নিঃস্তরঙ্গ পুকুরে আচমকা উত্তাল। চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছে। কেন? কোনও নতুন ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না মোহনবগান। ফিফার কড়া নির্দেশ। তাহলে কি অর্থ সম্পর্কিত কারণ, নাকি অন্যকোনও সমস্যার দরুন ফিফা এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল? কোনওটাই নয়, একটা টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত নতুন কোনও ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না মোহনবাগান। যদি করায় তা বৈধ বলে বিবেচিত হবে না।
ঘটানাটা ঘটেছে জেসন কামিন্সকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া থেকে তিনি মোহনবাগানে এসেছিলেন। যখন আসেন তখন ট্রান্সফার ফি দেওয়ার কথা ছিল। কথামতো ট্রান্সফার ফিজ-ও পাঠিয়ে দেয় মোহনবাগান। কিন্তু সেই পাঠানোর যে নথি তা মোটেই ফিফার পোর্টালে জমা পড়ছিল না। পরপর দু-বছর এমন ঘটনা ঘটে। তাই ফিফা বাধ্য হয়ে ফুটবলার নথিভুক্ত করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের এককর্তা বলছিলেন, “আমরা জেসন কামিন্সকে ট্রান্সফার ফি দিয়ে নিয়েছিলাম। ট্রান্সফার ফি দিতে গেলে ফিফার একটা ফান্ড পোর্টাল আছে। সেই পোর্টালে টাকা জমা দিতে হয়। আসলে এই অর্থ ফুটবলে অনুন্নত দেশগুলিতে সাহায্য করে ফিফা।” পরমুহূর্তে তিনি বলছিলেন, “ফিফার পাঠানো লিঙ্কে আমরা যথারীতি অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সেই লিঙ্কে অর্থ পাঠানো সত্বেও দেখাচ্ছিল রিটার্নড। তারমানে ফেরত এলো। গতবছরের পর এবারও একই ঘটনা ঘটে। ফলে তারা সাময়িকভাবে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে পাঠিয়েছে একটা লম্বা চিঠি। ফিফা জানিয়েছে, তোমরা যত তাড়াতাড়ি পার ব্যাপারটা সমাধান করার চেষ্টা কর।” মোহনবাগান এই ব্যাপারটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। যা জানা গেল. দু-একদিনের মধ্যে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলবে। মোহনবাগান যে এই নিয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেছে তাও বলছিলেন তিনি।
ফিফা সম্প্রতি প্রশাসনিক স্তরের বৈঠকের আলোচনায় বসেছিল। সেখানেই বিষয়টি ওঠে। তখন ফিফা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মোহনবাগানে যে আর্থিক দিক দিয়ে কোনও সমস্যা নেই তা না বললেও চলে। ক্লাবের ফুটবল বিভাগের প্রধান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা দলগঠন থেকে শুরু করে, কোনও ব্যাপারে অার্থিক সমস্যাকে বড় করে দঁাড় করাতে দেননি। সুতরাং এক্ষেত্রেও অর্থ যে সমস্যা হয়ে দঁাড়ায়নি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া একই বছরে আইএসএল লিগ-শিল্ড ও কাপ জিতেছে মোহনবাগান। মুম্বই সিটির পর এমন কৃতিত্ব ভারতীয় ফুটবলে দেখাতে পেরেছে মোহনবাগান। তাসত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটায় অনেকে অবাক না হয়ে পারেননি। তাই কলকাতা ময়দানে এই নিয়ে মুখরোচক রটনা রটতে থাকে। তবে এই ঘটনা যে এই প্রথম ভারতীয় ফুটবলে ঘটলো তা কিন্তু নয়। অতীতেও এই সমস্যার সামনে পড়েছিল মুম্বই সিটি। সুতরাং আগামী সাত দিনের মধ্যে পুরো বিষয়টা সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট।

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।