যা ভাবা গিয়েছিল তাই হল। মোহনবাগান সভাপতির পদত্যাগ পত্র গৃহীত হল না। সাত দিনের জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হল। এক সপ্তাহ পরে ফের কার্যনির্বাহি কমিটির সভা ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ক্লাবের কার্যনির্বাহি কমিটি।
মোহনবাগান সভাপতি টুটু বসু সম্প্রতি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এমন কী পদত্যাগ করার কারণ কী তাও জানিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিকদের। নিজের বালিগঞ্জের বাড়িতে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে স্বয়ং টুটু বসু জানিয়ে দেন, তিনি জ্যেষ্ঠ পুত্র সৃঞ্জয় বসুর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন। তাই তিনি ক্লাবের সংবিধান মেনে সরে দঁাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। ক্লাবের কার্যনির্বাহি কমিটি তাই সোমবার বিশেষ সভা ডেকেছিল। যে সভায় একমাত্র এজেন্ডা ছিল, সভাপতির পদত্যাগ পত্র নিয়ে আলোচনা। সেই আলোচনায় কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্যরা কোনওভাবে সহমত পোষণ করতে পারেননি। কমিটির কতিপয় সদস্য জানান, এভাবে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে তিনি প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন না। ক্লাবের সংবিধানকে আদৌ মান্যতা দেননি। সুতরাং তঁাকে শোকজ করা হোক। আবার কতিপয় সদস্য বলতে থাকেন, টুটু বসু যখন নিজে থেকে সরে যেতে চাইছেন তখন আর ধরে রেখে লাভ নেই। তঁাকে সরিয়ে দেওয়া হোক। আবার মুষ্টিমেয় সদস্যর দাবি ছিল, পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করার দরকার নেই। তিনি পদত্যাগ করেছেন ভালো কথা। আমরা তা গ্রহণ না করে রেখে দেব। প্রায় ঘন্টা দেড়েক এই নিয়ে কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিভাজন দেখা দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে সচিব দেবাশিস দত্ত সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত বিষয়টা ঝুলিয়ে রাখা হোক। সাতদিন পরে ফের সভা ডেকে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সভার পর সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়ে দেন, আপাতত সভাপতির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়নি। “টুটু বসুর সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে যে আবেদন পত্র জমা দিয়েছিলেন তাই নিয়ে সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সভায় কমিটির একাধিক সদস্য নানান মন্তব্য করেছেন। তাই আমরা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এসে পৌছতে পারিনি। সেইজন্য আমাদের পক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। সাতদিন পরে ফের আমরা সভা ডাকছি। সেই সভায় ্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেব।” সচিব দেবাশিস দত্তের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, টুটু বসুর অভিযোগ সম্পর্কে তঁার কোনও বক্তব্য আছে কিনা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাব সচিব বলেন, “সচিবের আসনে বসে আমার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়। তাই করব না। ব্যক্তিগত স্তরে যদি কেউ জানতে চান তাহলে ক্লাবের বাইরে গিয়ে আমার বক্তব্য নিতে পারেন। তার আগে নয়।” তবে ক্লাবের সচিব পদে দঁাড়াতে যাওয়া সৃঞ্জয় বসু এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্গের সুরে বলেন, “আমরা এই নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখব না। ভবিষ্যতে যা বলার বলব। তবে এটুকু বলব, যে বা যারা টুটু বসুর পদত্যাগ পত্র নিয়ে শোকজ করার কথা বলেছেন তঁাদের নামটা একবার জানতে পারলে ভালো হয়। সেই মহান ব্যক্তিদের নামটা জানা থাকলে ভবিষ্যতে ভালোই হবে। তাহলে আমরা তঁাদের কাছে অনেক কিছু পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করব।”

ভেস্তে গেল খেলা, বৃষ্টি সুবিধা করে দিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে
দিল্লি ক্যাপিটালস: ৮ উইকেটে ১৩৩ (২০ ওভার) একেই বুঝি কপাল বলে। নিশ্চিত হারা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে অক্ষর প্যাটেলরা