শুভমনের সেঞ্চুরি, জাদেজার হাত ধরে চালকের আসনে ভারত

যশস্বী জয়সওয়ালের(Yashasvi Jaiswal) দ্বিশতরান হাতছাড়া হলেও, ভারতের(India Team) কিন্তু বড় রানে পৌঁছতে খুব একটা বেশি অসুবিধা হয়নি। দ্বিতীয় দিন শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই ম্যাচেও যে ভারতীয় দল বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম দিনই ভারতের বড় রানের ঝলকটা পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন ১৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। সঙ্গে ছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তবে দ্বিতীয় দিন শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে হয় যশস্বীকে। রান আউট হয়ে ১৭৫ রানে থামতে হয়েছিল তাঁকে। তবে ভারতের রানেরগতি থমতে থাকেনি। শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করেই বড় রানের পথে এগিয়ে যেতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। একা হাতেই কার্যত রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা শুরু করেন শুভমন গিল। এদিন কেরিয়ারের আরও একটা সেঞ্চুরি ইনিংস পেলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। ক্যারিবিয়ান বোলারই এদিন শুভমন গিলের সামনে সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। ১২৯ রানে শেষপর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারত ৫১৮ রানে পৌঁছনোর পরই ইনিংস ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ম্যাচে ইনিংসে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচেও সেই লক্ষ্যেই যে রয়েছে ভারতীয় দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কথা ভেবেই ডিক্লেয়ারও দিয়েছিলেন শুভমন গিল। এবার পরীক্ষাটা ছিল বোলারদের। ভাঙা পিচ। আর সেখানেই ভারতে হয়ে দাপুটে পারফরম্যান্স রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা তিন উইকেট তিনি একাই তুলে নিয়েছেন এদিন। বুমরাহ(Jasprit Bumrah), সিরাজরা অবশ্য উইকেট তুলতে পারেননি। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের স্পিন আক্রণই ছিল বিধ্বংসী ফর্মে। দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০।
দ্বিশতরানের পথে যশস্বী, রানের পাহাড়ে ভারত

দুর্ধর্ষ যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। প্রথম দিন ক্যারিবিয়ান বোলারদের বিরুদ্ধে একাই শাসন করলেন তিনি। যশস্বীর(Yashasvi Jaiswal) দুরন্ত সেঞ্চুরি ইনিংসে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম দিনই রানের পাহাড়ে ভারত। প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৩১৮। ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমন গিল(Shubman Gill)। দীর্ঘদিন পর রানের ফিরলেন যশস্বী। দ্বিতীয় দিন তাঁর দ্বিশতরানের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। সেইসঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ২০ রানে ক্রিজে রয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক শুভমন গিলও। যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal) দাঁড়িয়ে ১৭৩ রানে। টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের(India Team) অধিনায়ক শুভমন গিল(Shubman Gill)। শেষ কয়েকটি ম্যাচে বড় রান করতে পরেননি যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। এদিন শুরু থেকেই বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন তিনি। তবে কেএল রাহুল প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। ৩৮ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। সেইসঙ্গে ৫৮ রানে প্রথম উইকেট খুইয়ে ভারতও খানিকটা চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেই সময়ই যশস্বীর(Yashasvi Jaiswal) সঙ্গে হাল ধরেছিলেন সাই সুদর্শন। আর তাদের পার্টনারশিপটাই ভারতের বড় রানের লক্ষ্যটা স্থির করে দিয়েছিল। সাই সুদর্শনের(Sai Sudarshan) সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়ালের ১৯৪ রানের পার্টনারশিপ। আক্ষেপ শুধু একটাই মাত্র ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছিল সাই সুদর্শনের। তবে যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal) ছিলেন এদিন অপ্রতিরোধ্য। তাঁকে আটকাতে ব্যর্থই ছিলেন ওয়ারিকান, গ্রিভসরা। তার্যত একা হাতেই ভারতের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা তুলে নেন এই তারকা ক্রিকেটার। কেরিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরিটাও এদিনই পান তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর ব্যাটে ছিল চার ও ছয়ের ঝলকও। ১৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন যশস্বী জয়সওয়াল। সেই থেকেই তাঁকে ঘিরে সকলের প্রত্যাশার পারদ চড়তে থাকে। সাই সুদর্শন ফিরতে যশস্বীকে সঙ্গ দেওয়া শুরু করেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তাদের হাত ধরেই এবার বড় রানের পথে এগিয়ে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দিনের শেষে ১৭৩ রানে ক্রিজে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যশস্বী। তাঁর গোটা ইনিংসে রয়েছে ২২টি চার। দ্বিশতরানের থেকে আর মাত্র ২৭ রান দূরে রয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে যে সেদিকেই সকলের নজর রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ২০ রানে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন অধিনায়ক শুভমন গিল।
সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ব্র্যাডম্যানের তালিকায় যশস্বী

ওয়েস্ট ইন্ডজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টেই ফর্মে ফিরলেন ভারতীয় দলের তরুণ তারকা যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। সেইসঙ্গেই গড়লেন এক বিরাট নজিরও। ডন ব্র্যাডম্যান(Don Bradman), সচিন তেন্ডুলকরদের(Sachin Tendulkar) সঙ্গে এক তালিকায় নাম তুললেন ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন তিনি। সেটাও আবার একেবারেই যশস্বী জয়সওয়ালের(Yashasvi Jaiswal) নিজস্ব স্টাইলে। তাঁক সেঞ্চুরি নিয়েই এখন শোরগোল ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। শেষবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওভাল টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। সেই পারফরম্যান্সের পর থেকেই গ্রাফটা খানিকটা পড়তে শুরু করেছি যশস্বী। এমনকি সম্প্রতি টেস্ট ব্যাটারদের ক্রিম তালিকায় নিজের জায়গাও হারিয়েছিলেন যশস্বী। পাঁচ নম্বর থেকে সাত নম্বরে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। একের পর এক ব্যর্থতার জন্যই এমনটা হয়েছিল। অবশেষে ফর্মে ফিরলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ তারকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নেমেই সেঞ্চুরি ইনিংস খেললেন তিনি। তাও আবার ১৪৫ বল খেলেই সেঞ্চুরি করার নজির গড়লেন তিনি। এই সেঞ্চুরির সঙ্গেই স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের তালিকায় নিজের নাম তুললেন এই তারকা ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৪ বছর বয়সের আগেই সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় নিজের নাম তুললেন তিনি। এখনও পর্যন্ত এই তালিকায় ১২ সেঞ্চুরি করে শীর্ষস্থানে রয়েছেন ডন ব্র্যাডম্যান। তাঁরপরই ১১টি সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। তিন নম্বরেই নিজের জায়গা করে নিলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ সেনসেশন। টেস্ট কেরিয়ারে সাতটি সেঞ্চুরি করে ফেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। তাঁর সঙ্গে একই তালিকায় রয়েছেন অ্যালেস্টার কুক, কেন উইলিয়ামসনদের মতো তারকা ক্রিকেটাররাও। ক্রিজে অপরাজিতই রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। দেড়শো রানের গন্ডী ইতিমধ্যেই পার করে ফেলেছেন তিনি। যশস্বীকে নিয়ে এখন সকলে দ্বিশতরানের আশাতেই রয়েছে।
টেস্ট বোলারদের তালকায় কেরিয়ারের সেরা স্থানে সিরাজ

টেস্ট বোলারদের তালিকায় কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছলেন মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj)। টপ ১০-এর মধ্যে আসতে না পারলেও, ১২ নম্বর স্থানে উঠে এলেন তিনি। এখন পর্যন্ত টেস্ট বোলিংয়ে(Test Ranking) এটাই সিরাজের সেরা প্রাপ্তি। ইংল্যান্ডে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও ঘরের মাঠে দুরন্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছিলেন মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj)। তারই পুরস্কার পেলেন এবার। টেস্ট বোলারদের তালিকায় উঠে এলেন ১২ নম্বর স্থানে। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পরই এই পুরস্কার পেলেন সিরাজ(Mohammed Siraj)। কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। সেখানে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj)। কার্যত ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরানোর অন্যতম প্রদান কারিগড় ছিলেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই তুলে নিয়েছিলেন সাত উইকেট। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। সেখানেও যে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা মহম্মদ সিরাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত জসপ্রীত বুমরার(Jasprit Bumrah) থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। তেন্ডুলকর-অ্যান্ডারসন(Tendulkar-Anderson) সিরিজেও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় জসপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে তিনিই সামলেছিলেন ভারতের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব। সেখানে একাই তুলে নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট। সেই থেকেই সিরাজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সকলের মুখে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও প্রথম টেস্টে সেই ধরা অব্যহত রেখেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ঝুলিতে এসেছিল ৩১ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগেই নিজের পুরস্কার পেয়ে গেলেন মহম্মদ সিরাজ। টেস্ট কেরিয়ারে বোলারদের ক্রম তালিকায় ১২ নম্বর স্থানে উঠে এলেন এই তারকা ক্রিকেটার। এই মুহূর্তে মহম্মদ সিরাজের পয়েন্ট ৭০০। তবে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাও। সিরাজের ঝুলি পরিপূর্ণ থাকলেও, ভারতের আরেক তরুণ ক্রিকেটার কিন্তু নিজের জায়গা হারিয়েছেন। যশস্বী জয়সওয়ালYashasvi Jaiswal) ব্যাটারদের তালিকায় পাঁচ নম্বর স্থান থেকে নেমে গেলেন সাত নম্বরে। সম্প্রতি একেবারেই ভালো ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন না তিনি। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও এই তরুণ ক্রিকেটারের ব্যাটে রানের ঝলক ছিল না। আর তাতেই সদ্য প্রকাশিত আইসিসির টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে থেকে নিজের জায়গা হারালেন যশস্বী জয়সওয়াল।
হতাশ নন, বাদ পড়াটাই ফেরার তাগিদ বাড়াচ্ছে যশস্বীর

এশিয়া কাপের(Asia Cup) আগে সবচেয়ে বেশি তাঁর নাম নিয়ে চর্চা হয়েছিল। কিন্তু সেই যশস্বী জয়সওয়ালই(Yashasvi Jaiswal) সুযোগ পাননি এশিয়া কাপের(Asia Cup) স্কোয়াডে। তাঁর জায়গায় ভারতীয় টি টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তাঁর কাঁধে আবার উঠেছে ভারতীয় দলের সহ অধিনায়কত্বের দায়িত্বও। যশস্বী সুযোগ না পেয়ে তিনি কী হতাশ হয়েছেন। যা শোনা যাচ্ছে তেমনটা কিন্তু নয়। বরং এই বাদ পড়াটাকেই ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন যশস্বী(Yashasvi Jaiswal)। ফিরে আসার খিদেটা এখন তাঁর আরও বেড় গিয়েছে। ভারতের টি টোয়েন্টি(T20) দলের হয়ে একসময় দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। কিন্তু সম্প্রতি সেই পারফরম্যান্স দেখাতে পারছেন না তিনি। টি টোয়েন্টিতেও নানান জায়গায় ব্যর্থ হতে দেখা গিয়েছিল। এমনকি সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি যশস্বী জয়সওয়াল। তবুও তাঁকে এশিয়া কাপে(Asia Cup) খেলানোর একটা কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে শেষপর্যন্ত এবারের এশিয়া কাপ থেকে ব্রাত্যই থেকেছেন যশস্বী। আরও পড়ুন: রোহিতের যোগ্য উত্তরসূরি সূর্যকুমার: মহম্মদ কাইফ বাদ পড়ায় খারাপ লাগাটা তো অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়তে নারাজ ভারতীয় দলের এই তারকা ব্যাটার। ফিরে আসার চেষ্টাটা এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এক সংস্থায় যশস্বী জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “দলে সুযোগ পাওয়া না পাওয়াটা সম্পূর্ণ নির্বাচকদের ওপরই নির্ভর করে। টিম কম্বিনেশনের কথা মাথায় রেখেই দল গঠন করে তারা। আমাকে আমার কাজটা করে যেতে হবে। আমি জানি অবশ্যই একদিন না একদিন আমি দলে ফিরব। সেই সময় পর্যন্ত নিজেকে গড়ে তোলার কাজটা চালিয়ে যাব”। ভারতীয় দলের হয়ে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে কিন্তু বেশ নজরকাড়া পারফরম্যান্স যশস্বী জয়সওয়ালের। এখন পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ২৩টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে যশস্বী জয়সওয়ালের। সেখানেই তাঁর ঝুলিতে রান রয়েছে ৭২৩ এবং স্ট্রাইকরেট ১৬৪.৩১। এই কটা ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি অর্ধশতরানও করে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। সেঞ্চুরিও রয়েছে একটা। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং বরাবরই প্রতিপক্ষ বোলারকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে। আর সেটাই বারবার তাঁকে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে সাহায্য করেছে। যদিও এবার সেটা হয়নি। কারণ এবারের এশিয়া কাপে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট তারুণ্যের থেকে অভিজ্ঞতার ওপরই জোর দিয়েছে বেশি। আর সেই কতা মাথায় রেখেই অভিষেক শর্মার সঙ্গে এশিয়া কাপের মঞ্চে ওপেনার হিসাবে শুভমন গিলকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও শুভমন গিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত এশিয়া কাপে বড় রান করতে পারেননি।
বড় রান করতেই হবে, প্রথম টেস্টের আগে বলেছিলেন যশ্বসী

পরিসংখ্যান কি বলছে! ইন্টারনেট যা জানাচ্ছে তা দেখে চমকে উঠতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬টি টেস্টের ১০ ইনিংসে যশ্বসী জয়সওয়াল রান করেছেন ৮১৩। গড় ৯০.৩৩। সেঞ্চুরি তিনটি। হাফ সেঞ্চুরিও তিনটি। ভাবা যায়! এ তো অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। কী করে পারলেন ২৩ বছরের বাঁহাতি ওপেনার। অবাক করার ঘটনা আরও আছে। যশ্বসী হলেন প্রথম বাঁহাতি ওপেনার, যিনি ইংল্যান্ডের মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর ও রাহুলের পার্টনারশিপ দলকে ভরসা দিতে প্রথম টেস্টে ভাল জায়গায় পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। এখানেই শেষ নয়, যশ্বসীর ছেলেবেলার কোচ জেয়ালা সিং বলছেন, এখানেই থেমে যাবে না। আমার বিশ্বাস সিরিজে আরও দুটি সেঞ্চুরি করবে যশ্বসী। ছেলেবেলা বলতে যশ্বসী ১১ বছর বয়সে জোয়ালার হাতে আসেন। তখন কে জানত এই ছেলে একদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দাপাবে। গতবছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার মাঠেও ভাল খেলেছিলেন যশ্বসী। জোয়ালা বলছেন, আমি আশা করেছিলাম সেখানে অন্তত দুটি সেঞ্চুরি করবে। কিন্তু আমার স্বপ্ন বাস্তবে দেখা যায়নি। কিন্তু হেডিংলের মাঠে যশ্বসী যা খেলেছে, তারপর মনে হচ্ছে এবার কিছু একটা দেখাবে। রোহিত ও বিরাট নেই। সকলেই বলছিলেন, নতুনদের নিয়ে এবারের ভারতীয় দল কি এঁটে উঠতে পারবে! আগে ঠিক ছিল, ইংল্যান্ডে গিয়ে ভারত দশদিনেরর ক্যাম্প করবে। তার মাঝে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলে। শেষ ম্যাচে ভারতীয় এ দলের বিরুদ্ধে তাঁদের খেলতে দেখা যায়। প্রথমদিনের টেস্টের পর মাঠে সতীর্থ ধ্রুব জুরেলকে সাক্ষাৎকার দেন যশ্বসী। সেখানে জুরেল প্রশ্ন করেন, এখন কি মানসিক শান্তি মিলেছে। জুরেলর প্রশ্ন শুনে যশ্বসী বলেন, হ্যাঁ কিছুটা হলেও আমি শান্ত। আসলে মাঠের বাইরে আমরা চরিত্র বলতে গেলে এমনই। নিজেকে নিয়ে থাকতে বেশি ভালবাসি। ইয়ার্কি-ঠাট্টা যে করি না তা নয়। কিন্তু একা হয়ে গেলে ফোকাস থেকে সরে আসতে চাই না। এখনে আসর পর মাথায় একটা জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছিল যে ইংল্যান্ডে রান করতে হবে। সবাই বলছে এখানে রান করা কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজকে সহজ করতে গেলে কি করতে হবে, তা নিয়ে নিজের সঙ্গে লড়াই করেছি। তাই এই সেঞ্চুরির কথা বলতে গেলে একট কথাই বলব যে ১০১ রান সহজে আসেনি। এর পিছনে অনেক পরিশ্রম আছে। যশ্বসী থামতে জুরেল বলেন, আমরা তো শুরু দেখছি নেটেও বুমরা, রানাকে বলছিলে কোথায় বল ফেলতে হবে। ওরা সেটাই করে গিয়েছে। আর তুমি খেলেছ। জুরেলকে থামিয়ে যশ্বসী বলেন, আমি জানি এখানে বল বেশি সুইং করবে। সিমও হবে। তাই সুইং করলে বল কোথায় এসে শেষ হবে, সেটা আন্দাজ করে ওদের বল করতে বলছিলাম। রানা ও বুমরা ভাল বল করে গিয়েছে। আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচে ওর ভাল করল। চাইছিলাম ওদের বলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে টেস্ট খেলার জন্য তৈরি করেছি। তাই ম্যাচে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। এটা সবে শুরু। এবার লম্বা সিরিজ। ব্যাটে আর রান চাই। সহজে থেমে গেলে চলবে না। বিসিসিআই টিভিতে শনিবার সকালে জুরেল ও যশ্বসীর ভিডিও দেখা গেল। ম্যাচের শেষে ওঁরা দুজনে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললেন। আর সেটাই বিসিসিআই টিভিতে পাওয়া গে
রাজস্থান হারলেও নজর কাড়লেন বৈভব

লাইনউ সুপার জায়েন্টস: ১৮০-৫ রাজস্থান রয়্যালস: ১৭৮- ৫ ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল। ঝড়ও উঠল। সেই ঝড়ে চাপে লখনউ বোলিং। শার্দূল, আবেশ খানরা কোথায় বল ফেলবেন বুঝে উঠতে পারলেন না। যশস্বী জয়সওয়ালকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু পাওয়ার প্লে তে যিনি নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তাকে আপনি না তুমি বলা উচিত সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। ১৪ বছর ২৩ দিন। বিহারের বৈভব সূর্যবংশী কামাল করে দিলেন। শার্দূল ঠাকুরকে কভারের ওপর দিয়ে যেভাবে ছয় মারলেন তাকে কি বলব? পরের ওভারে আবেশ খানকে লং অফের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে যে বলটি পাঠালেন তার কি কোনও ব্যাখ্যা আছে? এসব দেখে একটা প্রশ্নই মাথা ঘোরপাক খাচ্ছিল, অসম্ভব মানসিক শক্তি না থাকলে এই ধরণের ক্রিকেট খেলা যায় না। বৈভব বেশি সময় উইকেটে ছিলেন না। তার ৩৪ রানের ইনিংসটিতে দুটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি ছিল(২০)। মার্কক্রমের বলে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তাকে স্ট্যাম্প করে দিতেই ডাগআউটে বসে থাকা জাহির খানরা হাপ ছেড়ে বাচেন। ১৮১ রানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজস্থান তখন ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮৫। এই জায়গা থেকে ম্যাচ হারতে হলে খুব বাজে ব্যাটিং করতে হবে। নয়ত বা প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত বোলিং করতে হবে। প্রথমটি চোখে পড়ল। যশস্বী জয়সওয়াল (৭৪) আউট হতেই রাজস্থান প্রায় ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল। জয়ের সুযোগ কি একেবারেই ছিল না? ছিল। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান। হাতে সাত উইকেট। এই জায়গা থেকে কেউ কি ম্যাচ হারে! রাজস্থান হারল পরিকল্পনাহীন ক্রিকেট খেলে। হেটমায়ারের আগে জুরেলকে কেন পাঠানো হল তার ব্যাখা নেই। জুরেলের কাছ থেকে একটাও বড় স্ট্রোক দেখা গেল না। হেটমায়ার তবু চেষ্টা করলেন। কিন্তু আবেশ খান হঠাৎ করে ‘বুমরা’ হয়ে উঠলেন। রাজস্থানের জারিজুরি শেষ। বুমরা যেমন ডেথ ওভারে ইয়র্কারের ওপর ভরসা রাখেন আবেশও সেই কাজটা করলেন। তাঁর তিন নম্বর ওভারে ছয় রান এলেও রাজস্থান উইকেট হারিয়ে বসে। আর শেষ ওভারের কথা কি বলব? কদিন আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জেতার জন্য রাজস্থানের জেতার জন্য দরকার ছিল ৯ রান। সেই ম্যাচ জেতেনি রাজস্থান। জয়পুরেও তাই। জয়ের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে রাজস্থান আটকে গেল ১৭৮ রানে। লখনউ জিতে গেল ২ রানে। ম্যাচের সেরা অবশ্যই আবেশ খান। যিনি প্রথম দুই ওভারে দিয়ে ছিলেন ২৬ রান। শেষ দুই ওভারে দিয়ে নিলেন ১১ রান ৩ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর অন্য কারো নাম ম্যাচের সেরাতে আসে কি! অন্যদিকে, চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় হার দিল্লি ক্যাপিটালসের। অক্ষর প্যাটেলদের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে সহজেই ম্যাচ জিতে নিল গুজরাট টাইটান্স। বাটলারের দাপটে দিল্লির দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য চার বল বাকি থাকতেই পূরণ করে গুজরাট। ৩ রানের সেঞ্চুরি হল না জোশ বাটলারের। ৫৪ বলে ৯৭ রানে নট আউট রইলেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন সাই৷ সুদর্শন ও শেরফানে রাদারফোর্ড। ২১ বলে ৩৬ রান করে কুলদীপ যাদবের শিকার হন তিনি। ৩৪ বলে ৪৩ রান করে মুকেশ কুমারের শিকার হন রাদারফোর্ড। ৩ রানে ১১ রান ঝলক দেখিয়ে গেলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। তবে দিনটা ভালো যায়নি শুভমান গিলের ৫ বলের ৭ রান করে করুণ নায়ারের থ্রোয়ে রান আউট হন তিনি। দিল্লর হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন অক্ষর প্যাটেল। ৩২ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। কে এল রাহুল করেন ১৪ বলে ২৮ রান। ১৮ বলে ৩১ রান করেন করুন নায়ার। ২১ বলে ৩১ রান করেন স্টাবস। ১৯ বলে ৩৭ রান করেন আশুতোষ শর্মা। গুজরাটের হয়ে সবচেয়ে বেশি চার উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।