সিএসকে: ১৫৪ ( ১৯.৫ ওভার)
এসআরএইচ: ৫ উইকেট ১৫৫ (১৮.৪ ওভার)
সিএসকে ফ্যানরা এরপর কী বলবেন! যারা আসছে, তারাই হারিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। এ কোন সিএসকে! যাদের পারফরম্যান্সে আলোর রোশনাই নেই। পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা।
এবারের আইপিএলে ব্যর্থতার রেকর্ডে ধুয়ে মুছে সাফ ধোনিরা। না হলে ঘরের মাঠে চার ম্যাচ হেরে মাথা উঁচু করে কেউ মাঠ ছাড়তে পারেন। এতদিন যা হয়নি, এবার তাই দেখা যাচ্ছে। উদাহরন তো হাতের সামনে। এদিনের আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কখনও চিপকের মাঠে জিততে পারেনি। এবারই প্রথম তারা চিপকের মাঠে ধোনিদের পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিল। এ কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন! স্কোর বোর্ড না দেখলে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বাস্তব সেটাই বলছে।
গতবছরের শেষদিকে ক্রিকেটার রিটেন করায় ভুল। অকশন থেকে ক্রিকেটার তুলে নেওয়ার কাজেও ভুল। এত ভুলে ভরা দল নিয়ে কোনও অধিনায়ক ম্যাচ বের করে আনতে পারে না। এখনও পর্যন্ত তারা নটি ম্যাচ খেলেছে। পয়েন্ট চার। লিগ টেবিলের একেবারে শেষ লাইনে দাঁড়িয়ে। দুবছর আগে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তারা কীভাবে এমন পারফরম্যান্স করে! সত্যি বুদ্ধিতে এর ব্যাখ্যা নেই। যে দলে ধোনিই শেষ কথা, সেই দল এমন মুখ থুবড়ে পড়বে কেন!
নিয়ম মানতে হলে বলতে হয় সিএসকে-কে এখনও পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে। কিন্তু সে সব নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তারাই প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল। এরপর সব ম্যাচ জিতলেও সিএসকে ১৪ পয়েন্টে যেতে পারে। যা দিয়ে চিড়ে ভিজবে না। সামনের মরশুমে কাদের দলে রাখা হবে, তার বিচার হতে পারে। এর বাইরে কিছু নয়।
শুরুবারের রাতের লড়াইয়ে সিএসকে কার কাছে হারল। এমন প্রশ্ন করলে যার উত্তরে বলা যেতে পারে যে নিজেদের কাছে তারা হেরে গিয়েছে। প্রথম বল থেকে ব্যর্থতার ছবি। ম্যাচের প্রথম বলে শামি আউট করেদেন শেখকে। মুম্বইয়ের ছেলে মাত্রে ভাল খেলছেন। কিন্তু সুযোগ পাওয়ার পরও যদি কেউ ২০ বা ৩০ রান করে আউট হয়ে যান, তা হলে বলার কি থাকতে পারে। একজন ক্রিকেটারকে দেখ গেল না যিনি দলকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবেন। সে জাদেজা হোক, শিভম দুবে, দীপক হুডা বা ধোনি হোক। কেউ নয়। এমন কি ম্যাচের সেরা হর্যল প্যাটেলের বোলিংয়ের সামনে তরা ধরাশায়ী। তিনি ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে গেলেন। সেখানেই সিএসকে পিছিয়ে পড়ল।
চিপকের উইকেটে স্পিন হচ্ছে না। অনেকটা টুপেস উইকেট। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলে রান করা যায়। এই ১৫৪ যদি ১৮০তে নিয়ে যাওয়া যেত, তা হলে ধোনিদের ম্যাচ জিততে অসুবিধা হত না। খেলার শেষে ধোনি বলছিলেন ১৫ থেকে ২০ রান কমম হয়েছে। এটা এসে গেলে ম্যাচ বের করা কঠিন ছিল না। কিন্তু যা হয়নি, তা নিয়ে কথা বলে কি লাভ। বিশেষ করে ধোনির কথা বলতে হবে। ১৬.৩ ওভারের মাথায় হর্যল প্যাটেলের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ধোনি হাল্কাভাবে কাট মারলেন। বল সোজা পয়েন্টের হাত চলে গেল। ধোনি থাকলেও রানটা ১৮০ পার করা যেত। কারন তখনও ২১ বল বকি ছিল। কিন্তু সেই সুযোগ কেউ নিতে পারল না।
হায়দরাবাদ যে সহজে রান করে নিয়ে গিয়েছে তা-ও নয়। একসময় ৯১ রানে চার উইকেট চলে যায়। ১০৫ রানে পাঁচ উইকেট। সেই সময় কাউকে দুর্দান্ত স্পেল করেত দেখা গেল না। নীতিশ রেড্ডি ও কামিন্দু রানটাকে টেনে নিয়ে গেল। স্পিনাররা বল টার্ন করাতে পারলেন না। দলের প্রধান অস্ত্র নুরকে পেসার মনে হল। এত জোরে কেন বল করলেন। শিশিরের জন্য বল ঠিকভাবে গ্রিপ করতে পারছিলেন না। এটাও মাথায় ঢুকল না কেন অশ্বিনকে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কাজে লাগানো গেল না। কেন স্যাম কারেনকে দলে রাখা হল। এমন অনেক প্রশ্ন উঠে আসবে। যার উত্তর মিলবে না। উত্তর শুধু আছে, ধোনিরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন। আর কিছু নয়।