রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে এক নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে এসিসি বা অ্যাথলেটিক্স কোচিং ক্যাম্প সোদপুর। চলতি সপ্তাহে শনি-রবিবার দুদিন হবে জুনিয়র রাজ্য মিট। অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ বয়সের অ্যাথলিটদের নিয়ে এবারের মিট হচ্ছে। পরবর্তী সপ্তাহে শনি-রবি ও সোমবার এই তিনদিন ধরে চলবে সিনিয়র রাজ্য মিট। দুই ধাপের এই প্রতিযোগিতায় এসিসি থেকে যোগ দেবেন ৫২জন অ্যাথলিট। একটা কোচিং ক্যাম্প থেকে রাজ্য মিটে মনে হয়না এতজন অ্যাথলিট যোগ দিচ্ছেন। তাই উত্তর ২৪ পরগণার এসিসি এখন বাংলার অ্যাথলেটিক্সে দিশা দেখাচ্ছে বললেও ভুল বলা হবে না।
প্রশ্ন হল, এসিসি-র অ্যাথলিটরা কি কেবলমাত্র উত্তর ২৪ পরগণার হয়ে নামবেন? নাকি অন্যান্য দলের হয়েও নামতে চলেছেন? জেলা দলের সঙ্গে কলকাতার দুই প্রধান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, পাইওনিয়ার থেকে শুরু করে বেহালা অ্যাথলেটিক ক্লাবের হয়ে প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছেন এসিসি-র অ্যাথলিটরা। সত্যি বলতে কী, দুই প্রধান গতবার রাজ্য মিটে বেশ ভালো রেজাল্ট করেছিল। তারমূলে ছিল এই এসিসি। এবারও সেই পথে এগোতে চলেছে দ্রোণাচার্য কুন্তল রায়ের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান।
এসিসি-র অ্যাথলিটরা এবার বাজিমাত করতে যাচ্ছেন রাজ্য মিটে।
জুনিয়র, সিনিয়র মিলিয়ে মোট ৫২জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যাথলিট নামবেন মোহনবাগানের হয়ে। ১৯জন সবুজ-মেরুন বাহিনির হয়ে নামার কথা। লাল-হলুদের জার্সি গায়ে দেখা যাবে ৯জনকে। ময়দানের বাকি দলগুলোর হয়ে নামবেন যথাক্রমে, এরিয়ান্স (৮), পাইওনিয়ার ও বেহালা অ্যাথলেটিক ক্লাবের হয়ে একজন করে নামবেন। বাকি ১৪জন নামবেন উত্তর ২৪ পরগণার হয়ে। কিন্তু এই অ্যাথলিট দলের মধ্যে কুন্তল রায় ও তঁার সন্তান তথা কোচ রুদ্রপ্রতিম রায় জানিয়ে দিলেন, তঁারা কম্বাইন্ড ইভেন্টকে বরাবর জোর দেন। তাই কম্বাইন্ড ইভেন্টে বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে এবার রাজ্য মিটে নামতে দেখা যাবে। কম্বাইন্ড ইভেন্টকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে কুন্তল রায় বললেন, “১৯৯৪ সালে একটা সেমিনার হয়েছিল কলকাতায়। সেই সেমিনারে আমি জানিয়ে ছিলাম, জুনিয়র অ্যাথলিটদের প্রথম থেকে কম্বাইন্ড ইভেন্টের দিকে নিয়ে যাওয়া ভালো। তাহলে আমরা বয়স বাড়লে কোন ইভেন্টের প্রতি তার ঝেঁাক বেশি তা অনায়াসে বের করে নেওয়া যাবে। তখন আমরা তাকে সেই ইভেন্টের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। স্পেশালাইজড যাতে করে তোলা যায়, সেইদিকে নজর থাকবে।” গতবার এসিসি থেকে ৩৬জনকে রাজ্য মিটে নামিয়ে ৩৪টা পদক পেয়েছিল, কুন্তল রায়ের কোচিং ক্যাম্প। এবার তঁাদের লক্ষ্য থাকবে ৪০-এর উপর পদক জয় করা। তাহলে রাজ্যের অন্যান্য কোচিং ক্যাম্পের অন্তত ঘুম ভাঙবে। বুঝতে পারবে পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততা ও নিয়মানুবর্তিতা না থাকলে কখনও কোনও কাজে সফল হওয়া যায়না।