লাইনউ সুপার জায়েন্টস: ১৮০-৫
রাজস্থান রয়্যালস: ১৭৮- ৫
ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল। ঝড়ও উঠল। সেই ঝড়ে চাপে লখনউ বোলিং। শার্দূল, আবেশ খানরা কোথায় বল ফেলবেন বুঝে উঠতে পারলেন না। যশস্বী জয়সওয়ালকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু পাওয়ার প্লে তে যিনি নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তাকে আপনি না তুমি বলা উচিত সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না।
১৪ বছর ২৩ দিন। বিহারের বৈভব সূর্যবংশী কামাল করে দিলেন। শার্দূল ঠাকুরকে কভারের ওপর দিয়ে যেভাবে ছয় মারলেন তাকে কি বলব? পরের ওভারে আবেশ খানকে লং অফের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে যে বলটি পাঠালেন তার কি কোনও ব্যাখ্যা আছে? এসব দেখে একটা প্রশ্নই মাথা ঘোরপাক খাচ্ছিল, অসম্ভব মানসিক শক্তি না থাকলে এই ধরণের ক্রিকেট খেলা যায় না। বৈভব বেশি সময় উইকেটে ছিলেন না। তার ৩৪ রানের ইনিংসটিতে দুটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি ছিল(২০)। মার্কক্রমের বলে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তাকে স্ট্যাম্প করে দিতেই ডাগআউটে বসে থাকা জাহির খানরা হাপ ছেড়ে বাচেন। ১৮১ রানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজস্থান তখন ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮৫। এই জায়গা থেকে ম্যাচ হারতে হলে খুব বাজে ব্যাটিং করতে হবে। নয়ত বা প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত বোলিং করতে হবে। প্রথমটি চোখে পড়ল। যশস্বী জয়সওয়াল (৭৪) আউট হতেই রাজস্থান প্রায় ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল।
জয়ের সুযোগ কি একেবারেই ছিল না? ছিল। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান। হাতে সাত উইকেট। এই জায়গা থেকে কেউ কি ম্যাচ হারে! রাজস্থান হারল পরিকল্পনাহীন ক্রিকেট খেলে। হেটমায়ারের আগে জুরেলকে কেন পাঠানো হল তার ব্যাখা নেই। জুরেলের কাছ থেকে একটাও বড় স্ট্রোক দেখা গেল না। হেটমায়ার তবু চেষ্টা করলেন। কিন্তু আবেশ খান হঠাৎ করে ‘বুমরা’ হয়ে উঠলেন। রাজস্থানের জারিজুরি শেষ। বুমরা যেমন ডেথ ওভারে ইয়র্কারের ওপর ভরসা রাখেন আবেশও সেই কাজটা করলেন। তাঁর তিন নম্বর ওভারে ছয় রান এলেও রাজস্থান উইকেট হারিয়ে বসে। আর শেষ ওভারের কথা কি বলব? কদিন আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জেতার জন্য রাজস্থানের জেতার জন্য দরকার ছিল ৯ রান। সেই ম্যাচ জেতেনি রাজস্থান। জয়পুরেও তাই। জয়ের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে রাজস্থান আটকে গেল ১৭৮ রানে। লখনউ জিতে গেল ২ রানে। ম্যাচের সেরা অবশ্যই আবেশ খান। যিনি প্রথম দুই ওভারে দিয়ে ছিলেন ২৬ রান। শেষ দুই ওভারে দিয়ে নিলেন ১১ রান ৩ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর অন্য কারো নাম ম্যাচের সেরাতে আসে কি!
অন্যদিকে, চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় হার দিল্লি ক্যাপিটালসের। অক্ষর প্যাটেলদের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে সহজেই ম্যাচ জিতে নিল গুজরাট টাইটান্স। বাটলারের দাপটে দিল্লির দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য চার বল বাকি থাকতেই পূরণ করে গুজরাট। ৩ রানের সেঞ্চুরি হল না জোশ বাটলারের। ৫৪ বলে ৯৭ রানে নট আউট রইলেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন সাই৷ সুদর্শন ও শেরফানে রাদারফোর্ড। ২১ বলে ৩৬ রান করে কুলদীপ যাদবের শিকার হন তিনি। ৩৪ বলে ৪৩ রান করে মুকেশ কুমারের শিকার হন রাদারফোর্ড। ৩ রানে ১১ রান ঝলক দেখিয়ে গেলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। তবে দিনটা ভালো যায়নি শুভমান গিলের ৫ বলের ৭ রান করে করুণ নায়ারের থ্রোয়ে রান আউট হন তিনি। দিল্লর হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন অক্ষর প্যাটেল। ৩২ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। কে এল রাহুল করেন ১৪ বলে ২৮ রান। ১৮ বলে ৩১ রান করেন করুন নায়ার। ২১ বলে ৩১ রান করেন স্টাবস। ১৯ বলে ৩৭ রান করেন আশুতোষ শর্মা। গুজরাটের হয়ে সবচেয়ে বেশি চার উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।