সৌরভ, আদিত্য গ্রুপ ও পিআর সলিউশনকে পাশে পেয়ে নতুন করে বেঁচে ওঠার স্বপ্ন ফুটবলার শুভ দাসের

“খেলার বাইরেও জীবন আছে। জীবনের আরও অনেক দিক আছে। সেগুলোকে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যাও” – এভাবেই ফুটবলার শুভকে উদ্দীপ্ত করলেন, প্রেরণা যোগালেন বাঙালির আইকন সৌরভ গঙ্গাপাধ্যায়। শুভ দাসের উত্তীয়য় সই করে দিচ্ছেন সৌরভ। দিনের সেরা এই ছবিটা উপহার দিয়ে শুভর পাশে দাঁড়ালেন মহারাজ। ফুটবলার শুভ দাস। মহমেডান, টালিগঞ্জ, ইস্টার্ন রেলসহ ময়দানের অনেক ক্লাবে এক সময় দাপিয়ে খেলেছেন। অথচ আজ সেই শুভ প্রায় শয্যাশায়ী। শরীরের একদিক পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। একটি হাত সংক্রমণের জন্য বাদ দিতে হয়েছে। চিকিৎসার প্রচুর খরচ। কিন্তু স্কুলের চাকরিতে অনুপস্থিতর কারণে দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ। চাকরি প্রায় যেতে বসেছে। কীভাবে চলবে শুভর চিকিৎসা? এই খবর দেখেই আমাদের উদ্যোগে সামিল হয়েছিল আদিত্য গ্রুপ। আর শুক্রবার আমাদের পিআর সলিউশন ও আদিত্য গ্রুপের সঙ্গে শুভর পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে এলেন বাংলার মহারাজ। শুভকে আর্থিক সহায়তা করার ছোট্ট অনুষ্ঠানের জন্য খুলে দিলেন নিজের বাড়ির দরজা। শুভর হাতে আদিত্য গ্রুপ ও পিআর সলিউশন তুলে দিল চেক। সৌরভ দিলেন সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস। কোনও প্রয়োজন হলে নির্দ্বিধায় তাঁকে ফোন করার কথাও জানিয়ে দিলেন শুভকে। সামনে তাকাও, পাশে আছি আমরা, বার্তা মহারাজের। আবেগপ্রবণ মহারাজ তখন বলে চলেছেন, ফুটবলই হোক, বা ক্রিকেট – সেটা তো জীবন থেকে এক সময় শেষ হয়। বয়স, চোট, ফর্ম – নানা কারণে খেলায়াড় জীবন শেষ হতে পারে, জীবনের বাকি ব্যাপারগুলোকে নিয়েই এগিয়ে যেত হবে, শুভকে পরামর্শ বাংলার ক্রিকেট আইকনের। এমন উদ্যাগে সামিল হতে পেরে খুশি, গর্বিত আদিত্য গ্রুপের কর্তারা। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান অঙ্কিত ও অনির্বাণ আদিত্য জানিয়ে দিলেন তাঁরা ভবিষ্যতেও এভাবেই শুভর পাশে থাকবেন। শুভর খবরটা প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছিল পিআর সলিউশনের ডিরেক্টর পার্থ আচার্যকে। তখনই তিনি উদ্যাগ নেন। গোটা দেশের ফুটবল মহলই তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসতে চেয়েছে। আদিত্য গ্রুপ ও সৌরভ গঙ্গাপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হল কাজটা। এমন দিনে দারুন আপ্লুত পার্থ। আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান এই কাজকে। আর শুভ? শুক্রবারের সকালটা যেন নতুন ভোর নিয় এল ওঁর জীবনে। হারিয়ে যাওয়া আশাগুলো, স্বপ্নগুলো আবার আঁকড়ে ধরতে চাইছে ফুটবল থেকে হারিয়ে যাওয়া একটা জীবন। আর হ্যাঁ, আনন্দাশ্রু নেমে এল ওঁর পরিবারেও। আবেগে, কৃতজ্ঞতায় গলা বুজে আসে শুভর। আবার নতুন করে বাঁচতে চাই – শুভর আকুতি। হ্যাঁ, বাঁচতে যে হবেই শুভ! ফিরতে হবে ফুটবলে! দৃষ্টিতে আর শূন্যতা নয়, আশার ঝিলিক। বাড়িয়ে দেওয়া অনেকগুলো হাত। সামনে তাকানোর সাহস আর স্বপ্নে ঘেরা আবেশ।
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবেন কিনা নির্ভর করছে এবারের ফর্ম

লিওনেল মেসিকে কোন জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে হলে অবশ্যই একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা। অতীতে তিনি বহুবার বলেছেন, খেলবেন কিনা এখনও তা মনস্থির করতে পারেননি। এবারও সাক্ষাতকার দিলেন আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার কিকে উলফের অনুষ্ঠান সিম্পলি ফুটবল-কে। সেখানেও ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে প্রশ্ন করতেই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার জানিয়ে দিলেন, “খেলব কি খেলব না তা এই বছরের পারফরম্যান্সের উপর অনেকটা নির্ভর করছে। মনের মধ্যে অবশ্যই বিশ্বকাপ এবং সেখানে খেলা নিয়ে সবসময় ভাবছি। তবে একটা ব্যাপারে পরিষ্কার বলে দিতে চাই, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার জন্য আমাকে সততার পথে এগোতে হবে। চাইব না দলকে ঠকাতে।” মেসি সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তঁার সামনে এখন কোনও লক্ষ্য নেই। শারীরিকভাবে কেমন অনুভব করছেন তার উপরে নির্ভর করবে আগামী বছর বিশ্বকাপে নামবেন কিনা। ২০২২ বিশ্বকাপ জয় নিয়ে মেসি আপ্লুত হয়ে বলেন,“আমার কেবিনে কেবলমাত্র বিশ্বকাপ ছিল না। ফুটবল জীবনে আমার সব ট্রফি পাওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম, এবার যেন বিশ্বকাপটা পাই। বিশ্বকাপ আমি বার্সেলোনায় রেখেছি। আমার অর্জন করা সব ট্রফি ও পুরস্কার বার্সেলোনাতেই রয়ে গিয়েছে।” ইন্টার মায়ামির তারকা ফুটবলার এখনও ভুলতে পারেননি ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ার ঘটনা। তাই সাক্ষাতকারে প্রসঙ্গটা উঠতেই একদা বার্সেলোনায় খেলা তারকাকে বলতে শোনা যায়,“খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। বিশেষ করে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে যাওয়াকে মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। তিন বছর আগে হাতে ট্রফি তোলার পর সেই কষ্ট ভুলতে পেরেছি। এখন আমার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে। সেবার জিতলে আমার দুটো বিশ্বকাপ পাওয়া হয়ে যেত।” মেসি খেলছেন, আর্জেন্টিনা ট্রাইবেকারের মুখোমুখি হয়েছে, তাহলে প্রথম শট নিতে প্রতিবারে দেখা গিয়েছে মেসিকে এগিয়ে যেতে। ২০১১ সালে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে হোক, কিংবা ২০২২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেই হোক, প্রতিবারে মেসিকে দেখা গিয়েছে বল নিয়ে পেনাল্টি স্পটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে শুধু দুটি ঘটনা নয়, এইরকম মেসির জীবনে একাধিকবার ঘটনা ঘটেছে। “আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলি কিংবা ক্লাব দল, সবক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের কঁাধে নিয়ে নিই। এটাই আমার করতে ভালোলাগে। তাই বারবার এটাই করে এসেছি।”জানিয়েছেন মেসি। বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র দল মিলিয়ে বার্সেলোনায় ২১ বছর কাটিয়েছেন মেসি। ২০২১ সালে বার্সা ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন পিএসজিতে। মাত্র দু-বছর সেখানে খেলে চলে আসেন ইন্টার মায়ামিতে। পিএসজি ছাড়ার পর কেন বার্সেলোনায় ফিরে গেলেন না জানতে চাইলে মেসি বলেন, “বার্সেলোনার প্রতি আমার একটা টান বরাবর রয়ে গিয়েছে। তাই পিএসজি ছাড়ার পর ঠিক করেছিলাম, ফিরে যাব বার্সায়। নানান কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিই। তবে এখানে এসে খেলাটাকে দারুন উপভোগ করছি। আসলে ইন্টার মায়ামিতে আসার পর দেখছি, ক্লাবের প্রসার ধীরে ধীরে বাড়ছে। এখানে অনেক স্বপ্ন পূরণ করাই লক্ষ্য। তবে বার্সা ছাড়া ইউরোপের আর কোথাও খেলার ইচ্ছে আমার ছিল না। তাই যাইনি।” পিএসজিতে তঁার খুব একটা ভালোলাগতো না তা এই সাক্ষাতকারে সরাসরি জানিয়েছেন মেসি। “কঠিন দুটো বছর আমার কেটেছে পিএসজিতে। আসলে সেখানকার প্রতিদিনের জীবন ও অনুশীলন আমার বিশেষ ভাললাগতো না। আমি সবসময় চেয়েছি, পরিবারকে ভাল রাখতে। তাছাড়া জীবনে আমি যেটা পছন্দ করি সেই বিষয়টাকে উপভোগ করতে। পিএসজিতে থাকাকালীন সেইগুলোতে খামতি থেকে যাচ্ছিল।” বলেন মেসি।
৩৫ বছর পর বাবাকে ছুঁলেন, আইবিএসএফ ওয়ার্ল্ড বিলিয়ার্ডস চ্যাম্পিয়ন সৌরভ কোঠারি

আবার বিরাট সাফল্য সৌরভ কোঠারির। ২০২৫ আইবিএসএফ ওয়ার্ল্ড বিলিয়ার্ডস চ্যাম্পিয়ন হলেন সৌরভ। তিনি হারালেন আর এক ভারতীয় আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন পঙ্কজ আদবানিকে। ৩৫ বছর আগে ১৯৯০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সৌরভের বাবা বিলিয়ার্ডসের কিংবদন্তি মনোজ কোঠারি। সৌরভ হলেন তৃতীয় ভারতীয় যিনি আইবিএসএফ ও ডব্লুবিএল ওয়ার্ল্ড বিলিয়ার্ডস খেতাব জিতেছেন। স্নুকার ও বিলিয়ার্ডস আয়ারল্যান্ড অ্যাকাডেমিতে বিশ্বসেরার খেতাব জিতলেন সৌরভ কোঠারি। ফাইনালে পঙ্কজকে হারালেন সৌরভ, কিন্ত দুর্ধর্ষ এক ম্যাচের সাক্ষী থাকল আয়ারল্যান্ড অ্যাকাডেমি। পঙ্কজ যেখানে স্কার করেছেন ৪৮০ সেখানে সৌরভের স্কোর ৭২৫। ম্যাচের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে শেষ হাসি হাসলেন সৌরভ। এই প্রথমবার তিনি আইবিএসএফ বিশ্ব খেতাব জিতলেন। একই সঙ্গে সমৃদ্ধ করলেন পারিবারিক ঐতিহ্যকে। ফাইনালে ওঠার পথে সেমিফাইনালে হারিয়েছেন একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইংল্যান্ডর কিংবদন্তিকে।
সিনারের শাস্তি দেখে বিস্মিত সেরেনা

সেরেনা উইলিয়ামস জানিয়ে দিলেন, তিনি যদি এভাবে ডোপ টেস্টে ধরা পড়তেন তাহলে তঁাকে পেতে হত কমপক্ষে ২০ বছরের সাজা। যার পরে আর টেনিস কোর্টে ফিরে আসা সম্ভব নয়। তার মানে সেরেনা উইলিয়ামস বুঝিয়ে দিলেন, টেনিসে বর্ণবাদের চেহারাটা বড্ড প্রকট। আসলে ২০২৪ সালে তঁার শরীরে পাওয়া গিয়েছিল নিষিদ্ধ ক্লোস্টবল। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা এবং কোর্ট অব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সিতে শাস্তির মেয়াদ কমানোর জন্য আবেদন করেন সিনার। তঁার সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র তিন মাসের জন্য তঁাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অথচ ডোপ টেস্টে কেউ ধরা পড়লে দীর্ঘমেয়াদি সাসপেনশনের আওতায় তঁাকে ফেলে দেওয়া হয়। সিনারের মাত্র তিন মাসের জন্য শাস্তি হওয়ায় টেনিস মহল ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা, নিক কিরিয়স, মেদভেদেভ, এমন কী পরে হলেও মুখ খুলেছেন নোভাক জকোভিচ। সকলের বক্তব্যে স্পষ্ট ধরা পড়ে, ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার পর মাত্র তিন মাস সাসপেনশনে রাখা মোটেই মানা যায়না। তাই সেরেনা টিপ্পনী কেটে বলেছেন, “জানিনা সিনার এমন কান্ড ঘটানোর পর কেন তিন মাস শাস্তি দেওয়া হল। অথচ আমি যদি একইরকম কান্ড ঘটিয়ে বসতাম তাহলে কম করে ২০ বছরের জন্য সাসপেনশনের আওতায় ফেলা হত। শুধু তাই নয়, হয়তো আমার জেতা প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফিও হয়তো ফেরত নিয়ে নেওয়া হত।” বলেছেন সেরেনা। তাই বলে তিনি যে সিনারকে অপছন্দ করেন তাও নয়। বরং পছন্দের তালিকায় সেরেনা রেখেছেন সিনারকে উপরের সারিতে। সেইজন্য সেরেনাকে বলতে শোনা যায়, “সিনারকে আমি খুব পছন্দ করি। সিনারকে সরাসরি দোষারোপ করতে চাই না। তবে টেনিসকে আমি প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি। নিঃসন্দেহে টেনিসে তার অবদানকে ভোলা যাবেনা। তাই কারও খারাপ কিছু হোক তা মোটেই চাইব না। ছেলেদের টেনিসে তঁাকে দরকার।” সিনার ছাড়াও মেয়েদের টেনিস তারকা ইগা সিওনতেকও ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছেন। সম্প্রতি ধরা পড়া ইগাকে মাত্র এক মাসের জন্য সাসপেনশনে রাখা হয়েছে।
জয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন হার্দিকরা

সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ ৫ উইকেটে ১৬২ (২০ ওভার) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সঃ ৬ উইকেটে ১৬৬ ( ১৮.১ ওভার) দক্ষিন আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেইল স্টেইনের কথা মিলল না। ২৩ মার্চ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ১৭ এপ্রিল আইপিএলে দারুন কিছু একটা হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে কোনও দল তিনশো রান করতে পারেনি। গত মরশুমে হায়দরাবাদ ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছিল। এবার তিনশো হবে। এবং সম্ভবত হায়দরাবাদ এমন রেকর্ড করবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত কি দেখা গেল। স্টেইন কি দুদলের রান যোগ করে তিনশোর কথা বলেছিলেন! সেটাই বা হয় কি করে। এমন রান তো প্রায় রোজ হচ্ছে। স্টেইন বুঝতে পারেননি আইপিএলের ম্যাচ নাগাড়ে হওয়ার কারনে উইকেটের অবস্থা কঠিন হয়ে পড়ছে। সেই উইকেটে স্ট্রোক খেলা সহজ নয়। সেটাই হল হায়দরাবাদের ম্যাচে। মুম্বইয়ের আঁটোসাটো বেলিংংয়ের সামনে তার অনেক লড়ে ১৬২ রান করল। এই রান নিয়ে ম্যাচ জেতা যায়! জেতা যায়। এবং সেটা করে দেখিয়েছে পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা। হায়দরাবাদ দলে চাহালের মতো স্পিনার ছিলেন না। তাঁরা মোটামুটি পেসারদের দিকে তাকিয়ে ম্যাচ বের করার কথা ভেবেছিলেন। তই কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স ১১ বল বাকি থাকতে চার উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। এই জয়ের পর একটা কথা বলতেই হয় যে তারা জয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে। টানা দুটি ম্যাচ জিতে মুম্বই ধরে ফেলেছে কেকেআরকে। রানের গড়ে কেকেআর একধাপ সামনে থাকলে কি হবে, এই এগিয়ে থাকার কোনও অর্থ হয় না। উল্টোদিকে শামি, কামিনসরা থাকায় শুরুর লড়ই কঠিন ছিল। কিন্তু রোহিত শর্মা থাকলে কোনও কিছু কঠিন বলে মনে হয় না। রোহিত বড় রানর ইনিংস খেলতে পারছেন না। কিন্তু শুরুটা যেভাবে করে দিচ্ছেন, তারপর উপর দাঁড়িয়ে মিডলঅর্ডাররা এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়ে যাচ্ছেন। এদিন শামিকে দুটি ভার বাউন্ডরি মারলেন। কামিনসকে একটি। ১৮ বলের ইনিংসে রোহিতের ব্যাট থেকে এল তিনটি ওভার বাউন্ডারি। ব্যক্তিগত ২৬ রান করে তিনি ফিরে গেলেন। গেলেন অদ্ভুতভাবে। কামিনসের একটি লো ফুলটস ড্রাইভ মারতে গিয়ে কভারে হেডের হাতে তুলে দিলেন। রোহিত ফিরে যাওয়ার পর মুম্বই ম্যাচ ঠিকমতো ধরতে পারেনি। একজন ব্যাটসম্যানও বড় রানের ইনিংস খেলতে পারলেন না। ম্যাচের সেরা উইল জ্যাক ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ২৬ বলে করলেন ৩৬ রান। কিন্তু বাকিরা! তাঁদের ব্যাট থেকে বড় রান কোথায়! সূর্য (২৬) হার্দিক (২১) এবং তিলক বর্মা (২১ অপরাজিত) রান পেলেও বড়মুখ করে বলার মতো নয়। কামিনস আবার তিন উইকেট নিয়ে চাপ তৈরি করায় মুম্বইয়ের একসময় ৪২ বলে ৪২ রান দরকার ছিল। সেই সময় হার্দিক লম্বা শট খেলে রানের ব্যবধান কমিয়ে আনেন। তাঁর ৯ বলে ২১ রান দলের জয়কে কাছে েনে নিয়ে আসে। কিন্তু হার্দিক ও নমন পরপর আউট হয়ে যাওয়ার পর তিলকের এক রিভর্স সুইপে বাউন্ডারি আসতেই মুম্বই জিতে যায়। একটা জিনিস অবাক লাগছে। আইপিএলে খেলতে নেমে বুমরাকে সেই মেজাজে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ৪ ওভারে ২১ রান দিলেন। উইকেট মাত্র একটি। কিন্তু তাঁর দিকে দল যে কারনে তাকিয়ে থাকে, সেই ফর্ম কোথায়! শামিও তেমন। ৩ ওভারে দিলেন ২৮ রান। উইকেট নেই। এঁরা উইকেট না পেলে ভারত আগামি জুনে ইংল্যান্ড খেলতে যাওয়ার আগে স্বপ্ন দেখার সাহস পাবে তো! এটা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। ছবি-ফেসবুক(মুম্বই ইন্ডিয়ান্স)
ফের চোটের কবলে নেইমার

আবার চোটের কবলে পড়লেন নেইমার। বৃহস্পতিবার স্যান্তোস মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের লিগ সিরি আতে অ্যাথলেটিক মিনেইরোর বিপক্ষে। সেই ম্যাচে স্যান্তোস ২-০ গোলে জিতে যায়। কিন্তু প্রথম ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার আগেই পুরোন চোট উরুতে ফের আঘাত পেলেন নেইমার। বহু আশা নিয়ে স্যান্তোসে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। ভেবেছিলেন পুরোন ক্লাবে খেলে নিজেকে ফিট করে তুলবেন। ফিরে যাবেন ব্রাজিলের জাতীয় দলে। কিন্তু একের পর এক চোটের কবলে পড়ে জর্জরিত হয়ে যাচ্ছেন নেইমার। শেষ কবে তিনি পুরো মরশুম চোট বিহীন অবস্থায় কাটিয়েছেন তা খঁুজে পেতে গেলে ফিরে যেতে হবে ২০১৬-১৭ সালে। যেবার তিনি সারা মরশুমে ৩৫ ম্যাচ খেলে ছিলেন। বৃহস্পতিবার যখন বঁা পায়ের উরুতে চোট পেয়ে বসেন তখন খেলার বয়স হয়েছে মাত্র ৩৭ মিনিট। ততক্ষণে স্যান্তোস ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছে। চোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে ইশারা করতে থাকেন। জানিয়ে দেন, তঁাকে যেন বসিয়ে দেওয়া হয়। কার্টে করে যখন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তঁার দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। নেইমার ভক্তরা তখন বুঝে গিয়েছিলেন, তঁাদের প্রিয় নায়ক ফের চোটের কবলে পড়েছেন। কবে ফিরবেন কেউ জানে না। নেইমার তখন কেঁদেই চলেছেন। আসলে নেইমারের চোট পাওয়া এখন কোনও বড় খবর নয়। সকলে জেনে গিয়েছেন, বড়জোর দুটো ম্যাচ টানা খেললে তঁাকে একটা ম্যাচে বিশ্রাম দিতে হয়। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা ছিল নেইমারের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। স্যান্তোসের নিজস্ব মাঠ ভিলা বেলমিরোয় নেইমার খেলতে নেমেছিলেন শততম ম্যাচ। সেইজন্য তঁাকে ক্লাবের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল ১০০ লেখা বিশেষ জার্সি। ৩৪ মিনিট মাঠে ছিলেন। চোট পেয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে গিয়ে বসে পড়ার পর দেখা যায় ব্যাথার জায়গায় বরফ ঘষছেন। এমনিতেই ক্লাবের হয়ে খেলা তঁার কাছে এখন অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। জাতীয় দল তো সেখানে দূর অস্ত। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। সৌদি প্রো লিগ থেকে তিনি সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে আল হিলালের চুক্তি বাতিল করে বহু আশা নিয়ে ফিরে এসেছিলেন পুরোন ক্লাব স্যান্তোসে। এখনও অব্দি মাত্র ৯টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অথচ একটা ম্যাচ বাদে বাকি আটটা ম্যাচে তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। এইভাবে যদি তঁাকে ক্রমাগত চোটের কবলে পড়তে হয় তাহলে এখন থেকে বলেই দেওয়া যায়, জাতীয় দলে তঁার পক্ষে ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে গেল।
চাকরি গেল নায়ার ও দিলীপের

আইপিএলের মাঝে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় সিনিয়র দলের তিনজনের চাকরি গেল। আগেই জানা গিয়েছিল, বোর্ড কর্তারা দলে সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চান। তাই জাতীয় দলের কয়েকজন চাকরি হারাতে পারেন। সরকারিভাবে তখন এই খবরের ঘোষনা হয়নি। অবশেষে কর্তারা খবর নিশ্চিত করলেন। তাঁরা জানিয়ে দিলেন, সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার. ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ও ট্রেনার সুমনকে আপাতত জাতীয় দলে রাখা হচ্ছে না। তাঁদের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করা হল। সোজা বাংলায় বলতে গেলে এটাই বলতে হয় যে তাঁদের তিনজেনর চাকরি গেল। এখন সহকারি কোচের দায়িত্ব পালন করবেন রায়ান দুশখাতে। ফিল্ডিংও তিনি দেখবেন। ট্রেনার হিসেবে একজন বিদেশীকে নিয়ে সা হবে। তিনি আপাতত পাঞ্জাব কিংসের দায়িত্বে আছেন। আইপিএল শেষ হওয়ার পর তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তিনজনের কেন চাকরি গেল। শোনা যাচ্ছে, ড্রেসিংরুমের অন্দরমহলের খবর বাইরে আনার জন্য তাঁদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এমনটাই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিষোগ। এর সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। কীভাবে প্রমান হল যে তাঁরা ড্রেসিংরুমের অন্দরমহলের খবর বাইরে আনছেন। না, এমন কোনও প্রমান হাতে আসেনি। ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সময় ড্রেসিংরুমের বেশ কিছু খবর বাইরে এসেছিল। কী করে তা বাইরে এল তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। তখন উত্তর মেলেনি। বোর্ড কর্তারা নাকি এরপর খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, এঁরা খবর বাইরে এনেছেন। এ ব্যাপারে কেন মর্কেল বা দুশখাতের নাম সামনে এল না! বিদেশি বলে কি তাাঁরা পার পেয়ে গেলেন। হতে পারে। হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের পছন্দের তালিকা থেকে একজনকে শুধু ছেঁটে ফেলা হল। জাতীয় দলের কোচ হয়ে সহকারি হিসেবে গম্ভীর চেয়েছিলেন অভিযেক নায়ারকে। সঙ্গে মর্কেল ও দুশখাতেকে। টি দিলীপ আগেই ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে গম্ভীরের পছন্দ না হলেও তিনি মেনে নেন। এবার সুযোগ বুঝে কোপ দেওয়া গেল। গম্ভীর সবসময় চেয়ে এসেছেন বিদেশি কোচেদের নিয়ে তিনি কাজ করবেন। কিন্তু জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে তিনি নানা সাক্ষাৎকারে বলে এসেছেন, দেশীয় কোচদের কেন দায়িত্ব দেওয়া হবে না। তিনি নিজে যখন দায়িত্ব পেলেন, তখন সেই বিদেশির পিছনে ছুটলেন। ফিল্ডিং কোচ হিসেবে তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিলেন জন্টি রোডস। বোর্ড বাতিল করে দিয়ে দিলীপকে কজ চালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আটমাসের মধ্যে সব কিছু বদলে গেল। নায়ার, দিলীপ, সুমনদের চাকরি গেল। এ নিয়ে কিন্তু গৌতম গম্ভীরের কোনও কথা শোনা যায়নি। তিনি কেন চুপ করে থাকলেন। বোর্ড সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা কমাতে চায়। তা হলে এতদিন দুশখাতের ভূমিকা কি ছিল! জাতীয় দলে দুজন সহকারি কোচ! ভাবা যায়! এভাবেই নিজের পছন্দের লোক নিয়ে হেড কোচ চলেছেন। এবার সুযোগ বুঝে ভারতীয় কোচদের ছাঁটাই করে দিলেন। গম্ভীর চাইলি কি এঁদের চাকরি যেত! বিশ্বাস করা কঠিন। এখন দেখার ব্যাপার এটাই যে ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে কেমন রেজাল্ট হয়। তারপর আবার দেখা যেতে পারে কাদের চাকরি থাকে, আর কাদের চাকরি যায়।
লাল বলের ক্ষেত্রেই স্যালাইভা দরকারঃ স্টার্ক

মহম্মদ শামির সঙ্গে একমত হতে পারছেন না মিচেল স্টার্ক। শামি ডানদিকে গেলে স্টার্ক হাঁটছেন বাঁদিকে। বুধবার রাতে অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসকে সুপার ওভারে হারানোর পর দিল্লি ক্যাপিটালসের মিচেল স্টার্ক বলেন, সাদা বলের পালিশ ঠিক রাখতে স্যালাইভা বা থুতুর ব্যবহার না হলেও চলে। শরীরের ঘামে বলকে পালিশ করে নেওয়া যায়। বল চকচকে থাকে। পেস বোলাররা যা চায়, তা ঘাম ব্যবহার করলেই হয়। এটা দরকার লাল বলের ক্রিকেটে। সেখানে স্যালাইভা ন হলে পালিশ ধরে রাখা যায় না। পাকিস্তান ও দুবাইয়ের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় মহম্মদ শামি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, স্যালাইভা ব্যবহার না করলে পেস বোলারদের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। করোনা কালে এটা বন্ধ করে দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু এখন তো করোনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তা হলে ক্রিকেটে কেন স্যালাইভাকে ফিরিয়ে আনা হবে না। এর ব্যবহার না করলে পেসাররা রিভার্স সুইং ঠিকভাবে করাতে পারছে না। আমার তো বিশ্বাস স্যালাইভা বা থুতুর ব্যবহার আবার করা গেলে পেসাররা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। শামির সাক্ষাৎকারের পর আইসিসি ব্যান তুলে না নিলেও এবারের আইপিএলে স্যালাইভা ক্রিকেটে ফিরিয়ে এসেছে। আইপিএলে পেসাররা থুতু ব্যবহার করতে পারছে। এটাই কি পেসারাদের বাড়তি সুবিধ করে দিয়েছে! স্টার্ককে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সাদা বলের ক্ষেত্রে স্যালাইভার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমার বিশ্বাস ওয়ান ডে বা টি২০ ফরম্যাটে পেসাররা বলকে ঘেমে যাওয়া শরীরে লাগাতে পারলে সুবিধা হয়ে যায়। এগুলি ছোট ক্রিকেট। স্যালাইভা ব থুততু দরকার পড়ে লাল বলের ক্রিকেটে। সেখানে পাঁচদিনের খেলা। বলের পালিশ ঠিক রাখতে শরীরের ঘামে তা ধরে রাখা সম্ভব হয় না। স্যালাইভা ব্যবহার করলে পালিশ ঠিক থাকে। অন্যদের কথা বলতে পারব না। আমার মতে, স্যালাইভা সাদা বলে না লাগালেও চলে। লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে নামলে সেখানে আমি সবসময় চাইব স্যালাইভা যেন ব্যবহার করতে পারি। আসলে স্টার্কের সামনে এই প্রশ্ন উঠে এসেছিল অন্য এক কারনে। বলা যায়, তাঁর দাপটেই রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচটি হারে। নির্দিষ্ট সময়ে ম্যাচ জিততে রাজস্থানের দরকার ছিল শেষ ওভারে ৯ রান। টি২০ ফরম্যাটে এই রান না করার কারন নেই। কিন্তু রাজস্থান আটকে যায় স্টার্কের পেসের সামনে। টানা ইয়র্কার করে ব্যাটসম্যানদের বড় স্ট্রোক নেওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। পুরান বা জুরেল, কেউই তাঁর বোলিংয়ের সামনে বড় স্ট্রোক নিতে পারেননি। শেষ ওভারে তাঁরা দুজনে ৮ রান তুলে ম্যাচ টাই করেন। ফলে ম্যাচ চলে যায় সুপার ওভারে। সেখানেও এক ছবি। এবার পুরানের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন রিয়ান পরাগ। তাঁদের সামনে যথারীতি স্টার্ক। এবারও তাঁরা আটকে গেলেন। ১১ রানের বেশি রাজস্থান করতে পারল না। তার অবশ্য পাঁচ বল খেলে ইনিংস শেষ করেন। তার আগে দুজন ব্যাটসম্যান রান আউট হওয়ায় শেষ বল খেলার সুযোগ হয়নি রাজস্থানের। দিল্লি দুই ওপেনার কে এল রাহুল ও স্টাবস চার বল খেলে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। দিল্লি জিতল। আসলে জিতলেন মিচেল স্টার্ক। তাঁর দুটি ওভার রাজস্থান ব্যাটসম্যানদের সামনে কঠিন হয়ে দাঁড়াল। এবার মেগা অকশন থেকে ১১.৭৫ কোটি টাকায় স্টার্ককে দলে নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কর্তারা। তাঁর দাম তিনি এই ম্যাচে দিয়ে দিলেন। আর খেলা দেখে কেকেআর কর্তারা নিশ্চয় আফসোস করেছেন। তাঁরা অকশনে স্টার্কের পিছনে ছুটতে রাজি ছিলেন না। দলে ভাল পেসার না থাকা সত্বেও কেন এমন ভাবনা তার ব্যাখ্যা নেই। এই হতাশা রাজস্থান ম্যাচে স্টার্ককে দেখে নিশ্চয় তাঁদের বেশি হয়েছে।