আবার চোটের কবলে পড়লেন নেইমার। বৃহস্পতিবার স্যান্তোস মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের লিগ সিরি আতে অ্যাথলেটিক মিনেইরোর বিপক্ষে। সেই ম্যাচে স্যান্তোস ২-০ গোলে জিতে যায়। কিন্তু প্রথম ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার আগেই পুরোন চোট উরুতে ফের আঘাত পেলেন নেইমার। বহু আশা নিয়ে স্যান্তোসে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। ভেবেছিলেন পুরোন ক্লাবে খেলে নিজেকে ফিট করে তুলবেন। ফিরে যাবেন ব্রাজিলের জাতীয় দলে। কিন্তু একের পর এক চোটের কবলে পড়ে জর্জরিত হয়ে যাচ্ছেন নেইমার। শেষ কবে তিনি পুরো মরশুম চোট বিহীন অবস্থায় কাটিয়েছেন তা খঁুজে পেতে গেলে ফিরে যেতে হবে ২০১৬-১৭ সালে। যেবার তিনি সারা মরশুমে ৩৫ ম্যাচ খেলে ছিলেন। বৃহস্পতিবার যখন বঁা পায়ের উরুতে চোট পেয়ে বসেন তখন খেলার বয়স হয়েছে মাত্র ৩৭ মিনিট। ততক্ষণে স্যান্তোস ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছে। চোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে ইশারা করতে থাকেন। জানিয়ে দেন, তঁাকে যেন বসিয়ে দেওয়া হয়। কার্টে করে যখন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তঁার দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। নেইমার ভক্তরা তখন বুঝে গিয়েছিলেন, তঁাদের প্রিয় নায়ক ফের চোটের কবলে পড়েছেন। কবে ফিরবেন কেউ জানে না। নেইমার তখন কেঁদেই চলেছেন। আসলে নেইমারের চোট পাওয়া এখন কোনও বড় খবর নয়। সকলে জেনে গিয়েছেন, বড়জোর দুটো ম্যাচ টানা খেললে তঁাকে একটা ম্যাচে বিশ্রাম দিতে হয়। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা ছিল নেইমারের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। স্যান্তোসের নিজস্ব মাঠ ভিলা বেলমিরোয় নেইমার খেলতে নেমেছিলেন শততম ম্যাচ। সেইজন্য তঁাকে ক্লাবের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল ১০০ লেখা বিশেষ জার্সি। ৩৪ মিনিট মাঠে ছিলেন। চোট পেয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে গিয়ে বসে পড়ার পর দেখা যায় ব্যাথার জায়গায় বরফ ঘষছেন। এমনিতেই ক্লাবের হয়ে খেলা তঁার কাছে এখন অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। জাতীয় দল তো সেখানে দূর অস্ত। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। সৌদি প্রো লিগ থেকে তিনি সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে আল হিলালের চুক্তি বাতিল করে বহু আশা নিয়ে ফিরে এসেছিলেন পুরোন ক্লাব স্যান্তোসে। এখনও অব্দি মাত্র ৯টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অথচ একটা ম্যাচ বাদে বাকি আটটা ম্যাচে তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। এইভাবে যদি তঁাকে ক্রমাগত চোটের কবলে পড়তে হয় তাহলে এখন থেকে বলেই দেওয়া যায়, জাতীয় দলে তঁার পক্ষে ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে গেল।

ভেস্তে গেল খেলা, বৃষ্টি সুবিধা করে দিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে
দিল্লি ক্যাপিটালস: ৮ উইকেটে ১৩৩ (২০ ওভার) একেই বুঝি কপাল বলে। নিশ্চিত হারা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে অক্ষর প্যাটেলরা