মোহনবাগান নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করার জন্য ক্লাব সভাপতি পদ থেকে সরে দঁাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন টুটু বোস। পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে টুটু বোস তথা স্বপন সাধন বোস জানিয়েছেন, সভাপতি পদে থেকে কখনও দু-পক্ষের হয়ে প্রচার করা যায়না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সভাপতির পদে আর থাকবো না। টুটু বোস সরে যাওয়ার অর্থ হল, মোহনবাগান নির্বাচনে তিনি এবার সরাসরি অংশ নিতে পারবেন।
প্রশ্ন হল, সেই অংশ নেবেন কার হয়ে? একদিকে রয়েছেন বর্তমান ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত, অন্যদিকে সচিব পদে দঁাড়াতে যাওয়া সৃঞ্জয় বোস (টুম্পাই)। মজার ঘটনা হল, সৃঞ্জয় যখন সচিব পদে দঁাড়াতে চলেছেন বলে ময়দানে খুব রটে গিয়েছে তখন তঁার ভাই রয়েছেন দেবাশিসের পক্ষে। ২৪ ঘন্টা আগে টুটু বোসের ছোট ছেলে বরানগরের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বলে এসেছেন, দেবাশিস ও টুটু বোস দুজনে মিলে মোহনবাগান ক্লাব ভালোই চালাচ্ছেন। সেখানে অন্য কাউকে আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাবার পদত্যাগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সৃঞ্জয় বললেন, “বাবা কেন সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তা দু-একদিনের মধ্যে বিস্তারিত ভাবে সকলকে জানাবেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, মোহনবাগান ক্লাব বলতে টুটু বসুকে বোঝায়। অন্য কেউ নয়। তিনি যখন পদত্যাগ করে কোনও একটা পক্ষ অবলম্বন করতে চাইছেন তখন বুঝতে হবে, সঠিক লক্ষ্যে তিনি ক্লাবকে নিয়ে যেতে চান। এখন বাবা ঠিক করবেন কোন পক্ষের হাতে ক্লাব তুলে দেওয়া উচিত।”
কিছুদিন ধরে ময়দানে শোনা যাচ্ছিল, টুটু বসু বুঝে উঠতে পারছেন না, কোন পক্ষ নেবেন। কারণ দেবাশিস দত্তকে একটা সময় দুই ছেলের চেয়ে কোনও অংশে ছোট করে দেখতেন না। যদিও গত কয়েকবছর ধরে দেবাশিসের সঙ্গে বোস পরিবারের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। ব্যতিক্রম থেকে গিয়েছেন টুটু বোসের ছোট ছেলে। যার ময়দানে ডাক নাম টুবলাই। কিন্তু সৃঞ্জয় জানিয়ে দিলেন, তঁার ছোট ভাই বিরুদ্ধে দঁাড়ালেও তিনি মোটেই বিচলিত হবেন না। “আগেও বলেছি, এখনও বলছি, মোহনবাগান বলতে টুটু বোসকে বোঝায়। বাকিরা কেউ নয়। তাছাড়া আমার ছোট ভাই কবে থেকে মোহনবাগান ক্লাব করলেন আমিও ঠিকমতো বলতে পারব না। না কোনওদিন পর্দার আড়ালে থেকেছেন, না এসেছেন পর্দার সামনে। তাই ছোট ভাই কী করবেন না করবেন তা সম্পূর্ন তঁার ব্যাপার। এটুকু বলতে পারি, টুটু বোস কোনদিকে থাকবেন সেটাই হল বড় ব্যাপার। বাকিদের নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।” কবে মোহনবাগান নির্বাচন হবে এখন ঠিক হয়নি। ক্লাবের দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও তঁার মনোনীত কমিটি। টুটু বোসের পদত্যাগের পর যে মোহনবাগান নির্বাচন চরম পর্যায়ে পৌছে গেল তা আর না বললেও চলে।