কঠিন কাজ। সহজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না। তাই মিকেল আর্তেতা জানিয়ে দিলেন, যুদ্ধ জয় করার জন্য তঁারা ফ্রান্সের মাটিতে পা রাখতে চান।
পিএসজির কাছে দল হেরে গিয়েছে। তাও আবার কিনা নিজেদের মাঠে। রিয়াল মাদ্রিদকে হারানোর পর আর্সেনালের সমর্থকরা ভেবেই নিয়েছিলেন, তঁারা এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ঘরে তুলছেন। কিন্তু ঘরের মাঠে পিএসজির কাছে হারতেই সব অঙ্ক গুলিয়ে গেল গানারদের। মন্দের ভাল হল, এক গোলের বেশি ব্যবধান থাকেনি। এখন আর্সেনালকে যেভাবে হোক দুগোলের ব্যবধানে জিততে হবে। যদি এক গোল করে তাহলে খেলার নিষ্পত্তি ঘটবে টাইব্রেকারে। আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা জানিয়ে দিলেন, আগামী বুধবার তঁাদের বিশেষ কিছু করতে না পারলে মোটেই স্বপ্ন পূরণ হবে না। খেলার শেষে তাই মিকেল বলেছেন, “প্যারিসে আমাদের বিশেষ কিছু করতেই হবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে গেলে আলাদা করে কিছু করতে হবে, নাহলে ভাল কিছু আশা করা যাবে না।” পিএসজির গোলকিপার দোন্নারুম্মা একাই আর্সেনালের স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে দিয়েছেন। বঁাচিয়ে দিয়েছেন নিশ্চিত পঁাচটা গোল। বিশেষ করে আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি ও লিয়েন্দ্রো ট্রোসার্ড কেবলমাত্র দোন্নারুম্মাকে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। তাই আক্ষেপের সুরে আর্তেতাকে বলতে শোনা যায়,“আমাদের দুই ফরোয়ার্ড নিশ্চিত দুটো গোলের কাছে চলে গিয়েছিল। অথচ সেই বল অবিশ্বাস্যভাবে বঁাচিয়ে দেয় দোন্নারুম্মা। তবে তার প্রশংসা করতেই হবে। লিভারপুল ও ভিলার বিরুদ্ধে যেভাবে দলকে জিতিয়ে ছিল, এখানেও তার ছাপ রেখে গেল। আমাদের দুজন ফরোয়ার্ড যদি গোল করতে পারত তাহলে খেলার ফল হয়ে যেত ভিন্ন। এটাই হল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।”
পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে শুধুমাত্র দোন্নারুম্মার প্রশংসায় মাততে নারাজ। তঁার মতে, পুরো দলই ভাল খেলেছে। নাহলে আর্সেনালের মাটিতে এসে আর্সেনালকে হারানো সহজ ছিল না। “একজন গোলকিপারের কাজ হল গোল বঁাচানো। আবার স্টপারের কাজ হল, প্রতিপক্ষের যাবতীয় আক্রমণকে রুখে দেওয়া। তারমধ্যে আলাদা করে বলার কিছু নেই। দোন্নারুম্মাও তাই করেছে। প্রতিদিন প্র্যাকটিস করে গোল বঁাচানোর পদ্ধতিকে ভাল করে রপ্ত করবে বলে। এখন দলকে ফিরতি সেমিফাইনালে জিততে গেলে পুরো দলকে প্রয়োজন। আমাদের ভাল কিছু করতেই হবে। জিতেছি বলে ঘরের মাটিতে আত্মতুষ্টি দেখালে চলবে না।” জানিয়ে দিলেন, স্প্যানিয়ার্ড কোচ এনরিকে।