ভারতীয় দলের মেন্টর হবেন ধোনি? প্রস্তাবের ভাবনা বোর্ডের

নতুন দায়িত্ব পেতে পারেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আগামী বছর ভারতের মাটিতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় ধোনিকে বড় দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাঁকে মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে কি গম্ভীরের উপর ভরসা হারাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড? ‘ক্রিকব্লগার’ এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ধোনিকে মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, “ধোনিকে আরও এক বার মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বোর্ড মনে করছে, ওর মস্তিষ্ক, পরিকল্পনা, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা ভারতীয় দলের সুবিধা করে দেবে। বিশ্বকাপের মতো বড় প্রতিযোগিতায় ধোনি দলের সম্পদ হতে পারে।” এই খবর সামনে আসার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি একা গম্ভীরের উপর ভরসা রাখছে না বোর্ড। ছোট ফরম্যাটে গম্ভীর সফল। চলতি বছরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন তিনি। তা হলে কেন ধোনিকে মেন্টরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে? হতে পারে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি না থাকায় ক্রিকেটারদের মাথার উপর ধোনির মতো কাউকে রাখতে চাইছে বোর্ড। কোনও সমস্যা হলে যাতে ক্রিকেটারেরা ধোনির কাছে যেতে পারেন, পরামর্শ নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে চাইছে বিসিসিআই। ধোনি এর আগেও ভারতীয় দলের মেন্টরের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁকে মেন্টর করা হয়েছিল। সেই সময় অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। রবি শাস্ত্রী ছিলেন দলের প্রধান কোচ। কিন্তু সে বার সাফল্য পাননি ধোনি। বিশ্বকাপের নক আউটে উঠতে পারেনি ভারত। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারতে হয়েছিল। বিশ্বকাপের পরেই দায়িত্ব ছাড়েন ধোনি। এ বার আবার ধোনিকে প্রস্তাব দিলেও তিনি তা গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, অবশ্যই গম্ভীর। দু’জন একই সময়ে ভারতীয় দলে খেলেছেন। ধোনিকে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন গম্ভীর। কিন্তু তাঁদের পরিকল্পনা মেলে না। আগেও অনেক বার ধোনির সমালোচনা শোনা গিয়েছে গম্ভীরের মুখে। এই অবস্থায় দু’জনে এক দলে থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সে কথা ভেবে ধোনি বোর্ডের প্রস্তাব না-ও মানতে পারেন।
ডাকাতির অভিযোগে আইসিসি’র প্রতিযোগিতা চলাকালীন গ্রেপ্তার বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার!

আইসিসি’র প্রতিযোগিতা চলাকালীন এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ। আর যার জেরে গ্রেপ্তার হতে হল তাঁকে। অভিযোগ উঠেছে পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কিপলিন ডোরিগার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লিগের। পাপুয়া নিউ গিনির ম্যাচ ছিল জার্সির বিরুদ্ধে। খেলার আগে ডোরিগার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার জার্সির সেন্ট হেলিয়ারে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রিলিফ ম্যাজিস্ট্রেট রেবেকা মর্লি-কার্ক মামলাটি নিম্ন আদালতে তোলেন। ২৭ আগস্ট ডোরিগাকে জার্সির কোর্টে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগ স্বীকারও করেন ডোরিগা। প্রথমে মামলাটি রয়্যাল কোর্টে পাঠানো হয়েছিল। ফলে জামিন মঞ্জুর হয়নি ওই ক্রিকেটারের। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডোরিগাকে হেফাজতে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২৯ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার ২০২১ এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ৩৯টি ওয়ানডে এবং ৪৩টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক হাজারেরও বেশি রান রয়েছে তাঁর। চলতি চ্যালেঞ্জ লিগে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ৮৪ বলে ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন। তবে, কুয়েতের বিরুদ্ধে ১২-র বেশি করতে পারেননি। তবে, দু’টি ম্যাচেই হেরে গিয়েছিল তাঁর দল। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লিগে ৯টি ম্যাচে ৪টিতে জিতেছে পাপুয়া নিউ গিনি।
শুধু বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলিয়ে বুমরার ম্যাচ-টাইম আরও কমানোর ভাবনা বোর্ডের!

জসপ্রীত বুমরা এখন বিসিসিআইয়ের কাছে শাঁখের করাত! তিনি ভাল খেললেও দল হারছে। আবার তার অনুপস্থিতিতেও দল জিতছে! টেস্ট ক্রিকেটের সিরিজ ৫ টেস্টের হলেই বুমরাকে নিয়ে বিড়ম্বনা! চোট-আঘাত, ফিটনেসের সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই চলছে এই বোলারের। যে কারণে টানা দুটো টেস্ট খেললেই দ্বিতীয় টেস্টে তার শরীর বিদ্রোহ করছে! নিজেই বিশ্রাম চাইছেন। আর মিডিয়ার সামনে কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’। ইংল্যান্ড সফর শেষ হয়েছে। বুমরাহকে নিয়ে এবার পাকাপাকি একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা বিসিসিআই-এর। বোর্ডের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বুমরার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের সময় আরও সীমিত করতে চাইছে বোর্ড। লক্ষ্য একটাই—দলের প্রধান বোলারের ফিটনেস আর শরীর বাঁচানো, যাতে কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হয়! বিসিসিআই-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী বুমরাকে রাখা হবে শুধু বড় টুর্নামেন্টের জন্য। সেক্ষেত্রে আপাতত আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতে হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই পাখির চোখ। পাশাপাশি নজরে রয়েছে আইসিসি-র অন্যান্য প্রতিযোগিতা এবং গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের কর্মকর্তারা নাকি বুমরাকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দেওয়ার বিষয়ে এখনই একমত! প্রসঙ্গত, দলের নির্ভরযোগ্য পেসার এ বছরই পিঠের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তাতে তাঁকে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। গত বছর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শেষে বিশ্রামে পাঠানো হয়। এমনকি আইপিএলেও পুরো সিজন খেলতে পারেননি। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর এবং হেড কোচ গৌতম গম্ভীর তখনই সাফ সাফ বলে দেন—যাই হয়ে যাক না কেন, ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজে তিনটির বেশি ম্যাচ বুমরাহকে খেলানো হবে না। অথচ মজার বিষয়, যে দুই টেস্টে তিনি খেলেননি, ভারত জিতেছে। সৌজন্যে বাকি সিমারদের দুরন্ত পারফরম্যান্স। মহম্মদ সিরাজ একাই পাঁচ টেস্টে ২৩ উইকেট নেন। আকাশ দীপ তিন টেস্টে ১৩ উইকেট। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের ঝুলতে ১৪টি। সিরাজ, আকাশদীপ আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের এই পারফরম্যান্স বিসিসিআই কর্তাদের আশা জুগিয়েছে। যদিও চোটপ্রবণ বোলার নাকি বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন—তিনি তিন ফরম্যাটেই খেলতে চান। কিন্তু বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিমের সতর্কবার্তা—বেশি চাপ দিলে পুরনো চোট ফিরে আসতে পারে। সব মিলিয়ে ছবিটা পরিষ্কার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখন বুমরার ম্যাচের সংখ্যা কমিয়ে তার দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য চাইছে। মাঠে যত কম চাপ, বড় মঞ্চে আগুন ঝরানোর সম্ভাবনা তত বেশি।