মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ৭ উইকেটে ২১৫ (২০ ওভার)
লখনউ সুপার জায়ান্টাস: ১৬১ (২০ ওভার)
মুম্বই ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হয়েছিল, এদিনের ম্যাচ রিপোর্ট সূর্য়কুমার যাদবকে (স্কাই) দিয়ে শুরু করতে হবে। যিনি এই মরশুমে সব থেকে ভাল ছন্দে আছেন, তাঁকে তো সামনে নিয়ে আসতে হবে। আইপিএলে ১০ ম্যাচে করে ফেললেন ৪২৭ রান। একইসঙ্গে আইপিএলে ৪ হাজার রানের ক্লাবের সদস্যও হয়ে গেলেন। তাঁকে সরিয়ে রেখে অন্য কাউকে কি শুরুতে নিয়ে আসা যাবে।
কিন্তু সেটা পারছি না। না পারার পিছনে কারন আছে। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট দারুন বোলিং করেছিলেন। সেই ছন্দ আবার দেখা গেল। তবে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন জসপ্রীত বুমরা। চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর বুমরাকে ফর্মে দেখা যাচ্ছিল না। বল হাতে রান দিয়ে ফেলছিলেন। উইকেটও আসছিল না। কিন্তু লখনউকে তিনি পাখির চোখ করে ফেললেন। চার ওভারে ২২ রান পেলেন ৪ উইকেট। ব্যস আর কি। মুম্বইয়ের ২১৫ রানের জবাব লখনউ আটকে গেল ১৬১ রানে। অধিনায়ক হার্দিক ম্যাচ জিতে গেলেন ৫৪ রানে। এখানেই শেষ নয়, ই জয়ের ফলে তরা পাঁচে পাঁচে করে লিগ টেবিলে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুনম্বরে উঠে এল। ভাবা যায়! যারা শুরুতে আইসিইউতে চলে গিয়েছিল, তারা অক্সিজেন নিয়ে দারুনভাবে ফিট হয়ে মাঠে দৌড়তে শুরু করল। আসলে মুম্বইয়ের চরিত্র এমনই। এর আগেও এভাবে তারা শুধু উপরে উঠে আসেনি, চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। সেই পথে আবার তারা চলেছে।
রোহিত আগের দুই ম্যাচে বড় রান পেয়েছিলেন। লখনউয়ের স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদবকে দুটি বিশাল ছক্কা মেরে আউট হয়ে গেলেন। মায়াহ্কের অফস্ট্যাম্পের বাইরের স্লোয়ারে কাট মারতে গিয়েও জোর দিতে পারলেন না। শর্ট থার্ডম্যানের হাতে চলে গেল। রোহিত পাঁচ বল খেলে ১২ করেলন। তারপর শুধু ঝড়। রিকেলটনের সঙ্গে জুটিতে স্কাই রানের বন্যা ছুটিয়ে দিলেন। সেই ঝড় থামাতে লখনউ বোলারদের ত্রাহি ত্রাহি রব। কোনও বোলারই সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না। ৩২ বল খেলে রিকেলটন ৫৮ করলেন। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর হাল ধরলেন স্কাই। এবারের আইপিএলে তাঁর রান দেখলে হিংসে করতে হবে। ২৮ বল খেলে করলেন ৫৪। আর তাতেই মুম্বই পার করে ফেলল দুশো রানের গন্ডী।
বোর্ডে ২১৫ রান দেখলে সব দল কেঁপে যায়। লখনউয়ের অবস্থাও তেমন হল। তার উপর বোল্ট ও বুমরার সামনে অসহায়ের মতো আউট হয়ে গেলেন ব্যাটসম্যানরা। একসময় ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০ রান ছিল। কিন্তু সেখান থেকে ১৬১ রানে সব শেষ। ঋষভ পন্থ কবে রান করবেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও রান পেলেন না। তিনি মাত্র চার রান করে আউট হয়ে গেলেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঋষভের এই অসহায় অবস্থা শেষ কবে দেখা গিয়েছে মনে করা যাচ্ছে না। তাদের শেষ ৬টি উইকেট পড়ল ২৬ রানে। এরপর লখনউ কোথায় গিয়ে শেষ করে তা জানার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ মুম্বই ৭ উইকেটে ২১৫( রোহিত ১২, রিকেলটন ৫৮, সূর্যকুমার ৫৪, উইল জ্যাকস ২৯, নমন ধীর ২৫, মায়াঙ্ক ৪০ রানে ২, আভেশ খান ৪২ রানে ২)
লখনউ সুপার জায়ান্য়াসঃ ১৬১ ( মিচেল মার্শ ৩৪, পুরান ২৭, পন্থ ৪, মিলার ২৪, বোল্ট ২০ রানে ৩, বুমরা ২২ রানে ৪)।