সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ ৫ উইকেটে ১৬২ (২০ ওভার)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সঃ ৬ উইকেটে ১৬৬ ( ১৮.১ ওভার)
দক্ষিন আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেইল স্টেইনের কথা মিলল না। ২৩ মার্চ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ১৭ এপ্রিল আইপিএলে দারুন কিছু একটা হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে কোনও দল তিনশো রান করতে পারেনি। গত মরশুমে হায়দরাবাদ ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছিল। এবার তিনশো হবে। এবং সম্ভবত হায়দরাবাদ এমন রেকর্ড করবে।
কিন্তু শেষপর্যন্ত কি দেখা গেল। স্টেইন কি দুদলের রান যোগ করে তিনশোর কথা বলেছিলেন! সেটাই বা হয় কি করে। এমন রান তো প্রায় রোজ হচ্ছে। স্টেইন বুঝতে পারেননি আইপিএলের ম্যাচ নাগাড়ে হওয়ার কারনে উইকেটের অবস্থা কঠিন হয়ে পড়ছে। সেই উইকেটে স্ট্রোক খেলা সহজ নয়। সেটাই হল হায়দরাবাদের ম্যাচে। মুম্বইয়ের আঁটোসাটো বেলিংংয়ের সামনে তার অনেক লড়ে ১৬২ রান করল। এই রান নিয়ে ম্যাচ জেতা যায়!
জেতা যায়। এবং সেটা করে দেখিয়েছে পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা। হায়দরাবাদ দলে চাহালের মতো স্পিনার ছিলেন না। তাঁরা মোটামুটি পেসারদের দিকে তাকিয়ে ম্যাচ বের করার কথা ভেবেছিলেন। তই কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স ১১ বল বাকি থাকতে চার উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। এই জয়ের পর একটা কথা বলতেই হয় যে তারা জয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে। টানা দুটি ম্যাচ জিতে মুম্বই ধরে ফেলেছে কেকেআরকে। রানের গড়ে কেকেআর একধাপ সামনে থাকলে কি হবে, এই এগিয়ে থাকার কোনও অর্থ হয় না।
উল্টোদিকে শামি, কামিনসরা থাকায় শুরুর লড়ই কঠিন ছিল। কিন্তু রোহিত শর্মা থাকলে কোনও কিছু কঠিন বলে মনে হয় না। রোহিত বড় রানর ইনিংস খেলতে পারছেন না। কিন্তু শুরুটা যেভাবে করে দিচ্ছেন, তারপর উপর দাঁড়িয়ে মিডলঅর্ডাররা এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়ে যাচ্ছেন। এদিন শামিকে দুটি ভার বাউন্ডরি মারলেন। কামিনসকে একটি। ১৮ বলের ইনিংসে রোহিতের ব্যাট থেকে এল তিনটি ওভার বাউন্ডারি। ব্যক্তিগত ২৬ রান করে তিনি ফিরে গেলেন। গেলেন অদ্ভুতভাবে। কামিনসের একটি লো ফুলটস ড্রাইভ মারতে গিয়ে কভারে হেডের হাতে তুলে দিলেন। রোহিত ফিরে যাওয়ার পর মুম্বই ম্যাচ ঠিকমতো ধরতে পারেনি। একজন ব্যাটসম্যানও বড় রানের ইনিংস খেলতে পারলেন না। ম্যাচের সেরা উইল জ্যাক ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ২৬ বলে করলেন ৩৬ রান। কিন্তু বাকিরা! তাঁদের ব্যাট থেকে বড় রান কোথায়! সূর্য (২৬) হার্দিক (২১) এবং তিলক বর্মা (২১ অপরাজিত) রান পেলেও বড়মুখ করে বলার মতো নয়। কামিনস আবার তিন উইকেট নিয়ে চাপ তৈরি করায় মুম্বইয়ের একসময় ৪২ বলে ৪২ রান দরকার ছিল। সেই সময় হার্দিক লম্বা শট খেলে রানের ব্যবধান কমিয়ে আনেন। তাঁর ৯ বলে ২১ রান দলের জয়কে কাছে েনে নিয়ে আসে। কিন্তু হার্দিক ও নমন পরপর আউট হয়ে যাওয়ার পর তিলকের এক রিভর্স সুইপে বাউন্ডারি আসতেই মুম্বই জিতে যায়।
একটা জিনিস অবাক লাগছে। আইপিএলে খেলতে নেমে বুমরাকে সেই মেজাজে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ৪ ওভারে ২১ রান দিলেন। উইকেট মাত্র একটি। কিন্তু তাঁর দিকে দল যে কারনে তাকিয়ে থাকে, সেই ফর্ম কোথায়! শামিও তেমন। ৩ ওভারে দিলেন ২৮ রান। উইকেট নেই। এঁরা উইকেট না পেলে ভারত আগামি জুনে ইংল্যান্ড খেলতে যাওয়ার আগে স্বপ্ন দেখার সাহস পাবে তো! এটা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
ছবি-ফেসবুক(মুম্বই ইন্ডিয়ান্স)