চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর রোহিত নাকি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন!

এমনটাই নাকি ঘটেছিল। কার কথা বিশ্বাস করা যায়। রোহিত শর্মা এক ঘনিষ্ট সূত্র এমন কথাই জানাচ্ছে। এটাই যদি সত্যি হবে তা হলে দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর রোহিত কেন বলেছিলেন, আমি কোথাও যাচ্ছি না। এখানে আছি। এখানেই থাকব। তা হলে…! দুবাই থেকে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরে আসার পর আইপিএলের আগে রোহিত জানিয়েছিলেন, তিনি ইংল্যান্ড সিরিজ খেলতে চান। পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলে দেশে ফিরে আসার পর টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এই ভাবনা থাকলে তিনি কেন ঘনিষ্ট মহলে অবসরের কথা শোনাবেন। অনেক কিছু কথা থাকে যার কোন ভিত্তি নেই। তেমনই টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ঘনিষ্ট মহলে জানানো রোহিতের ভাবনাকে পুরোপুরি মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এমন কথা জানার পর বোর্ডের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা বলেই দিলেন, তাই যদি হবে তা হলে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে এত কথা বলার কি থাকতে পারে। সত্যিই তো তাই। একদিকে নাকি রোহিত টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ভাবনা ভাবছেন, আবার অন্যদিকে ইংল্যান্ডের মটিতে টেস্ট খেলতে চান। সব কিছু কেমন গোলকধাঁধায় পড়ার মতো অবস্থা। বিশ্বাস কর যায় না, রোহিত আগে থেকে অবসরের কথা ভাবছিলেন। তবে এটাও ঘটনা যে বুধবার সকালে ভাবলেন, আর রাতে ইনস্ট্যাগ্রামে চার লাইন লিখে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া এক হতে পারে না। তিনি এ নিয়ে ভেবেছেন। অবশ্যই ভেবেছেন। এটা আইপিএলের মাঝে হয়তো শুরু হয়েছে। নির্বাচক কমিটির প্রধানের সঙ্গে কতা বলে অন্দমহলের কথা জানার পর তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। অধিনায়কত্ব তো দূর অস্ত, দল থেকে বাদ দিলে মান থাকে না। এট ভেবেই তিনি সাত তাড়াতাড়ি টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন। এটা বাস্তব হতে পারে। মেনে নেওয়া যেতে পারে। রোহিত অবশ্য এটাই করেছেন। এ নিয়ে আরও কথা শোনা গিয়েছে। নিজের কেরিয়রে অনেক কিছু দেখেছেন। টেস্ট কেরিয়রের শুরুর কথা বলছেন না। তারপরের কথা শুনিয়েছেন। মিডিয়াকে এক হাত নিয়ে বলছেন, আগের জমানায় এত চাপ নিয়ে খেলতে হত না। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মিডিয়ার কাজ অন্যরকম হয়ে চলেছে। এরা সবসয় ব্রেকিং নিউজের খোঁজে ছোটে। আগে পিছে কেটে এমন কথা হাইলাইট করার চেষ্টা করে যা সেই ক্রিকেটারকে চাপ ফেলে দেয়। সামান্য ছোট একটা খবরকে বিরাট করে বানিয়ে হিট করার চেষ্টা করে। একেই খেলার মাঠে অনেক চাপ থাকে। তারপর এই সব খবরে চাপ আরও বাড়ে। সব থেকে সমস্যায় ফেলে দেন টিভি ভাষ্যকাররা। ব্রডকাস্টাররা মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে অনেক কিছু বলেন। যা ক্রিকেটারকে সহজ হতে দিতেচায় না। কিন্তু বিদেশের মিডিয়া অন্যরকম কাজ করে। তার ক্রিকেটারদের পাশে থেকে সব কিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফরাক এখানেই। এটা ঠিক করা উচিত।
পাকিস্তান সুপার লিগ ঘোর সংশয়ে

রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ মুহূর্তে পিএসএল ম্যাচ বাতিল।
রোহিতকে চিরদিন মনে রাখতে চান গিল

গিলের সঙ্গে খেলার মাঝে গল্পে মাতোয়ারা রোহিত শর্মা।
রাওয়ালপিণ্ডি স্টেডিয়ামের কাছে আছড়ে পড়ল ড্রোন, বিদেশি ক্রিকেটাররা উদ্বিগ্ন, পিএসএল নিয়ে জরুরি মিটিং ডাকল পিসিবি

ভারত-পাকিস্তান টেনশনের প্রভাব এবার পড়ল ক্রিকেটে। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিণ্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে আছড়ে পড়ল ড্রোন। সেখানে পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ ছিল, সেই ম্যাচ বাতিল করা হল। ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে চলছে পিএসএল। খেলছেন ডেভিড ওয়ার্নার, জেসন হোল্ডারের মত একাধিক নামী আন্তর্জাতিক তারকা। এই পরিস্থিততিতে তাঁরাও উদ্বিগ্ন। অগত্যা তড়িঘড়ি পিএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে জরুরি মিটিং ডাকল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিএসএলে খেলছেন এমন অন্তত দুজন ইংরেজ ক্রিকেটার এখনই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। তাঁরা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানিয়েছেন, তাদের কোয়ালিফাই করার সুযোগ নেই। আর মাত্র একটা ম্যাচ বাকি আছে, তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক। কয়েকজন ক্রিকেটার অবশ্য আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে চান। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ক্রিকেটারদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রেখেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সুপার লিগের ভবিষ্যৎ কী সেটা নিয়ে আলোচনা করতে ও সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি মিটিং ডাকল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এর মধ্যেই পিসিবির সিইও সলমন নাসের বিদিশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। পিসিবির একটি সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথা বলেই তারা পিএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামি ১৮ মে শেষ হওয়ার কথা পাকিস্তান সুপার লিগ।
রোহিতের হাতে ক্যাপ, স্মরণ শচীনের

ইডেন গার্ডেন্সে রোহিতের হাতে ক্যাপ তুলে দিচ্ছেন শচীন তেন্ডুলকর।
বার্গার ও প্রিটোরিয়াসকে নিল রাজস্থান রয়্যালস

হাতে মাত্র দুটি ম্যাচ। তবু আইপিএল শেষ করার আগে রাজস্থান রয়্যালস দুই ক্রিকেটারকে সই করাল। এঁরা হলেন, দক্ষিন আফ্রিকার নান্দ্রে বার্গার ও লুয়ান প্রিটোরিয়াস। চোট পাওয়া দুই ক্রিকেটার নীতিশ রানা ও সন্দীর শর্মার জায়গায় এঁরা দলে এলেন। ২০২৫ আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। নীতিশ রানার চোটের খবর আগেই সামনে এসেছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচে সন্দীপ শর্মা না খেলায় প্রশ্ন ওঠে রাজস্থান এবার কি করবে। তাঁরা কি দুটি ম্যাচের জন্য বদলি ক্রিকেটার দলে নেবেন। তবে দেরি করলেন না রাজস্থান কর্তারা। তাঁরা দক্ষিন আফ্রিকার বাঁহাতি পেসার নান্দ্রে বার্গারকে সই করিয়ে নিলেন। দলের হয়ে ১০টি ম্যাচে আঙ্গুলে চোট থাকা সত্বেও খেলেছেন সন্দীপ। কিন্তু এখন আর পারছেন না। আইপিএলে সন্দীপের রেকর্ড বেশ ভাল। তিনি ১৩৭ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন ১৪৬টি। গড় ২৭.৮৭। ২০২৪ আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে খেলেছেন বার্গার। ৬টি ম্যাচে পেয়েছেন ৭টি উইকেট। টি ২০ ক্রিকেটে বার্গারের রেকর্ড ভাল। তিনি ৬৯ ম্যাচে পেয়েছেন ৭৭টি উইকেট। গড় ২৩.৪৪। বার্গারের আগে রাজস্থান দলে নিয়েছে দক্ষিন আফ্রিকার লুয়ান প্রিটোরিয়াসকে। নীতিশ রানা চোটের কারনে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর জায়গায় দলে নেওয়া হলে ২০ বছরের প্রিটোরিয়াসকে। ৩০ লাখ টাকায় তাঁকে দলে নিয়েছে রাজস্থান। তিনি এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও ৩৩টি টি২০ ক্রিকেট খেলেছেন। রান করেছেন ৯১১। গড় ২৭.৬০। স্ট্রাইক রেট ১৪৭.১৭। গতবছর অনুধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে তাঁকে খেলতে দেখা গিয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে ৬টি ম্যাচে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি সহ করেছিলেন ২৮৭ রান। গড় ৫৭.৪৫। রাজস্থানের পরের ম্যাচ চেন্নাইয়ে ধোনিদের বিরুদ্ধে।
চার ক্রিকেটার নিয়ে প্রশ্ন, প্লে অফের আগে সমস্যায় আরসিবি

আইপিএলে আবার নজর কেড়েছে আরসিবি। বিরাটের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে তারা ১১টি ম্যাচের মধ্যে ৮টি জিতে প্লে অফে পা রেখেছে। এখনও তাদের তিন ম্যাচ বাকি। কিন্তু তার আগে দলের মধ্যে প্লে অফ নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, প্লে অফে চার ক্রিকেটারের সার্ভিস পাবে না আরসিবি। তার মধ্যে তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার। এমনকি অধিনায়ক রজত পাতিধারকেও তারা নাও পেতে পারে। কেন! আরসিবি ক্যাম্প থেকে যে খবর পাওয়া গিয়েছে তা হল, চোট ও জাতীয় দলকে সার্ভিস দিতে তাঁরা প্লে অফের আগে দেশে ফিরে যাবেন। পাতিধারের দেশের হয়ে খেলার সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি চোটের কারনে মাঠের বাইরে চলে যাবেন। তা হলে প্লে অফে কি করবে আরসিবি। তারা কি বদলি ক্রিকেটার দলে নেবে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত আরসিবি শিবির থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে সমস্যা যে আছে তা পরিস্কার। এবর দেখে নেওয়া যেতে পারে কোন তিন বিদেশি ক্রিকেটারকে আরসিবি ছেড়ে দেবে। এঁর হলেন জোস হ্যাজেলউড, ফিল সল্ট ও রোমারিও শেফার্ড। তিনজনই নিয়মিত প্রথম একাদশে খেলেন। তাই তাঁদের সার্ভিস পাওয়া না গেলে আরসিবির পক্ষে প্লে অফে ভাল কিছু করা কঠিন হয়ে পড়বে। কী হয়েছে তাঁদের। সে খবর অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিবির থেকে। ফিল সল্ট- চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে আরসিবির খেলা ছিল ৩ মে। সেই ম্যাচে বিরাটের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন বেথেল। সল্টকে দেখা যায়নি। কেন! জানা গেল ভাইরাল ফিভারের কারনে সল্ট আপাতত মাঠের বাইরে। বেথেল সেই ম্যাচে ভাল খেলেন। আরসিবি সেই ম্যাচে দুরানে জেতে। কিন্তু সল্টকে নিয়ে ছবি পরিস্কার হয়নি। জোস হ্যাজেলউড- কাঁধে চোটের কারনে আরসিবির হয়ে শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি হ্যাজেলউড। সেই ম্যাচে আরসিবি দুশো রানের উপর তুললেও ম্যাচ জয় কঠিন হয়ে পড়ে। তাই তিনি যতদিন ন ফিট হয়ে উঠছেন, ততদিন আরসিবি চিন্তায় থাকবে। রোমরিও শেফার্ড- শেফার্ডকে ব্ল্যাক ড্রাগন নামে অনেকে ডাকেন। এটাই তাঁর ডাক নাম। সিএসকে ম্যাচে ড্রাগনের চেহারায় তাঁকে দেখা যায়। ১৪ বলে তিনি করেন ৫৩ রান। ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়ে সিএসকে। এবং শেষপর্যন্ত ম্যাচটি জেতে আরসিবি। আরসিবি শিবির থেকে জানা গিয়েছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের আসন্ন ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের ওয়ান ডে সফরে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন শেফার্ড। যদি তাঁকে দেশে ফিরে যেতে হয় তা হলে সমস্যায় পড়ে য়াবে আরসিবি। রজত পাতিধার- আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিধার। হাতে ব্যান্ডেজ বেধে তাঁকে এখন ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। জানা গেল, আঙ্গুলে চোট। এই কারনে তিনি মাঠের বাইরে। সিএসকে ম্যাচে জাদেজার একটি শট আটকাতে গিয়ে আঙ্গুলে চোট পান পাতিধার। এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে আরসিবি। যত তাড়াতাড়ি তাঁরা ফিট হয়ে উঠবেন, তত ভাল আরসিবি। তাই এঁদের নিয়ে প্লে অফের আগে চিন্তায় পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁদের মাথায় ঘুরছে প্লে অফ। সেই ম্যাচে তাঁদের সার্ভিস পাওয়া যাবে তো! পেলে ভাল, না পেলে সমস্যা আরসিবির।
অবসরের সিদ্ধান্ত রোহিতের নিজের, বোর্ডের কোনও চাপ ছিল না, জানালেন বিসিসিআিই ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা

টেস্ট ক্রিকেট থেকে রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা চলছে, কেন এই সিদ্ধান্ত। অনেক তথ্য, জল্পনা উঠে আসছে। বোর্ড নতুন অধিনায়ক খোঁজা শুরু করে দিয়েছিল। ইংল্যান্ড সফরে রোহিতের সুযোগ পাওয়া নাকি অনিশ্চিত, এমন নানা আলোচনার মাঝেই সিদ্ধান্ত জানান হিটম্যান। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে মুখ খুললেন বিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, রোহিতের সিদ্ধান্তের পিছনে বোর্ডের কোনও ভূমিকা ছিল না। রাজীব শুক্লা বলেন, এই সিদ্ধান্ত রোহিতের নিজের। বোর্ডের তরফ থেকে কোনও রকম চাপ ছিল না। তিনি আরও জানান, এটা বোর্ডের পলিসি, কারও অবসর নিয়ে কখনওই কোনও পরামর্শ বা চাপ দেয় না বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিতের বিরাট অবদানের জন্য তাঁর ভূয়সী প্রশংসাও করেন শুক্লা। পাশাপাশি রাজীব শুক্লা জানান, এটাই ভাল কথা যে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় দল তাঁর প্রতিভা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারবে, বলেন তিনি। এরপর ভারতের অধিনায়ক কে হবেন এই প্রশ্নের উত্তরেও রাজীব শুক্লা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। তাঁরা যা ভাল মনে করবেন সেই সিদ্ধান্তই নেবেন। এটা নিয়ে কোনও জল্পনা থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন বোর্ডের ভাইস প্রসিডেন্ট। আগামি ২০ জুন থেকে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ।
মনের অজান্তে হাসলেন রোনাল্ডো

হতাশ রোনাল্ডোর পাশে গোল উদযাপন বেনজেমার।
বুমরাকেই ফের অধিনায়ক দেখতে চান কুম্বলে

টেস্ট ক্রিকেট থেকে রোহিত শর্মা জমানা শেষ। এবার তা হলে কে! কে দলকে নেতৃত্ব দেবেন! শোনা যাচ্ছে, শুভমান গিলকে নাকি টেস্ট অধিনায়ক করা হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা চাইছেন, একজন কম বয়সী ক্রিকেটারকে টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কের চেয়ারে বসাতে। একবার তিনি সেট হয়ে গেলে আগামি দশ বছর আর চিন্তা থাকবে না। তাই শুভমানের নম অধিনায়কের তালিকায় চলে আসছে। তা হলে সেদিকেই হাঁটছেন বোর্ড কর্তরা! হতে পারে। ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে শুভমান গিল টেস্টে অধিনায়ক হতে পরেন। কিন্তু জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অনিল কুম্বলে এই নীতিতে বিশ্বাসী নন। তাঁর ভোট বুমরার দিকে। তিনি বলছেন, ইংল্যান্ড সফরে বুমরাকে অধিনায়ক করা হলে ভারতীয় দল ঠিকভাবে নিজেদের টেনে নিয়ে যেতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতীয় দলের সফরে রোহিত অধিনায়ক হলেও বুমরা ছিল সহ অধিনায়ক। পারিবারিক কারনে রোহিত প্রথম টেস্ট খেলতে পারেনি। বুমরা পারথ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেয়। এবং ভারত সেই টেস্ট ম্যাচ জেতে। দ্বিতীয় টেস্টে রোহিত দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর বুমরাকে চেয়ার ছেড়ে দিতে হয়। টানা তিন টেস্টে অধিনায়ক রোহিতকে আমরা দেখতে পই। শেষ টেস্টে রোহিত নিজে থেকে সরে যাওয়ায় বুমরা আবার অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। সেই টেস্টে বুমরার চোট না লাগলে ভারত জিতেও যেতে পারত। একজন বোলার কম নিয়ে খেলতে নেমে ভারত সুবিধা করতে পারে না। সিরিজে ৩২টি উইকেট নিয়ে বুমরা বুঝিয়ে দেয় যে বিদেশের মাঠেও তাঁকে খেলা সহজ নয়। চোট সারিয়ে বুমরা আবার ফিরে এসেছে। ত হলে ওকে অধিনায়ক করতে অসুবিধা কোথায়! কুম্বলে বলছেন বটে, তবে সবে চোট থেকে উঠে এসেছেন। তাই বাড়তি কোন ঝুঁকি নিয়ে চাইছেন না বোর্ড কর্তারা। শোনা যাচ্ছে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা মাথায় রেখে বুমরাকে সিরিজে সব টেস্ট খেলানো নাও হতে পারে। তাই অধিনায়ক বেছে নেওয়ার লড়াইয়ে বুমরা বাদ পড়ে যাচ্ছেন। এমন কথাও উঠে আসছে যে বুমরা নাকি নিজেও অধিনায়ক হতে চান না। তা হলে কী হবে। এই কী হবের আলোচনায় ঢুকে জাতীয় দলের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটর হরভজন সিং বলছেন, অধিনায়ক রোহিতের জায়গা নিতে পারে একমাত্র বুমরা। ওকে ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে দেখছি না। আমার ভোট দিতে হলে বুমরাকেই দেব। এক আলোচনায় হরভজনের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটর আকাশ চোপড়া। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বুমরার চোটের কথা মাথায় রাখতে হবে। পুরো সিরিজ বুমরাকে পাওয়া যাবে কিনা ত নিয়ে সন্দেহ আছে। বুমরা ফিট থাকলে ওকে ছাড়া অন্য কাউকে অধিনায়ক করার কথা ভাবতাম না। কিন্তু বুমরা ফিট নয় বলে অন্য নম নিয়ে আসতে হবে। তিনজনের কথ শোনার পর এটাই বলা যেতে পারে যে বুমরার বাইরে অন্য কারোর কথা তাঁর ভাবতে পারছেন না। বুমরা না হলে কে! তার উত্তরও পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচকরা এখনও পর্যন্ত কারোর নাম বলেননি। তবে হাওয়ায় উড়ছে শুভমান গিল। হয়তো তিনি শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক হয়ে যাবেন। আইপিএলে দারুন পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলের কোচের চেয়ারে বসে পড়েছেন গৌতম গম্ভীর। আবার আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক অদিনায়ক শুভমানকে নিয়ে এসে টেস্ট অধিনায়ক করা হবে। তিনি এখনও তেমন সাফল্য পাননি। সাদা বলের ফরম্যাটে ডেপুটি হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁকে কোন যুক্তিতে টেস্ট অধিনায়ক করা হবে! এর উত্তর পাওয়া যাবে না। ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক কিছুই হয়। বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না। আর কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। তাঁরা যা বলবেন, তাই হবে। বুমরা না চাইলে সম্ভবত শুভমানকে অধিনায়ক করে ইংল্যান্ড পাঠানো হবে। এর বাইরে অন্য কারোর মুখ তো দেখা যাচ্ছে না।