উপমহাদেশের ক্রিকেট এক প্রশ্ন চিহ্নের সামনে এনে দঁাড় করিয়ে দিল। গত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত উত্তেজনা চলছিল চরমে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছেদ ঘটাতে উদ্যত ছিল। এবার তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদীদের হামলা। কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া ২৬জন নিরীহ পর্যটককে হত্যার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এখন যুদ্ধং দেহী পরিস্থিতি। ক্রমাগত সীমান্ত উত্তেজনা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে যেখানে বলা যাবে না, আগামী কয়েকমাস স্বাভাবিক পর্যায়ে সবকিছু চলবে।
প্রশ্ন হল, সীমান্ত উত্তেজনা যেখানে চরমে সেখানে কি বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারত? আগস্টে বাংলাদেশ বনাম ভারতের তিনটি করে ওয়ান ডে ও টি-২০ ম্যাচ হওয়ার কথা। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতি যে জায়গায় গিয়ে পৌছেছে তাতে মনে হয়না আর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারত। “বাংলাদেশ সফরে যে ভারত আগস্ট মাসে যাবেই তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে পরিস্থিতি ক্রমাগত যেদিকে যাচ্ছে তাতে মনে হয়না এই সফর আদৌ করা সম্ভব হবে। এই মুহূর্তের পরিস্থিতি অনুযায়ী বলা যায়, বাংলাদেশ সফরে ভারত যাবে না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআই-এর এক কর্তা একথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে এখন অর্ন্তবর্তী সরকার চলছে। সেই সরকারের একজন খুব ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলি যেন দখল করে নেওয়া হয়। এই মন্তব্যই নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে তিনি এমনও বলেছেন, চিনের সাথে একটা যৌথ সামরিক অভিযান ভারতে চালানো হোক। যাতে উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলিকে দখল করে নেওয়া যায়। এমন অর্বাচীন মন্তব্য করে বিতর্কের তুঙ্গে নিজেকে জাহির করে ফেলেছেন বাংলাদেশের অবসর নেওয়া মেজর জেনারেল আলম ফজলুর রহমান। “পাকিস্তান যদি আক্রমণ করে ভারত তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য দখল করার জন্য ঝঁাপিয়ে পড়া। ভারতের এই সাতটি রাজ্য দখল করার আশু প্রয়োজন। তেমন হলে চিনের সাথে যৌথ সামরিক অভিযান নিয়ে এখনই আলোচনা করা জরুরী হয়ে পড়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বক্তব্য পেশ করেছেন আলম ফজলুর রহমান।
পরিস্থিতি যখন চরমের পথে এগোচ্ছে তখন মনে হয়না আর বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যাবেন। শুধু বাংলাদেশ সফর বাতিল হবে তাতো নয়, এবছর এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। সেই প্রতিযোগিতাও হবে কিনা সন্দেহ। যদিও ভারত সরকার সমস্ত বিষয়ের দিকে কড়া নজর রাখছে। পরিস্থিতি এমনই অপরিবর্তিত থাকলে উপমহাদেশে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারত আর ক্রিকেট খেলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এশিয়া কাপ এবার একটা নিরপেক্ষ ভেনুতে হওয়ার কথা। বাংলাদেশ সফর শেষ হলে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল। যদিও এশিয়া কাপের ভেনু চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে মনে হয়না ভারত আর বাংলাদেশের পথে পা বাড়াবে। তাছাড়া পাহেলগামের ঘটনা খুব সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে। তাতে মনে হয়না ভারত এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে কোথাও ক্রিকেট খেলতে চাইবে। তাই পাহেলগামের ঘটনা উপমহাদেশের ক্রিকেটে বিশাল প্রভাব ফেলে দিল।

ঋষভকে শেহবাগ, পুরনো ভিডিও দেখার পাশাপাশি কথা বল ধোনির সঙ্গেও
ঋষভ পন্থের কি হল! কোনও কিছু ঠিকভাবে করতে পারছেন না। দলের সাফল্য নেই। তাঁর ব্যাটে রানও নেই। কেন এমন হচ্ছে!