কেরল ব্লাস্টার্স-২ (জিমেনেজ (পেনাল্টি), নোয়া) ইস্টবেঙ্গল-০
৬৪ মিনিটে ডান দিকে বল যখন ধরলেন তখন তঁার পাশে ইস্টবেঙ্গলের দুই ডিফেন্ডার। তঁাদেরকে গতিতে হার মানালেন। ডান দিক থেকে কাট করে ভিতরে যখন ঢুকছেন তখনও ইস্টবেঙ্গলের দুই ডিফেন্ডার তঁার কাছাকাছি চলে এসেছেন। বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে চলন্ত বলে নিলেন বঁা পায়ে শট। গোলার মতো নেওয়া শট ঢুকে গেল জালে। এই হলেন নোয়া সাদুই। যিনি অবিশ্বাস্য গোল করে কেরল ব্লাস্টার্সকে শুধু কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে দিলেন না, জ্বালিয়ে দিলেন মোহনবাগানের সামনে বিপজ্জনক আলো। বুঝিয়ে দিলেন, মোহনবাগানকেও সমঝে চলতে হবে। নাহলে কপালে দুঃখ আছে। তার আগে জিমেনেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন। সেই গোলের পেছনেও ছিল নোয়ার অবদান। নোয়া বক্সের মধ্যে ঢুকে আনোয়ারকে কাটিয়ে কাট করে ডান দিকে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। সেইসময় তঁাকে ল্যাং মেরে মেরে ফেলে দেন আনোয়ার। রেফারি পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেননি। প্রথমবার জিমেনেজের শট আটকে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। কিন্তু তিনি দঁাড়িয়ে ছিলেন গোললাইন ছেড়ে। তাই রেফারি ফের পেনাল্টির নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় আর গোল করতে সমস্যা হয়নি জিমেনেজের।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন, আশার আলো জ্বালা অস্কার ব্রুজো, সবকিছু যেন হতাশার সাগরে ভেসে গেল ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলে ব্যর্থতার পর লাল-হলুদ জনতার আশা ছিল সুপার কাপে নিশ্চয় দল ঘুরে দঁাড়াবে। কিন্তু কোথায়! যেই তিমিরে ছিল দল সেই তিমিরে রয়ে গেল। হবে না কেন। বিশেষ কোনও পরিকল্পনার ছাপ ছিল না খেলায়। রিচার্ড সেলিস, দিয়ামান্তোকসের খেলাতেও কোনও তাগিদ লক্ষ্য করা যায়নি। যে মেসি বাউলি আইএসএলে ছাপ ফেলেছিলেন। মেসিকে নিয়ে অনেকে দেখেছিলেন স্বপ্ন। সেই মেসিও কিছু করতে পারলেন না। যেটুকু লড়ার লড়েছেন পিভি বিষ্ণু। বেচারা বিষ্ণু বিরতির আগে যে শট নিয়েছিলেন তা পোস্টে না লাগলে নিশ্চিত গোল ছিল। পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল যদি ঠিকমতো শট নিতে মেসি পারতেন তাহলেও গোল হতে পারত। তাছাড়া বিরতির আগে বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মেসি, দিয়ামান্তোকোস, রিচার্ড সেলিসরা। ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় আক্রমণ হচ্ছিল বঁা প্রান্ত ধরে। ফলে সুবিধে হয়ে যায় কেরলের। বঁা প্রান্তকে ধরে নিতেই শেষ হয়ে গেল লাল-হলুদ শিবির। আইএসএল-এর পর সুপার কাপও শূন্য হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। চলতি মরশুমে শূন্য হাতই রয়ে গেল লাল-হলুদ শিবিরের কাছে। না, ভুল বললাম। মেয়েদের আই লিগ যে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল।

ঋষভকে শেহবাগ, পুরনো ভিডিও দেখার পাশাপাশি কথা বল ধোনির সঙ্গেও
ঋষভ পন্থের কি হল! কোনও কিছু ঠিকভাবে করতে পারছেন না। দলের সাফল্য নেই। তাঁর ব্যাটে রানও নেই। কেন এমন হচ্ছে!