নববর্ষের সকাল। ময়দানজুড়ে বারপুজো। তারই মধ্যে মোহনবাগানে যেমন ভোটের আবহ, তেমনি ইস্টবেঙ্গলে অশান্তির আঁচ। নববর্ষের শপথ, অঙ্গীকার, উৎসব, উচ্ছ্বাস সব ছিল, কিন্তু লালহলুদে সুর কাটল অনুশীলনে। উৎসবের মাঝেই অশান্তি। অশান্তি সেই ক্লেইটন সিলভাকে নিয়ে। কোচের সঙ্গে আগের দিনের অশান্তির রেশ। দলের সঙ্গে নয়, ক্লেইটনকে দেখা গেল একা একা আলাদা আলাদা অনুশীলন করতে। কোচ অস্কারের সঙ্গে কোনও কথা নেই। কোচ কথা বলতে এলেও দেখা গেল মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। পাত্তা দিচ্ছেন না ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। এক সময় সিটিও অময় ঘোষালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল ক্লেইটনকে। কথা থেকে তর্ক। উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। কোচ এগিয়ে এলেও ভ্রুক্ষেপ করলেন না ক্লেইটন। শেষ পর্য়ন্ত সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হল সৌভিকদের। আরও অশান্তি বাড়ার আগে সতীর্থরা ক্লেইটনকে মাঠের বাইরে সরিয়ে দিয়ে এলেন।
নববর্যে সবার সামনে এই ঘটনা। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার আর কী করেন! পরিস্থিতি হালকা করতে সাংবাদিকদের বলেন, সুভাষ ভৌমিকের সময় দেখেননি! এমন গণ্ডগোল হত না? কিন্তু তাতে কি ট্রফি আসত না? তবে মেনে নিলেন এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়। কাঙ্খিত নয়। তিনি মুখে যাই বলুন, ভিতরের খবর, কোচ যদি অভিযোগ জানান, তাহলে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন ক্লেইটন সিলভা।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল আগের দিন অনুশীলনে। কোচ ক্লেইটনকে তাঁর পছন্দের জায়গায় না খেলানোয় ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ব্রাজিলায় তারকা। আলাদা কিছুক্ষণ অনুশীলন করে মাঠ থেকে বেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন। সেই আগুন নেভেনি। সুপার কাপ এগিয়ে আসছে। তার আগে নতুন অশান্তি ঢুকে পড়ল লালহলুদ শিবিরে।
ছবি সৌজন্য- ফেসবুক