উইম্বলডনে শোনা গেল জ্যানিক সিনারের পদচারণা। ঘাসের কোর্টে যেন ঝড় তুলতে দেখা গেল তঁাকে। স্বদেশি লুকা নার্দিকে একপ্রকার দঁাড়াতেই দিলেন না। অনায়াসে হারিয়ে চলে গেলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। ৬-৪, ৬-৩ ও ৬-০ সেটে তিনি প্রথম ম্যাচ জিতে যান।
সিনার জিতলেও প্রথম রাউন্ডে একজন স্বদেশির বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে। মন থেকে যা মেনে নিতে পারেননি ইতালিয়ান তারকা। বিশ্ব ক্রমতালিকায় শীর্ষে থাকা সিনার তাই ম্যাচের শেষে হতাশার সুরে বলে ফেলেন, “উইম্বলডনে ফের খেলতে পেরে সত্যি আমি দারুন খুশি। এই জায়গায় খেলতে বরাবর পছন্দ করি। তবে খারাপ লাগছে প্রথম রাউন্ডে খেলতে হল একজন ইতালিয়ানের বিরুদ্ধে। এসব মানিয়ে চলাই আমাদের কাজ। তাই এই নিয়ে বলারও কিছু নেই। এই পরিবেশের মধ্যে খেলতে নামলে আলাদা একটা অনুভূতি মনের মধ্যে চলে আসে।” লুকা নার্দিকে হারানোর পর কথাগুলো টানা বলে গেলেন জ্যানিক সিনার। তবে আবহাওয়া যে এবার টেনিস খেলোয়াড়দের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তা জানিয়ে দিলেন তিনি। “উইম্বলডনে খেলতে এসে এরকম আবহাওয়ার মুখোমুখি কোনওদিন হইনি। এত গরম ও আর্দ্রতা রয়েছে যে ঠিকমতো খেলতে পারছিলাম না।”
সার্ভিস নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন সিনার। জানিয়ে দেন, সার্ভিসে উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। “সার্ভিসে উন্নতি ঘটানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরজন্য পরিশ্রমে কোনও খামতি রাখিনি। মঙ্গলবার দেখলাম শুরু থেকে ভালোই সার্ভিস করছি। ধাপে ধাপে যেভাবে বল ছঁুড়ে মারার চেষ্টা করছিলাম তাতে মজা পাচ্ছিলাম। প্রথম ম্যাচ যে কোনও টুর্নামেন্টে কঠিন হয়। এটুকু বলতে পারি, প্রথম ম্যাচে আমার সার্ভিস ও পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুশি।” জানিয়ে দিলেন সিনার। উইম্বলডন যে তঁার অন্যতম গ্র্যান্ড স্লাম তা উল্লেখ করে সিনার বলছিলেন, “প্রতিপক্ষ যেই হোক না চেষ্টা করি এখানে নিজেকে তুলে ধরতে। সত্যি বলতে কী, এখানে খেলতে নামলে বেশ ভাললাগে। এটুকু বলতে পারি, এই কোর্টে যদি খেলাকে উপভোগ করতে না পারি তাহলে কোন কোর্টে খেললে মজা পাব তাই জানিনা।” প্রধান প্রতিপক্ষ কার্লোস আলকারাজ যেখানে পঁাচ সেট খেলে প্রথম রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছেন সেখানে সিনারকে কোন বাধা পেতে হল না। এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় প্রাপ্ত সিনারের। পরবর্তী রাউন্ডে সিনারের প্রতিপক্ষ আলেকজান্ডার ভুকিচ।