পাকিস্তানকে নিয়ে সমস্যায় ভারত

গতবার স্পেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে ব্রোঞ্জ পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ভারত।
বিশ্বকাপ কলম্বোতে খেলবে পাকিস্তান

পাহেলগাম ঘটনার রেশ এসে পড়ল মেয়েদের বিশ্বকাপে। বহুদিন ধরেই ভারত জানিয়ে আসছে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওভাবে আপোষে যেতে নারাজ। অন্তত মহিলাদের বিশ্বকাপে সেই ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মেয়েদের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। সেই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান দল সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। ভারত পাকিস্তানিদের ভিসা না দেওয়ার কারণেই যে এই সিদ্ধান্ত তা না বললেও চলে। এমন কী পাকিস্তান যদি ফাইনাল বা সেমিফাইনালে ওঠে তখন কী হবে ভেবে তাও ঠিক করে রেখেছে আসিসি। তাই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামকে ধরা হয়েছে ফাইনাল ম্যাচের বিকল্প হিসেবে। নাহলে ফাইনাল হবে বেঙ্গালুরুতে। এমন কী সেমিফাইনালের একটা ম্যাচ ধরা হয়েছে গুয়াহাটি কিংবা কলম্বোকে। আসলে সবকিছুর মূলে রয়েছে পাকিস্তান। সত্যি বলতে কী পাহেলগাম ঘটনা। ভারতে চারটে ও শ্রীলঙ্কার একটা ভেনু মোট ৫টা ভেনুতে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের বিশ্বকাপ। ভারতের চারটে ভেনু হল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (বেঙ্গালুরু), এসিএ স্টেডিয়াম (গুয়াহাটি), হোলকার স্টেডিয়াম (ইন্দোর) ও এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়াম (বিশাখাপত্তনম)। কলম্বোর হল প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। আইসিসি জানিয়েছে, ফাইনাল সহ সমস্ত নক-আউট ম্যাচের জন্য বিকল্প ভেনু হিসেবে কলম্বোকে রাখা হচ্ছে। বেঙ্গালুরুতে ভারতের একটা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে মেয়েদের বিশ্বকাপ। “প্রথম সেমিফাইনাল ২৯ অক্টোবর হবে। কলম্বো বা গুয়াহাটিতে যে কোনও জায়গায় হতে পারে। তারপরের দিন ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে বেঙ্গালুরুতে।” আইসিসি এক প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। আরও জানিয়েছে আইসিসি, “ফাইনালে ওঠা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে দু-দিন সময় দেওয়া হবে যাতে তারা ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারে। যেহেতু কলম্বো বা বেঙ্গালুরুকে সম্ভাব্য ফাইনালের ভেনু হিসেবে ধরা হচ্ছে।” আইসিসি আগেই জানিয়ে ছিল, ২০২৭ সাল অব্দি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যদি আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা হয় তাহলে একটা নিরপেক্ষ ভেনু ঠিক করা হবে। যেখানে যোগদানকারী দুটো দেশ নিরপেক্ষ ভেনুতে গিয়ে খেলতে পারে। আসলে পাকিস্তান বোর্ডের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মহসিন নকভি জানিয়ে দিয়েছিলেন, মহিলাদের বিশ্বকাপ খেলতে কোনওভাবে ভারতে যাবে না পাকিস্তান দল। তবে নকভি এও জানিয়ে ছিলেন, যদি অন্যকোথাও খেলার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে পাকিস্তান খেলতে দ্বিধা করবে না। আসলে ভারত চ্যাম্পয়িন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে খেলতে চায়নি। সব খেলা ভারতের হয়েছিল দুবাইতে। তাই আইসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল। গতবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়ে ছিল। এবার দেখার কে শ্রেষ্ঠত্বের আসন লাভ করে। ভারতের মাটিতে যেহেতু খেলা হচ্ছে তাই ধরে নেওয়া যায়, ভারত এবার প্রতিযোগিতার ফেবারিট হিসেবে প্রথম সারিতেই থাকবে। (ছবি—ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটা মুহূর্ত। ফাইল ছবি)
পাহেলগাম ঘটনায় ফঁাপড়ে আইসিসি

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মুহূর্ত কি আর ক্রিকেট মঞ্চে দেখা যাবে না!
এশিয়া কাপের অনিশ্চয়তার মাঝে বিসিসিআিই জানাল, কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি

এবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট হবে তো? তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হওয়ার কথা এশিয়া কাপের। কিন্ত ভারত-পাকিস্তান টেনশনের আবহে বিসিসিআই এশিয়া কাপে খেলতেও চায় না এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনও করতে চায় না। তার ফলেই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা। এমনই খবর ছড়িয়ে পড়ে সকাল থেকে। কিন্তু বিসিসিআিই সচিব দেবজিৎ সইকিয়া জানিয়ে দিলেন, এশিয়া কাপ নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও জানান, তাঁদের নজরে আসে এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন খবর বেরোচ্ছে যে বিসিসিআই এশিয়া কাপে খেলতে চায় না। কিন্তু এই সমস্ত খবরকেই জল্পনা ও অনুমানভিত্তিক বলে জানান তিনি। প্রশ্ন উঠছে, যদি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে নিজেদের এই অবস্থান কতদিন ধরে রাখতে পারবে বিসিসিআই? পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ভারত না খেললে সেটা অন্য কথা, কিন্তু আইসিসি বা এসিসি-র টুর্নামেন্ট থেকে এভাবে কতদিন তারা নিজেদের সরিয়ে রাখতে পারবে? এদিকে এশিয়া কাপ নিয়ে প্রস্তুতি বেশ এগিয়েছে। আটটি টিম নিয়ে টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। এসিসির পূর্ণ সদস্য আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এছাড়াও ২০২৪ এসিসি মেনস প্রিময়র কাপে প্রথম তিনটি স্থান দখল করায় খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে হংকং, ওমান ও আরব আমিরশাহি। গতবারের মত এবারও সম্ভবত টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে পারে এশিয়া কাপ। গতবার এশিয়া কাপে চ্যা্ম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ১০ উইকেটে। ২০২৩-এ একই কারণে ভারত পাকিস্তানে যেতে না চাওয়ায় এশিয়া কাপ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেয পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে ভারতের খেলাগুলি হয় শ্রীলঙ্কায়।তারপর এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি হয়নি ভারত। ভারতের খেলাগুলি হয় দুবাইয়ে। এবার কী হবে? ভারত যদি শেষ পর্যন্ত খেলতে না চায় এশিয়া কাপ হবে তো?
ভারতকে নিয়ে পাকিস্তান হকি বিপাকে

২০২৩ সালে এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতে খেলতে আসা নিয়ে ওয়াঘা সীমান্তে অপেক্ষায় দঁাড়িয়ে পাকিস্তান হকি দল।
পাক সফরে যেতে নারাজ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাকিস্তান যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসেছেন ক্রিকেটাররা।
সীমান্তে লড়াইয়ের কারনে এক সপ্তাহ আইপিএল বন্ধ, শুরু হবে তো!

সীমান্তে লড়াই চলছে। এর মধ্যে ক্রিকেট হয় নাকি! ভারতীয় আর্মড ফোর্স যখন জীবন বাজি রেখে লড়াই করছে, তখন দেশের বিভিন্ন শহরে ক্রিকেটের বিনোদনে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা। এটা কেউ মেনে নিতে পারেন না। তারপর কখন দেশের মধ্যে কোনও অঘটন ঘটে গেলে কে তার দায় নেবে। এরই মাঝে বিদেশিরা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে বসেছে। এর সমাধান সূত্র বের করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা সরকারের সাহায্য চায়। জানিয়ে দেয়, সরকারের কথা মেনে বোর্ড কাজ করবে। সকাল থেকে এ নিয়ে নানা বৈঠক করে শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় বোর্ড জানিয়ে দেয়, আপাতত এক সপ্তাহ আইপিএল স্থগিত রাখা হল। তারপর সূচি ঠিক করে টুর্নামেন্ট শুরু করা যাবে। টুর্নামেন্ট স্থগিত করার আগে বোর্ড কর্তারা কথা বলে নেন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে। কথা বলেন সহযোগী ব্রডকাস্টারদের সঙ্গেও। সকলে এই সিদ্ধান্তে একমত পোষন করেন। তারপর বোর্ড জানিয়ে দেয়, আইপিএল আপাতত স্থগিত। বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা এই খবর জানিয়ে বলেন, নতুন সূচি জানানো হবে সকলের সঙ্গে কথা বলে। আমরা ভারতীয় সেনাকে নিয়ে গর্বিত। আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল বলেন, পরিস্থিতি বিচার করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সাধারন মানুষের কথা ভেবে ধরমশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলা বন্ধ করা হয়। তবে প্রশ্ন উঠেছে যে এরপর আদৌ কি আইপিএল শুরু করা যাবে। পাক-ভারত যুদ্ধের মধ্যে একদিকে পিএসএল, অন্যদিকে আইপিএল নিয়ে ঝামেলায় দুদেশের ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সমাধান সূত্র বের করে ফেলল। পিএসএল সরিয়ে নেওয়া হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। টুর্নামেন্টের আটটি ম্যাচ বাকি। তাই মরুশহরে সেই ম্যাচ করে নিতে অসুবিধা হবে না। পিএসএলের মতো আইপিএল কি সরিয়ে নেওয়া যেত না! টুর্নামেবন্ট শেষ করতে এখনও ১৪টি ম্যাচ বাকি। ভারতের বিভিন্ন শহরে সেই ম্যাচগুলি হওয়ার কথা। পরিস্থিতি বদল হলে টুর্নামেন্ট আবার শুরু কর যাবে বলে বোর্ড কর্তারা মনে করছেন। আর বিদেশে নিয়ে যেতে হলে আর্থিক দিক থেকে খরচ বাড়ছে। এখনও দশদলের খেলা শেষ হয়নি। তাদের বিদেশের মাঠে গিয়ে খেলতে গেলে পকেটের দিকে তাকাতে হবে। আবার ব্রডকাস্টাররা সহজে রাজি হবেন না। তারা অপেক্ষা করতে রাজি। কিন্তু বিদেশে যেতে রাজি নন। তাই বোর্ডের কাছে টুর্নামেন্ট স্থগিত করা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না। এর আগেও চারবার আইপিএল ধাক্কা খেয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরু ২০০৮ সালে। পরের বছর লোকসভা নির্বাচনের কারনে টুর্নামেন্ট দক্ষিন আফ্রিকা নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৪ সালে একই ঘটনা। সেবার টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয় দুবাইয়ে। করোনাকালেও এক পরিস্থিতি। ২০২০ সালে আইপিএল হয় আরব আমিশাহিতে। ২০২১ সালে করোনার প্রকোপে শুরুটা ভারতে হলেও পরে টুর্নামেন্ট আরব আমিরশাহিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার তেমন কিছু কি করা যেত না! নাকি পাকিস্তান আগেভাগে চলে গিয়েছে বলে ভারতের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। এমন নানা কথা উঠে আসছে। এক সপ্তাহ ক্রিকেট নেই। বিদেশিরা নিশ্চয় ভারতে বসে থাকবে না। দেশে ফিরে যাবে। দেশে গিয়ে আবার তারা ফিরে আসবে তো! ২৫ মে আইপিএল ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। এখন টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকায় সেটা হয়তো জুনের প্রথম সপ্তাহে চলে যাবে। এদিকে ভারতীয় দলের তো সেই সময় ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা। তারও আগে ভারতীয় এ দল ইংল্যান্ড সফরে যাবে। সেগুলি কি হবে এই সব দেখে মনে হচ্ছে এবারের মতো হয়তো আইপিএল বাতিল করে দেওয়া হবে। কারন পাক-ভারত লড়াই কবে শেষ হবে তা কেউ জানেন না। ধরে নেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। না হলে..! এটাই এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বোর্ডের কাছে।
পাকদের িবরুদ্ধে গর্জে উঠলেন নীরজ, শেহবাগ

নীরজ চোপড়া ও শেহবাগ ভারতীয় সেনা বাহিনির জন্য গর্বিত।
পাকিস্তান সুপার লিগ ঘোর সংশয়ে

রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ মুহূর্তে পিএসএল ম্যাচ বাতিল।
বাংলাদেশ সফর নিয়ে সংশয় বাড়ছে

ভারত-পাকিস্তান ২২ গজের লড়াই মনে হয়না ইদানীং আর দেখা যাবে। (ফাইল চিত্র)।