রোনাল্ডো ঝড় অব্যাহত। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন এশিয়ান ফুটবলে সত্যি একজন ত্রাস হয়ে উঠছেন। বয়স যে একটা সংখ্যা মাত্র তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন প্রতিটি মুহূর্তে। জাপান নিঃসন্দেহে এখন এশিয়া ফুটবলে একটা বড় দল। যারা শুধু বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে তা নয়, বিশ্ব ফুটবলে নজর কেড়ে নিচ্ছে। সেই জাপানের ইয়কোহামা এফ মারিনোসকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল ম্যাচে বিধ্বস্ত করল আল নাসের। না, ভুল বলা হল, আল নাসের নয়, রোনাল্ডো। ৪-১ গোলে জিতল আল নাসের। বিরতির আগেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় সৌদির ক্লাব। খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার রেখে খেলতে থাকেন রোনাল্ডোরা। শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় গোল করার জায়গায় চলে গিয়েছিল আল নাসের। ব্রোজোভিচের সঙ্গে পাশ খেলে যে মাটি ঘেঁষা শট নেন রোনাল্ডো তা অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে বঁাচিয়ে দেন ইয়কোহামার গোলকিপার পার্ক। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে পরবর্তীকালে খেলা বেশ জমে ওঠে। আসলে রোনাল্ডোকে দেখার জন্য ইয়কোহামার সমর্থকরা এদিন ভিড় জমিয়ে ছিলেন মাঠে। ইন্টার মায়ামি খেললে যেমন প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা এসে মেসির জন্য তঁাদের প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে ভুলে যান। ঠিক তেমনি রোনাল্ডোর জন্য একই ঘটনা ঘটতে দেখা যায় জাপানেও। এরই ফঁাকে ২৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি পেয়ে যায় আল নাসের। যদিও এই গোলের জন্য সম্পূর্ন দায়ী থাকবেন ইয়কোহামার ডিফেন্ডার ডেং। তিনি ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। সেই বল গিয়ে জমা পড়ে ডুরানের কাছে। তিনি ফঁাকা পোস্টে গোল করতে ভুল করেননি। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে আল নাসের। এবার দলের হয়ে গোলটি করেন সাদিও মানে। রোনাল্ডোর সাহায্যে গোল করে চলে যান সাদিও। তৃতীয় গোলটি আসে ৩৮ মিনিটে। এবার গোলদাতা ছিলেন স্বয়ং রোনাল্ডো। ব্রোতোভিচের শট ইয়কোহামার গোলকিপার কোনও মতে বঁাচালে সেই বল এসে জমা পড়ে স্বয়ং রোনাল্ডোর পায়ে। তিনি গোল করে স্টেডিয়ামের আব্দার মেটান। ইয়কোহামার মাঠে রোনাল্ডোর গোল দেখে পুরো স্টেডিয়াম চিতকারে ফেটে পড়ে। বিরতিতেই খেলার ফল থেকে যায় ৩-০। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, ইয়কোহামাকে ম্যাচে ফিরে আসতে গেলে অসম্ভব কিছু করতে হবে। যা করা মোটেই সহজ কাজ নয়। বিরতির পরও দেখা যায় সেই রোনাল্ডোদের দাপট। ৪৯ মিনিটে ফের গোল করে রোনাল্ডোরা ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান। এবার গোল করেন ফের ডুরান। আলহাসানের শট গোলকিপার বঁাচালে সেই বল ধরে অনায়াসে গোল করে যান তিনি। ডুরানের দ্বিতীয় গোল তখন নিশ্চিত জয়ের দোরগড়ায় পৌছে দিয়েছে আল নাসেরকে। তারপর ছিল নিয়মরক্ষার খেলা। সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচে গোল করে কিছুটা সান্ত্বনা পায় ইয়কোহামা। পরিবর্ত হিসেবে নামা কোটা ওয়াতানাবে ৫৩ মিনিটে গোল দিয়ে সমর্থকদের কিছুটা আশার আলো জ্বালেন। তারপর আর তেমন কিছু করতে পারেনি ইয়কোহামা। ম্যাচের ফল সেই শেষমেশ ৪-১ থেকে যায়। তারপর ইয়কোহামা গোল করলেও অফসাইডের কারণে রেফারি তা বাতিল করে দেন। পরে গোলের সুযোগ পেয়েছিল আল নাসেরও। তবে কাজের কাজ হয়নি। এই জয় যে আল নাসেরকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলে দিল বলা যেতে পারে। যেহেতু পরবর্তী ম্যাচ রোনাল্ডোরা খেলবেন নিজেদের মাঠে।

ঋষভকে শেহবাগ, পুরনো ভিডিও দেখার পাশাপাশি কথা বল ধোনির সঙ্গেও
ঋষভ পন্থের কি হল! কোনও কিছু ঠিকভাবে করতে পারছেন না। দলের সাফল্য নেই। তাঁর ব্যাটে রানও নেই। কেন এমন হচ্ছে!