প্রিমিয়ার ডিভিসন শুরু ২৫ জুন

কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিসনের খেলা ২৫ জুন শুরু হচ্ছে। একথা জানিয়ে দিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। যদিও এখনও কলকাতা লিগের উপর মামলা চলছে। তবু আইএফএ সচিব জানালেন, কলকাতা লিগ চালু করতে কোনও সমস্যা হবে না। তার আগেই পুরো ব্যাপারটা সমাধান হয়ে যাবে। সুতরাং এবার প্রিমিয়ার ডিভিসন লিগ চালু করতে আর কোনও সমস্যা রইল না। বুধবার ছিল কলকাতা লিগ সাব কমিটির সভা। সেই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগের মতোই গ্রুপ ভাগ করে খেলা হবে। “দেখুন আমার কাছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল বা মহামেডান বলে কথা নয়। ২৬টা দল প্রিমিয়ার ডিভিসনে খেলে। সেইরকম ভাবেই প্রতিটি দলকে আমি সমান চোখে দেখব। তবে জনসমর্থন আছে তিন প্রধানে এটা মানছি। তারমানে এই নয় যে, আলাদা করে তাদেরকে নিয়ে ভাবতে হবে।” জানিয়ে দিলেন অনির্বাণ। মে মাসের মধ্যে যে শিল্ড শুরু হবে তাও জানিয়ে দিলেন আইএফএ সচিব। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু মে মাসে শিল্ড করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে আইএফএ। গত দুবছর ঐতিহ্যবাহী শিল্ড হয়নি। এবারও যদি না হয় তাহলে আইএফএ-র গায়ে কাদা লাগবে। সেই কাদা যাতে না লাগে তারজন্য আইএফএ চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না। অনির্বাণ বলছিলেন, “আমরা মে মাসের মধ্যে শিল্ড করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মনে হয় করা যাবে। তবে সিনিয়র দল নিয়ে শিল্ড করা সম্ভব নয়। তাই আমরা জুনিয়র দলগুলোকে নিয়ে করব। যাইহোক শিল্ড করার জন্য আমাদের চেষ্টার কোনও ত্রুটি থাকবে না। সেই পথেই আমরা এগোচ্ছি।” “” “”
আবেগ নয়, ঐতিহ্যকেও সঙ্গে নিয়ে ছুটছে সিএসকে: সিমন্স

এটাই ঘটনা। এটাই বাস্তব। চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ এরিক সিমন্স মিডিয়র সামনে এসে যা বলে গেলেন, তার সঙ্গে সবাই একমত। ধোনিদের দলের সঙ্গে আবেগ কাজ করে না একথা বলা যাবে না। তবে সেটাই শেষ কথা নয়। দলের একটা ঐতিহ্য আছে। সেটা আবার আবেগের থেকে বড় ব্যাপার। তাই কোনও ম্যাচই তারা হাল্কাভাবে নেয় না। জিততে হবে, এটাই লাস্ট বেঞ্চে বসে থাকা দলের প্রত্যেকের টার্গেট। শেষ ম্যাচে বেঙ্গলুরুর বিরুদ্ধে যে লড়াই তারা করেছিলেন, তা কেকেআরের সামনে মেলে ধরলে রাহানেদের কপালে দুঃখ আছে। তাই সিমন্স বলছিলেন, আমরা এখন নির্ভর করছি, ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের উপর। সেটা ঠিক হলে ম্যাচ জেতা কঠিন হবে না। এখনও পর্যন্ত দুটি ম্যাচ জিতেছে সিএসকে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তারা হারিয়েছিল মুম্বইকে। তখন কে ভেবেছিলেন, এরপর এই দল মুখ থুবড়ে পড়বে। শেষপর্যন্ত সেটাই হয়েছে। হারতে হারতে যেন ক্লান্ত সিএসকে। একটা জয় তাদের অনেক কিছু ফিরিয়ে দেবে। একসময় ভারতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন বোলিং কোচ সিমন্স। তারপর ঢুকে পড়েন আইপিএলে। তিনি ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের সেন্টিমেন্ট ভাল মতো জানেন। আর জানেন বলেই বলতে পারছেন এই সব ঐতিহ্যর কথা। আইপিএলের ইতিহাসে সিএসকের এত বাজে পারফরম্যান্স আগে কখনও দেখা যায়নি। গতবছরও তারা প্লে অফে যেতে যেতে ছিটকে গিয়েছে। আরসিবি ম্যাচ জিততে পারলে প্লে অফ খেল সুবিধা হত। কিন্তু তা আর হয়নি। আর এবার! দশ দলের টুর্নামেন্টে তারা এখন দশ নম্বরে। কী বলবেন ধোনি! না বলার মতো ভাষা নেই। নিজের ঘাড়ে ব্যর্থতার দায় নিলেও কে আর তাঁকে টার্গেট করেন। একা ধোনি নন, পুরো দলকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। সিমন্স বলছিলেন, ধোনি কখন নিজেকে নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবে না। দলের তরুন ক্রিকেটারদের দিকে ওর নজর থাকে। তাদের সামনে চলার পথ সহজ করে দেয়। এই যেমন আয়ুষ মাত্রে। ছেলেটিকে নিয়ে ধোনি ধারুন আশাবাদী। এমন অনেক ছেলেকে দেখা যাবে, যারা প্রথমবার দলে এসে ধোনিকে কাছে পেয়ে ছুটে যায়। ওর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করে। এতে অবশ্য ওদের কাজ সহজ হয়ে যায়। সিমন্সের কথা মেনে নিলেও বলতে হবে যে তরুনদের নিয়ে সিএসকে চলার কথা ভাবলেও উরভিল প্যাটেলের কি হল। ভন্স বেদি আরসিবি ম্যাচে দলে প্রায় ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাঁটুতে চোট পেয়ে সরে যেতে হয়েছে। এমনকি এই মরশুমে তিনি খেলতে পারবেন না। তাঁর বদলি হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে ২৬ বছরের গুজরাটের উরভিল প্যাটেলকে। তিনি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তঁকে কেন কলকাতায় নিয়ে এল না সিএসকে। তাঁর তো সই হয়ে গিয়েছে। দলের অন্যতম কর্তা কাশী বিশ্বনাথ বলেই দিলেন এই দলের সঙ্গে উরভিল ট্রাভেল করছে না। কেন! এর উত্তর মেলে নি। এখানে তো উরভিলকে খেলিয়ে দেখে নিতে পারত সিএসকে। সেটা না হওয়ায় আশা করা যেতে পারে যে রাহানের সঙ্গে ইডেনে টস করতে নামবেন ধোনি স্বয়ং। ট্রায়ালে ডাকা ক্রিকেটারদের পছন্দ হলে এবারের আইপিএলে খেলিয়ে যাচাই করার সুযোগ ছিল। সেটা করতে দেখা গেল না সিএসকে-কে। দলের সঙ্গে এসেছেন অশ্বিন। তিনি খেলবেন কিনা তা জানা যায়নি। এটা কেমন হল! এর উত্তর কে দেবেন। আসলে এই মরশুমে সিএসকে এভাবেই চলছে। আর চলছে বলে রেজাল্ট দিতে পারছে না। এখন দেখা যাক ইডেনে সিএসকে কি করে।
ছন্দ ধরে রাখতে পারলে প্লে অফে যাওয়া সম্ভব: পন্ডিত

দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়া সহজ ছিল না। দারুন লড়াই করে কেকেআর দুটি ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে নিজেদের একটা জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। এই জায়গা থেকে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন দেখা যায়। সেই স্বপ্ন কেকেআরও দেখছে। মনে করছে, মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারলে শেষ চারের লড়াইয়ে ঢুকে পড়া সম্ভব। ক্রিকেটাররা সেই চেষ্টাই করছেন। এখন অপেক্ষা বুধবার ধোনিদের বিরুদ্ধে কেমন খেলে কেকেআর। মঙ্গলবার শেষ বিকেলে কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসে জানিয়ে গেলেন, শেষ দুটি ম্যাচ আমদের ছেলেরা যে ক্রিকেট খেলেছে, সেটাই ওদের আসল খেলা। অনেকদিন পর ওরা একটা দল হিসেবে খেলেছে। এটাই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। সেই সাফল্য দেখতে ক্রিকেটপ্রেমীরা আবার মাঠে আসবেন। এবারও কি জয় দেখা যাবে। এখন তারা এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেখানে একটি ম্যাচ হাতছাড়া হলে টুর্নামেন্টের বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে। সেটাও ক্রিকেটাররা জানেন। তাই প্রতিপক্ষ দলে কে আছেন, সেদিকে না তাকিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে চান। সেটা হলে জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। পন্ডিত মানছেন। বলছেন, প্রতিপক্ষ ধোনির দল। ধোনি মাঠে নামলে গ্যালারির চেহারা কেমন হয়, তা আমরা জানি। ওদের দিকে সমর্থন তখন অনেকটাই চলে যাবে। তবু বলছি, আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবতে চাই। ওদের আলোচনায় আনার দরকার নেই। কে আছে বা কে নেই, সেদিকে নজর না দিয়ে নিজেরা সেরাটা তুলে ধরতে পারলে ম্যাচ জিতব। আমি এই নীতিতে বিশ্বাস করি-একটা দল হিসেবে খেলতে পারলে সাফল্য আসবেই। সেটাই এখন কেকেআরের মন্ত্র। এর বাইরে অন্য কিছু নেই। রাজস্থান ম্যাচে কেকেআরের ফিল্ডিং ভাল হয়েছে। ভাল ফিল্ডিংয়ের কারনেই তারা ম্যাচ জিতেছে, এমন বললেও ভুল হয় না। বৈভবের ক্যাচ রাহানে যেভাবে ধরলেন তাকে কী বলা যাবে। আবার রিঙ্কু সিং ফিল্ডিং দারুন জায়গায় নিয়ে যেতে না পারলে রাজস্থান ম্যাচ জিতে যায়। কী অসাধারন ফিল্ডিং করেছেন তাঁরা। অন্তত শেষ ওভারে রিঙ্কু শরীরকে স্লাইডিং করে যে বাউন্ডারি আটকে দেন, সেটাকে কী বলা যাবে। না হলে কেকেআর শেষ ওভারে ম্যাচ হারে। পন্ডিত সবই মানছেন। বলছেন, এটাই টিম গেম। একটা দলের সাফল্য নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং। প্রথম দুটি ঠিক করে আপনি যদি ফিল্ডিংয়ে আলগা দেন, তা হলে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। রাজস্থান ম্যাচে আমরা তা হতে দিইনি। তাই জিতেছি। আরও একট ব্যাপার আছে। সেদিন রাসেলকে পাঁচ নম্বরে নামিয়ে কেকেআর চমক দিয়েছে। এখন কি সেই ভাবনা সামনে রেখে কেকেআর ছুটবে। এবার কিন্তু অনেকটাই ব্যাকফুটে পন্ডিত। তিনি বলছেন, আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করব। রিঙ্কু, আইয়ারও ফিট। ওদেরও আগে নামিয়ে দেওয়া যেতে পারে। রাসেল তো আছেই। তাই এখনই বলা যাবে না আমাদের ব্যাটিং অর্ডার কেমন হবে। ম্যাচ যেভাবে চলবে, আমাদের ভাবনা সেভাবেই ছুটবে। তারপর অন্য ভাবনা।
কালিঘাটে তলিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ এভাবেই হারিয়ে গিয়েছে কালিঘাট রক্ষণের সামনে।
রেফারির দেখা নাই রে, দেখা নাই

ভবানীপুর মাঠে ফুটবলাররা ঠায় রেফারির অপেক্ষায় বসে।
জামশেদপুরকে সাফল্য দেওয়ার পুরস্কার, খালিদ জামিলকে অনূর্ধ্ব ২৩ জাতীয় দলের দায়িত্ব দিতে চায় ফেডারেশন

জামশেদপুরকে সাফল্য এনে দেওয়ার পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ খালিদের সামনে। খালিদ জামিলকে ভারতের অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। আগামি বছরের এশিয়ান গেমস ও এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের জন্য তাঁকে কোচ করতে চায় ফেডারেশন। তবে একই সঙ্গে তিনি ক্লাব কোচিংও করার সুযোগ পাবেন। এবার এআইএফএফের বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন জামশেদপুর এফসির কোচ খালিদ। জামশেদপুরকে আইএসএলের সেমিফাইনালে ও সুপার কাপের ফাইনালে তুলেছিলেন খালিদ জামিল। জামশেদপুর এফসির সিইও মুকুল চৌধুরি জানান, এআইএফএফ তাঁদের ও খালিদকে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে জানিয়েছে। এটা খালিদের সিদ্ধান্ত। এখনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। ফেডারেশন তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চায়, খালিদ ফেডারেশনের পছন্দ হলেও তিনি এখনও এ ব্যাপারে মনস্থির করেননি। কম বাজেটের দল নিয়েও জামশেদপুরকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। আইএসএলের প্লে অফে তোলেন। সেমিফাইনালে লিগের সেরা দল মোহনবাগানের কাছে অল্পের জন্য হার মানেন। প্রথমবার সুপার কাপের ফাইনালে তোলেন জামশেদপুরকে। সিনিয়র জাতীয় দলের কোচ মানালো মার্কুয়েজও বলেন, পারফরম্যান্সের কথা ভাবলে নিঃসন্দেহে খালিদ জামিল ভারতের সেরা কোচ। এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবলাররাই খেলেন। মাত্র তিনজন বেশি বয়সের ফুটবলার খেলানো যায়। অন্যদিকে ২০২৬ এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের ড্র হবে ২৯মে কুয়ালালামপুরে।
কোহলির সমালোচকদের কড়া ভাষায় বিঁধলেন এবি ডিভিলিয়ার্স

আবার বন্ধু বিরাট কোহলির প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত এবি ডিভিলিয়ার্স। কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যাঁরা, সেই সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন এবি। সমালোচকদের তালিকায় ছিলেন সুনীল গাভাসকর ও বীরেন্দ্র সওয়াগ। নিজের ব্যাখ্যা দিয়ে সবাইকেই জবাব দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি। সিএসকের বিরুদ্ধে কোহলির দুরন্ত ৬২ রান কঠিন ম্যাচে আরসিবিকে ২ রানে জিততে সাহায্য করে। একই সঙ্গে টেবিলের শীর্ষে চলে যায় আরসিবি। তারপর ডিভিলিয়ার্স বলেন, “বিরাট সব সময়ই আছে। ও আরসিবির মিস্টার সেফটি। ও যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই। এটাই ঘটনা। কোনও কিছুই বদলায়নি। ৬২ রানের ইনিংসে ও প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছে। এবার কে কী বলবে। “ কোহলি আইপিএলে যুগ্মভাবে সবচেয়ে মন্থর শতরান করার পর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন গাভাসকর ও সেওয়াগ। সেওয়াগ জানিয়ে ছিলেন অর্ধশতরান করার পর কোহলির আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল। গাভাসকরও একইভাবে সমালোচনা করেছিলেন। কোহলি এবারের আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। ১১ ইনিংসে করেছেন ৫০৫ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৪৭। যা তাঁকে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে সামনের দিকে রেখেছে। এই নিয়ে আইপিএলে রেকর্ড সংখ্যক ৮ বার ৫০০-র বেশি রান করলেন। তাই কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা একেবারেই উচিত নয় বলে মনে করেন এবি।
মুম্বইয়ে মন পড়ে রাসেলদের

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে বিপদ বাড়বে কলকাতার।
ব্রাজিলের পথ পরিষ্কার আনচেলেত্তির

ব্রাজিলের পথে পা বাড়াতে বাধা রইল না আনচেলেত্তির।
ভেস্তে গেল খেলা, বৃষ্টি সুবিধা করে দিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে

দিল্লি ক্যাপিটালস: ৮ উইকেটে ১৩৩ (২০ ওভার) একেই বুঝি কপাল বলে। নিশ্চিত হারা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে অক্ষর প্যাটেলরা কী করে আইপিএলের প্লে অফের লড়াইয়ে নিজেদের কিছুটা হলেও ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। দিল্লি হেরে গেলে সুবিধা হত কেকেআরের। রবিবার তারা রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ছয় নম্বরে উঠে এসেছিল। হায়দরাবদের কাছে হেরে গেলে দিল্লি ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকত। কিন্তু বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যেতে এক পয়েন্ট তারা পেয়ে গেল। ফলে কেকেআরের থেকে দুপয়েন্টে লিড থেকেই গেল। উল্টে এক পয়েন্ট পেয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তৃতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল। গত মরশুমে তারা ফাইনালে কেকেআরের কাছে হেরে রানার্স হয়েছিল। আর এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, প্লে অফে যেতে পাারল না। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেম এতটা খারাপ তা আগে জানা ছিল না। বৃষ্টিতে শহর ভিজে যায়নি। তবু মাঠ বেহাল হয়ে পড়ে। এই মাঠে আর যাই হোক ক্রিকেট হতে পারে না। রাত সাড়ে দশটায় বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আশা করা গিয়েছিল যে খেল শুরু করা যাবে। মাঠের কভারের উপর জল জমে থাকলেও তা সরিয়ে খেলা শুরু করা কঠিন হবে না। মাঠকর্মীরা প্রচন্ড খাটলেন। কিন্তু খাটনির দাম তারা পেলেন না। আম্পায়ররা জানিয়েছিলেন, মাঠ রেডি করা গেলে ১১টা ৪২ মিনিটে খেলা শুরু করা যাবে। তবে পাঁচ ওভারের বেসি খেলা হবে না। এবং তা হলে পাঁচ ওভারে হায়দরাবাদকে করতে হবে ৪২ রান। বিরাট কিছু টার্গেট নয়। কিন্তু খেলা শুরু করা গেলে তো! ১১ট ১১ মিনিটে আম্পায়াররা দুদলের অধিনায়ককে ডেকে জানিয়ে দিলেন খেলা শুরু করা সম্ভব নয়। নো রেজাল্ট বলে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই হল। কামিনসদের দুর্দান্ত লড়ই বৃথা গেল। দিল্লি ফাঁক তালে এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে টিঁকে থাকল। শুরুটা এদিন হায়দরাবাদ দারুন করেচিল। আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৭৪ রান দেওয়া শামিকে বাইরে রেখে তারা মাঠে নামেন। শামি নেই। নতুন বল হাতে নিয়ে কামিনস প্রথম ওভার শুরু করেন। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করর সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তা কামিনস বুঝিয়ে দিতে দেরি করলেন না। দিল্লি কোনও ব্যাটসম্যান হায়দরাবাদ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না। বিশেষ করে কামিনসের আগুলে স্পেলের কাছে তারা হার মানলেন। পাওয়ার প্লে-তে ২৬ রানে চার উইকেট চলে গেল। প্রথম স্পেলে কামিনস তিন ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে তিন উইকেট পেলেন। উল্টোদিক থেকে জয়দেব উনাদকট পেলেন এক উইকেট। রান তোলার জন্য পিচ ব্যাটসম্যানদের কখনই সাহায্য করেনি। টুপেস উইকেট হওয়ায় স্ট্রোক নেওয়া কঠিন ছিল। ৬২ রানে সাত উইকেট চলে যাওয়ার পর স্টাবস ও আশুতোষ অষ্টম উইকেট জুটিতে ৬৬ রান যোগ না করলে দিল্লি একশো রানও বোর্ডে তুলতে পারত না। আশুতোষ ৪১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। স্টাবস ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে দিল্লি করে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান। তারপর বৃষ্টি। এবং খেলা ভেস্তে গেল। সেকথা তো আগেই বলেছি। এভাবে খেললে এই দিল্লি কতদূর এগোতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আপতত তারা লড়াইয়ে আছে। কিন্তু তারপর…!