কলকাতা রেফারিজ সংস্থার উদাসীনতা দেখে কলকাতা ময়দান হতবাক। সম্পূর্ন বেখেয়ালের জন্য একটা ম্যাচ পুরো ভেস্তে গেল। দুটো দল ছিল হাজির। এমন কী ক্লাব-কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন মাঠে। আইএফএ-র প্রতিনিধিও এসে ছিলেন। তবু রেফারি না আসায় খেলাই হতে পারল না।
বুধবার পঞ্চম ডিভিসন বি গ্রুপের খেলা ছিল ভবানীপুর মাঠে। মুখোমুখি হয়েছিল ইন্ডিয়া ক্লাব-বাঘমারি। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। অথচ সেই ম্যাচ কিনা রেফারি না আসায় হতেই পারল না। প্রশ্ন হল, দুটো দল হাজির থাকা সত্ত্বেও রেফারি না আসার কারণ কি? কলকাতা রেফারিজ সংস্থার সহ-সচিব তুষারকান্তি গুহ বলছিলেন, “দেখুন, আমরা ব্যাপারটা খেয়াল করিনি। সত্যি বলতে কী পুরোপুরি মিস হয়ে গিয়েছে। আসলে প্রচুর ম্যাচ ছিল। তাই বুঝতে পারিনি বলেই খেলায় রেফারি পাঠানো সম্ভব হয়নি। আমরা জানতাম না, এমন খেলা রয়েছে। তাই আমরা ম্যাচটায় কোনও রেফারি পোস্টিং পর্যন্ত করিনি।” রেফারিজ সংস্থার সহ-সচিব জানিয়ে দিলেন, প্রায় ২০-২২টা ম্যাচ ছিল। তাই নাকি খেয়াল হয়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, আইএফএ-র প্রতিনিধি এসেছিলেন মাঠে। তাহলে কেন তিনি বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে খেলা চালানোর চেষ্টা চালাননি? কেন তিনি ফোন করে রেফারিজ সংস্থা থেকে রেফারি আনার ব্যাবস্থা করেননি? যদি তিনি বাড়তি উদ্যোগ নিতেন তাহলে হয়তো ম্যাচটা হলেও হতে পারত। কিংবা রেফারিজ সংস্থা চেষ্টা করতেন যেভাবে হোক রেফারি ম্যানেজ করে মাঠে পাঠাতে। আসলে আইএফএ-ও ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দেয়নি বলেই ঘটনাটা ঘটেছে। তবে দুটো দলের কোচ-সহ ফুটবলাররা হতাশ। এমনিতেই অনূর্ধ্ব-১৬ বছরের ছেলেদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা চলছে। তার উপর যদি ছোট খেলাগুলো না হয় তাহলে খুদে ফুটবলারদের কাছে কী বার্তা যাবে জানা নেই। এসব কবে দূর হবে বাংলার ফুটবলে কে জানে। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত অবশ্য রেফারিজ সংস্থার কাজে দারুন ক্ষুব্ধ। জানিয়ে দিলেন, “কলকাতা রেফারিজ সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের কিছু বলার নেই। যারা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না তারা যদি একটা গুরুত্বপূর্ন পদে বসে থাকে তাহলে বলার কিছু থাকে না। ভাবতে পারছি না, ম্যাচ ছিল অথচ তারা নাকি খেয়াল করেনি। এরচেয়ে বড় অপদার্থতা আর কী হতে পারে। যাইহোক আশাকরি সিআরএ নিশ্চয় এমন ভুল আর করবে না।” তবে সিআরএ-র তরফ থেকেও ব্যাপারটার জন্য ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তারাও মানছে, ঘটনাটা যেভাবে ঘটে গিয়েছে তা তঁারা ভাবতেই পারছেন না।
