অর্শদীপ, ওয়াশিংটনের হাত ধরে সমতায় ফিরল ভারত

ওয়াশিংটন সুন্দরের(Washington Sundar) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে হবার্টেই সিরিজ সমতায় ফেরাল ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে জিতল টিম ইন্ডিয়া। তবে ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন অর্শদীপ সিং(Arshdeep Singh)। ভারত ম্যাচ জিতলেও, এদিন শিবম দুবের পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। তাঁর খারাপ বোলিংয়ের জন্যই যে অস্ট্রেলিয়া ১৮০ রানের গন্ডী টপকাতে পেরেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও, এদিন ব্যাট হাতে বেশ ছন্দেই ছিলেন ওয়াশিংটন(Washington Sundar), সূর্যকুমার যাদব থেকে তিলক বর্মারা। সঞ্জুর পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন জীতেশ শর্মাও। টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শুরুতেই অজি শিবিরে ধাক্কাটা দিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। ট্রেভিস এবং জশ ইংঙ্গলিসকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১৪ রানের মধ্যে দুই উইকেট খুইয়ে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই জায়গা থেকেই টিম ডেভিড এবং মার্কাস স্টয়নিস ছিলেন আক্রমণাত্মক ফর্মে। সেইসঙ্গে শিবম দুবের খারাপ বোলিং বারবার ভারতকে সমস্যায় ফেলেছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য ৭৪ রানে ডেভিডকে ফিরিয়েছিলেন দুবেই। কিন্তু ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার বড় রানের রাস্তাটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত ৬৪ রানে স্টয়নিসকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ ১৮৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এদিনও শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন অভিষেক শর্মা। কিন্তু ১৬ বলে ২৫ রানেই থামতে হয় তাঁকে। শুভমন গিল এদিনও ব্যর্থ। সূর্যকুমার শুরুটা ভালোভাবে করলেও খারাপ শট খেলে তাঁকেও থামতে হয় ২৪ রানে। মাঝে অক্ষর পটেল এবং তিলক বর্মা একটা পার্টনারশিপ গড়ার কাজ করলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি অক্ষর পটেল। সেই জায়গা থেকেই হাল ধরেন ওয়াশিংটন সুন্দর। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন এবং শেষ মুহূর্তে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন জীতেশ শর্মা। ১৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত তিনিও ক্রিজে ছিলেন অপরাজিত।
সূর্য ফর্মে ফিরলেও, বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত প্রথম টি টোয়েন্টি

বৃষ্টিতে প্রথম টি টোয়েন্টি পরিত্যক্ত। কিন্তু এই খারাপের মাঝেও ভারতের প্রাপ্তি সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav) ফর্ম ফেরা। দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ফর্মে ফিরলেন ভারতীয় টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। প্রবল বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও, শেষপর্যন্ত ক্রিজে থাকলেন সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav)। ২৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসও খেললেন। বড় রানের লক্ষ্যে থাকলেও বৃষ্টি সেখানেই ভিলেন। প্রথম ম্যাচে খেলা হল মাত্র ৯ ওভার চার বল। ভারতের রান ছিল তখন ১ উইকেটে ৯৭। সূর্যকুমারের পাশাপাশি ক্রিজে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন শুভমন গিলও(Shubman Gill)। ওডিআই সিরিজ হারের পর টি টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ভারত(India Cricket Team)। সেইসঙ্গে একটানা ব্যর্থ হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবেরও(Suryakumar Yadav) এটাই ফিরে আসার লড়াই। শুরুটা করেওছিলেন দুরন্ত ভাবে। কিন্তু ক্যানেবেরার আবহাওয়াই সঙ্গ দিল না। এদিন শুরু থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টির পূর্বাভাসও ছিল। টস জিতে প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বৃষ্টির দাপটে ম্যাচ শুরু করাই ছিল চিন্তার। যদিও শুরু হতেই বৃষ্টিতে বন্ধ বেশ কিছুক্ষণ। পরে ম্যাচ শুরু হলে ওভার কমানো হয় ২০ এর বলে ১৮ ওভারে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন অভিষেক শর্মা। কিন্তু ১৯ রানেই থামতে হয় তাঁকে। তবে এদিন সকলের নজর ছিল সূর্যকুমার যাদবের দিকে। শুভমন গিলের(Shubman Gill) সঙ্গে মাঠে আসার পর থেকেই বেশ বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ভারতীয় দলের তারকা অধিনায়ক। ওইটুকু সময়ের মধ্যেই শুভমন গিলের সঙ্গে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই সূর্যের রান ২৪ বলে ৩৯। একাই কার্যত শেষ করে দিয়েছলেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপকে। অন্যদিকে শুভমন গিলও ছিলেন নিজের ছন্দে। ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনিও।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ফর্মে ফিরতে চান সূর্যকুমার

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে নামবে ভারতীয় দল(India Cricket Team)। সেখানে নামার আগে ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav) ফর্ম নিয়েই এখন যত কথা বার্তা চলছে। তবে ভারত অধিনায়ক বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি পারফরম্যান্সের গ্রাফ যে নিম্নমুখী সেই কথা ভলোভাবেই জানেন সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav)। তবে এই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই যে তিনি ফর্মে ফিরবেন সেই ব্যপারেও বেশ আশাবাদী সূর্যকুমার যাদব। শেষবার এশিয়া কাপেই(Asia Cup) টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে খেলেছিল ভারত। সেই প্রতিযোগিতা ভারতীয় দল জিতলেও, সূর্যের(Suryakumar Yadav) পারফরম্যান্স কিন্তু একেবারেই ভালো ছিল না। শেষ ১১ টি টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav) রান মাত্র ১০০। আর সেটা যে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তায় রাখার জন্য যথেষ্ট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূর্যকুমার যাদবের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানে সূর্যকুমার কী পারবেন ফর্মে ফিরতে। এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলের অন্দর মহলে। তবে সূর্যকুমার কিন্তু বেশ আশাবাদী। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফর্মে ফেরার জন্য সেভাবে নিজের প্রস্তুতিও চালাচ্ছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। সূর্যকুমার যাদব জানিয়েছেন, “আমার মনে হচ্ছে আমি সত্যিই এখন কঠোর পরিশ্রম করছি। ব্যপারটা একেবারেই এমন নয় যে আমি আগেও কঠোর পরিশ্রম করছিলাম না। তখনও যেমন ছিল এখনো ব্যপারটা তেমনই। ঘরের মাঠের পাশাপাশি এখানেও কিন্তু আমার বেশ কিছু ভালো পারফরম্যান্স রয়েছে। রান অবশ্যই আসবে। তবে দলের জন্য পরিশ্রম করাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়”। ওডিআই সিরিজে ভারত হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এবার টি টোয়েন্টি সিরিজে টিম ইন্ডিয়া জিততে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
পাকিস্তানকে প্রতিদ্বন্দ্বী মানতে নারাজ সূর্যকুমার

এবার পাকিস্তানকে সরাসরি কটাক্ষ সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। পাকিস্তানকে এখন আর ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে নারাজ সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। সমস্ত সমর্থককে এই ম্যাচকে আলাদা নয়, বরং আর পাঁচটা ম্যচের মতোই দেখার বার্তা ভারতীয় টি টোয়েন্ট দলের অধিনায়কের। সূর্যকুমার যাদবের এই বার্তা যে বিশ্ব ক্রিকেট মহলে ফের একটা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নিয়েই চলছে এখন নানান জল্পনা। পাকিস্তানের(Pakistan) বিরুদ্ধে হ্যান্ডসেক বয়কট আগেই করেছে ভারত। এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচকে রাইভালরি বলতেও মানতে নারাজ তিনি। কার্যত ভারতীয় দল যে পাকিস্তান শিবিরে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না তাই সূর্যকুমার যাদব বুঝিয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই তাঁকে কড়া জবাব দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। পাকিস্তান যে ভারতের কাছে কোনও মতেই আর বড় প্রতিপক্ষ নয়, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপের(Asia Cup) সুপার ফোরের মঞ্চেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একপেশে ভাবেই ম্যাচ জিতেছে ভারত। ভারতের ওপেনিং পার্টনারশিপের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের বোলাররা। অভিষেক শর্মা থেকে শুভমন গিলের ঝোড়ো পারফর্ম্যান্সের সামনে মাথা নত করতে হয়েছে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রওফদের মতো তারকা বোলারদের। এরপরই সূর্যকুমার যাদবের কড়া জবাব। পাকিস্তান দল এখন কোনও মতেই আর ভারতের কাছে কঠিন প্রতিপক্ষ নয়। এমনকি তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও নেই। সূর্যকুমার যাদবের সাফ বার্তা, “ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচকে ক্রিকেটের বাইশগজে এখন চির প্রতিদ্বন্দ্বীতা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বী তখনই বলা যায়, যখন ম্যাচ খুব হাড্ডহাড্ডি হয়। যখন ব্যাপারটা এমন হয় যে ১৫ ম্যাচের মধ্যে দুই দলের জয়ের পরিসংখ্যান ৮-৭। কিন্তু এখানে তেমনটা একেবারেই নয়। এখানে ফলাফল ১৩-১ কিংবা ১২-৩। যা কখনই প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে না”। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে কিছুই করতে পারেনি পাক বোলাররা। পাক ব্যাটাররা ১৭১ রান করলেও, সেই রান তাড়া করতে ভারতের খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। বিশেষ করে অভিষেক এবং গিলের সামনে তারা তো অসহায় ছিল। এশিয়া কাপে এখনও ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে হবে ফাইনালে। কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে কোনওমতেই আর গুরুত্ব দিতে নারাজ।
গিলের সঙ্গে সফল পার্টনারশিপের রহস্য ফাঁস অভিষেকের

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরে ৬ উইকেটে জয়। ম্যাচের সেরা অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। পাকিস্তান বধের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে চলছে নানান আলোচন। শাহিন(Shaheen Afridi), হারিস রওফদের (Haris Rauf) বিরুদ্ধে যেভাবে তিনি ঝোড়ো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন কার্যত সকলে হতবাক। আবার অনেকেই তাঁকে ভবিষ্যতের তারকা বলতেও দ্বিধা করছেন না। কিন্তু কীভাবে এই সাফল্য! দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) সামনেই সেই তথ্য ফাঁস করলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ তারকা। শুভমনের সঙ্গে তাঁর ভালো বোঝাপড়াটাই নাকি সাফল্যের রাস্তায় এগিয়ে দিয়েছে তাঁকে। এশিয়া কাপেই অভিষেক শর্মার (Abhishek Sharma) সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি বেঁধেছেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। কিন্তু এটাই কী প্রথমবার? উত্তর হবে না। সেই অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট থেকেই নাকি শুভমন গিলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা করে আসছেন অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। তাদের বোঝাপাড়াটা সেই ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়েছে। আর সেটাই এখন দেশের জার্সিতে সাফল্যের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিষেক এবং শুভমনের। তারা দুজনেই নাকি তাদের খেলার ধরণ নিয়ে বেশ ওয়াকিবহাল। অর্থাৎ ম্যাচের আগে তাদের আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ অভিষেক এবং গিল নাকি জানেন কোন সময়ে তারা কেমন খেলবেন। সেভাবেই যে তারা অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট থেকে নিজেদের তৈরি করেছেন। অভিষেক শর্মা ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার যাদবকে জানিয়েছেন, “অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট খেলার সময় আমরা যেমনটা করতাম, সেটাই কিন্তু এখনও করে চলেছি। খেলার মাঝে নিজেদের মধ্যে আলোচনা। আমরা দুজনই দুজনকে বেশ ভালোভাবে বুঝি। আমি খুব ভালোভাবে জানি যে কখন কী শট গিল খেলবেন। আবারও শুভমনও আমার ব্যপারটা জানে। আমাদের বোঝাপড়াটা বেশ ভালো। দুজনের চোখের ঈশারাটাই যথেষ্ট আমাদের জন্য”। পকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ৯ ওভরে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ তৈরি করেছিলেন শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। তাদের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ভারতীয় দলের জয়ের রাস্তাটা। শাহিন আফ্রিদি থেকে হারিস রওফ, অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। সেখানেই বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন অভিষেক শর্মা। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। সেখানেই তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শুভমন গিলও ছিলেন খোশ মেজাজেই। শাহিন আফ্রিদিকে এখ ওভারেই কার্যত বিধ্বস্ত করেছিলেন তিনি। অবশেষে দুই তারকার এমন সাফল্যের কাহিনী নিজেই ফাঁস করে দিলেন অভিষেক শর্মা। এবার ফাইনালেও তারা পারে কিনা সেটাই দেখার।
রবিবার উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিতে চায় টিম ইন্ডিয়া

আবারও একটা পাকিস্তান ম্যাচ। এবার এশিয়া কাপের(Asia Cup) সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ভারতীয় দল(India Cricket Team)। তার আগেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক বিরাট বার্তা সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav)। রবিবার ভারতীয় দলের সমর্থকদের একটা সুন্দর দিন উপহার দিতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে ভারতীয় দল (India Cricket Team) যে কার্যত আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সেটাই যেন বেড়িয়ে এল সূর্যকুমারের গলা থেকে। পাকিস্তানকে এখানেও হারাতে কার্যত প্রস্তুত ভারতীয় দল। সেইসঙ্গে হ্যান্ডশেক যে এই ম্যাচেও হবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সাংবাদিক সম্মেলনে নাম নিলেন না প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদেরও। তবে বিশ্রাম কাটিয়ে এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই আবার ভারতীয় দলে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। চলতি এশিয়া কাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল। শেষ ম্যাচেও ওমানের বিরুদ্ধে জিতেছে ভারত। তবে সেই ম্যাচে ভারতের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু খানিকটা চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। ব্যাটাররা রান পেলেও, ওমানের মাত্র চার উইকেটই তুলতে পেরেছিলেন। যদিও সেই ম্যাচে ভারতের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah) খেলেননি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্শদীপ সিংয়ের(Arshdep Singh) জায়গায় তাঁকেই আবার ফেরাতে চলেছে ভারতীয় দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশে পরিবর্তন বলতে যে এটুকুই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। সেটাই সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav), সঞ্জু স্যামসনদের(Sanju Samson) বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। এছাড়া দলের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স। ওমানের বিরুদ্ধে সঞ্জু স্যামসন পেয়েছেন অর্ধশতরান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ঝোরো ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। ভারতের ব্যাটিংয়ে একমাত্র চিন্তার জায়গাটা হতে পারে শুভমন গিলের(Shubman Gill) পারফরম্যান্স। তিন ম্যাচেই সেভাবে বড় রান করতে পারেননি তিনি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তিনিই ভরসা। ম্যাচের আগে সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav) জানিয়েছেন, “রবিবার আমাদের পড়েছে। বহু মানুষ এই ম্যাচের দিকে চোখ রাখবেন। এই ম্যাচ তাদের কাছে উপভোগ্য হবে। এই ম্যাচেও আমাদের উন্মাদনা থেকে এনার্জিতে কোনওরকম পরিবর্তন থাকবে না। আমাদের সেরা খেলাটাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেখতে পাবে সকলে”। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান হলেও, তাদেরকে নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে যেন নারাজ ভারতীয় শিবির। তা কিন্তু সূর্যর হাবেভাবেই স্পষ্ট ছিল। এমন হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আদে প্রতিপক্ষ শিবিরের একজনেরও নাম মুখে নিলেন না সূর্যকুমার যাদব। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ভলোভাবেই দেখে নিয়েছে গৌতম গম্ভীরের দল। এছাড়া ওমান ম্যাচেও নিজেদের শক্তি, দুর্বলতা দেখা হয়ে গিয়েছে। সুপার ফোরে ফের একবার পাকিস্তানকে হারানোর লক্ষ্যেই টিম ইন্ডিয়া।
রোহিতের যোগ্য উত্তরসূরি সূর্যকুমার: মহম্মদ কাইফ

ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমেছে ভারত(India Cricket Team)। আর সেই সময়ই মহম্মদ কাইফ(Mohammed Kaif) প্রশংসায় ভরালেন ভারতীয় টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে(Suryakumar Yadav)। তাঁর মতে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নাকি যোগ্য উত্তসূরি সূর্যকুমার যাদবই। তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা থেকে নেতৃত্বের স্কীল, সবকিছুর মধ্যেই রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ছোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। এই মুহূর্তে সূর্যকুমার যাদবের হাত নেতৃত্বেই এশিয়া কাপের মঞ্চেও অপরাজিত তকমা রয়েছে ভারতীয় দলের। টি টোয়েন্টি(T20) অধিনায়ক হিসাবে এশিয়া কাপের (Asia Cup) মঞ্চেই সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় নেমেছেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। সেখানে যোগ্য নেতৃত্বতে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় দল। আর শুধু তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে ভারত জিতেছে, তাতে সূর্যকুমারকে ফুল মার্কস দিচ্ছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav) ভারতকে এশিয়া কাপ ট্রফিটা দিতে পারেন কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। এশিয়া কাপে(Asia Cup) ব্যাট হাতেও বেশ ভালো পারফরম্যান্সই দেখিয়েছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসাবেও বেশ সাফল্য পেয়েছেন। পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচে হ্যান্ডশেক কাণ্ড নিয়েও বহু হৈচৈ হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যকুমারের জবাব দেওয়ার স্টাইলটা নজর কেড়েছে মহম্মদ কাইফের (Mohammed Kaif)। এরপরই সূর্যকে বিরাট প্রশংসাপত্র দিলেন প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার। মহম্মদ কাইফ(Mohammed Kaif) জানিয়েছেন, “ব্যাটে হাতে উইনিং শট খেলেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে সূর্যকুমার যাদবের হাত ধরেই জয়ের রাস্তায় এগিয়ে চলেছে ভারতীয় দল। এছাড়া যেভাবে সেদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন সামলেছেন সূর্য, তাতে একজন দক্ষ অধিনায়কের ছাপই দেখা যায়। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিনই হয় আসল পরীক্ষা। আর সেখানেই যেভাবে তিনি পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন তা একজন যোগ্য অধিনায়কই করতে পারেন। সেই কারণেই অধিনায়ক হিসাবে রোহিত শর্মার যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে তাঁকে দেখছি আমি”। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে সূর্যকুমার যাদব দলকে পরিচালনা করেছেন তা দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন মহম্মদ কাইফ। বিশেষ করে যেমনভাবে তিনি অভিষেক শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়াকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন। হার্দিককে দিয়েই তুলে নিয়েছিলেন প্রথম উইকেটটা। কার্যত এখন সূর্যতেই মজে রয়েছেন মহম্মদ কাইফ।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের অভিজ্ঞতা ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে

পহেলগাম(Pahelgam) ঘটনার এশিয়া কাপেই(Asia Cup) প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান(INDvPAK)। রবিবারের ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নানান হিসাব নিকাশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের(India Cricket Team) অভিজ্ঞতাই চিন্তার কারণ হতে পারে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)। ভারতীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সটাই খানিকটা চিন্তায় রাখছে ভারতীয় টিম(Indian Cricket Team) ম্যানেজমেন্টকে। সেদিকেই যে এখন গম্ভীর(Gautam Gambhir) অ্যান্ড কো-এর মূল ফোকাস তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শাহিন আফ্রিদির(Saheen Afridi) বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বারবারই বেশ সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে ভারতীয় দলের ব্যাটারদের। এবারের এশিয়া কাপেও(Asia Cup) যে পাকিস্তানের বল হাতে প্রধান ভরসা সেই আফ্রিদি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানেই ভারতের চিন্ত খানিকটা বাড়াতে পারে ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। এই প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি। সঙ্গে শুভমন গিল(Shubman Gill) থাকলেও, তাঁরও যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার খুব একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে তেমনটা নয়। আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানকে আটকাতে ফিনিশার নিয়েই ভারতীয় শিবিরে আলোচনা অন্যদিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সূর্যের ব্যাটেই রান এসেছে ৫ ম্যচে ৬৪। গড় মাত্র ১২। এই দিকটা যে ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়াতে পারে তা বলাই যায়। মিডল অর্ডারে তিলক বর্মারও একই অবস্থা। একমাত্র এই দলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হার্দিক পান্ডিয়া(Hardik Pandya)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেমন দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তেমনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হার্দিকের পারফরম্যান্সই উল্লেখযোগ্য। ব্যাট হাতে যেমন রান রয়েছে হার্দিকের। তেমনই বল হাতেও হার্দিকের ঝুলিতে রয়েছে উইকেট। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ ম্যাচে ৯১ রান করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তেমনই আবার বোলিংয়ে তাঁর শিকার ১৩ উইকেট। হার্দিকের ওপর যে এই ম্যাচে দায়িত্ব অনেকটাই বেশি থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যতম তুরুপের তাস জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে থাকেন তিনি। অভিজ্ঞ বুমরার দিকে যে এই ম্যাচেও তাকিয়ে রয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বারবারই বুমরাহকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পাক শিবিরকে। এবারও সেই বুমরার নেতৃত্বেই পাক ব্যাটারদের ওপর যে ভারতের চাপ বাড়ানোর কৌশল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অর্শদীপ সিং ভালো ছন্দে রয়েছেন। সেইসঙ্গে স্পিন আক্রমণে কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী সিরিজের শুরুটা দুরন্ত ভাবে করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে যে ভারতই ফ্রন্টফুটে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমিরশাহীর বিরুদ্ধে নামার আগে সূর্যর মুখে সঞ্জুর কথা

বুধবার এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করছে ভারত(India Cricket Team)। প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী(UAE)। ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও শেষ প্রতিপক্ষকে কিন্তু একেবারেই হাল্কাভাবে নিচ্ছে না টিম ইন্ডিয়া। প্রথম একাদশ কার্যত বাছা হয়ে গিয়েছে। তবে জল্পনা শুধু একটাই জায়গা নিয়ে। উইকেটকিপার হিসাবে কে খেলবেন। জীতেশ শর্মা(Jitesh Sharma) নাকি সঞ্জু স্যামসন(Sanju Samson)। প্রথমে জীতেশ শর্মা এগিয়ে থাকলেও, সূর্যকুমারের(Suryakumar Yadav) মুখে কিন্তু সঞ্জুর(Sanju Samson) কথাই শোনা গিয়েছে। অধিনায়কের চোখে সঞ্জুই এখন এক নম্বর উইকেটকিপার ব্যাটার। অর্থাৎ সঞ্জুকে প্রথম একাদশে দেখা গেলে যে খুব একটা অবাক হওয়ার মতো কিছুই থাকবে না তা বলাই বাহুল্য। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই ম্যাচের আবার একইসঙ্গে পাকিস্তান ম্যাচেরও প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে চাইছে ভারতীয় দল(Indian Cricket Team)। এই ম্যাচেই ফের একবার টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ওপেনার হিসাবে দেখা যেতে চলেছে শুভমন গিলকে। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে থাকছেন তিলক বর্মাও। এই ম্যাচেও ভারতীয় দলের পেস আক্রমণের দায়িত্বে থাকছেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেইসঙ্গে তাঁক ডেপুটি হিসাবে থাকছেন অর্শদীপ সিং। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষাতে রয়েছেন সকলে।
ট্রফি প্রদর্শনেও পাশাপাশি নয় ভারত-পাক

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের(Asia Cup) মঞ্চে প্রথম ম্যচে নামছে ভারতীয় দল। প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ১০ তারিখ ভারত(Indian Cricket Team) প্রথম ম্যাচে নামলেও, সকলের নজর যে এখন থেকেই ভারত বনাম পাকিস্তান(Pakistan) ম্যাচের দিকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তার আগেই ভাইরাল এশিয়া কাপের ট্রফি প্রদর্শনের ছবি। পাশাপাশি দাঁড়ালেন না ভারত এবং পাকিস্তানের দুই অধিনায়ক। ভারত-পাকে মাঝে এখন আফগানিস্তান। পহেলগাম ঘটনা হওয়ার পর এই এশিয়া কাপেই(Asia Cup) প্রথমবার মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। পহেলগামে জঙ্গী হানা হওয়ার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল দোটা দেশ। এরপরই ভারতের অপারেশন সিঁদুর আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের মাটিতে। পাক মাটিতে ঢুকে তাদের জঙ্গী ডেরা ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এবার ক্রিকেটের মাটিতে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি। সেখানেও ধরা পড়ল কার্যত একই ছবি। ট্রফি প্রদর্শন হলেও সেখানে পাশাপাশি দাঁড়াল না দুই দলের অধিনায়ক। শুধু তাই নয় সাংবাদিক সম্মেলনেও সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav) এবং পাকিস্তান অধিনায়ক পাশাপাশি বসেননি। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। তবে এমন সিদ্ধান্তটা নাকি এসিসির তরফ থেকেই নেওয়া হয়েছিল। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের অধিনায়কদের নাকি ইচ্ছাকৃতভাবেই পাশাপাশি রাখা হয়নি। সূত্রের খবর নাকি বিতর্ক এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এই ঘটনা যে ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বৈরথের উত্তাপ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।