নীরজ চোপড়ার পাশে দাঁড়ালেন যোগেশ্বর দত্ত। ভারতের প্রাক্তন কুস্তিগির তথা অলিম্পিক পদক জয়ী যোগেশ্বর স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যে বা যারা নীরজকে ছোট করতে চাইছে তারাই আদৌ দেশপ্রেমী নয়। ২৪ ঘন্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভব্য বক্তব্য রাখার জন্য নিজস্ব প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ছিলেন নীরজ। এবার তঁার পাশে দাঁড়ালেন আর এক অলিম্পিয়ান। ২৪ মে নীরজ চোপড়া ক্লাসিকে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন ভারতের সোনার ছেলে। কিন্তু পাহেলগাঁওয়ে ঘটনা ঘটার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নীরজকে নিয়ে ঝড় উঠে যায়। কেন? যেহেতু পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন নীরজ। টোকিওতে সোনা জয় ও প্যারিস অলিম্পিকে রুপো জেতা ভারতের শ্রেষ্ঠ অ্যাথলিটের বক্তব্য ছিল, “পরিবার ও তঁার সততা নিয়ে যেসব প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।” ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী যোগেশ্বর দত্ত মনে করছেন, নীরজ হলেন একজন জাতির নেতা। তঁাকে দেশপ্রেম প্রমাণ করার কোনও প্রয়োজন নেই। “নীরজ ভাই, তোমার দেশপ্রেম প্রমাণ করা বা নিজেকে প্রমাণ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। মনে রাখবে একজন খেলোয়াড় ও দেশের সৈনিক বিদেশের মাটিতে তেরঙা পতাকা তোলার সুযোগ পায়। দেশের নাম গৌরবান্বিত করে। তাই বলতে পারি, তুমি শুধু একজন খেলোয়াড় নও, একজন তেরঙাধারী সৈনিকও।” পরমুহূর্তে যোগেশ্বর দত্ত নীরজকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, “তুমি একজন চ্যাম্পিয়ন। মনে রাখবে, তুমি হলে জাতির নেতা। কে কী বললো সেদিকে খেয়াল রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তুমি এগিয়ে চলো।” এমনিতেই নীরজ জানিয়ে ছিলেন, গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যা ঘটেছে তাতে আরশাদের ভারতে আসা অসম্ভব ছিল। এমন কী নীরজ এও বলেছেন, দেশের স্বার্থ সবসময় তঁার কাছে প্রাধান্য পায়। ভারতীয় সেনাবাহিনিতে কর্মরত একজন সুবেদার তঁার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “যেসব পাকিস্তানি আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তাদেরকে কোনওভাবে ক্ষমা করা যায়না। কিন্তু বাকিদের প্রতি আমার চিন্তাভাবনা ও প্রার্থনা আপনার মতের সাথে মিল রয়েছে।” নীরজ এদিন বলেছেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের প্রতিক্রিয়া যেভাবে ব্যক্ত হয়েছে তা একটা দেশের নাগরিক হিসেবে গর্ব করা উচিত। আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি, দেশের স্বার্থে আমরা সকলে এক। আশাকরি ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।” আরশাদ যে এনসি ক্লাসিকে আসবেন না তা আগেই মোটামুটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এমনই মন্তব্য করেছেন নীরজ চোপড়া। তারপর পাহেলগাঁও ঘটনার পর তো আরশাদের আসার কোনও প্রশ্নই ছিল না। অথচ কিছু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছেন। যা আঘাত করেছে নীরজ চোপড়াকে।