ব্যর্থ অভিষেকের লড়াই, ৪ উইকেটে হার ভারতের

অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) চেষ্টা করলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে পারলেন না কেউই। আবারও একটা ব্যাটিং ব্যর্থতা। দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া(India Team)। শেষের দিকে বোলারদের হাত ধরে কামব্যাকের একটা চেষ্টা ভারতীয় দল করেছিল ঠিকই, কিন্তু এই অস্ট্রেলিয়া(Australia) দলের বিরুদ্ধে ১২৫ রান নিয়ে জেতাটা যে সত্যিই কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ হারে ভারতীয় দল। ভারতের হয়ে অভিষেক(Abhishek Sharma) এদিন সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেললেও, বাকিদের ব্যর্থতাতেই যে ভারতকে এমনভাবে হারতে হল তা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে সিরিজে ১-০ ফলাফলে পিছিয়েও গেল ভারতীয় দল। এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। অভিষেকের(Abhishek Sharma) সঙ্গে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। কিন্তু শুরু থেকেই জশ হেজেলউডের একের পর এক চ্যালেঞ্জের সামনে সমস্যায় পড়ছিলেন ভারতের ওডিআই দলের অধিনায়ক। প্রথম ওভারে মাত্র তিন রান করতে পেরেছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তবে দ্বিতীয় ওভার থেকেই নিজের চেনা ফর্মে ছিলেন অবিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। শুরু থেকেই ছিলেন বিধ্বংসী ফর্মে। কিন্তু শুভমন গিলরা কেউই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। পরপর শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন(Sanju Samson) এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবদের(Suryakumar Yadav) সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন জশ হেজেলউড। এদিন হেজেলউড(Josh Hazlewood) যেন ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় দলের ব্যাটারদের সামনে। ৪৯ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই সময় অভিষেককে যদি হর্ষিত রানা(Harshit Rana) সঙ্গত না দিতেন তাহলে ভারত এদিন ১০০ রানের গন্ডী টপকাতে পারতেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়। তবে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) এদিন কার্যত একা হাতেই দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাঁর ৩৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৮টি চার ও দুটো ছয় দিয়ে। সঙ্গে হর্ষিত রানার ৩৩ বলে ৩৫ রান। অভিষেক শর্মা ফিরতেই ম্যাচের ভাগ্য কার্যত নিশ্চিত। ভারতও শেষ হয়ে যায় ১২৫ রানে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সামনে তখন সহজ লক্ষ্য। শুরু থেকেই ট্রেভিস হেড এবং মিচেল মার্শ ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। শুরু থেকেই ভারতের জসপ্রীত বুমরা-রা ছিলেন নিস্প্রভ। অবশেষে বরুণ চক্রবর্তীই(Varun Chakravarthy) প্রথম উইকেটটা তোলেন ট্রেভিস হেডকে সাজঘরে ফিরিয়ে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল। পেসাররা না পারলেও স্পিনাররা অবশ্য এদিন লড়াইটা করেছিলেন। বরুণ এবং কুলদীপ মিলে তুলে নেন চার উইকেট। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এত কম রান নিয়ে শেষপর্যন্ত লড়াই করাটা সত্যিই খুব কঠি ছিল ভারতের কাছে।