সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে ৩২ বছর পর ইউরোপে ডেভিস কাপের ম্যাচ জিতল ভারত

রজার ফেডেরারের দেশে সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে ডেভিস কাপের বিশ্ব গ্রুপ ‘ওয়ান’-এর টাই-তে ইতিহাস ভারতের। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ফল ৩-১। দু’টি সিঙ্গলস ম্যাচই জিতে ভারতের জয়ের নায়ক সুমিত নাগাল। এই জয়ের ফলে প্রথমবার ডেভিস কাপের কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেল ভারত। শনিবার প্রথম দু’টি সিঙ্গলস জিতে ভারতকে ২-০ ফলে এগিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বর সুরেশ এবং সুমিত নাগাল। শনিবার ডবলসে ভারতীয় জুটি এন শ্রীরাম বালাজি ও রিথভিক বোলিপাল্লি প্রথম সেট জিতলেও শেষপর্যন্ত ৭-৬ (৩), ৪-৬, ৫-৭-এ হেরে গেলেন জ্যাকুব পল ও ডোমিনিক স্ট্রিকারের বিরুদ্ধে। তবে ফিরতি সিঙ্গলসে সুমিত নাগাল কার্যত দাঁড়াতেই দিলেন না তরুণ সুইস খেলোয়াড় হেনরি বার্নেটকে। সুমিত জিতলেন স্ট্রেট সেটে ৬-১, ৬-৩-এ। দীর্ঘ ৩২ বছর পর ভারতীয় টেনিস দল ডেভিস কাপের অ্যাওয়ে ম্যাচে কোনও ইউরোপীয় দলকে হারাল। এর আগে ১৯৯৩-এ লিয়েন্ডার পেজ, রমেশ কৃষ্ণণরা ডেভিস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়েছিলেন ফ্রান্সকে। সম্প্রতি ভারতীয় দল ২০২২-এ ডেনমার্ককে হারিয়েছিল। তবে সেটা দেশের মাটিতে। ডেভিস কাপ কোয়ালিফায়ারের প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে। জয়ের পর নাগাল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা ইউরোপের মাটিতে জয়ী হলাম। কঠিন পরিশ্রম করেছিলাম এই টাইয়ের জন্য।”
আশঙ্কা সত্যি করে গ্রীসের পথেই জকোভিচ

শেষপর্যন্ত আশঙ্কাটাই সত্যি হল। দেশ ছেড়ে অন্য দেশেই পাড়ি দিতে চলেছেন নোভাক জকোভিচ(Novak Djokovic)। এখনও পর্যন্ত সরকারী ভাবে কিছু ঘোষণা না হলেও, গ্রীসে(Greece) সপরিবারে থাকার ব্যবস্থা নাকি কার্যত করে ফেলেছেন ২৪টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। ইতিমধ্যেই নাকি তাঁর দুই মেয়েকে এথেন্সের আন্তর্জাতিক স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে ফেলেছেন জোকার(Novak Djokovic)। এমনকি সেখানে থাকার বাড়ি নেওয়াও কার্যত পাকা। গোল্ডেন ভিসার(Golden Visa) আবেদনও করে দিয়েছেন এই তারকা সার্বিয়ান টেনিস খেলোয়াড়। তিনি তবে সার্বি ছাড়েন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। বেশ কয়েকদিন আগেই নোভাক জকোভিচ(Novak Djokovic) তাঁর দেশ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারের বিরোধিতা এবং এরপর সরকারের রোষে পড়ার ফলেই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্তটা একপ্রকার নিয়েই ফেলেছিলেন তিনি। তবে সরাসরি সেই কথা এখনও পর্যন্ত জানাননি নোভাক জকোভিচ। গ্রীসে গোল্ডেন ভিসা পেলেই যে সার্বিয়া ছাড়ছেন জোকার তা বলাই যায়। তিনিই প্রথম সার্বিয়ান টেনিস খেলোয়াড়, যিনি ভেঙে দিয়েছেন নাদাল, ফেডেরারদের মতো তারকাদের নানান রেকর্ড। বরবারই টেনিস কোর্টে তিনি প্রতিবাদী চরিত্র। কোর্টের বাইরেও নোভাক একই রকম। সম্প্রতি সার্বিয়াতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ছাত্র ও যুব সমাজ। সরকারের নীতি থেকে নানান কোরাপশন নিয়ে সরব হয়েছিল যুব সমাজ। আর তাদের দিকেই নিজের সমর্থন দিয়েছিলেন নোভাক জকোভিচ। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে বারবার সরকার বিরোধিতা করতেও দেখা গিয়েছিল জকোভিচকে(Novak Djokovic)। ছাত্রদের সমর্থন করে তাদের উদ্দেশ্যে এক অভিনব সোয়েটারও পরেছলেন টেনিস জগতে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। সেই জোকারকেই নাকি এবার দেশ ছাড়তে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে সরকারে রোষে নাকি পড়েছেন তিনি। সার্বিয়ায় ছাত্র আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬ জন। তাদের উদ্দেশ্যে নিজের অস্ট্রলিয়ান ওপেনও উৎসর্গ করেছিলেন নোভাক জকোভিচ। আর এই সমস্ত ঘটনাই নকি তাঁর দেশের সরকার একেবারে ভালো চোখে দেখেনি। শোনা যায় এরপর থেকেই জোকারের ওপর নাকি চাপ বাড়তে শুরু করেছিল। পরিবারের ঝুঁকি এড়াতে এবং প্রতিবাদ জানাতেই এরপর দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছিলেন নোভাক জকোভিচ। গ্রীসেই কার্যত নিজের গোটা পরিবারকে নিয়ে চলে যাচ্ছে জকোভিচ। শোনা যাচ্ছে সেখানে নাকি তিনি ভিলাও নিয়ে ফেলেছেন। একইসঙ্গে গোল্ডেন ভিসার আবেদনও করা হয়ে গিয়েছে। সেটা হাতে পেলেই হয়ত নোভাক জকোভিচ পাকাপাকি ভাবে গ্রীসে চলে যাবেন। তবে পরবর্তীতে টেনিস প্রতিযোগিতায় তিনি কোন দেশের হয়ে অংশগ্রহন করবেন তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
টানা দু’বার ইউএস ওপেন জয় সাবালেঙ্কার

নজির গড়ে ইউএস ওপেন জিতলেন এরিনা সাবালেঙ্কা। গত ১১ বছরে প্রথম মহিলা হিসাবে টানা দু’বার ইউএস ওপেন শিরোপা জিতলেন সাবালাঙ্কা। এর আগে ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ সালে টানা তৃতীয় বার ইউএস ওপেন জিতেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। আসলে, চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ফরাসি ওপেনের ফাইনালেও উঠেছিলেন তিনি। শিরোপার অনেক কাছ থেকে ফিরতে হয়েছিল। অবশেষে আমেরিকায় শাপমুক্তি হল ২৭ বছরের এই টেনিস তারকার। তাই আনন্দও যেন দ্বিগুণ ছিল। শনিবার মার্কিন তারকা আমান্ডা আনিসিমোভাকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিলেন বেলারুশের এই টেনিসকন্যা। বিপক্ষের ঘরের মাঠে দর্শকদের চিৎকারের মধ্যেও টানা দ্বিতীয়বার ইউএস ওপেনের মুকট জিতে সাবালেঙ্কা বললেন, “হয়তো পরের বার সমর্থন পাব।” নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ইউএস ওপেন ফাইনালে অষ্টম বাছাই আনিসিমোভাকে দেড় ঘণ্টার লড়াইয়ে পরাস্ত করলেন সাবলাঙ্কা। খেলার ফলাফল ৬-৩, ৭-৬। ফলাফলই বলে দিচ্ছে, অনায়াসেই জিতেছেন বেলারুশ তারকা। কেবল আনিসিমোভাকে নন, সাবলাঙ্কা হারালেন খেলা দেখতে আসা হাজার পঁচিশেক দর্শককেও। যাঁরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘরের মেয়েকে পূর্ণ দমে সমর্থন করে গিয়েছেন। কিন্তু সাবলাঙ্কার অনবদ্য টেনিস এবং অভিজ্ঞতার সামনে পার পেলেন না ‘ঘরের মেয়ে’। ম্যাচ জেতার পর আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি সাবালাঙ্কা। কোর্টের মধ্যেই হাঁটু মুড়ে কেঁদে ফেলেন। এরপর সোজা দৌড় লাগান গ্যালারিতে। সেখানে তখন জয়ের আনন্দে মশগুল তাঁর কোচ এবং কোচিং স্টাফেরা। তাঁদের সঙ্গে জয় উদযাপন করলেন। দেখা গেল, কোচ তাঁকে রুপোলি রঙের পোশাক উপহার দিচ্ছেন। এরপর প্রেমিককে চুমুও খেলেন।
অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় সিনারের ব্যাগ খোলার চেষ্টা সমর্থকের!

যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছেন জ্যানিক সিনার। চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। সিনার তখন ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, সুভেনির বিলোচ্ছেন। তখনই নিরাপত্তা রক্ষী দেখলেন এক ভক্ত সিনারের ব্যাগ খোলার চেষ্টা করছেন! সঙ্গে সঙ্গে সেই ভক্তকে সরালেন কোর্ট থেকে। সিনারও বুঝতে পেরে সমর্থকদের ভিড় থেকে সরে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে দ্রুত লকার রুমের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। ব্যাগ থেকে নিশ্চয়ই কিছু খোয়া যায়নি। না হলে ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে সিনার নিশ্চয়ই কিছু বলতেন। বরং সাংবাদিকদের উদ্দেশে তার বক্তব্য, “এই প্রথম এখানে রাতে ম্যাচ খেললাম। খেলাও এই কারণে আরও ভাল হয়েছে। উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ রাতে ম্যাচ দেওয়ার জন্য। সমর্থকদেরও ধন্যবাদ আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।” চতুর্থ রাউন্ডে বুবলিককে স্ট্রেট সেটে হারিয়েছেন জ্যানিক সিনার। এই টুর্নামেন্টে বুবলিক ছিলেন ২৩তম বাছাই। প্রথম তিনটি রাউন্ডে নিজের সার্ভিসে একটাও পয়েন্ট খোয়াননি। সিনারের সামনে তাকে অসহায় দেখাল। বুবলিকের সার্ভিস ভেঙেছেন আট বার। সিনারের ফোরহ্যান্ড টপস্পিনের কোনও জবাব বুবলিক দিতে পারেননি। ২০২৩ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে অপরাজিত হয়ে আছেন জ্যাক সিনার। এবার দেখা যাক তার সেই কীর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে কি না।
কোর্টে ঢুকলেন ফটোগ্রাফার! যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হেরে র্যাকেট ভাঙলেন মেদভেদেভ

যত কাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে! প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গেলেন ২০২১-এর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন দানিল মেদভেদেভ। ফ্রান্সের বেঞ্জামিন বোঞ্জির কাছে ৩-৬, ৫-৭, ৭-৬ (৭-৫), ৬-০, ৪-৬ ব্যবধানে হারলেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। তখন চলছিল ম্যাচের তৃতীয় সেট। কামব্যাকের লড়াইয়ে ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে রাশিয়ান টেনিস তারকা। ওখানে ম্যাচ পয়েন্ট পেলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারত। প্রথম সার্ভে ‘ফল্ট’ করার পর দ্বিতীয় সার্ভের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বোঞ্জি। সেই সময় আচমকা কোর্টের মধ্যে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকে পড়েন এক ফটোগ্রাফার। দ্রুত ম্যাচ থামিয়ে দেন আম্পায়ার। তিনি ফের বোঞ্জিকে প্রথম সার্ভ নিতে বলেন। তাতেই মেজাজ চড়ে যায় মেদভেদেভের। আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। রাশিয়ান টেনিস তারকার অভিযোগ, আম্পায়ার দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চান। এমনকী তাঁকে বলতে শোনা যায়, “উনি তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে চান। উনি ম্যাচ ধরে টাকা পান, ঘণ্টা ধরে পান না।” লুই আর্মস্ট্রং স্টেডিয়ামের দর্শকদেরও তিনি বলতে থাকেন প্রতিবাদ করার জন্য। এই গন্ডগোলের জেরে প্রায় ৬ মিনিট ম্যাচ বন্ধ থাকে। সেই সেটটা জিতলেও শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি মেদভেদেভ। ম্যাচ হারার পর নিজের ছ’টি র্যাকেট দর্শকদের দিকে ছুড়ে দেন মেদভেদেভ। আর যে র্যাকেটটা হাতে ছিল, সেটা বেঞ্চে সজোরে মেরে ভেঙে ফেলেন। এমনকী তাঁর নিজের হাতেও চোট লাগে। ফের সেটা বেঞ্চে মারার আগে তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয়। কোর্টের বাইরেও বের করে দেওয়া হয়। এমনিতে চলতি বছরে একেবারেই ছন্দে নেই মেদভেদেভ। চলতি বছরে এখনও মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছেন রাশিয়ান টেনিস তারকা।
ইউএস ওপেনে নামছেন ৪৫ বছরের ভেনাসও!

ফ্লাশিং মিডোজ়ে ফের ভেনাস উইলিয়ামস। না, বিশেষজ্ঞ হিসেবে মাইক হাতে নয়। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার ভোররাতে ৪৫ বছরের ভেনাস নামবেন ইউএস ওপেনে মেয়েদের সিঙ্গলসে। প্রতিপক্ষ গতবারের সেমিফাইনালিস্ট ক্যারোলিনা মুচোভা। এবারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ভেনাসের ২৫তম উপস্থিতি। সেটাও এক রেকর্ড! এই মুহূর্তে ভেনাসের বিশ্বর্যাঙ্কিং ৫৮০। তাতে কী হল? গত ৪৪ বছরে মহিলাদের বিশ্ব টেনিসের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘বেশি বয়সের খেলোয়াড় ভেনাস উইলিয়ামস, যাকে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ওয়াইল্ড কার্ডে খেলতে দেওয়া হচ্ছে। সেটাও তো এক কৃতিত্ব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভেনাসের সহাস্য জবাব, “টেনিস আমার ডিএনএ-তে রয়েছে। ৩০ বছর পরও যদি সুস্থ থাকি, ফিট থাকি, তখনও র্যাকেট হাতে নামব কোর্টে। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের উদ্যোক্তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে ওয়াইল্ড কার্ডে খেলতে দেওয়ার জন্য।” বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর খেলোয়াড় আরও জানিয়েছেন, এবার ইউএস ওপেনে খেলার সুযোগ পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। “পুরোনো হয় না। স্মৃতি সততই সুখের। আমার উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছে এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামার সুযোগ পেয়ে,” বলেছেন ভেনাস।
ফরাসি ওপেনের মধুর প্রতিশোধ! উইম্বল্ডনে শেষ হাসি সিনারের

আলকারাজ়কে হারিয়ে প্রথমবার উইম্বলডন জিতলেন ইয়ানিক সিনার। ফরাসি ওপেনে আলকারাজের কাছেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন। উইম্বল্ডনও চ্যাম্পিয়ন হলেন এই প্রথম কোনও ইতালিয়ান খেলোয়াড়। সিনার জিতেছেন জিতেছেন ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ ফলে। লড়াই চলল তিন ঘণ্টা চার মিনিট ধরে। ৪০-০ এগিয়ে থেকে একটি পয়েন্ট খুইয়েছিলেন আলকারাজ়ের কাছে। কিন্তু এমন একটা ‘এস’ সার্ভিস মারলেন যার কোনও জবাব ছিল না আলকারাজ়ের কাছে। দু’হাত দু’পাশে ছড়িয়ে কিছুক্ষণ দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করেন সিনার। এর পর হাঁটু মুড়ে র্যাকেটে মাথা ভর দিয়ে কোর্টেই কিছু ক্ষণ বসে থাকেন। দু’বার হাতের তালু দিয়ে কোর্টের ঘাস চাপড়েই চলে যান গ্যালারিতে কোচেদের কাছে। ২০০৬-২০০৮, টানা তিন বছর ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন ফাইনাল খেলেছিলেন রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল। এর মধ্যে ২০০৮-এর উইম্বলডন ফাইনালকে শতাব্দীর সেরা টেনিস ম্যাচ হিসাবে ধরা হয়। সুরকির কোর্টের রাজা নাদাল হারিয়ে দিয়েছিলেন ঘাসের কোর্টের রাজা ফেডেরারকে। আলকারাজ় নিজেও এখনকার সুরকির কোর্টের রাজা। তবে সিনার ঘাসের কোর্ট নন, বরং স্বচ্ছন্দ হার্ডকোর্টে খেলতে। তাঁর তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যামের তিনটেই হার্ডকোর্টে। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। তবে উইম্বলডনে সেই ভুল করলেন না। ভবিষ্যতে ফেডেরার বা জোকোভিচের জায়গা নেবেন কি না, তা সময় বলবে। তবে রবিবার সিনারের আগ্রাসন এবং কৌশলী টেনিস বুঝিয়ে দিল, আলকারাজ় হয়তো আর উইম্বলডনে একচ্ছত্র দাপট দেখাতে পারবেন না। উইম্বলডনে আলকারাজ়ের টানা ২৪টি ম্যাচ জেতার দৌড়ও এ দিন থেমে গেল।
উইম্বলডনের নতুন রানি সোয়াইতেক, স্পর্শ করলেন ১১৪ বছরের পুরনো নজির

উইম্বলডনের নতুন রানি ইগা সোয়াইতেক। রেকর্ড গড়ে তিনি পরাস্ত করলেন অ্যামান্ডা আনিসিমোভাকে। তিনি ছুঁয়ে ফেললেন ১১৪ বছরের পুরনো নজির। একই সঙ্গে স্পর্শ করলেন কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফের ৩৭ বছরের পুরনো রেকর্ডও। শনিবার মহিলাদের সিঙ্গলস ফাইনালে মার্কিন তারকা আনিসিমোভাকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সি পোল্যান্ডের এই ‘টেনিস সেনসেশন’। খেলার ফলাফল ৬-০, ৬-০। আনিসিমোভাকে হারাতে মাত্র ৫৭ মিনিট সময় নেন সোয়াইতেক। তাঁর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন আনিসিমোভা। উইম্বলডনের ফাইনালে প্রতিপক্ষকে ডাবল বাগেল ‘উপহার’ দিয়েছেন পোলিশ তারকা। এমন স্কোরলাইন প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ১৯১১ সালে। সেবার উইম্বলডনের ফাইনালে ডোরা বুথবিকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়েছিলেন ডরোথি ল্যাম্বার্ট-চ্যাম্বার্স। ১১৪ বছরের ‘বিরল’ রেকর্ডও স্পর্শ করলেন অষ্টম বাছাই এই টেনিস তারকা। এরপর ১৯৮৮ সালে নাতাশা জভেরেভার বিরুদ্ধে একই স্কোরলাইনে পরাস্ত করে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন স্টেফি গ্রাফ। অন্যদিকে, গোটা প্রতিযোগিতায় দুর্দান্তভাবে নিজেকে মেলে ধরলেও ফাইনালে কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেললেন আনিসিমোভা। হয়তো চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হল ২৩ বছরের এই তারকাকে। ক্রমতালিকায় ১৩ নম্বরে রয়েছেন তিনি। প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। সেমিফাইনালে তিনি সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। তাই ফাইনালে তাঁর দিকে নজর ছিল সবার।
গুরুগ্রামে বাবার হাতে ‘খুন’ প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড়!

বাবার হাতে ‘খুন’ হতে হল টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে। মেয়েটি ছিলেন রাজ্যস্তরের টেনিস খেলোয়াড়। বয়স হয়েছিল মাত্র ২৫। গুরুগ্রামের সুশান্ত লোক-ফেজ-২-এর বাসিন্দা ছিলেন তিনি। প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন রাধিকা যাদব। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ক্রমতালিকায় তিনি ছিলেন ১১৩ নম্বরে। সম্প্রতি ডবলসে তিনি শীর্ষ ২০০-র মধ্যে ছিলেন। জানা গিয়েছে, বাবা তার মেয়েকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালিয়েছিল। এরমধ্যে তিনটি গুলি রাধিকার বুকে লাগে। ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ১০.২০ নাগাদ। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু কেন তার মেয়েকে খুন করল বাবা? মেয়ের প্রতি বাবার বিদ্বেষের একটা কারণ জানা গিয়েছে যে, মেয়ের রিল তৈরির আসক্তির প্রতি আসক্তি ছিল আর সেটা বাবার কাছে ছিল প্রবল বিরক্তির কারণ। সেই বিদ্বেষ থেকেই মেয়েকে খুন করেছে কি না ওই ব্যক্তি, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, “২৫ বছর বয়সি এক তরুণী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে, এই তথ্য আমরা হাসপাতাল থেকে পেয়েছি। তার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। আমরা ইতিমধ্যেই ওই তরুণীর কাকার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি সেরকম কিছু বলেননি। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বাবা।” রাধিকার জন্ম ২০০০-এর ২৩ মার্চ। পুলিশ রাধিকার বাবার পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করেছে। গোটা বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।
লড়ে প্রত্যাবর্তন জকোর

কঠিন লড়াই লড়ে মিনোরকে হারালেন নোভাক জকোভিচ।