আইপিএলের মাঝে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় সিনিয়র দলের তিনজনের চাকরি গেল।
আগেই জানা গিয়েছিল, বোর্ড কর্তারা দলে সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চান। তাই জাতীয় দলের কয়েকজন চাকরি হারাতে পারেন। সরকারিভাবে তখন এই খবরের ঘোষনা হয়নি। অবশেষে কর্তারা খবর নিশ্চিত করলেন। তাঁরা জানিয়ে দিলেন, সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার. ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ও ট্রেনার সুমনকে আপাতত জাতীয় দলে রাখা হচ্ছে না। তাঁদের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করা হল। সোজা বাংলায় বলতে গেলে এটাই বলতে হয় যে তাঁদের তিনজেনর চাকরি গেল। এখন সহকারি কোচের দায়িত্ব পালন করবেন রায়ান দুশখাতে। ফিল্ডিংও তিনি দেখবেন। ট্রেনার হিসেবে একজন বিদেশীকে নিয়ে সা হবে। তিনি আপাতত পাঞ্জাব কিংসের দায়িত্বে আছেন। আইপিএল শেষ হওয়ার পর তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
তিনজনের কেন চাকরি গেল। শোনা যাচ্ছে, ড্রেসিংরুমের অন্দরমহলের খবর বাইরে আনার জন্য তাঁদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এমনটাই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিষোগ। এর সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। কীভাবে প্রমান হল যে তাঁরা ড্রেসিংরুমের অন্দরমহলের খবর বাইরে আনছেন। না, এমন কোনও প্রমান হাতে আসেনি।
ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সময় ড্রেসিংরুমের বেশ কিছু খবর বাইরে এসেছিল। কী করে তা বাইরে এল তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। তখন উত্তর মেলেনি। বোর্ড কর্তারা নাকি এরপর খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, এঁরা খবর বাইরে এনেছেন। এ ব্যাপারে কেন মর্কেল বা দুশখাতের নাম সামনে এল না! বিদেশি বলে কি তাাঁরা পার পেয়ে গেলেন। হতে পারে। হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের পছন্দের তালিকা থেকে একজনকে শুধু ছেঁটে ফেলা হল। জাতীয় দলের কোচ হয়ে সহকারি হিসেবে গম্ভীর চেয়েছিলেন অভিযেক নায়ারকে। সঙ্গে মর্কেল ও দুশখাতেকে। টি দিলীপ আগেই ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে গম্ভীরের পছন্দ না হলেও তিনি মেনে নেন। এবার সুযোগ বুঝে কোপ দেওয়া গেল। গম্ভীর সবসময় চেয়ে এসেছেন বিদেশি কোচেদের নিয়ে তিনি কাজ করবেন। কিন্তু জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে তিনি নানা সাক্ষাৎকারে বলে এসেছেন, দেশীয় কোচদের কেন দায়িত্ব দেওয়া হবে না। তিনি নিজে যখন দায়িত্ব পেলেন, তখন সেই বিদেশির পিছনে ছুটলেন। ফিল্ডিং কোচ হিসেবে তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিলেন জন্টি রোডস। বোর্ড বাতিল করে দিয়ে দিলীপকে কজ চালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আটমাসের মধ্যে সব কিছু বদলে গেল। নায়ার, দিলীপ, সুমনদের চাকরি গেল। এ নিয়ে কিন্তু গৌতম গম্ভীরের কোনও কথা শোনা যায়নি। তিনি কেন চুপ করে থাকলেন। বোর্ড সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা কমাতে চায়। তা হলে এতদিন দুশখাতের ভূমিকা কি ছিল! জাতীয় দলে দুজন সহকারি কোচ! ভাবা যায়! এভাবেই নিজের পছন্দের লোক নিয়ে হেড কোচ চলেছেন। এবার সুযোগ বুঝে ভারতীয় কোচদের ছাঁটাই করে দিলেন। গম্ভীর চাইলি কি এঁদের চাকরি যেত! বিশ্বাস করা কঠিন। এখন দেখার ব্যাপার এটাই যে ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে কেমন রেজাল্ট হয়। তারপর আবার দেখা যেতে পারে কাদের চাকরি থাকে, আর কাদের চাকরি যায়।

ঋষভকে শেহবাগ, পুরনো ভিডিও দেখার পাশাপাশি কথা বল ধোনির সঙ্গেও
ঋষভ পন্থের কি হল! কোনও কিছু ঠিকভাবে করতে পারছেন না। দলের সাফল্য নেই। তাঁর ব্যাটে রানও নেই। কেন এমন হচ্ছে!