ইন্টার মিলানের কাছে হারার জন্য ফুটবলারদের প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করলেও রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজস্ব হতাশা লুকিয়ে রাখলেন না বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। জানিয়ে দিলেন, তিনি রেফারিং নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।
দু-লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনা ৭-৬ গোলে হেরে গিয়েছে ইন্টার মিলানের কাছে। বিদায় নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। ফুটবল বোদ্ধারা ভাবছিলেন, এবার চারটে ট্রফি জিততে চলেছে বার্সেলোনা। অথচ মিলানের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ ঘটে গেল বার্সার। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষের দু-মিনিট আগে বার্সেলোনা গোল করে যখন ৩-২ করে ফেলেছে, সেই ম্যাচ কোনও দল হেরে যাবে তা এককথায় অবিশ্বাস্য। অথচ নাটকীয়তায় মোড়া ম্যাচে শেষ হাসি হাসে মিলান-ই। কিন্তু খেলার শেষে ফ্লিক জানিয়ে দিয়ে গেলেন তিনি দলের খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত।
“আমি হতাশ অবশ্যই, তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি ছেলেরা। প্রত্যেকটি ছেলে তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এখন হেরে গিয়েছি। সুতরাং এই প্রতিযোগিতা থেকে আমরা ছিটকে গেলাম। তবে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। সমর্থকদের আবার আমাদের প্রতি আনুগত্য ফিরিয়ে আনতে হবে। বোঝাতে হবে, আমরাই পারি। যাইহোক এবার আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পারলাম না। তাই বলে ভেঙে পড়লে তো চলবে না। পরের মরশুম রয়েছে। চেষ্টা করতে হবে, আমরা পরের মরশুমে যেন ভাল খেলে তার জবাব দিতে পারি।” ম্যাচের শেষে হতাশা গলায় কথাগুলো একটানা বলে গেলেন হ্যান্সি ফ্লিক। তিনি মানছেন, দলের মধ্যে তারুন্যের আধিক্য রয়েছে। মাঝে মাঝে অভিজ্ঞদের প্রয়োজন হয়। নাহলে ৮৮ মিনিটে রাফিনিয়া গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও দল হেরে ছিটকে যেত না। তাই ফ্লিক জানিয়েছেন,“মানছি আমাদের দলে তারুন্যের সংখ্যা অনেক বেশি। ধীরে ধীরে নিজেদের অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে। যাইহোক, এই হার থেকে একটা কথা বুঝেছি, রক্ষণভাগকে আরও ভাল খেলার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। তাদের ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরে দিতে হবে। তবে বাকি মরশুমে আমাদের এখনও বেশ কিছু ম্যাচ রয়েছে। সেইসব ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ যখন রয়েছে তখন নিজেদের তুলে ধরতে হবে।” রবিবার রয়েছে এল ক্লাসিকো। সেই ম্যাচ নিয়ে এখন থেকে ভাবতে চান ফ্লিক। তাই এই হতাশাকে দূরে সরিয়ে রেখে দলের প্রত্যেককে জানিয়ে দিয়েছেন, এল ক্লাসিকো নিয়ে ভাবনা শুরু করে দিতে। “রবিবার এল ক্লাসিকো আছে। সেখানেই ছেলেরা প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। তাই হতাশায় ভেঙে পড়লে চলবে না। যদি আমরা এল ক্লাসিকো িজততে পারি তাহলে বুঝিয়ে দেব, আমরা মোটেই হতাশায় ডুবে যাইনি। তারজন্য আমার ভূমিকাও রয়েছে। যেভাবে হোক দলকে চাগিয়ে তুলতে হবে।”
পরমুহূর্তে তিনি অবশ্য মিলানের লড়াইকে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, পরিশ্রমের ফসল ফলিয়েছে মিলানের ফুটবলাররা। “মিউনিখে গিয়ে মিলান চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাতে ফিরে আসে তারজন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম। একটা কথা মানতেই হবে, দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জিতল মিলান। তাদের রক্ষণভাগ যেমন জমাট। আবার আক্রমণভাগেও যারা খেলছে তারা প্রত্যেকে ভাল। আমার মনে হয় এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্যই ফেবারিট হিসেবে ফাইনালে নামবে মিলান।” বলেন ফ্লিক। পরমুহূর্তে তঁার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রেফারিং নিয়ে তঁার ধারণা কেমন। জবাবে ফ্লিক বলেন, “মিথ্যে বলব না, রেফারির ভূমিকায় আমি খুব একটা খুশি নই। যদিও এই নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে একটা কথা বলতেই হবে, ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো বরাবর আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। যাইহোক এটাই মেনে নিতে হবে। এছাড়া তো কিছু করার নেই।” বললেন ফ্লিক।

১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে চান মুম্বইয়ের হয়েই
১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। গোয়া নয়, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের হয়েই খেলতে চান, ই মেল মারফৎ জানিয়ে দিলেন