ইংল্যান্ডে খেললেন দ্বিশতরানের ইনিংস, দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত করুণ নায়ারের

দুরন্ত করুণ নায়ার। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে প্রথম বেসরকারি টেস্টে দ্বিশতরান করলেন। ২০৪ রান করে আউট হন তিনি। ভারতের স্কোর ৫০০ ছাড়িয়ে গেল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড চারবার ২০০-র বেশি রান করলেন তিনি। সাত বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে তাঁর এই দ্বিশতরান স্বস্তি দিল টিম ইন্ডিয়াকে। ২৮১ বলে ২০৪ রান করার পথে মেরেছেন ২৬টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। শেষ যে তিনবার ২০০-র বেশি রান করেছেন, তার মধ্যে দুবারই ছিলেন অপরাজিত। ইংল্যান্ডের মাটিতে এই নিয়ে দুবার ২০০-র বেশি রানের ইিনংস খেললেন। ২০২৪-এ নটিংহ্যামের হয়ে গ্ল্যামারগনের বিরুদ্ধে করেছিলেন অপরাজিত ২০২ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ রান ৩২৮। ২০১৫-১৬ মরসুমে কর্ণাটকের হয়ে তামিলনাড়ুর হয়ে এই রান করেছিলেন তিনি। করুণ হলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগের পর দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তনের আশা ছাড়েননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্তভাবে পারফরম্যান্স করে গিয়েছেন। প্রকাশ্যেই বলেছেন, প্রিয় ক্রিকেট, আর একটা সুযোগ দাও। সেই সুযোগ তিনি পেয়েছেন সাত বছর পর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২০ জুন। এবার প্রথম দলে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায়। তার আগে দাবি আরও জোরালো করে তুললেন করুণ।
ইংল্যান্ড সফরে চারে ঋষভকে চান শেহবাগ, নায়ারে ভোট গাভাসকরের

ভারতীয় ক্রিকেটে গত ৩০ বছর ধরে যে জায়গাটি দুই ক্রিকেটার ধরে রেখেছিলেন, তাঁদের অনুপস্থিতিতে তা সামাল দেওয়া হবে কীভাবে! তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিতর্ক আছে। যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলায় অনেকের নাম সামনে আসছে। এখন দেখার ব্যাপার এটাই যে গুরু গম্ভীরের চাল কী হয়! কোন ক্রিকেটারকে তিনি সেই শূন্যস্থান ভরাট করেন। হ্যাঁ, শচীন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলি এতদিন টেস্ট ক্রিকেটে চার নম্বর জায়গাটি ধরে রেখেছিলেন। শচীনের পর বিরাট। কিন্তু এবার কে! ভারতীয় ক্রিকেটে এ নিয়ে অনেকের নাম সামনে আসছে। কে এল রাহুল, শুভমান গিল, করুন নায়ার, এমন অনেক ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা চলছে। তা হলে কে দায়িত্ব নেবেন। চার নম্বর জায়গাটি টেস্ট ক্রিকেটে দলের সেরা ক্রিকেটারকে নিয়ে আসা হয়। না হলে শচীন ও বিরাটকে এখানে কাজে লাগানো হত না। তা হলে এবার কে! ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার পছন্দ ঋষভ পন্থ। প্রথমত বাঁহাতি ক্রিকেটার। অভিজ্ঞতার দিক থেকে বিচার করলে পিছিয়ে রাখা যাবে না। অনেক কঠিন ম্যাচ সামলে দলকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছে। তাই আমার মনে হয় চার নম্বর জায়গাটি ঋষভের জন্য ছেড়ে রাখা উচিত। শেহবাগের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত হতে পারছেন না প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। তিনি বলছেন, আমার তো মনে হয় করুন নায়ারকে এই জায়গায় কাজে লাগানো উচিত। আট বছর পর জাতীয় দলে ফিরে এসেছে। এই লেভেলের ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কাউন্টি ক্রিকেটে একসময় দাপটের সঙ্গে খেলেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিদর্ভের হয়েও ওকে চার নম্বরে খেলতে দেখা গিয়েছে। এর কাছে এই জায়গাটি নতুন বলে মনে হবে না। আসলে ওপেনিং ও মিডলঅর্ডারের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করার দায়িত্ব চার নম্বরে খেলতে নামা ক্রিকেটারের। তাই নায়ারের বদলে অন্য কারোর নাম মনে পড়ছে না। একসময় নির্বাচকরা চার নম্বরে শুভমান গিলকে নামানোর কথা ভেবেছিলেন। সেই ভাবনা অবশ্য চূড়ান্ত নয়। তবে নাম যখন একবার এসেছে, তখন আলাচনা হয়েছে। এই ভাবনার বিরুদ্ধে কথা বলছেন গাভাসকর। তিনি বলেছেন, শুভমানকে চারে নিয়ে আসা মানে দুটি উইকেট চলে গেল। শুভমান ওপেন করে। ওপেনে জায়গা না হলে বড় জোর তিন নম্বরে নিয়ে আসা যেতে পারে। কখনও চার নম্বরে নয়। তিন নম্বরে নামানোর পিছনে যুক্তি আছে। একজন ওপেনার ইনিংসের শুরুতে খেলতে নামা মানে সে গিয়ে নতুন বল খেলে। শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে তিনে গিয়ে নতুন বল সামালানোর কাজটি করতে পারে। কিনতু চার গেলে সেটা সম্ভব হয় না। তাই শুভমান দলের প্রয়োজনে তিনে খেলতে পারে। কখনই চারে নয়। গাভাসকরের পছন্দের ব্যাটিং অর্ডার হল এমন – যশস্বী জয়সওয়াল, কে এলে রাহুল, শুভমান গিল, করুন নায়ার, ঋষভ পন্থ। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে এভাবে রেখে তারপর বাকিদের নিয়ে আসার কথা ভাবা যেতে পারে।
কোহলির সমালোচকদের কড়া ভাষায় বিঁধলেন এবি ডিভিলিয়ার্স

আবার বন্ধু বিরাট কোহলির প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত এবি ডিভিলিয়ার্স। কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যাঁরা, সেই সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন এবি। সমালোচকদের তালিকায় ছিলেন সুনীল গাভাসকর ও বীরেন্দ্র সওয়াগ। নিজের ব্যাখ্যা দিয়ে সবাইকেই জবাব দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি। সিএসকের বিরুদ্ধে কোহলির দুরন্ত ৬২ রান কঠিন ম্যাচে আরসিবিকে ২ রানে জিততে সাহায্য করে। একই সঙ্গে টেবিলের শীর্ষে চলে যায় আরসিবি। তারপর ডিভিলিয়ার্স বলেন, “বিরাট সব সময়ই আছে। ও আরসিবির মিস্টার সেফটি। ও যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই। এটাই ঘটনা। কোনও কিছুই বদলায়নি। ৬২ রানের ইনিংসে ও প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছে। এবার কে কী বলবে। “ কোহলি আইপিএলে যুগ্মভাবে সবচেয়ে মন্থর শতরান করার পর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন গাভাসকর ও সেওয়াগ। সেওয়াগ জানিয়ে ছিলেন অর্ধশতরান করার পর কোহলির আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল। গাভাসকরও একইভাবে সমালোচনা করেছিলেন। কোহলি এবারের আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। ১১ ইনিংসে করেছেন ৫০৫ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৪৭। যা তাঁকে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে সামনের দিকে রেখেছে। এই নিয়ে আইপিএলে রেকর্ড সংখ্যক ৮ বার ৫০০-র বেশি রান করলেন। তাই কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন এবি।