আরসিবিঃ ৯ উইকেটে ৯৫ (১৪ ওভার)
পাঞ্জাব কিংসঃ ৫ উইকেটে ৯৮ (১২.১ ওভার)
বেঙ্গালুরুর মাঠ খুব বড় নয়। স্পিনাররা লাইনের একটু গরমিল করে ফেললে রক্ষে নেই। সেটাই শুক্রবারের ম্যাচে বড় করে দেখা দিল। একদিকে পাঞ্জাব কিংসেক বাঁহাতি স্পিনার ব্রার, অন্যদিকে লেগস্পিনার সুযশ শর্মা। দুজনে এমন মার খেলেন যে ম্যাচ একদিক থেকে আর একদিকে চলে গেল। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ ২০ ওভার থেকে ১৪ ওভারে নেমে না এলে রান কোথায় গিয়ে থামত তা আন্দাজ করে নেওয়া কঠিন। ভারি আবহাওয়ায় পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। সেটাই পেয়ে গিয়েছিলেন অর্শদীপ ও হ্যাজেলউড। কিন্তু সেই স্পিনারদের ব্যর্থতায় ম্যাচের রাশ চলে গেল ব্যাটসম্যানদের হাতে। এবং শেষে আরসিবিকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে লিগ টেবিলে দুনম্বরে উঠে এলেন শ্রেয়স আইয়াররা। দিল্লি ক্যপিটালস ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে পাঞ্জাব কিস। তাারা ৭ ম্যাচে এখন ১০ পয়েন্ট নিয়ে ছুটছে।
আইপিএল ইতিহাসে এদের কারোর হাতে আগে ট্রফি ওঠেনি। এবার কি উঠবে! উঠলেও উঠতে পারে। এখনও পর্যন্ত যে ক্রিকেট ওরা খেলছে, তারপর আশা করা যেতেই পারে। পয়েন্টের লড়াইয়ে উপরে যাওয়ার দৌড়ে পাঞ্জাব যেন এই ম্যাচ আলাদা করে বেছে নিয়েছিল। আগের ম্যাচে কেকেআরের বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় পাওয়ার পর তারা অনেকটাই চাঙ্গা। বেঙ্গালুরুর মাঠে ১৪ ওভারের ম্যাচে শুরুততে কোহলিদের চাপের মধ্যে ঠেলে দিলেন অর্শদীপ। ফিরিয়ে দিলেন সল্ট (৪) ও কোহিলকে (১)। দুটি উইকেট তিন ওভারের মধ্যে চলে যাওয়ার পর কমাত্র অধিনায়ক রজত পাতিধার (২৩) ছাড়া কেউ হাল ধরতে পারছিলেন না। অবাক করার মতো ব্যাপার এটাই যে একসময় ৬৩ রানে ৯ উইকেট চলে যায় আরসিবির। কিন্তু টিম ডেভেডের সৌজন্যে তারা একশোর কাছে পৌঁছে গেলেন। বিশেষ করে ব্রার শেষ ওভার করতে এসে ২১ রান দিয়ে ফেললেন। ওভারের শেষ তিন বল মাঠের বাইরে ফেলে ডেভিড ২৬ বলে করে ফেললেন ৫০ রান। তাঁর দাপটের কারনেই আরসিবি ৯৫ রানে পা রাখল। কিন্তু এটাই কি জয়ের জন্য যথেষ্ট! শুরুতে তা মনে হয়নি। কারন ওভার প্রতি সত রান করতে পপারলে ম্যাচ জেতা যাবে। এমন টার্গেট সামনে থাকলে ম্যাচ জয় কঠিন হয় না। তবু জোস হ্যাজেলউডের দাপটে পাঞ্জাব একসময় ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসল। জয়ের জন্য তখনও দরকার ৪৩ রান। সেই জায়গা থেকে ম্যাচ ধরে নিলেন লুধিয়ানার ছেলে নেহাল। তাঁকে সাহায্য করেলন আরসিবি অ্ধিনায়ক পাতিধার। কেন যে তিনি লেগ স্পিনার সুযশ শর্মাকে পরপর দুওভার নেহালের সামনে আনলেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এই দুওভারে সুযশ দিলেন ২১ রান। ম্যাচ সেখানেই শেষ। ভুবনেশ্বর কুমার এসে শশাঙ্ক সিংকে ফিরিয়ে দিলেও নেহালের সামনে ছাড়ল পেলেন না। সেই ওভারের শেষ দুই বলে ১০ রান করেন নেহাল। তাই ম্যাচের ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল পাঞ্জাব। নেহাল ৩ট বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে করলেন অপরাজিত ৩৩ রান। নেহালের দাপটে পাঞ্জাব জিতলেও টিম ডেভিড ম্যাচের সেরা হলেন। তাতে অবশ্য কিছছু আসে যায় না নেহালের। তাঁরা টান দুটি ম্যাচ জিতে দুনম্বরে উঠে এলেন, এটাই তো বড় প্রাপ্তি।