হার দিয়েই এবারের আইপিএল অভিযান শেষ হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের

শেষ ম্যাচেও হার। শুধু হার নয়, রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েই এবারের মত আইপিএল অভিযান শেষ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবারের মরসুমটা ভুলতে চাইবে। রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ১১০ রানে হারল ককেকেআর। অভিষেক-হেড-ক্লাসেনদের ব্যাটিং ঝড়ের সামনে রাতিমত নাস্তাবুদ নাইট বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৭৮ রানের বিশাল ইনিংস খাড়া করে কেকেআরকে তখনই ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেয় সানরাইজার্স। শুরু থেকেই তাণ্ডব। অভিষেক শর্মা করলেন ১৬ বলে ৩২। হেড ৪০ বলে ৭৬। তবে কোটলা মাতিয়ে দিলেন হেনরিচ ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকানের ব্যাটে যেন সাইক্লোন। ৩৭ বলে শতরান করে গড়লেন নজির। আইপিএলের যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম শতরান। তাঁর আগে আছেন ক্রিস গেইল। ৩০ বলে শতরান করেছিলেন তিনি। আর এবারই ৩৫ বলে শতরান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ১৪ বছরের কিশোর বৈভব সূর্যবংশী। ক্লাসেনেরহ মতই ৩৭ বলে শতরান করেছিলেন ইউসুফ পাঠান। ২০১০ সালে। এমন ইনিংস খেলার পর ক্লাসেন জানান, দলের হতাশাজনক মরসুমের শেষে কিছুটা খুশি এল। সানরাইজার্সের ২৭৮ রান আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ টিম স্কোর। তারপর কেকেআরের আর কীই বা করার ছিল। রানের চাপে ভেঙে পড়ে ১৮.৪ ওভারে ১৬৮ রানে শেষ হল নাইটদের ইনিংস। হতাশাজনক মরহসুমের পর হয়ত কেকেআর ম্যানেজমেন্ট বুঝছে শ্রেয়স আইয়ার, ফিল সল্টদের ছেড়ে দেওয়া কত বড় ভুল ছিল।
আইপিএলের বাকি ম্যাচে চিয়ার লিডার ও ডিজে বন্ধের ডাক দিলেন গাভাসকর

১৭ তারিখ থেকে আবার শুরু হচ্ছে আইপিএল। ভারত-পাকিস্তান টেনশনের আবহে সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হচ্ছে, তবে বাকি ম্যাচগুলিতে চিয়ার লিডার ও ডিজে বন্ধের ডাক দিলেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের আক্রমণে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের মানুষদের সেন্টিমেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে এসব বন্ধ রেখে শান্তভাবে ম্যাচগুলি করা উচিত। সানি বলেন, “আমি আশা করব এসব বন্ধ করে ম্যাচগুলি এমন পরিবেশে হওয়া উচিত যাতে মৃতদের পরিবারের মানুষদের সেন্টমেন্টকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো যায়।“ আরও বলেন, “খেলা হোক। দর্শকরা আসুন, কিন্তু এই ব্যাপারটা মাথায় রাখুন।“ এদিকে জানা যাচ্ছে, বিদেশি ক্রিকেটাররা বেশিরভাগই আসছেন বাকি ম্যাচগুলি খেলার জন্য। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার বাদ দিলে বাকিরা সকলেই চলে আসছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও গুজরাট টাইটানস পুরো শক্তির দল নিয়েই খেলতে পারবে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও বাকি ম্যাচগুবি খেলার জন্য আসছেন প্যাট কামিন্স ও ট্রেভিস হেড। তবে রাজস্থান রয়্যালসের জোফ্রা আর্চার ও সিমরন হেটমায়ারের আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তাদের বোলিং কোচ শেন বন্ডকেও সম্ভবত পাবে না রয়্যালস। আরসিবি পাবে না জস হ্যাজলউডকে। দিল্লি পাবে না মিচেল স্টার্ককে। বেঙ্গালুরুতে কেকেআর ও আরসিবি ম্যাচ দিয়ে ফের শুরু হবে আইপিএল। তবে কলকাতা থেকে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে ওই সময় কলকাতায় বৃষ্টির পূ্র্বাভাস রয়েছে, অন্যদিকে আহমেদাবাদ, দিল্লি ও মুম্বইয়ের আবহাওয়া ভাল থাকবে, তাই ম্যাচগুলি সেখানে করার সিদ্ধান্ত।