সাসপেন্ড ছিলেন। বাংলা দলের হয়ে খেলতে না যাওয়ার দরুন আইএফএ তঁাকে শাস্তি স্বরূপ খেলা থেকে আপাতত সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সুযোগ পেতেই কাজে লাগানো শুরু করে দিল সিঙ্গো মুর্মূ। নিউ আলিপুর সুরুচি সঙ্ঘ ৭-১ গোলে হারিয়ে দিল দীপ্তি সংঘ ফুটবল ক্লাবকে। কন্যাশ্রী কাপে এর আগেও হ্যাটট্রিক করেছেন আরও দুজন। সিঙ্গো হলেন ব্যতিক্রম। যিনি জঙ্গলমহল থেকে কলকাতায় পা রেখেছেন খেলার আশা নিয়ে। তিনটে গোল করলেন তাই নয়, খেলার মোড় বলতে গেলে তিনিই ঘুরিয়ে দিয়েছেন। নিভে যাওয়া সুরুচিতে আলোর দিশা দেখালেন সিঙ্গো।
প্রথম দুটো ম্যাচের মধ্যে প্রথমটায় মহামেডানের বিরুদ্ধে ওয়াকওভার পেয়েছিল সুরুচি সংঘ। কিন্তু পরের ম্যাচে হেরে বসে। সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে হেরে বসে। সেই হারের লজ্জা থেকে হোক, কিংবা ঘুরে দঁাড়ানোর শপথ ফুটবলাররা নিয়ে থাকুন, যে কোনও কারণেই হোক না কেন, রবিবার জেতার জন্য সুরুচি মরিয়া মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমে ছিল। তাই জেতার জন্য খেলা শুরুর প্রথম থেকে ঝঁাপিয়ে পড়ে। ঝঁাপালেই তো হবে না, গোল করতে হবে। গোলের সুযোগ পেয়েও তাকে কাজে লাগাতে পারছিলেন না কেউই। সহজ সুযোগ একের পর এক পেয়েও চলে আসছিল সুরুচির সামনে। কিন্তু কাজের কাজটি হচ্ছিল না। অবশেষে দূরপাল্লার একটা শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মণিপুরের লক্ষ্ণী দেবী। এই গোলটাই বলতে গেলে বাধার প্রাচীর খুলে দেয় সুরুচির সামনে। তারপর আর গোল পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রথম গোল পাওয়ার দু-মিনিটের মধ্যে ফের গোল করে বসে সুরুচি। এবার গোল করেন সিঙ্গো। তিনি গোল করেন যথাক্রমে ২৬, ৫৫ ও ৬০ মিনিটে। তৃতীয় তথা হ্যাটট্রিককারী গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। বিরতির আগে সুরুচি এগিয়ে ছিল ৩-১ গোলে। তারপর বিরতির পর ফের গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বিজয়ী দল। যেহেতু আগের ম্যাচে হেরে গিয়েছিল। তাও আবার বড় ব্যবধানে। তাই গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে রাখাই ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য। সেই কারণে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কোচ সৌরভ চক্রবর্তীর মেয়েরা। বাকি তিনটে গোল করেন কুমকুম সোরেন, রশ্মি বাস্কে, ববিতা দেবী। দীপ্তি সংঘের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সঙ্গীতা মাহাতো। বিরতির ঠিক আগে।
খেলার শেষে টিম ম্যানেজার অর্নিবাণ পাল বলছিলেন, “গতম্যাচে আমরা হেরে বসায় সকলের মনে একটা জেদ চলে এসেছিল। খেলতে নামার আগেই আমরা ঠিক করেছিলাম, যেভাবে হোক জিতে মাঠ ছাড়ব। যারজন্য আমরা অনায়াসে জিতে মাঠ ছাড়তে পেরেছি। আরও বেশি গোলে আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রচুর সুযোগ পেয়েও তাকে কাজে লাগাতে পারেনি।” সিঙ্গো মুর্মু সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনির্বাণ বলছিলেন, “জঙ্গলমহলের একই জায়গা থেকে আমরা চারটে মেয়েকে নিয়ে এসেছি। এই মেয়েটি বাংলা দলের হয়ে খেলতে যায়নি বলে তাকে সাসপেন্ড করেছিল আইএফএ। ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এটুকু বলতে পারি, মেয়েটার মধ্যে খেলা আছে। যদি ঠিকঠাক নিজেকে ধরে রাখতে পারে তাহলে অনেকদূর যাবে।”
রবিবার ্কন্য়াশ্রী কাপের আর একটা খেলায় চঁাদনি স্পোর্টিং ক্লাব ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বালি গ্রামাঞ্চল ক্রীড়া সমিতিকে। একমাত্র গোলটি করেন পুনম বারলা।

ঋষভকে শেহবাগ, পুরনো ভিডিও দেখার পাশাপাশি কথা বল ধোনির সঙ্গেও
ঋষভ পন্থের কি হল! কোনও কিছু ঠিকভাবে করতে পারছেন না। দলের সাফল্য নেই। তাঁর ব্যাটে রানও নেই। কেন এমন হচ্ছে!