মনোবিদের ক্লাস, জাতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্র্যাক্টিসে প্রথম জাতীয় সাফল্য, বলছে অহনা

সুদীপ পাকড়াশীঃ জাতীয় পর্যায়ে প্রথম রূপো জয়। দিল্লিতে সম্প্রতি জাতীয় র্যাঙ্কিং টেবিল টেনিস টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-১৫-য় রূপো জিতল বাংলার অহনা রায়। গত দু’বছর ধরে যার টেবিল টেনিস চর্চার কেন্দ্র চেন্নাইয়ে রমন টিটি হাই-পারফরম্যান্স সেন্টার। গত মরশুমে সাফল্য আসেনি। এই মরশুমেও প্রথম জাতীয় র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। দিল্লিতে রূপো পাওয়ার রহস্য কী? চেন্নাই থেকে ফোনে কথা বলার সময় অহনা জানাল, মূল পরিবর্তন এসেছে আত্মবিশ্বাসে। বড় ম্যাচ জেতার মনসংযোগ তৈরি হয়েছে। “রমন স্যারের অ্যাকাডেমিতে প্রায়ই মনোবিদের ক্লাস করি আমরা। নারায়ণ আইয়ার আমাদের ক্লাস নেন। সেই ক্লাসটা আমার কাজে লেগেছে। একইসঙ্গে ট্রেনিংয়ের সময় বাড়িয়েছি। সারাদিনে প্রায় ৭ ঘন্টা অনুশীলন চলে বিভিন্ন সেশনে। আরও গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাডেমিতে জাতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্র্যাক্টিস করার সুযোগ পাওয়া। তাতে ফিটনেস যেমন উন্নত হয়েছে, টেকনিকও ভাল হয়েছে,” বললেন অহনা। উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটিতে মিহির ঘোষের অ্যাকাডেমিতে যার খেলার শুরু। দিল্লিতে ফাইনালে হেরেছেন মহারাষ্ট্রের নায়িশা রেওয়াসকরের বিরুদ্ধে। তার আগে হারিয়েছেন বাংলার প্রতীতি পালকে। কিন্তু অহনার মনে রয়েছে অঙ্কোলিকা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ৩-২ ফলে জেতা। একটা লড়াকু ম্যাচ্য জেতার পর নিজের খেলার পরিবর্তনটা বিশ্লেষণ করতে হয়ত সুবিধে হয়। টেবিল টেনিসের বাইরে ক্রিকেট অহনার প্রিয় খেলা এবং সেখানেও অহনার নিঃশব্দ শিক্ষকের নাম বিরাট কোহলি! “মাঠে বিরাটের আগ্রাসন, নিখুঁত হওয়ার জন্য প্র্যাক্টিসে ওর একাগ্রতা-এগুলো শেখার চেষ্টা করি,” অহনার মন্তব্য। নিজের জেতা ম্যাচের ভিডিও দেখে মোটিভেশন আনে অহনা। এবার সে জীবনে প্রথমবার দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। তার আগে অহনার প্রস্তুতিতে অবশ্যই থাকবে ‘বিরাট-পাঠ’!