এজবাস্টনে বুমরা না খেললে সম্ভবত দলে অর্শদীপ, জয়সওয়ালের সামনে গাভাসকরকে টপকে যাওয়ার হাতছানি

বুধবার থেকে এজবাস্টনে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট। এমন একটা ভেন্যু, যেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখের নয়। এজবাস্টনে এখনও পর্যন্ত মোট সাতটি টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এখনও একটি টেস্টও জিততে পারেনি। এর থেকে বেশি খারাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। এবং বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে। এই দুটি ভেন্যুতে ৯টি ম্যাচ খেলে এখনও একটিও টেস্ট জেতেনি ভারতীয় দল। তেমনি এজবাস্টন। ভারতের জন্য একটি খারাপ ভেন্যু। এজবাস্টনে অষ্টম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এখানকার পরিসংখ্যান চাপে রাখবে গিলদের। দ্বিতীয় টেস্টে কি বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকে? তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য তাঁকে তিনটির বেশি টেস্টে খেলানো হবে না, এমন ভাবনার কথা আগেই জানানো হয়েছে। ভারতীয় শিবিরে রয়েছেন আরও দুই বিশেষজ্ঞ পেসার – আকাশদীপ ও অর্শদীপ সিং। রয়েছেন পেসার অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি। তবে বুমরা না খেললে সম্ভবত সুযোগ পাবেন বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ। নেটে তাই বাড়তি অনুশীলন তাঁর। পাশাপাশি নেটে টেল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হল। হেডিংলেতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭২ রানে পড়ে গিয়েছিল ভারতের শেষ ১৩ উইকেট। তাই এবার তাদের দিকে বাড়তি নজর গুরু গম্ভীরের। এজবাস্টনে কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকে টপকে যাওয়ার হাতছানি তরুণ যশস্বী জয়সওয়ালের। সানির ৪৯ বছরের রেকর্ড ভাঙার মুখে তিনি। আর ৯৭ রান করলেই দ্রুততম ভারতীয় হিসাবে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলস্টোন টপকে যাবেন। গাভাসকর ২৩ টেস্টে ২০০০ রান করেছিলেন। জয়সওয়াল ২০ টেস্টে করে ফেলেছেন ১৯০৩ রান। গড় ৫২.৮৬। তাই এজবাস্টনেই সানিকে টপকে যাওয়ার হাতছানি জয়সওয়ালের সামনে।
জোড়া শতরানে টেস্টের প্রথম দিনে লেটার মার্কস তরুণ ভারতীয় দলের

দুরন্ত শুরু। অনেক সংশয় ছিল। অনেক উদ্বেগ ছিল। অনেক সন্দেহও ছিল। কিন্তু তাগিদ, প্রয়োগ দক্ষতা ও দুর্দান্ত মানসিকতায় সেসব কিছুকে দূরে সরিয়ে দিয়ে হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিনে শুধু সসম্মানে পাস করা নয় রীতিমত লেটার মার্কস পেয়ে পাস করল তরুণ ভারতীয় দল। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫৯। শতরান করলেন শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে নেমেছে তরুণ ভারতীয় দল। চাপ ছিল বৈকি! টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন রাহুল ও জয়সওয়াল। রাহুল ব্যক্তিগত ৪২ রানে ও সাই সুর্দশন শূন্য রানে আউট হলেও গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। শতরান করে ব্যক্তিগত ১০১ রানে আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে জুড়ে দিয়েছেন ১২৯ রান। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ও কেরিয়ারের পঞ্চম শতরান করলেন জয়সওয়াল। এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও সহঅধিনায়ক পন্থ। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট দুজনে যোগ করেছেন ১৩৮ রান। শুভমন গিল ১২৭ রান করে ও ঋষভ পন্থ ৬৫ রান করে অপরাজিত আছেন। গিল হলেন চতুর্থ ভারতীয় যিনি অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেই শতরান করলেন। তাঁর আগে এই নজির আছে বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর ও বিরাট কোহলি। প্রথম দিনেই শুভমন গিলের তারুণ্যেভরা ভারতীয় দল এভাবে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেবে সেটা অনেক ভারতীয় যেমন ভাবেননি, তেমনি ইংল্যান্ড তো ভাবতেই পারেনি। প্রথম দিনেই গোটা সিরিজের জন্য অন্তত আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গেল গিলের ভারত।