আসন্ন ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্ট সিরিজের জন্য একজন বঁা হাতি পেসার দলে নেওয়া একান্ত জরুরী বলে মনে করছেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচ এও মনে করছেন, ওই জায়গায় এই মুহূর্তে যদি ফিট বোলার ধরা হয় তাহলে অবশ্যই আর্শদীপ সিং-এর নাম আসবে। এই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
২০ জুন ইংল্যান্ড সফর শুরু হবে ভারতের। প্রথম টেস্ট বার্মিংহামের এজবাস্টনে। এই টেস্ট থেকেই শুরু হবে ২০২৫-২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। গতবার ভারত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তেমন সুবিধে করতে পারেনি। ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিও হারিয়ে বসে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১-৩ ফলে টেস্ট সিরিজে পরাজিত হয়। তাই ইংল্যান্ড সফর ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ন হতে চলেছে। আইসিসি রিভিউ পর্বে নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন,“আমি ইংল্যান্ড সফরের জন্য একজন বঁা হাতি বোলারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি। তারজন্য আমাকে প্রথম লক্ষ্য রাখতে হবে বঁা হাতি বোলারদের মধ্যে কে এই মুহূর্তে ভাল ফর্মে আছে। ষষ্ঠ বোলার হিসেবে তাকে দলের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হোক। তারজন্য যে কেউ হতে পারে। সাদা বোলার হিসেবে আর্শদীপকে ধরা হয়ে থাকে। এই কথার কোনও মানে হয়না। সঠিক মূল্যায়ন এটা নয়।” শাস্ত্রী পরমুহূর্তে এও বলেন, “প্রথমে আমি দেখব তার লাল বলের রেকর্ড। কত ওভার বল করে তার দিকেও নজর রাখা জরুরী। যদি সে ১৫-২০ ওভার বল করতে পারে তাহলেই চলবে। সবসময় মনে রাখবেন আর্শদীপ হল একজন বঁা হাতি বোলার। যা আমাদের খুব প্রয়োজন রয়েছে ইংল্যান্ডে।”
শুধু আর্শদীপকে এই তালিকায় থাকবেন তা নয়, উঠে আসছে খলিল আহমেদের নামও। শাস্ত্রী মানছেন, খলিল ও আর্শদীপ দুজনে ভারতের সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলে ঢুকে পড়েছে। মজার ঘটনা হল, এঁরা কেউই টেস্ট ক্রিকেটে নাম লেখাননি। টি-২০তে আর্শদীপ নিঃসন্দেহে প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকবেন। এই মুহূর্তে তিনি ৬৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট নিয়ে ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে রয়েছেন। এমন কী ৯টা ওয়ান ডে ম্যাচে নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দক্ষিণ আফ্রিকায় পঁাচ উইকেট দখল করা। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি উইকেট নিয়েছেন ২১টি ম্যাচ খেলে ৬৬। তাছাড়া গতবছর কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন ্কেন্টের হয়ে। যেখানে তঁার পঁাচটা ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৩টা উইকেট নিয়েছিলেন। সুতরাং ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় তঁার খেলার অভিজ্ঞতা আছে।
অন্যদিকে খলিলও পিছিয়ে আছেন যে খুব তা বলা যাবে না। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ তিনি ১৯টা খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৫২টি। তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় এ দলের হয়ে গিযেছিলেন খেলতে। পরে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির রিজার্ভ টিমের সদস্য হন। তিনি ভারতের হয়ে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৫টি উইকেট। ১৬টি উইকেট শিকার করেছেন ১৮টা টি-২০ ম্যাচ খেলে। টেস্ট ক্রিকেটে যে শ্রেয়স আইয়ার ফিরছেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। যেহেতু বিসিসিআই চুক্তি তালিকায় এবার ঢুকে পড়েছেন আইয়ার। উপ-মহাদেশের খেলায় আইয়ার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তঁাকে কতটা দলে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে এশিয়ার বাইরে গিয়ে তেমন সুবিধে করতে পারেননি আইয়ার। তেমন একটা খেলার সুযোগ তিনি পাননি। তাই শাস্ত্রী বলছেন, সাদা বলে সফল হওয়া ক্রিকেটাদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে এগোতে হবে। তাই বলে তাদের পিঠে সাদা বলের ক্রিকেটার হিসেবে যেন ছাপ ফেলে না দেওয়া হয়।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই