ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাদ পড়ে করুণ নায়ারের মন্তব্যঃ ‘ভেবেছিলাম শেষ টেস্টের হাফসেঞ্চুরিটা নির্বাচকরা মনে রাখবেন’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ২ অক্টোবর থেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় খেলতে নামবে ভারতীয় দল। সেই সিরিজ়ের জন্য ১৫ জনের যে দল ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, তাতে খুব বড় চমক নেই বললেই চলে। করুণ নায়ার ইংল্যান্ড সিরিজ় কামব্যাক করার সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ। তাঁকে এই সিরিজ়ের জন্য ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। স্পিন সহায়ক ভারতীয় পরিবেশে ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরের পরিবর্তে অক্ষর পটেলকে দলে রাখা হয়েছে। বাদ পড়েছেন করুণ নায়ার। সাংবাদিকরা তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেছেন, “ভেবেছিলাম, ইংল্যান্ড সিরিজে শেষ টেস্টে, যেটা ভারত জিতেছিল, আমি ৫৭ রানের একটা ইনিংস খেলেছিলাম। ভেবেছিলাম সেই ইনিংসের কথা নির্বাচকরা মনে রাখবেন। আমার কিছু বলার ভাষা নেই।” প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর অবশ্য জানিয়েছেন তারা নায়ারের কাছে আরও ভাল পারফরম্যান্স আশা করেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার টেস্টে নায়ারের মোট রান ২০৫। আর শেষ টেস্টে তিনি করেছিলেন ৫৭। আগরকর একইসঙ্গে বলেছেন যে দেবদত্ত পাল্লিকলের পারফরম্যান্স উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় আরও একটি আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে অভিমন্যু ঈশ্বরণও নেই! জাতীয় দলের হয়ে তার এখনও অভিষেকই হয়নি। তাও তাকে এই সিরিজে দলেই রাখা হল না।
ওয়ার্কলোড নয়, দুটো টেস্টেই খেলবেন জসপ্রীত বুমরাহ

জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah) কী খেলবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। এশিয়া কাপের(Asia Cup) মাঝে এই নিয়েই চলছিল জোর জল্পনা। বিশেষ করে বুমরার(Jasprit Bumrah) ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথাই উঠে আসছিল বারবার। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জোড়া টেস্টেই দেখা যাবে ভারতীয় দলের তারকা পেসারকে। সেইসঙ্গেই সাংবাদিক সম্মেলন করে অজিত আগরকর(Ajit Agarkar) জানিয়েও দিলেন যে দুটো টেস্টেই নাকি ভারতীয় দলের হয়ে খেলকে দেখা যাবে জসপ্রীত বুমরাকে। অর্থাৎ তাঁকে যে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে তাও বেশ স্পষ্ট। এই মুহূর্তে এশিয়া কাপে(Asia Cup) খেলছেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেখানে ইতিমধ্যে বিশ্রামও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। আবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও পাঁচ টেস্টের মধ্যে জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah) খেলেছিলেন মাত্র তিনটি টেস্ট। সেই সিরিজ শুরুর আগে থেকেই বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। বোর্ড এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও অবশ্য হয়েছিল। এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নামবে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের(WTC) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। সেখানেও কি ভারতীয় দলের এই তারকাকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য সব ম্যাচ খেলানো হবে না! এমনই নানান প্রশ্ন উঠছিল। সমস্ত জল্পনার জবাব দিয়ে বুমরাকে দুটো টেস্টেই খেলনোর কথা জানিয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। দল নির্বাচনের সাংবাদিক সম্মেলনে জসপ্রীত বুমরাহ জানিয়েছেন, “এই স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে দুটো টেস্টের জন্য। আর জসপ্রীত বুমরাহ দুটো টেস্টেই খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন। আমরাও যেমন বেশ বড়সড় বিরতি পেয়েছি, তেমন বুমরাকেও কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে খেলানো হয়নি। অর্থাৎ আমরা যথেষ্ট ভালো বিরতি পেয়েছি। এমনকি এশিয়া কাপের মাঝেও বেশ সময় পেয়েছি আমরা। বুমরাহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই সিরিজ খেলার জন্য নিজে থেকেই মুখিয়ে রয়েছেন”। চলতি এশিয়া কাপে খুব একটা ভালো ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন না জসপ্রীত বুমরাহ। তাঁর উকেট ঝুলিও এবার কিন্তু খুব একটা ভর্তি নয়। তবে ভারতীয় দলের প্রধান ভরসা যে তিনি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বুমরার দুটো ম্যাচ খেলাটা যে বাকি বোলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শুভমন গিলের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা ভারতের

এশিয়া কাপের(Asia Cup) মাঝেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা বিসিসিআইয়ের(BCCI)। শুভমন গিলের(Shubman Gill) নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দলে ফিরলেন অক্ষর পটেল(Axar Patel), এন জগদীশান। ইংল্যান্ড সিরিজে থাকলেও ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সুযোগ পেলেন না করুণ নায়ার(Karun Nair)। আর তাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন জল্পনাও। তবে কী ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট কেরিয়ার কি শেষ হয়ে গেল করুণ নায়ারের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে ভারত। শেষ ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তারা। কিন্তু সেই দলের আকাশদীপ এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সুযোগ পাননি। তবে ঘরের মাঠে খেলার জন্য স্পিন আক্রমণের ওপর জোর দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav), রবীন্দ্র জাদেজার পাশাপাশি ভারতের টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন করলেন এবার অক্ষর পটেলও। অর্থাৎ বোঝাই যচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে স্পিন আক্রমণের ওপরই ভরসা রাখছে ভারতীয় দল। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছিল ভারতকে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার স্কোয়াড বেছে নিয়েছেন ভারতীয় দলের নির্বাচকরা। কিন্তু সেই দলে সুযোগ হয়নি করুণ নায়ারের। সেই নিয়েও নিজেদের তরফে যথেষ্ট কারঁ দর্ষিয়েছে ভারতীয় দলের নির্বাচকরা। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে লড়াই। এখানেও কিন্তু পেস আক্রমণে জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজের ওপরই ভার দেওয়া হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের স্কোয়াড শুভমন গিল(Shubman Gill), যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল, সাই সুদর্শন, দেবদূত পাড়িক্কল, ধ্রূব জুরেল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, জসপ্রীত বুমরাহ, অক্ষর পটেল, নীতিশ কুমার রেড্ডি, এন জগদীশান, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণা, কুলদীপ যাদব চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না ঋষভ পন্থ। ইংল্যান্ড সিরিজে শুভমন গিলের ডেপুটি ছিলেন তিনি। সেই জায়গাতেই এবার শুভমন গিলের পাশে সহ অধিনায়কের জায়িত্ব সামলাবেন রবীন্দ্র জাদেজা।
হতাশা বাড়ছে ঋষভ পন্থের

চোট সারিয়ে ঘরের মাঠে সম্ভবত ফেরা হচ্ছে না ঋষভ পন্থের(Rishabh Pant)। সবকিছু ঠিকঠাক চললে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই হয়ত মাঠে ফরতে চলেছেন ঋষভ পন্থ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টেই পায়ের পাত ফ্র্যকচার হয়েছিল তাঁর। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না পড়লেও তাঁর সেরে উঠতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঋষভ পন্থ(Rishabh Pant) নিজেও সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর হতাশা প্রকাশ করেছেন। আর তাতেই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। ঋষভ পন্থ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি সেখানে লিখেছেন, “কবে যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠব”। আর ভারতীয় তারকা উইকেট কিপারের এই মন্তব্যের পরই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান গুঞ্জন। তবে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা নাকি খুবই কম। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই তাঁর ফেরার একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু যতটা সেরে ওঠার প্রয়োজন ছিল তাঁর, ততটা নাকি হয়নি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল ঋষভ পন্থের(Rishabh Pant) সেরে উঠতে সময় লাগবে প্রায় চার থেকে ছয় সপ্তাহ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঋষভ পন্থের মাঠে নামার মতো পরিস্থিতি নেই। এশিয়া কাপের(Asia Cup) পরই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামবে ভারতীয় দল। ঋষভকে অবশ্য এখনও অপেক্ষাই করতে হবে। সূত্রের খবর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের আগেই সম্পূর্ণ সেরে উঠতে পারেন তিনি। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
অক্টোবরে টেস্ট অভিষেক হতে পারে উপেক্ষিত অভিমন্যুর

অবশেষে অভিমন্যু ঈশ্বরনের টেস্টে অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে! ওভাল টেস্টের পর অভিমন্যুর বাবা রঙ্গনাথন এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছিলেন তার ও ছেলের হতাশার কথা। বলেছিলেন অন্তত একটা টেস্টে কী অভিমন্যু সুযোগ পেত না? ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সূত্র অনুযায়ী আগামি অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে়র বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে অভিমন্যুর টেস্ট অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের কর্তা জানাচ্ছেন, এর অন্যতম কারণ, ৩৩ বছর বয়সি করুণ নায়ার সদ্যসমাপ্ত ইংল্যনাড সফরে চারটি টেস্টে খেললেও দাগ কাটতে পারেননি। ওভালে একটা হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও অফস্টাম্পের বাইরে তাঁর টেকনিকে দুর্বলতা বারবার প্রকট হয়েছে। তাই করুণ নায়ারের পক্ষে ফের জাতীয় দলে ফেরা কঠিন। ৩৩ বছরের নায়ারের এটাই ছিল শেষ সুযোগ। তবে এখন হতাশা নয়, অভিমন্যুর নজর আবার দলীপ ট্রফির প্রস্তুতিতে। ১০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৮৪১ রান অভিমন্যুর, গড় ৪৮.৭০। সেঞ্চুরি ২৭টি, সর্বোচ্চ ২৩৩। ইংল্যান্ড সফরে স্কোয়াডে থাকা সত্ত্বেও যে তিনজন ক্রিকেটারের প্রথম এগারোয় থাকা হয়নি, তাঁরা হলেন ঈশ্বরন, কুলদীপ যাদব ও অর্শদীপ সিং। এঁদের তিনজনকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে়র বিরুদ্ধে সিরিজে় দেখা যাবে। এই সিরিজে পায়ের চোটের জন্য থাকা কঠিন ঋষভের। ইংল্যান্ড সিরিজে় ১৮৫.১ ওভার বল করা মহম্মদ সিরাজকে পুরো বিশ্রাম দেওয়ার কথা। সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপেও শুবমান, সিরাজদের বিশ্রাম পাওয়ার কথা।
দেশের কিংবদন্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তনরা পরবেন খোদাই করা সোনার জার্সি!

ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’ প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা অংশ নিচ্ছেন এই প্রতিযোগিতায়। চমক দিতে চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। একটা বিশেষ ধরনের জার্সি পরে খেলতে চলেছে তারা। ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাকেই সবচেয়ে দামি জার্সি বলা হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে খেলবেন ক্রিস গেল, ডোয়েন ব্র্যাভো, কায়রন পোলার্ডের মতো তারকা ক্রিকেটার। তাঁরা যে জার্সি পরে নামবেন সেটা তৈরি করেছে দুবাইয়ের এক সংস্থা। ওই জার্সিতে থাকছে ১৮ ক্যারাটের সোনা। ৩০ গ্রাম, ২০ গ্রাম এবং ১০ গ্রামের সোনা খোদাই করা থাকবে জার্সির মধ্যে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ক্রিকেট কিংবদন্তিদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জার্সি নির্মাতা সংস্থার কর্তা রাজ করণ দুগ্গাল জানিয়েছে, ক্লাইভ লয়েড থেকে ক্রিস গেল এবং আধুনিক প্রজন্মে একের পর এক তারকা ক্রিকেটার উপহার দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। তাদের ঐতিহ্য এবং পরম্পরাকে সম্মান জানাতে বিশেষ জার্সি তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সংস্কৃতিকেও তুলে ধরা হয়েছে জার্সিতে। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ডব্লিউসিএল। প্রতিযোগিতায় খেলছে ভারত। ভারতের অধিনায়ক যুবরাজ সিংহ। দলে শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠানেরা রয়েছেন। ২০ জুলাই ভারতের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
অলিম্পিক্স ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবে না দু’বারের বিশ্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ়!

দীর্ঘ ১২৮ বছর পর অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে আবার ক্রিকেট দেখা যাবে। তবে সেই ইভেন্টে হয়তো অংশ নিতে পারবে না দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ় দলই। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কর্তা। আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় নামে কোনও দেশের অস্তিত্বই নেই। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ১২টি স্বাধীন দেশের ক্রিকেটারেরা একসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অধীনে খেলেন। জামাইকা, বার্বাডোজ়, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, গায়ানা-সহ বাকি সব ক’টি অঞ্চলই এক একটি দ্বীপরাষ্ট্র। অলিম্পিক্সে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা দেশ হিসাবে অংশ নেয়। যেমন বিশ্বের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্ট প্রতিনিধিত্ব করেছেন জামাইকার। প্রত্যেকটি দ্বীপরাষ্ট্রেরই আলাদা আলাদা জাতীয় অলিম্পিক্স কমিটি (এনওসি) রয়েছে। অলিম্পিক্সে স্বীকৃত এনওসি ছাড়া অংশগ্রহণ করা যায় না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় নামে কোনও দেশ না থাকায় তাদের এনওসি-ও নেই। ২০২২-এর কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে শুধু বার্বাডোজ় অংশ নিয়েছিল। তা হলে অলিম্পিক্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ভবিষ্যৎ কী? বোর্ডের সভাপতি কিশোর শ্যালো বলেছেন, “এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পক্ষে অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করার কোনও রাস্তা খোলা নেই। তবে ২০২৮ অলিম্পিক্সে আমাদের দেশের তরুণ ক্রিকেটারেরা অংশ নিতে পারবে না, সেটাও হতে পারে না। ক্যারিবীয়রা বরাবর অলিম্পিক্সে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে। সেটা এসেছে মূলত অ্যাথলেটিক্স থেকেই।” ২০২৪-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। সেই বিশ্বকাপের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ক্রিস ডেহরিং বলেছেন, “আমরা চাই অলিম্পিক্সে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটি দেশের যে সাফল্য রয়েছে, তার কথা ভেবেই অলিম্পিক্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে খেলার অনুমতি দেওয়া হোক।” তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি তার অনুমোদন দেবে কি না তা নিশ্চিত নয়। হয়তো ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের সব দেশকে নিয়ে যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচ আয়োজন হতে পারে, যেখানে বিজয়ী দেশ অলিম্পিক্স খেলবে। আইসিসি এখনও জানায়নি অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্ব। তবে এ রকম একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
বিতর্কে তৃতীয় আম্পয়ার, ম্যাচ রেফারি শ্রীনাথের কাছে ছুটলেন কোচ স্যামি

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিন আফ্রিকার কাছে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ঝামেলায় পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ঝামেলা বলতে ব্রিজটাউনে প্রথম টেস্টে তৃতীয় আম্পায়রের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার তারা। শুধু তাদের কথাই বা বলা হবে কেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজও ভুল আম্পায়ারিংয়ের শিকার। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রাক্তন ক্রিকেটার, বর্তমানে টিভি ভাষ্যকার ইয়ান বিশপ খোলাখুলিভাবে আম্পায়ারের কাজের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি জানি টিভিতে কমেন্ট্রি করতে গিয়ে এধরনের কথা বলা ঠিক নয়। তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের ভুলগুলি চোখে দেখ যায় না। একটা টেস্টে এত ভুল হলে কি বলার থাকতে পারে। এর থেকেও ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের কোচ ড্যারেন স্যামি। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি সরাসরি তৃতীয় আম্পায়ারের অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টকের কাজের সমালোচনা করেছেন। তাঁর কর্মক্ষমতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, টেস্টের দুদিনে তিনি পাঁচটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা জানি যে এই নিয়ে কথা বলতে গেলে হয়তো জরিমানা বা তার থেকে কঠিন কোনও শাস্তি হতে পারে। আমার তো মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কিছু একটা কি রয়েছে। না হলে এমন সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কেন। জানি না কর্তারা এ নিয়ে আলাদা করে কোনও কথা বলবেন কিনা। আমার চেষ্টা করছি, একটা জায়গায় উঠে আসতে। বোঝার চেষ্টা করছি কীভাবে সেটা সম্ভব। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলার মাঝে এমন সব উদ্ভট সিদ্ধান্ত এলে কি করার থাকতে পারে। আসলে আম্পায়রদের বিশ্বাস না থাকলে খোলা মনে কী করে খেলবে। সব সময় ভয় থাকে এই বুঝি আউট হয়ে যাবে। যেমন আমাদের চেজকে আউট দেওয়া হল। বল ব্যাটে লাগার পর কী করে এলবিডব্লু দেওয়া হল। না, এর কোনও ব্যাখ্যা আমাদের কাছে নেই। তৃতীয় আম্পায়ারের তিনটি সিদ্ধান্ত ভীষণভাবে চোখে পড়ছে। যার মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি সিদ্ধান্ত আছে। শুরু থেকে বলা যেতে পারে। টেস্টের প্রথমদিন হোল্ডস্টক আউট দেননি ট্রাভিস হেডকে। যোশেফের বল হেডের ব্যাটে লেগে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। ফিল্ড আম্পায়ার বুঝতে পারেননি বলটি ঠিকভাবে ধরা হয়েছে কিনা। তিনি তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। দেখা যায়, বল ঠিকভাবে ধরেছেন উইকেটরক্ষক সাই হোপ। কিন্তু হোলস্টক আউট দেননি। দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে যায়। হ্যাজেলউডের বল চেজের প্যাডে লাগে। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেয়। স্নিকো মিটারে দেখা যায় চেজ আউট। কিন্তু হোল্ডস্টক আউট দেননি। পরেরটির কথা আগেই বলা হয়েছে। চেজকে যেভাবে তিনি আউট দিয়েছেন তা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। এত ভুল! অবাক করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন তৃতীয় আম্পায়ার হোল্ডস্টক। এবার কি তাঁর কোনও শাস্তি হতে পারে। ক্রিকেটাররা ভুল করলে শাস্তি হয়। এবার আইসিসির দেখা উচিত হলস্টক নিজের কাজে ভুল করেছেন কিনা। সেটা প্রমান হলে তাঁর শাস্তি কে দেবে! খেলার শেষে ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের কাছে ছোটেন স্যামি। তাঁর সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে শ্রীনাথের ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর স্যামিকে প্রশ্ন করা হয় আপনারা কি সরকারিভাবে প্রতিবাদপত্র জমা দিচ্ছেন! না, স্যামি এর উত্তর দেননি। বলেছেন, আপনারা অপেক্ষা করুন। সব জানতে পারবেন। এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। এই বিতর্কিত ঘটনা বাদ দিয়ে টেস্ট কিন্তু জমে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৪ উইকেটে ৯২ রান করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করে ১৯০ রান। আপাতত ৬ উইকেট হাতে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৮২ রানে এগিয়ে।
জমে উঠেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, রাবাডার অনন্য নজির

রীতিমত জমে উঠেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২৮২ রান। প্রথম ইনিংসে যেমন বল হাতে কামাল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, তেমনি জ্বলে উঠেছিলেল দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অনন্য নজির গড়লেন। লর্ডসের ১৪১ বছরের ইতিহাসে তিনি হলেন দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি হোম ও অ্যাওয়ে দুটি ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডেই নিজের নাম তুলে ফেললেন। তৃতীয় দিনের ম্যাচ শুরু হয়েছিল আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। ম্যাচে টানটান উত্তেজনা। অজিরা প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২১২ রান। ওয়েবস্টার ৭২ ও স্মিথ ৬৬ রান করেছিলেন। রাবাডা নিয়েছিলেন ৫১ রানে ৫ উইকেট। এরপর কামিন্সের দাপটে ১৩৮ রানেই থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কামিন্স ২৮ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াও সুবিধা করতে পারল না। অল আউট হয়ে গেল ২০৭ রানে। মিচেল স্টার্ক ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের স্কোরকে ২০০ পার করে দেন। রাবাডা দ্বিতীয় ইনিংসেও নিলেন ৪ উইকেট। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে করতে হবে ২৮২ রান, এই অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে প্রোটিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে লর্ডসে নজির গড়লেন রাবাডা। লর্ডসে কেউ শতরান করলে বা পাঁচ উইকেট নিলে অনার বোর্ডে নাম উঠে যায়। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি হোম ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডে নাম তোলেন। ২০২২ –এ অ্যাওয়ে বোর্ডে নাম তুলেছিলেন। তাঁর আগে এই নজির গড়েছিলেন গ্রিনিজ। তিনি ১৯৮৪ সালে অপরাজিত ২১৪ ও ১৯৮৮ সালে ১০৩ রান করে অ্যাওয়ে বোর্ডে নাম তুলেছিলেন। এছাড়া ১৯৮৭ সালে এমসিসির হয়ে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে ১২২ রান করে নাম তুলেছিলেন হোম ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডে। ১৪১ বছরে দ্বিতীয় ক্রিকেটার – রাবাডাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে ঐতিহাসিক লর্ডস।
এবার নিকোলাস পুরান, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চ ছাড়ছেন ক্রিকেটাররা

এবার নিকোলাস পুরান। মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে চান। একই কারণে আগেও অনেকেই একই পথ ধরেছেন। তাই প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিন ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই ছেড়ে দিচ্ছেন, সোমবার রাতে এমনই বোমা ফাটালেন পুরান। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটার হেনরিচ ক্লাসেন অবসরের ঘোষণা করার কয়েক দিনের মধ্যেই ছোট ফরম্যাটের আর এক গ্রেট পুরান একই ঘোষণা করে দিলেন। গত কয়েক বছরে অনেক ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য তাঁদের সেরা সময়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে গিয়েছেন। তালিকায় শেষ সংযোজন পুরান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, অনেক ভাবনা চিন্তা করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও লিখেছেন, “যে খেলাটাকে আমরা ভালোবাসি, সে আমাকে সব কিছুই দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগও দিয়েছে। মেরুন জার্সি পরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুভূতি কী বোঝানো যাবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেওয়াটা হৃদয়ের গভীর অনুভূতি। পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ ও সমর্থকদের ধন্যবাদ সহযোগিতা করার জন্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা একটুও ফিকে হবে না।“ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারের এমন আকস্মিত ঘোষণার পর একটা প্রশ্ন তো উঠছেই। হচ্ছেটা কী! ক্রিকেটাররা কেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে এতটা গুরুত্ব দিয়ে একে একে সরে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে? এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কী? একটা বড় প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট। শুরু হয়েছে বিরাট বিতর্ক।