ট্রাম্পের আর এক কীর্তি, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ট্রফি নিজের রাখলেন; চেলসি পেল রেপ্লিকা!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরও এক কীর্তি! ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালের মঞ্চে মধ্যমণি হয়ে দাড়িয়ে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট চ্যাম্পিয়নের আসল ট্রফিটা নিয়ে চলে গিয়েছেন নিজের অফিসে! চেলসির কপালে জুটল ট্রফির রেপ্লিকা! এমনিতে যিনি ফাইনালজয়ী দলকে ট্রফি দেন, হতে পারেন ফাইনালের প্রধান অতিথি কিংবা আয়োজক সংস্থার শীর্ষ কর্তা। তিনি অধিনায়কের হাতে খেতাব দেওয়ার পরই স্টেজ ছেড়ে দেন। কিন্তু রবিবারের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে থাকা লক্ষাধিক দর্শক কী দেখলেন? ডোনাল্ড ট্রাম্প জেমসকে ট্রফি দিয়েও মঞ্চ ছাড়ছেন না! ফিফা প্রেসিডেন্টের আর্জি, চেলসি অধিনায়কের অনুরোধেও ট্রাম্প স্টেজেই রয়ে যান। বাধ্য হয়ে চেলসি খেলোয়াড়রা যখন ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাসে বুঁদ, দেখা যায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হাসিমুখে হাততালি দিয়ে চলেছেন! ট্রাম্পও মেনে নিয়েছেন এই ঘটনার সত্যতা। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ওরা জানাল, আর নিতে আসবে না। আমি-ই রাখি। ফিফা নতুন একটা বানাবে!’ সরল আত্মবিশ্বাসে ট্রফি দখল করার এমনতর রাষ্ট্রীয় উদাহরণ বিরল। এই পরিস্থিতিতে আসল-নকলের বিবাদভঞ্জনে খোদ ফিফাও ততটা তৎপর নয়। মুখে কুলুপ এঁটেছে। চেলসি ভদ্রতার মুখোশ পরে চুপ। এখানেই শেশ নয়। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছে—আমেরিকায় ‘সকার’ শব্দটা তুলে ‘ফুটবল’ চালু হোক। একদিকে খেলা, অন্যদিকে ভাষার ওপর রাষ্ট্রীয় সার্জারি। একটিমাত্র এক্সিকিউটিভ অর্ডারেই কি ইতিহাস বদলে যেতে পারে? উঠেছে প্রশ্ন। এর মধ্যে চলছে ট্রাম্পের দ্বিতীয় ইনিংসের ট্র্যাভেল ব্যান, ভিসা-জট। বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে এসে আটকে পড়ছেন নানা দেশের সমর্থক। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘ফুটবল মানেই ঐক্য, ভালোবাসা, দেশের মিলন!’ ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি হয়ে গেছে হোয়াইট হাউসের ডেকর আইটেম। আলো একটু কম থাকলে ভুল করে কেউ ফুলদানির বদলে কাপে জল ঢেলে দেবে—এই আশঙ্কা প্রবল!