুনীল গাভাসকরের পরেই নিজেপ জায়গা করে নিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। যদিও সেই রানকে সেঞ্চুরীতে পর্ণত করতে পারেননি তিনি। তবে গিলের ব্যাট থেকে এসেছে বিরাট রেকর্ড। আর তাতেই আপ্লুত সকলে। ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসাবে এই ম্যাচটাই ছিল গিলের(Shubman Gill অভিষেক। সেখানেই গড়লেন এই বিরল নজির। সুনীল গাভাসকরের পর দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসাবে ঘরের মাঠে অভিষেক টেস্টেই অর্ধশতরান করলেন তিনি। তবে বড় রান করতে পারেননি শুভমন গিল। ৫০ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়ছিল এই তারকা ব্যাটারকে। এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই টেস্ট অভিষেকটা হয়েছিল শুভমন গিলের। প্রথম দিন থেকেই ব্যাট হাতে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। তাঁর চওড়া ব্যাট থেকে এসেছিল একের পর এক বড় রান। দ্বিশতরানের ইনিংসও খেলেছিবেন গিল। সেই ধারা কিন্তু ঘরের মাঠেও ঘরে রাখলেন তারকা ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল। কেএল রাহুল, ধ্রুব জুরেলদের পাশাপাশি উজ্জ্বল ভারতীয় দলের অধিনায়ক শুভমন গিলও। সুনীল গাভাসকরের পাশে নিজের নাম লিখে ফেললেন এই তারকা ক্রিকেটার।
শার্দূল না কুলদীপ? সিদ্ধান্ত অধিনায়কেরই, কোচ নয়—সোজাসাপটা গাভাসকর

ম্যানচেস্টার টেস্টে ভারতের বোলিং রণনীতির চূড়ান্ত ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাসকর। শার্দূল ঠাকুরের পরিবর্তে কুলদীপ যাদবকে খেলানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও সোজাসাপটা বলেন—“একাদশ নির্বাচনের পূর্ণ দায়িত্ব অধিনায়কের, কোচ নন।” গাভাসকরের মতে, “দিনের শেষে দায়ভার অধিনায়কের। ওটাই তাঁর দল। ওর সিদ্ধান্তেই চলা উচিত। যদি শুভমান গিল কুলদীপকে খেলাতে চাইতেন, তাহলে সেটাই হওয়া উচিত ছিল।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি জানি এইসব বিষয় বাইরের লোকজনের সামনে আসে না। সবকিছু ঠিকঠাক আছে দেখানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু সত্যিটা এড়ানো যায় না—দলের নেতৃত্ব ক্যাপ্টেনই দেন, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তাঁরই থাকা উচিত।” এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা চলাকালীন ইংল্যান্ডের ওপেনাররা যখন ভারতীয় বোলিংকে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তখনও শার্দূলকে মাত্র পাঁচ ওভার ব্যবহার করেন গিল। তিন-চার দিন মিলিয়ে শার্দূল বল করেছেন মাত্র ১১ ওভার—৫৫ রান খরচ করে একটি উইকেটও পাননি। অথচ কুলদীপের মতো বৈচিত্র্যময় স্পিনার বেঞ্চেই বসে রইলেন। গাভাসকর আরও বলেন, “ধোনি, গাঙ্গুলির মতো ক্যাপ্টেনরা দলকে বদলে দিয়েছিলেন। কারণ ওরা নিজের সিদ্ধান্তে চলতেন। কোচের উপর ভরসা নয়, নিজের সাহসে নেতৃত্ব দিতেন। ক্যাপ্টেনকে যদি শুধু পোস্টার বয়ের মতো বসিয়ে রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সংস্কৃতি ধ্বংস হবে।” গাভাসকরের এই মন্তব্য শুধু গম্ভীরের কোচিং কৌশল নয়, বরং গোটা টিম ম্যানেজমেন্টের রণনীতিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল। ওল্ড স্কুল হলেও আজও গাভাসকর এর মতো সরল, ধারালো বিশ্লেষণই ক্রিকেটের আসল স্পাইন।
ওয়াংখেড়েতে বঞ্চিত কেন শাস্ত্রী? প্রশ্ন তুলে চিঠি এমসিএ প্রেসিডেন্টকে

সচিন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা, অজিত আগরকর, শরদ পাওয়াররা নানাভাবে সম্মানিত হয়েছেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। কিন্তু রবি শাস্ত্রী উপেক্ষিত। কেন এই প্রশ্ন তুলে এমসিএ প্রেসিডেন্ট অজিঙ্ক নায়েককে চিঠি দিলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক শিশির হাত্তারাঙ্গি। তিনি বিশদে জানিয়েছেন, শাস্ত্রী শুধু স্যর গ্যারি সোবার্সের মত ৬ বলে ৬ ছক্কাই হাঁকাননি, ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর উজ্জ্বল কেরিয়ার, কোচ হিসাবে ভারতকে আরও আধুনিক করে তোলা, দুর্দান্ত ধারাভাষ্যকার – সব উল্লেখ করে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর প্রভাবকে ব্যাখ্যা করেন। প্রসঙ্গত গত ১৬ মে ওয়াংখেড়েতে রোহিত শর্মা, অজিত ওয়াদেকর ও শরদ পাওয়ারের নামে স্ট্যান্ডের নামকরণ হয়েছে। আগে সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর ও দিলীপ বেঙ্গসরকারের নামেও স্ট্যান্ড হয়েছে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাদ রবি শাস্ত্রী। এমসিএ প্রেসিডেন্টকে লেখা চিঠিতে হাত্তারাঙ্গি লিখেছেন, স্যর আমি শিধি একজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের জন্য লিখছি না, বলতে চাইছি এমন একজনের জন্য, যিনি এক দশকেরও বেশি সময় মুম্বই ক্রিকেটের সেবা করেছেন। তিনি আশা করেছেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এই ব্যাপারটা নতুনভাবে পর্যালোচনা করে দেখবে। পাশাপাশি তিনি এ কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই বক্তব্য কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। রবি শাস্ত্রী দেশের হয়ে ৮০টি টেস্ট ও ১৫০টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৮৩-র বিশ্বজয় ও ১৯৮৫-র চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়নস খেতাব জিতেছিলেন। তাছাড়া মুম্বইয়ের হয়ে রয়েছে বিশাল অবদান। এখন হাত্তারাঙ্গির চিঠির পর এমসিএ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
ইংল্যান্ড সফরে চারে ঋষভকে চান শেহবাগ, নায়ারে ভোট গাভাসকরের

ভারতীয় ক্রিকেটে গত ৩০ বছর ধরে যে জায়গাটি দুই ক্রিকেটার ধরে রেখেছিলেন, তাঁদের অনুপস্থিতিতে তা সামাল দেওয়া হবে কীভাবে! তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিতর্ক আছে। যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলায় অনেকের নাম সামনে আসছে। এখন দেখার ব্যাপার এটাই যে গুরু গম্ভীরের চাল কী হয়! কোন ক্রিকেটারকে তিনি সেই শূন্যস্থান ভরাট করেন। হ্যাঁ, শচীন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলি এতদিন টেস্ট ক্রিকেটে চার নম্বর জায়গাটি ধরে রেখেছিলেন। শচীনের পর বিরাট। কিন্তু এবার কে! ভারতীয় ক্রিকেটে এ নিয়ে অনেকের নাম সামনে আসছে। কে এল রাহুল, শুভমান গিল, করুন নায়ার, এমন অনেক ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা চলছে। তা হলে কে দায়িত্ব নেবেন। চার নম্বর জায়গাটি টেস্ট ক্রিকেটে দলের সেরা ক্রিকেটারকে নিয়ে আসা হয়। না হলে শচীন ও বিরাটকে এখানে কাজে লাগানো হত না। তা হলে এবার কে! ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার পছন্দ ঋষভ পন্থ। প্রথমত বাঁহাতি ক্রিকেটার। অভিজ্ঞতার দিক থেকে বিচার করলে পিছিয়ে রাখা যাবে না। অনেক কঠিন ম্যাচ সামলে দলকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছে। তাই আমার মনে হয় চার নম্বর জায়গাটি ঋষভের জন্য ছেড়ে রাখা উচিত। শেহবাগের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত হতে পারছেন না প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। তিনি বলছেন, আমার তো মনে হয় করুন নায়ারকে এই জায়গায় কাজে লাগানো উচিত। আট বছর পর জাতীয় দলে ফিরে এসেছে। এই লেভেলের ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কাউন্টি ক্রিকেটে একসময় দাপটের সঙ্গে খেলেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিদর্ভের হয়েও ওকে চার নম্বরে খেলতে দেখা গিয়েছে। এর কাছে এই জায়গাটি নতুন বলে মনে হবে না। আসলে ওপেনিং ও মিডলঅর্ডারের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করার দায়িত্ব চার নম্বরে খেলতে নামা ক্রিকেটারের। তাই নায়ারের বদলে অন্য কারোর নাম মনে পড়ছে না। একসময় নির্বাচকরা চার নম্বরে শুভমান গিলকে নামানোর কথা ভেবেছিলেন। সেই ভাবনা অবশ্য চূড়ান্ত নয়। তবে নাম যখন একবার এসেছে, তখন আলাচনা হয়েছে। এই ভাবনার বিরুদ্ধে কথা বলছেন গাভাসকর। তিনি বলেছেন, শুভমানকে চারে নিয়ে আসা মানে দুটি উইকেট চলে গেল। শুভমান ওপেন করে। ওপেনে জায়গা না হলে বড় জোর তিন নম্বরে নিয়ে আসা যেতে পারে। কখনও চার নম্বরে নয়। তিন নম্বরে নামানোর পিছনে যুক্তি আছে। একজন ওপেনার ইনিংসের শুরুতে খেলতে নামা মানে সে গিয়ে নতুন বল খেলে। শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে তিনে গিয়ে নতুন বল সামালানোর কাজটি করতে পারে। কিনতু চার গেলে সেটা সম্ভব হয় না। তাই শুভমান দলের প্রয়োজনে তিনে খেলতে পারে। কখনই চারে নয়। গাভাসকরের পছন্দের ব্যাটিং অর্ডার হল এমন – যশস্বী জয়সওয়াল, কে এলে রাহুল, শুভমান গিল, করুন নায়ার, ঋষভ পন্থ। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে এভাবে রেখে তারপর বাকিদের নিয়ে আসার কথা ভাবা যেতে পারে।
আইপিএলের বাকি ম্যাচে চিয়ার লিডার ও ডিজে বন্ধের ডাক দিলেন গাভাসকর

১৭ তারিখ থেকে আবার শুরু হচ্ছে আইপিএল। ভারত-পাকিস্তান টেনশনের আবহে সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হচ্ছে, তবে বাকি ম্যাচগুলিতে চিয়ার লিডার ও ডিজে বন্ধের ডাক দিলেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের আক্রমণে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের মানুষদের সেন্টিমেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে এসব বন্ধ রেখে শান্তভাবে ম্যাচগুলি করা উচিত। সানি বলেন, “আমি আশা করব এসব বন্ধ করে ম্যাচগুলি এমন পরিবেশে হওয়া উচিত যাতে মৃতদের পরিবারের মানুষদের সেন্টমেন্টকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো যায়।“ আরও বলেন, “খেলা হোক। দর্শকরা আসুন, কিন্তু এই ব্যাপারটা মাথায় রাখুন।“ এদিকে জানা যাচ্ছে, বিদেশি ক্রিকেটাররা বেশিরভাগই আসছেন বাকি ম্যাচগুলি খেলার জন্য। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার বাদ দিলে বাকিরা সকলেই চলে আসছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও গুজরাট টাইটানস পুরো শক্তির দল নিয়েই খেলতে পারবে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও বাকি ম্যাচগুবি খেলার জন্য আসছেন প্যাট কামিন্স ও ট্রেভিস হেড। তবে রাজস্থান রয়্যালসের জোফ্রা আর্চার ও সিমরন হেটমায়ারের আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তাদের বোলিং কোচ শেন বন্ডকেও সম্ভবত পাবে না রয়্যালস। আরসিবি পাবে না জস হ্যাজলউডকে। দিল্লি পাবে না মিচেল স্টার্ককে। বেঙ্গালুরুতে কেকেআর ও আরসিবি ম্যাচ দিয়ে ফের শুরু হবে আইপিএল। তবে কলকাতা থেকে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে ওই সময় কলকাতায় বৃষ্টির পূ্র্বাভাস রয়েছে, অন্যদিকে আহমেদাবাদ, দিল্লি ও মুম্বইয়ের আবহাওয়া ভাল থাকবে, তাই ম্যাচগুলি সেখানে করার সিদ্ধান্ত।
বোর্ডের উচিত ছিল কোহলিকে অধিনায়কত্ব দেওয়া : কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত

টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর নেওয়ার পর নানা প্রশ্ন, নানা মত, নানা বিতর্ক উঠে আসছে। হঠাৎ করে কেন কোহলি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়েও আলোচনা তুঙ্গে। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা নিজের মত করে মতামত দিচ্ছেন। এরই মধ্যে বোর্ডের দিকে তির ছুঁড়লেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। চিকা বলেন, “বিরাট কোহলি হল টেস্ট ক্রিকেটের মশাল বাহক। প্যাশন আর আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলেছে। এটাই ওর গ্রেটনেস। নির্বাচকদের উচিত ছিল আবার ওকে অধিনায়কত্ব দেওয়া। আরও ২-৩ বছর ওর খেলা উচিত ছিল। “ এখানেই না থেমে নির্বাচকমণ্ডলীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত আরও বলেন, আমি যদি এখন নির্বাচক প্রধান থাকতাম, তাহলে কেহলিকে বলতাম “বস, আবার দলকে নেতৃত্ব দাও এবং টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের গৌরবকে ফিরিয়ে নিয়ে এস। তারপর অবসর নাও।“ তিনি এও মনে করেন তিনি কোহলিকে রাজি করাতে পারতেন। এবং বর্তমান নির্বাচকদেরও উচিত ছিল কোহলিক রাজি করানো। কোহলির অবসরের পর অনেকেই তাঁকে সচিন তেন্ডুলকরের পাশে রেখে নতুন করে তুলনা শুরু করছেন। এ ব্যপারে মুখ খুলেছেন মার্ক বাউচার। তিনি বলেন, “ বিরাট কোহলি ও সচিন তেন্ডুলকরের মধ্যে তুলনা করা একেবারেই ঠিক নয়। আমি মনে করি সচিন তেন্ডুলকর একজনই হয়। আবার বিরাট কোহলিও একজনই হয়। দু’জনেই ক্রিকেটের কিংবদন্তি। “ একই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে গেলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। এরপর ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন কে? প্রবলভাবে আলোচনায় আছেন জসপ্রীত বুমরা ও শুভমন গিল। সুনীল গাভাসকরের ভোট অবশ্য বুমরার দিকে। সানি বলেন, “ কারও ওয়ার্কলোডের ব্যাপারটা তাঁর নিজের চেয়ে ভাল আর কে জানবে? যদি অন্য কেউ অধিনায়ক হয়, সে সব সময় বুমরার থেকে আরএ এক ওভার চাইবে। আর যদি বুমরা নিজে অধিনায়ক হয়, তাহলে ও জানবে কখন বল করবে, কখন বিশ্রাম নিতে হবে। তাই বুমরাকেই টেস্টের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।“ কোহলি-রোহিত যুগের পর নতুন করে যাত্রা শুরু হল ভারতীয় টেস্ট দলের।
কোহলির সমালোচকদের কড়া ভাষায় বিঁধলেন এবি ডিভিলিয়ার্স

আবার বন্ধু বিরাট কোহলির প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত এবি ডিভিলিয়ার্স। কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যাঁরা, সেই সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন এবি। সমালোচকদের তালিকায় ছিলেন সুনীল গাভাসকর ও বীরেন্দ্র সওয়াগ। নিজের ব্যাখ্যা দিয়ে সবাইকেই জবাব দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি। সিএসকের বিরুদ্ধে কোহলির দুরন্ত ৬২ রান কঠিন ম্যাচে আরসিবিকে ২ রানে জিততে সাহায্য করে। একই সঙ্গে টেবিলের শীর্ষে চলে যায় আরসিবি। তারপর ডিভিলিয়ার্স বলেন, “বিরাট সব সময়ই আছে। ও আরসিবির মিস্টার সেফটি। ও যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই। এটাই ঘটনা। কোনও কিছুই বদলায়নি। ৬২ রানের ইনিংসে ও প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছে। এবার কে কী বলবে। “ কোহলি আইপিএলে যুগ্মভাবে সবচেয়ে মন্থর শতরান করার পর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন গাভাসকর ও সেওয়াগ। সেওয়াগ জানিয়ে ছিলেন অর্ধশতরান করার পর কোহলির আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল। গাভাসকরও একইভাবে সমালোচনা করেছিলেন। কোহলি এবারের আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। ১১ ইনিংসে করেছেন ৫০৫ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৪৭। যা তাঁকে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে সামনের দিকে রেখেছে। এই নিয়ে আইপিএলে রেকর্ড সংখ্যক ৮ বার ৫০০-র বেশি রান করলেন। তাই কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন এবি।