শনিবার রাতে ইডেনে কোনও কিছুই ঠিক হল না। হঠাৎ বৃষ্টিতে কেকেআর ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ পন্ড হল। এখানে সব শেষ হয়ে গেলে কিছু বলার ছিল না। কিন্তু সেটা হল কোথায়! এরপরই ইডেনকে ধুয়ে দিলেন ভিন রাজ্যের সাংবাদিক ও বিদেশি ক্রিকেটাররা। বিদেশি বলতে দুদলে খেলা ক্রিকেটাররা নন, বিদেশি টিভি ভাষ্যকাররা পিচ কিউরেটরকে শেষ করে দিলেন। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ম্যাথু হেডেন এক টিভি চ্যানেলের হয়ে কাজ করতে কলকাতায় এসেছিলেন। বৃষ্টির পর বলছিলেন, সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল। মাঠের উপর কোনও নিয়ন্ত্রন ছিল না। ছিল না কোনও শৃঙ্খলা। সব কিছু কেমন যেন বিভ্রান্তিকর। সাংগাঠনিক ব্যবস্থা এভাবে ভেঙ্গে পড়লে কি করার থাকে।
আগেই আবহাওয়া দপ্তরের ঘোষণা ছিল, রাতের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস শেষ হওয়ার পর আকাশ গর্জন করতে শুরু করে। নাইটদের ইনিংসের এক ওভার হওয়ার পর খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। পাঞ্জাবের ২০১ রানের জবাবে নাইটরা তখন বিনা উইকেটে ৭ রান। তারপর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু প্রবল বৃষ্টি। মাঠ কর্মীরা চেষ্টা করেও সামাল দিতে পারলেন না। পিচ কভার দিয়ে মাঠ ঢাকার চেষ্টা হল। কিন্তু তাতে আর কি। কভার যে হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে। একটি কভার প্রায় গ্যালারিতে চলে গেল। সেই ফাঁকা জায়গা তখন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার অবস্থা। এখানেই শেষ নয়, পিচ কভার উড়ে যাচ্ছে দেখে মাঠকর্মীরা তার উপর বসে পড়লেন। মাঠ যেন জলে ভেসে না যায় তার চেষ্টা। এমন বেহাল চিত্র ইডেনে আগে দেখা যায় নি। হেডেন বলছিলেন, এমন বিভ্রান্তিকর অবস্থা হলে খেলা কী করে শুরু করা যাবে। কভার দিয়েও তো মাঠ বাঁচানো যাচ্ছে না। বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। তাই আগে থেকে সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার দরকার ছিল। সেটা কেন যে করা হল না জানি না। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছিল। স্বাভাবিকভাবে এই ঝড়ে কভার ঠিক রাখা সম্ভব নয়। তাই আগে থেকে সব কিছু ঠিক রাখার দরকার চিল। কেন যে তারা করলেন না জানি না।
আম্পায়াররা জানিয়েছিলেন মাঠ খেলার উপযুক্ত হলে ১১টা ৪৪ মিনিটে খেলা শুরু করা সম্ভব। তখন পাঁচ ওভারের খেলা হবে। নাইটদের কাছে তখন কী টার্গেট দাঁড়াবে তা জানা গেল না। তবে যে টার্গেটই হোক না কেন, নাইটরা তার পিছনেই ছুটত। কিন্তু তার আগেই আম্পায়াররা খেলা কলডঅফ করে দিলেন। জানিয়ে দিলেন মাঠের যা অবস্থা তারপর এই মাঠে খেলা করা সম্ভব নয়। দুদল একপয়েন্ট করে মাঠ ছাড়লেন। পয়েন্ট ভাগ হওয়ার থেকেও বড় কথা, ইডেনের মান থাকল না। বৃষ্টি ধুয়ে মুছে সাফ করে দিল। কেন এমন হল! এর উত্তর যাঁদের দেওয়ার কথা তখন তাঁরা কোথায়। এরপর সাবধান হতে হবে। প্রবল বৃষ্টির পরও ইডেনে এর আগে ম্যাচ চালু করা গিয়েছে। কিন্তু ঝড়ের হাত থেকে কে বাঁচাবে ইডেনকে। সেদিকে এবার তাকাতে হবে। তার কি কোনও ব্যবস্থা করা যায়!