গিলের সঙ্গে সফল পার্টনারশিপের রহস্য ফাঁস অভিষেকের

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরে ৬ উইকেটে জয়। ম্যাচের সেরা অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। পাকিস্তান বধের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে চলছে নানান আলোচন। শাহিন(Shaheen Afridi), হারিস রওফদের (Haris Rauf) বিরুদ্ধে যেভাবে তিনি ঝোড়ো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন কার্যত সকলে হতবাক। আবার অনেকেই তাঁকে ভবিষ্যতের তারকা বলতেও দ্বিধা করছেন না। কিন্তু কীভাবে এই সাফল্য! দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) সামনেই সেই তথ্য ফাঁস করলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ তারকা। শুভমনের সঙ্গে তাঁর ভালো বোঝাপড়াটাই নাকি সাফল্যের রাস্তায় এগিয়ে দিয়েছে তাঁকে। এশিয়া কাপেই অভিষেক শর্মার (Abhishek Sharma) সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি বেঁধেছেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। কিন্তু এটাই কী প্রথমবার? উত্তর হবে না। সেই অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট থেকেই নাকি শুভমন গিলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা করে আসছেন অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। তাদের বোঝাপাড়াটা সেই ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়েছে। আর সেটাই এখন দেশের জার্সিতে সাফল্যের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিষেক এবং শুভমনের। তারা দুজনেই নাকি তাদের খেলার ধরণ নিয়ে বেশ ওয়াকিবহাল। অর্থাৎ ম্যাচের আগে তাদের আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ অভিষেক এবং গিল নাকি জানেন কোন সময়ে তারা কেমন খেলবেন। সেভাবেই যে তারা অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট থেকে নিজেদের তৈরি করেছেন। অভিষেক শর্মা ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার যাদবকে জানিয়েছেন, “অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট খেলার সময় আমরা যেমনটা করতাম, সেটাই কিন্তু এখনও করে চলেছি। খেলার মাঝে নিজেদের মধ্যে আলোচনা। আমরা দুজনই দুজনকে বেশ ভালোভাবে বুঝি। আমি খুব ভালোভাবে জানি যে কখন কী শট গিল খেলবেন। আবারও শুভমনও আমার ব্যপারটা জানে। আমাদের বোঝাপড়াটা বেশ ভালো। দুজনের চোখের ঈশারাটাই যথেষ্ট আমাদের জন্য”। পকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ৯ ওভরে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ তৈরি করেছিলেন শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। তাদের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ভারতীয় দলের জয়ের রাস্তাটা। শাহিন আফ্রিদি থেকে হারিস রওফ, অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। সেখানেই বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন অভিষেক শর্মা। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। সেখানেই তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শুভমন গিলও ছিলেন খোশ মেজাজেই। শাহিন আফ্রিদিকে এখ ওভারেই কার্যত বিধ্বস্ত করেছিলেন তিনি। অবশেষে দুই তারকার এমন সাফল্যের কাহিনী নিজেই ফাঁস করে দিলেন অভিষেক শর্মা। এবার ফাইনালেও তারা পারে কিনা সেটাই দেখার।
চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল, ইউনাইটেডকে হারিয়ে ৪১ তম কলকাতা লিগ লাল-হলুদের

দুর্গা পুজো শুরু হতে এখনও কয়েকটা দিন বাকি, কিন্তু তার আগেই ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ক্লাবে শুরু উৎসব। নতুন রুপে সেজেছে ইস্টবেঙ্গল মাঠ। আবারও যেন সেই চেনা ছবি ফিরল ময়দানের লাল-হলুদ ক্লাব তাঁবুতে। ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-১ গোলে হারিয়ে আবারও কলকাতা লিগ(CFL) ইস্টবেঙ্গলেরই(Eastbengal)। প্রিয় দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই মাঠে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারীতে জ্বলল লাল-হলুদ মশাল। ফাটল আঁতস বাজি। পুজোর আগেই সমর্থকদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে গা ভাসালেন ফুটবলাররাও। এদিন ইউনাইটেড স্পোর্টসের(United Sports) বিরুদ্ধে নেমেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) প্রয়োজন শুধুমাত্র ড্রয়ের। কিন্তু লাল-হলুদ ব্রিগেড শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের হাতে উঠেছিল চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা। না সেটা এবারের নয়, গতবারের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হাতে পেয়েছিল তাদের। আর সেটাই যে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের উত্তাপের পারদ আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই মঞ্চেই তাদের সামনে ছিল আরও একটা চ্যাম্পিয়নশিপের হাতছানি। ডেভিড(David Lalhansanga), শ্যামল বেসরাদের (Shyamal Besra) হাত ধরে সেই স্বপ্নটাও পূরণ হল ইস্টবেঙ্গলের। লালকমল ভৌমিকের (Lalkamal Bhowmik) ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফের একবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। এদিন ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। ইউনাইটেডকে প্রথম থেকেই চাপে ফেলার কৌশল ছিল লাল-হলুদ কোচের। তবে পাল্টা লড়াইটা লালকমলের ইউনাইটেডও কিন্তু বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছিল। শুরুর দিকে কয়েকটা সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও, ম্যাচের বযস যখন ৩৭ মিনিট আর কোনও ভুল করেননি ডেভিড লালহানসাঙ্গা। তাঁর দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তবে শুরুর দিকে সায়নরা বহু সুযোগ নষ্ট না করলে, প্রথমার্ধেই হয়ত ব্যবধান অনেকটা বাড়িয়ে ফেলত পারত ইস্টবেঙ্গল। তবে বিরতির পর খেলাটা ছিল আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের। ছক বদলে ইউনাইটেড(United Sports) ক্রমশই চাপ বাড়াতে থাকে ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) বক্সে। মহম্মদ রফিকরা তখন যেন গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এরইমাঝে আবার লালকার্ড দেখেন ইউনাইটেড কোচ লালকোমল ভৌমিক। খেলার একেবারে শেষের দিকে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড স্পোর্টস। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের ড্র হলেও চলত। কিন্তু গোল হজমের পর ফের যেন আবারও তেঁতে যান বিনো জর্জের ছেলেরা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে শ্যামল বেসরার (Shyamal Besra) গোল। আর তাতেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে ফেলে ইস্টবেঙ্গল। ইউনাইটেড চেষ্টা চালালেও, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। রেফারির বাঁশি বাজতেই মাঠে শুরু সেলিব্রেশন। গ্যালারী জ্বলল মশাল। মাঠে নেমে পুটবলারদের সঙ্গে তখন উচ্ছ্বাসে মেতেছেন সমর্থকরাও। ৪১ তম কলকাতা লিগ যে তখন ইস্টবেঙ্গলের।
সুরুচির পুজোয় হরভজন, ইডেন থেকে সৌরভকে নিয়ে আবেগতাড়িত ভাজ্জি

এসে গেছে দুর্গা পুজো(Durga Puja)। গোটা বাংলা জুড়ে পুজোর আবহে গা ভাসিয়েছে ৯ থেকে ৯০ সকলেই। কলকাতার একের পর এক বড় পুজো প্যান্ডেলে নানান চমক। সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) পুজোয় বিশেষ অতিথি বিশ্বকাপ জয়ী তারকা হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। বাংলার দুর্গা পুজো এখন ইউনেস্কো হেরিটেজ। দুর্গা পুজোকে ঘিরে গোটা রাজ্যবাসী এই সময় মাতোয়ারা হয়। শুধু রাজ্যই, গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) উৎসব। তারই শরিক হতে পেরে আপ্লুত হরভজন সিং। কলকাতা শহর যে তাঁরও সেটাও শোনা গেল আবেগতাড়িত হরভজনের গলা থেকে। সুরুচি সংঘের পুজো মানেই সেখানে সেলিব্রিটিদের ভিড়। সেই পুজোর অন্যতম আকর্ষণই হল সেলিব্রিটি। দুর্গা পুজো শুরু হতে এখনও কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। তার আগেই সুরুচির পুজোয় অতিথি হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। তাঁকে ঘিরেই এদিন সুরুচি সংঘে ছিল হৈচৈ। বাংলার দুর্গা পুজোর এই উৎসবে গা ভাসাতে চান সকলেও। সেই কারণেই তো অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) ডাকে কলকাতায় না এসে থাকতে পারেননি তিনি। হরভজন সিং (Harbhajan Singh) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমি যে এমন একটা উৎসব উপলক্ষে এখানে আসতে পেরেছি, সেই কারণে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ মা দুর্গার কাছে। এচাড়া ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তরফ থেকে বহু সম্মান এবং আতিথেয়তা পেয়েছি আমি। এমন একটা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। কলকাতায় যখনই আসি সেইসময় অসংখ্য ভালোবাসা পাই। এখানেও মা দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থণা যে তিনি যেন সকলের ওপরই তাঁর কৃপা রাখেন”। ভারতীয় দলের হয়ে বহু সাফল্য রয়েছে ভাজ্জির ঝুলিতে। আর তার বেশিরভাগটাই পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) নেতৃত্বে। প্রিয় দাদি বরাবরই তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শহরে এসে আপ্লুত হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। এই ইডেন গার্ডেন্স থেকেই তো তাঁর সাফল্যের রাস্তায় হাঁটা। কোনওদিনই খালি হাতে ফেরেননি ইডেন। সেই শহরে এসে তিনি যে আবেগতাড়িত হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হরভজন সিং বলছিলেন, “দাদা আমার কাছে একেবারে বড় ভাইয়ের মতো। তাঁকে নিয়ে যখনই কিছু বলতে যাই বলতেই হয় এই কথা গুলো। জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন কাউকে পাশে খুব প্রয়োজন হয়। আমার কাছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গা কতটা ওপরে তা হয়ত বলে বোঝাতে পারব না। তাঁর শহরেই এবার এসেছি। তবে এই শহরটা কিন্তু আমারও। কারণ ইডেনই তো আমায় হরভজন তৈরি করেছে”। কলকাতার প্রতি বারবরই একটা আলাদা টান রয়েছে হরভজন সিংয়ের। এবার সেই কলকাতার দুর্গা পুজোর অংশ হয়েছেন তিনি। খুশিটা যে এখন দ্বিগুন তা বলাই বাহুল্য।
মেয়রের হাত দিয়েই গতবারের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উঠল ইস্টবেঙ্গলের হাতে

দেবীপক্ষের পূণ্য লগ্নে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। আইনি জটিলতা কাটার পর গত শনিবারই আইএফএ-র(IFA) তরফে গতবারের কলকাতা লিগ (CFL) চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে অপেক্ষাটা ছিল সেই লিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হাতে পাওয়ার। সোমবার সেটাই হল। মহালয়ার পরের দিনই ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) মাঠে লাল-হলুদ ফুটবলারদের হাতে উঠল চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) হাত দিয়েই সেই ট্রফি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের হাতে তুলে দিল আইএফএ। এবারের কলকাতা লিগেও(CFL) দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সোমবার ড্র করতে পারলেই তারা চ্যাম্পিয়ন। গতবারের ট্রফি হাতে ওঠার দিনই যদি এবারের ট্রফিও ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়, তবে পুজোর আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে যে ডাবল সেলিব্রেশন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে এখন থেকেই ফিল গুড আবহাওয়া। ডায়মন্ডহারবার এফসির(DHFC) আলিপুর জেলা আদালতে মামলা করার পরই ইস্টবেঙ্গলকে(Eastbengal) চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার পদ্ধতি আটকে গিয়েছিল। আইএফএ-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে আলিপুর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি। এরপরই আইএফএ-র ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার পথে অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। তবে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। গত শুক্রবারই শুনানিতে আইএফএ-র পক্ষে রয় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট(Kolkata High Court)। ডায়মন্ডহারবারের অভিযোগের ভিত্তি আলিপুর আদালতের নিষেধাজ্ঞা সঠিক নয় বলেও ঘোষণা করেছিল তারা। সেইসঙ্গে আইএফএ-কে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করে দেওয়া। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল আইএফএ(IFA)। সেই থেকেই লাল-হলুদ ফুটবল মহলে শুরু হয়ে গিয়েছিল উচ্ছ্বাস। চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি পেতে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। অবশেষে মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ দেবীপক্ষের পূণ্য লগ্নেই লাল-হলুদ ফুটবলারদের হাতে উঠল চির প্রতিক্ষীত সেই কলকাতা লিগ ট্রফি। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাত দিয়েই উঠল সেই ট্রফি। এবার শুধুই এবারের ট্রফি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
“ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”: পাকিস্তানকে নিশানা অভিষেকের

মাঠে কটুক্তি, জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিলেন ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগড় এই তরুণ ক্রিকেটার। হারিস রওফ(Haris Rauf) মাঠেই মেজাজ হারিয়ে শুভমন(Shubman Gill) এবং অভিষেককে(Abhishek Sharma) কটুক্তি করেন। তার জবাব দেওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে পাকিস্তানকে ক্রিকেটারকে দুষলেন অভিষেক শর্মা। তাঁর সাফ বার্তা “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। পাকিস্তানকে যে কড়া জবাব দিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা কোনওরকম খামতি রাখবে তা ফের একবার স্পষ্ট। বহু বিতর্কের পর ফের একবার এশিয়া কাপে(Asia Cup) মুখোমুখি হয়েছিল দুই তির প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের সিদ্ধান্তে অটল। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নয়। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হ্যাডশেক হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্তক্ত করতে স্লেজিংয়ের শুরুটা করেছিলেন হারিস রওফ। জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিয়েছেন শুভমন গিল(Shubman Gill) এবং অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। ভারতের খারাপ ফিল্ডির এবং খারাপ বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে বড় রান তৈরি করছিল পাকিস্তান। ভারতকে চাপে রখার কৌশল নিয়েছিল তারা। কিন্তু তরুণ অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। যে শাহিনকে নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ভরসা এবং আত্মবিশ্বাস ছিল। তাঁকেই কার্যত নাস্তাবুদ করেছিলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার। ম্যাচের সেরার শিরোপাও তুলে নিয়েছেন নিজের মাথায়। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে ছিল শুধুই চার ও ছয়ের বন্যা। আরও পড়ুনঃ অভিষেক-শুভমনের ঝোড়ো ইনিংসে পাক বধ ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যখন অভিষেক সাজঘরে ফিরছেন, সেই সময় ভারতের জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর গোটা ইনিংসটা সাজানো ছিল ৬টি চার ও পাঁচটি ছয় দিয়ে। অভিষেকের তান্ডবের সামনে এদিন মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ। You talk, we win 🇮🇳 pic.twitter.com/iMOe9vOuuW — Abhishek Sharma (@OfficialAbhi04) September 21, 2025 সেই সময়ই মাঠে অভিষেক শর্মাকে(Abhishek Sharma) উদ্দেশ্য করে হারিস রওফ শুরু করেন স্লেজিং করাটা। মাঠে গিল এবং অভিষেক জবাবটা দিয়েছিলেন ঠিকই। তবে ব্যাটিংয়েই সবচেয়ে বেশি জবাব দিয়েছিলেন এই দুই তরুণ তারকা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে কার্যত পাক ক্রিকেটারদের নিশানা করেই অভিষেক শর্মার বিরাট বার্তা। সেখানেই তিনি লিখেছেন, “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। আর এই বার্তাটা যে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এশিয়া কাপের শুরু থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালেও ভারতের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে দেখা হলে এক প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক ভারত করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
অভিষেক-শুভমনের ঝোড়ো ইনিংসে পাক বধ ভারতের

অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) এবং শুভমন গিলের(Shubman Gill) সেঞ্চুরি পার্টনারশিপটাই এদিন ভিতটা গড়ে দিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে তিলক বর্মার ঝোরো ইনিংসে ভর করে ফের একবার পাকিস্তান বধ ভারতের। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল সূর্যকুমার যাদবের টিম ইন্ডিয়া। তবে এদিনের ম্যাচের নায়ক কিন্তু তরুণ অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ঝোড়ো ইনিংসটাই যে ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল হাতে ভাল পারফরম্যান্স দেখালেও, এদিন একের পর এক ক্যাত ফস্কে পাকিস্তানের বড় রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের ফিল্ডাররাও। আর তাতেই ভারতের বিরুদ্ধে এদিন ১৭১ রান পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল পাকিস্তান। শুরুর দিকেই অভিষেক এবং কুলদীপ দুটো সহজ ক্যাচ মিস না করলে, পাকিস্তান যে বড় রানের পথে এগোতে পারত না তা বলাই যায়। পাকিস্তানের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করেন শাহিবজাদা ফারহান ৫৮। বুমরাহ(Jasprit Bumrah), হার্দিকরা(Hardik Pandya) ব্যর্থ হলেও, এদিন বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুবম দুবে। গুরুত্বপূর্ণ দুটো উইকেট শিকার তাঁরই। স্কোরবোর্ডে পাকিস্তানের ১৭১ রান। ব্যাট হাতে নামা থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। যোগ্য সঙ্গদ শুভমন গিলের(Shubman Gill)। যে শাহিনকে নিয়ে সকলেই নানান কথা বলেছিল, তাঁকেই এদিন সবার প্রথম বিধ্বস্ত করলেন এই ব্যাটার। ৯ ওভারের মধ্যেই অভিষেক এবং শুভমনের হাত ধরে ভারত ১০০ রানের গন্ডী টপকে যায়। অভিষেক ফেরেন ৭৪ রানে। শুভমন গিল করেন ৪৭ রান। তারা যখন সাজঘরে ফেরেন ভারতের জয় কার্যত পাকা। কিন্তু সঞ্জু স্যামসন এবং সূর্যকুমার পরপর আউট হলে ভারতের চিন্তা খানিকটা বেড়ে যায়। সেখানেই ত্রাতা তিলক বর্মা(Tilak Verma)। ১৯ বলে ৩০ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে ১ ওভার এক বল বাকি থাকতেই ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন তিলক।