টুর্নামেন্ট থেকে আগেই ছিটক গিয়েছেন। এখন খেলছেন নিয়মরক্ষার ম্যাচ। সামনের মরশুমে কোন ক্রিকেটারের উপর নজর দেওয়া হবে, তার পরীক্ষাও বলা যেতে পারে। জিতলে ভাল, হারলে ব্যর্থতার জায়গা খুঁজে বের করা। এর বাইরে কিছু নেই।
আরসিবির কাছে ২ রানে হারার পর ব্যর্থতা কারন খুঁজতে গিয়ে সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলা শেষে বলেন, হারের দায় আমার। আমি চেষ্টা করেছিলাম। বড় স্ট্রোক খেলে রান বাড়াতে গিয়েও পারিনি। সেই সময় বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারির দরকার ছিল। কিন্তু সেটা হল কোথায়! শেষ ওভারে টার্গেট ছিল ১৫ রানের। এর পিছনে ছুটতে গেলে বাউন্ডারির দরকার। কিন্তু কোথায় কি! কিছুই হল না। তাই হারের দায় আমারই। আমি পারিনি। পারলে ম্যাচের রেজাল্ট উল্টো হত।
ম্যাচ জিততে গেলে সিএসকের দরকার ছিল ২১৪ রান। ১৯ ওভারে সিএসকে ৪ উইকেটে ১৯৯। যশ দয়াল শেষ ওভার করতে আসেন। প্রথম বল লো ফুলটস। ধোনি বড় শট খেলতে গিয়েও পারলেন না। ব্যাটের নিচের দিকে বল লেগে গেল লং অনে। এক রানের বেশি পেলেন না। উল্টোদিকের উইকেটে গিয়ে এমনভাবে মাথা নাড়াচ্ছিলেন যে বোঝাই গেল তিনি হতাশ। ব্যবধান কমল। পাঁচ বলে চাই ১৪ রান। এই জায়গা থেকে যে কোনও দল ম্যাচ বের করে নেবে। টি২০ ফরম্যাটে এমন টার্গেট সব দলের কাছেই থাকে। কিন্তু ফর্মে থাকা জাদেজাও পারলেন না। যশের দ্বিতীয় বল থেকে এল এক রান। চার বলে ১৩ রান। চাপ বাড়ল সিএসকে শিবিরে। তবু ধোনি উইকেটে আছেন বলে সবাই আশা করেছিলেন ম্যাচ জেতা সম্ভব। কিন্তু তারপরই ধাক্কা। লেগ মিডলে আসা লো ফুলটস ধোনি অনের দিকে খেলতে গিয়ে ফস্কালেন। বল ব্যাটের বদলে প্যাডে লাগল। আরসিবির আবেদনে আম্পায়ার আউট দিলেন। ধোনি রিভিউ নিতে দেরি করলেন না। কিন্তু তাতেও পার পেলেন না। টিভি আম্পায়ারও আউটের সিদ্ধান্তে সায় দিলেন। ধোনি আউট। তিন বলে ১৩ রান চাই। শিভম দুবে এসে আশা জাগালেন। তাঁর বুকের উপরে উঠে আসা ফুলটসে ব্যাট ঘুরিয়ে ওভার বাউন্ডরি পেলেন। সঙ্গে আরও এক রান। বল বুকের উপর থাকার জন্য ষশের বল নো হল। কিন্তু এরপরও কিছু হল না। বাকি তিন বলে তিন রান এল। ষশের ওভারের শেষ বলে দরকার ছিল চার রান। জাদেজা এর আগে এমন জায়গা থেকে দলকে ম্যাচে জিতিয়েছেন। কিন্তু শনিবার এক রানের বেশি করতে পারলেন না। ম্যাচ হারলেন ধোনিরা। জাদেজা ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেললেও তা কাজে দিল না। ধোনি জমানায় শোনা যেত শেষ ওভারে ১৮ থেকে ২০ রান থাকলে ম্যাচ জেতা সম্ভব। তখন ধোনি ছিলেন ফিনিশার। কিন্তু আরসিবি ম্যাচে ১৫ রানের টার্গেটে ছুটতে পারলেন না ধোনি। তা হলে কি ফিনিশার ধোনি ষুগও শেষ! সেটাই তো প্রমানিত হচ্ছে।
আসলে আরসিবি ইনিংসে শেফার্ড শেষ দুওভারে সিএসক-কে শেষ করে দেন। খলিল আমেদের ওভারে ৩৩। পাতিরানার ওভারে ১৭। এখানেই ম্যাচ হারে সিএসকে। শেফার্ড ১৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। সেখানেই ম্যাচ বেরিয়ে যায়। তবে সিএসকের খাতায় পাওয়াও আছে। দুশোর উপর রান তাড়া করে তারা কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। ম্যাচ জিততে না পারলেও এটাই বোনাস। নিজেদের দেখে নেওয়ার পরীক্ষায় এক্ষেত্রে পাশ মার্ক পেয়ে গেলেন তাঁরা।