একেবারে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাস্তবটাকে বোঝার চেষ্টা করছেন বাস্তব রায়। সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে ওঠা, চ্যাম্পিয়ন হওয়া – এসব তাঁর মাথায় নেই। তাঁর মাথায় শুধু ঘুরছে তাঁর এই তরুণ ফুটবলাররা বড় মঞ্চে কত বেশি নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পান। এমন মঞ্চে কত বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। তাই ৬ জন বিদেশি নিয়ে গড়া প্রবলতর প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠে তিনি বললেন, “আমি সবচেয়ে বেশি খুশি ছেলেরা আর একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।“ এই তরুণ ফুটবলারদের সুপার কাপে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানান বাস্তব।
মোহনবাগান কোচ স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন কেরালা ভাল খেলেছে। গোলের সুযোগও তৈরি করেছে। কিন্তু তাঁর গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডাররা আরও ভালভাবে সেগুলো সামলেছেন। যদিও কেরালা সুযোগ নষ্ট করেছে, সেটাও অবশ্য মেনে নিলেন। এমন মধুর জয়ের সব কৃতিত্ব ফুটবলারদেরই দিচ্ছেন বাস্তব। ফুটবলাররা সঠিক মানসিকতা দেখাতে পেরেছেন বলেই এমন গুরুত্বপূর্ণ জয় এসেছে, ব্যাখ্যা কোচের।
মোহনবাগানের অনূর্ধ্ব ১৩, অনূর্ধ্ব ১৫ দল ও আরএফডিএলের দল সাফল্য পাচ্ছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে মোলিনার সহকারি জানান, তাঁদের ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট যে ঠিক পথে এগোচ্ছে, এটা তারই প্রমাণ। জুনিয়র দলটা কলকাতা লিগ ও আরএপডিএলের পর আর ম্যাচ খেলেনি। তাদের এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ করে দিয়ে নিজেদের চেনানোরও সুযোগ করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট, তাই বারবার ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ২-৩ বছরের মধ্যে এই দলের অনেকেই সিনিয়র দলে খেলবে, প্রবল আশাবাদি কোচ।
একটা বড় জয়। তরুণদের কাছে তো জয়টা আরও বড়। তাই শনিবার দিনটা জয়কে উপভোগ করার। রবিবার থেকেই সেমিফাইনালের মোডে চলে যাবে টিম মোহনবাগান।