সভাপতি থাকছেন কল্যাণ চৌবেই, সুপ্রিম স্বস্তি ফেডারেশনের

অবশেষে সুপার কাপ(Super Cup) ও আইএসএল(Indian Super League) হওয়া নিয়ে জট কাটার পথে। সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) রায়ে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের(AIFF) সভাপতির পদেই কল্যাণ চৌবে(Kalyan Chaubey)। একইসঙ্গে শুক্রবারই ফেডারেশেনর প্রস্তাবিত প্রাথমিক সংবিধানকে খসরাকে সম্মতি জানালো সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস নরসিমা এবং এএস চান্দুরকরের বেঞ্চই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। আর তাতেই যেন খানিকটা স্বস্তি এবার ফেডারেশনের(AIFF) অন্দরে। আগামী ২০২৬ সালে হবে নির্বাচন। তার আগে পর্যন্ত কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন কমিটিই চালাবে ফেডারেশনের বিভিন্ন কাজ। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের নতুন কমার্শিয়াল রাইটস থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনে আর কোনও সমস্যা রইল না এই কমিটির। কল্যাণ চৌবের(Kalyan Chaubey) নেতৃত্বাধীন কমিটির ভাগ্য কী হবে তা নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল নানান জল্পনা। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) মামলা হওয়ার পর থেকেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করেছিল। ফেডারেশেনর প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান সুপ্রিম কোর্ট মানে নাকি নতুন করে নির্বাচনের নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। অবশেষে শুক্রবার সেই নির্দেশই দিল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ফেডারেশনের(AIFF) প্রস্তাবিত প্রাথমিক সংবিধানের খসরা মেনেই আপাতত কাজ চলবে। আর তাতেই যেন খানিকটা স্বস্তি পেলেন কল্যাণ চৌবে। ২০২৬ সালে নতুন করে নির্বাচন হবে। তার আগে পর্যন্ত সভাপতি হিসাবেই কাজ চালাবেন কল্যাণ চৌবে(Kalyan Chaubey)। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত ফেডারেশন কর্তারাও। ফেডারেশন সচিব এম সত্যনারায়ন জানিয়েছেন, “আমার কাছে এটা ফুটবলের জয়। আমরা সত্যিই অত্যন্ত খুশি যে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের এই সংবিধানটা মেনে চলার নির্দেশ করেছে। এই রায়টা আসার পর এবার আমরা যে সমস্ত কাজগুলো আটকে ছিল সেগুলোকেই এগিয়ে নিয়ে চলার দিকে ফোকাস করব”। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ আসার পর ফেডারেশনের এবার যে মূল ফোকাস এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলোচনা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নির্দেশের ফলে যে সেই সমস্যাও এবার মিটতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একইসঙ্গে আইএসএল হওয়া নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছিল সেটাও এবার মিটে গেল। ২০২৩ সাল থেকেই এই ঘটনা নিয়ে দেখা দিয়েছিল নানান জটিলতা। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আপাতত আগামী দিনের পরিকল্পনা গুলোর দিকে নজর দিতে পারবেন ফেডারেশন কর্তারা। তবে ২০২৬ সালেই হবে নতুন নির্বাচন।
সুশীল কুমারের জামিন বাতিল সুপ্রিম কোর্টে! এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বুধবার অলিম্পিক্সে দু’বারের পদকজয়ী কুস্তিগির সুশীল কুমারের জামিন বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে একসপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কুস্তিগিরকে। উল্লেখ্য, জুনিয়র কুস্তিগির সাগর ধনকড়কে খুনের অভিযোগে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে জেলে বন্দি ছিলেন সুশীল। গত মার্চে তাঁকে জামিন দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। এবার সেই জামিন বাতিল করে দিল শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৪ মে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগির সাগরকে খুন করেন সুশীল। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্যান্য অভিযুক্তদের মতে, তারকা কুস্তিগিরের কথাতেই সাগরকে মারধর করা হয়েছিল। আবার তদন্তকারীদের জেরায় সুশীল বলেছিলেন, তিনি সাগরকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। তাই মারধরের পরিকল্পনা। কিন্তু খুন করতে চাননি কখনওই। খুনের পর থেকেই পলাতক ছিলেন ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সফল ক্রীড়াবিদ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। সুশীলকে সাময়িক ভাবে পুলিশি হেফাজতে রাখা হলেও পরবর্তীকালে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে খুনের মামলায় চার্জ গঠন হয় সুশীলের বিরুদ্ধে। সুশীল-সহ মোট ১৭ জনের নাম ছিল মামলার চার্জশিটে। নিহত কুস্তিগিরের পরিবার চেয়েছিল, অবিলম্বে ফাঁসি দেওয়া হোক সুশীলকে। এরপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর জেলেই কেটেছে সুশীলের। কিন্তু গত মার্চে দিল্লি হাই কোর্টে তাঁকে জামিন দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্ট সেই জামিন বাতিল করে দিল।
নামধারীকে ক্লিন চিট AIFF-এর , রেলিগেশনের মুখে বেঙ্গালুরু !!!

বেঙ্গালুরুর আপিল নাকোচ করে দিলো AIFF আপিল কমিটি। আই লিগ ২০২৪-২৫ মরশুমে বড়সড় বিতর্কের অবসান ঘটাল AIFF-এর অ্যাপিলস কমিটি। ক্লেডসন দা সিলভা ‘ডে’-কে অবৈধভাবে খেলানোর অভিযোগে নামধারী এফসির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল SC বেঙ্গালুরু। অভিযোগ ছিল, সাতটি হলুদ কার্ড এবং একটি লাল কার্ড পাওয়ার পরেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে নামেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ‘ডে’। অথচ, তখন তাঁর সাসপেনশন খাটানো উচিত ছিল। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিল AIFF! জানাল, ‘নামধারী ক্লাব “গুড ফেইথে” কাজ করেছে।’ কারণ ম্যাচের আগেই AIFF-কে মেল করে খেলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা। তাই ওই ম্যাচে নামধারীর ২-১ জয় এবং তিন পয়েন্টও বহাল থাকছে। তবে সতর্ক করে AIFF বলেছে, “পরবর্তী সময়ে নামধারী ক্লাব যেন নিজেরাই প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন ও সাসপেনশন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে। এই রায়কে ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে নজির হিসেবে ধরা যাবে না।” এদিকে এই রায়ে বড়সড় ধাক্কা SC বেঙ্গালুরুর। ১১ নম্বরে শেষ করে ইতিমধ্যেই রেলিগেশনের মুখে তারা। তাদের সঙ্গে আছে দিল্লি এফসি-ও। তবে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে – AIFF উভয় ক্লাবের অবনমন স্থগিত করেছে। দিল্লি অভিযোগ জানিয়েছে, AIFF-এর ডিসিপ্লিনারি কোড ও সংবিধান অনুযায়ী নিয়ম মানা হয়নি। AIFF-এর অতীত নজির, বিশেষ পরিস্থিতিতে রেলিগেশন মকুবের ইতিহাস এবং প্রক্রিয়ার অভাবে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে কমিটি। তবে চূড়ান্ত রায় এখনও বাকি। লড়াই এখন আদালতের ময়দানে—আত্মরক্ষায় কোমর বেঁধেছে দিল্লি ও বেঙ্গালুরু। ফুটবলের ময়দানে লড়াই এখন শুধু গোলের নয়, নিয়মেরও!
জাতীয় কোচের আবেদন করার দিন শেষ হল; এআইএফএফ এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না!

সিনিয়র জাতীয় দলে নতুন কোচের পদের জন্য আবেদন নেওয়ার দিন শেষ হল রবিবার। এআইএফএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় শ’খানেক কোচের আবদন জমা পড়েছিল। কিন্তু জনা সাতেক কোচকে তাদের মধ্যে থেকে বাছা হয়েছে। যাদের ভারতীয় কোচ দু’জন। সঞ্জয় সেন এবং খালিদ জামিল। বাকিরা বিদেশি। তাদের মধ্যে আন্তোনিও হাবাস, স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের মত হেভিওয়েট নামও আছে। কোচ ঠিক করার একটা পদ্ধতি ফেডারেশনের খাতায় লেখা আছে। সেই পদ্ধতি অনুযায়ী, আগামি সপ্তাহে আবেদনপত্রগুলো ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারা নিজেদের মধ্যে কোচ নির্বাচন করে ফেডারেশনের এগজিকিউটিভ কমিটির কাছে পাঠাবেন। তারপর সেই কমিটির লিখিত অনুমোদনে নতুন কোচের নির্বাচন চূড়ান্ত হবে। সব মিলিয়ে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নতুন কোচ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই পদ্ধতিতেই কাজ হবে। নতুন কোচের নামও চুড়ান্ত হবে। এক্ষেত্রে ভারতীয় কোচেরই জাতীয় দলের কোচ হয়ে ফেরার সম্ভাবনা বেশি। সেই দৌড়ে খালিদ জামিল এগিয়ে থাকলেও ফেডারেশনের এক সূত্র জানাল, খালিদ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু সময় চেয়েছেন। ফেডারেশনের কর্তারাও এখন সময় চাইছেন। আগামি সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। ফেডারেশনের শীর্ষকর্তারাও চাইছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেডারেশনের এক কর্তা রবিবার ফোনে বললেন, “সুপ্রিম কোর্ট যদি বলে, সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন করতে হবে, তাহলে শুধু কোচ নির্বাচন নয়, অনেক কিছুই হবে না। জাতীয় পুরুষ এবং মহিলা দলের এশিয়ান কাপে অংশ নেওয়াও অনিশ্চিত হয়ে যাবে। আমাদের আশা সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে ভারতীয় ফুটবলের চলাটা থেমে যায়।”
আপাতত স্থগিত আইএসএল! আয়োজক সংস্থা চিঠি পাঠাল ফুটবল ফেডারেশন, ক্লাবগুলিকে

অবশেষে জল্পনা সত্যি হল। আপাতত আইএসএল মুলতুবি রাখল আয়োজক ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল)। শুক্রবার সব আইএসএল ক্লাব ও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও (এআইএফএফ) ইমেল করে লিগ স্থগিত রাখার কথা তারা জানিয়ে দিয়েছে। এফএসডিএলের ইমেলের বক্তব্য, তাদের সঙ্গে ফুটবল ফেডারেশনের স্বাক্ষরিত হওয়া মাস্টার্স রাইটস্ এগ্রিমেন্ট (এমআরএ) আগামী ৮ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আইএসএল শুরু হলেও এক-তৃতীয়াংশ সময়ের মধ্যে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। নতুন করে চুক্তি সই নিয়ে বেশ কয়েক মাস আগে আলোচনা শুরু হলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেহেতু ডিসেম্বরের পর আর চুক্তি থাকছে না, তাই ২০২৫-২৬ মরসুমের আইএসএলের পরিকল্পনা, আয়োজন বা বাণিজ্যিকীকরণ করতে এফএসডিএল অপারগ। তাদের বক্তব্যে এফএসডিএল আরও লিখেছে, “এই পরিস্থিতিতে আমরা ২০২৫-২৬ মরসুম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো জায়গায় নেই। তাই নতুন চুক্তি নিয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া না পর্যন্ত এই লিগ মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।” ২০১০-এ ১৫ বছরের জন্য এআইএফএফের সঙ্গে চুক্তি সই হয় এফএসডিএলের। প্রতি বছর এর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা পায় ফেডারেশন। তাদের প্রতি দিনের খরচ চালানো এবং বিভিন্ন লিগ আয়োজন করার ক্ষেত্রে যা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মুহূর্তে এমআরএ সই করতে পারবে না ফেডারেশন। যত দিন না সুপ্রিম কোর্টে ফেডারেশনের সংবিধান চূড়ান্ত হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই কাজ করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নতুন কমিটিও তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারাই এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তিতে সই করবে। তাতে দীর্ঘ সময় লাগার কথা। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি ইতিবাচক ভেবে অনেক ক্লাবই ফুটবলারদের সই করাতে শুরু করেছিল। এফএসডিএলের চিঠির পর এখন সবই বিশ বাঁও জলে। ইস্টবেঙ্গলের মতো অনেক ক্লাব বেশ কয়েক জন ফুটবলারের সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা বলেও কাগজপত্রে সই করায়নি অনিশ্চয়তার কথা ভেবে। যাঁদের সই করানো হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘ফোর্স ম্যাজেউর’ নিয়মের সাহায্যে চুক্তি বাতিল করা হতে পারে।