সুপার কাপে বিদেশি খেলানো নিয়ে ফেডারেশনকে চিঠি মোহনবাগানের

ফেডারেশনকে(AIFF) তাদের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়েই এবার পাল্টা চিঠি দিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। আগামী ২৫ অক্টোবর সুপার কাপ(Super Cup)। সেখানেই ফেডারেশন নিয়ম করেছে ছয় বিদেশিকেই খেলানো যাবে। আর তারই প্রতিবাদ করে এবার চিঠি দিল মোহনবাগান(MBSG)। তাদের মতে দেশীয় ফুটবলার তুলে আনার ওপর জোর দেওয়ার জন্য ছয় নয় একসঙ্গে চার বিদেশি খেলানো হোক। তবে রেজিস্ট্রেশন ছয় বিদেশিরই করা হোক। কার্যত কয়েক মাস আগে ফেডারেশন সভাপতির দেওয়া প্রতিশ্রুতি মনে করাতেই এমন চিঠি। গত মে মাসে ফেডারেশন(AIFF) সভাপতি কল্যাণ চৌবে(Kalyan Chaubey) দেশীয় ফুটবলার তুলে আনার জন্য দেশের ছেলেদের বেশি খেলানোর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় ফুটবলের খারাপ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই দেশিয় ফুটবলারদের বেশি সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন ফেডারেশন সভাপতি। কিন্তু সামনের সুপার কাপের আগে নিজেরাই নিজেদের পথ থেকে সরে গিয়েছে। প্রত্যেক ক্লাব গুলোকেই চিঠি পাঠানো হয়েছে ফেডারেশনের তরফে। সেখানে জানানো হয়েছে ছয় বিদেশিকেই নাকি একসঙ্গে খেলানো যাবে। আর সেটারই বিরোধিতা করে চিঠি দিয়েছে এবার মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। মঙ্গলবারই তারা চিঠি দিয়েছে ফেডারেশনকে। সেখানেই মোহনবাগানের(MBSG) তরফে দাবি করা হয়েছে যে দেশিয় ফুটবলার এবং দেশের স্বার্থে আসন্ন সুপার কাপে একসঙ্গে ছয় নয় চার বিদেশিকে খেলানোর সিদ্ধান্ত হওয়া উচিৎ। এর ফলে ঘরের ছেলেদের খেলানোর সুযোগ বাড়বে। এর ফলে দেশের ফুটবলের উন্নতি হবে বলেই মনে করছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। তবে ছয় বিদেশিকেই যাতে রেজিস্টার করানো যায় সেই কথাও বলা হয়েছে মোহনবাগানের(MBSG) পাঠানো চিঠিতে। যদিও এখন পর্যন্ত ফেডারেশনের তরফে কোনওরকম উত্তর আসেনি। অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে প্রবল পার্কৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি বাতিল করতে হল মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে। সূচি থাকলেও শেষপর্যন্ত তা বাতিল করেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এবার এএফসির(AFC) দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামবে মোহনবাগান। কিন্তু তার আগে দলের অস্ট্রেলিয়ানদের ভিসা পাওয়া নিয়েই সমস্যায় পড়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। সেই সমস্যা কাটাতেই এখন মরিয়া হয়ে রয়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্ট। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার এখন।
দাদাদের কড়া ট্যাকল, ম্যাচে মারের হুমকিই তনবীরের ‘মোটিভেশন’

সুদীপ পাকড়াশীঃ বাঙালি স্ট্রাইকার নিয়ে আলোচনায় এখন হয়ত সাহিল হরিজনের নামটাই প্রথমে আসে। কিন্তু গোকুলে বাড়িছে আরও সম্ভাবনাময় বাঙালি স্ট্রাইকার! তনবীর দে তার নাম। বয়স ১৭। রাজ্য সরকার পরিচালিত বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির ছাত্র (Bengal Football Academy)। বাংলার ফুটবল মহলে নামটা অপরিচিত নয়। হওয়ার কথাও নয়। গত ফুটবল মরশুমে, এআইএফএফের (AIFF) অনূর্ধ্ব-১৭ লিগ থেকে শুরু করে রিলায়েন্স স্পোর্টস ফাউন্ডেশন লিগের জোনাল এবং মূল পর্ব, স্কুল ন্যাশনাল, ড্রিম ইলেভেন (Dream Eleven) টুর্নামেন্ট এবং সদ্য শেষ হওয়া প্রথম আইএফএ-র ডিভিশন লিগ-সব মিলিয়ে তনবীরের গোলসংখ্যা ৫৫টি! প্রথম ডিভিশন লিগে বেঙ্গল ফুটবল আকাডেমির অনূর্ধ্ব-১৭-র দলটি অংশ নেয়। সদ্যসমাপ্ত লিগে ১২ ম্যাচ খেলে তনবীরের গোলসংখ্যা ১২। এক মরশুমে ৫৫ গোল করার আনন্দের চেয়েও প্রথম ডিভিশন লিগে ১২ ম্যাচে ১২ গোল করার আনন্দটা তনবীরের কথায় মনে হল একটু বেশি। কারণ আছে। প্রথম ডিভিশন লিগে দাদাদের বিরুদ্ধে খেলে গোল করার আনন্দ স্বাভাবিকভাবে বেশি হবে। ফোনে কথা বলার সময় তার ব্যখ্যাও দিল দত্তফুলিয়া ইউনিয়ন অ্যাকাডেমি থেকে মাধ্যমিক পাস করা স্ট্রাইকার। “বয়সে ছোট বলে ম্যাচের সময় দাদারা ছাড়ে না। কড়া ট্যাকল করে। এমনকী, খেলা চলাকালীন বড় ট্যাকলে মাঠ থেকে বার করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। প্রথমে ভয় করত। একটু সিঁটকে থাকতাম। পরবর্তীকালে ওই কড়া ট্যাকল, হুমকিগুলোই আমার কাছে মোটিভেশন হয়ে দাঁড়াল। আমি ওদের টপকাতে পারছি বলেই না ওরা আমাকে মারার হুমকি দিচ্ছে! খেলাটা তাতে আরও ভাল হয়,” তনবীর বলল। রানাঘাটের দত্তফুলিয়া গ্রামে বাড়ি। বাবা তাপস দে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরিবারে ফুটবল কেউ খেলেননি। তার জন্য তনবীরকে উৎসাহ দেওয়ায় কোনওদিন ভাটা পড়েনি। “ছুটিতে বাড়ি ফিরলেই বাবা-মা আমাকে প্রায় রোজ পাড়ার মাঠে প্র্যাক্টিসে পাঠাবে। এতটাই ওদের উৎসাহ,” তনবীর বলছে। গত মরশুম থেকেই তনবীরের ওপর ফুটবল মহলের নজর। কলকাতা এবং বাইরের দু’একটি ক্লাব, তার সঙ্গে কলকাতার বাইরের দু’একটি প্রতিষ্ঠিত অ্যাকাডেমিও তনবীরকে নেওয়ার জন্য আগ্রহী। বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমিতে ছিলেন সম্প্রতি প্রয়াত কোচ পার্থ সেন। যার কোচিংয়ে এই মরশুমেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলকে হারতে হয়েছিল। তনবীর সম্পর্কে পার্থ সেন বলেছিলেন, “চোরা এবং দ্রুত গতি, বক্সের মধ্যে ক্ষিপ্রতাই ওর সম্পদ। ওর উচিত একটু উন্নত, টেকনিক্যালি দক্ষ ডিফেন্ডারদের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলা।” এই মরশুমে তনবীরকে হয়ত বিএফএ ছাড়বে না। যদিও তনবীর স্বপ্ন দেখছে কবে একটা আই লিগ দল, তারপর কবে একটা আইএসএল দল ওকে সই করাবে। আর হ্যাঁ, সাহিল দাদাকে দেখে স্বপ্নে যোগ হয়েছে ভারতীয় দলে ডাক পাওয়া!
রোনাল্ডোর আল নাসেরের বিরুদ্ধে খেলার অপেক্ষায় সন্দেশ ঝিঙ্গান

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো(Cristiano Ronaldo) খেলবেন কিনা তা এখনও প্রযন্ত নিশ্চিত নয়। কিন্তু আল নাসেরের(AL Naser) বিরুদ্ধে খেলার জন্য এখন থেকেই মুখিয়ে রয়েছেন ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান(Sandesh Jhingan)। আল নাসেরের সঙ্গে এক গ্রুপে রয়েছে এফসি গোয়া। আগামী ২২ অক্টোবর ঘরের মাঠে আল নাসেরের বিরুদ্ধে নামবে এফসি গোয়া(FC Goa)। সেই ম্যাচটাই যেন ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে সন্দেশ ঝিঙ্গানের(Sandesh Jhingan)। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই(Cristiano Ronaldo) শুধু নয়। সেই দলে রয়েছে সাদিও মানে(Sadio Mane), জোয়াও ফেলিক্সদের মতো তারকা ফুটবলাররা। এমন এক ঝাঁক তারকাদের বিরুদ্ধে খেলতে পারার লোভটা সামলাতে পারছেন না সন্দেশ ঝিঙ্গান(Sandesh Jhingan)। হোম ম্যাচের পাশাপাশি অ্যাওয়ে ম্যাচেও আল নাসেরের( AL Naser) বিরুদ্ধে খেলবে এফসি গোয়া। সেখানে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে। আল নাসেরের বিরুদ্ধে নামার অপেক্ষাতেই এখন রয়েছেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। সন্দেশ ঝিঙ্গান(Sandesh Jhingan) জানিয়েছেন, “সবার প্রথম বলব যে এটা এফসি গোয়ার জন্য অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে এমন সেরা ক্লাবেদের সঙ্গে এক গ্রুপে পড়াটা আরও ভালো। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, জোয়াও ফেলিক্স এবং সাদিও মানেদের মতো তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে খেলতে পারলে দলেরও অনেক বেশি উপকার হবে। আর আমার কাছে এটা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় কারণ এমন কিছু তারকাদের বিরুদ্ধে খেলব যাদের বিরুদ্ধে খেলার জন্য সবসময় সুযোগ পাওয়া যায় না”। আগামী ২২ অক্টোবর ঘরের মাঠে আল নাসেরের বিরুদ্ধে নামবে এফসি গোয়া। সেখানে রোনাল্ডো খেললে এটাই হবে ভারতের মাটিতে রোনাল্ডোর খেলা প্রথম ম্যাচ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাবের চাপে রাহুল ভেকের সঙ্গে কথা সিংটোর

রাহুল ভেকে(Rahul Bheke) কী ইস্টবেঙ্গলে(Eastbengal) আসবেন। অস্কার ব্রুজোঁর(Oscar Bruzon) পছন্দ নন তিনি। তবুও কথা চালাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের হেড অব ফুটবল থংবই সিংটো(Thangboi Singto)। শোনাযাচ্ছে ক্লাবের চাপেই নাকি ইচ্ছা না থাকলেও রাহুল ভেকের(Rahul Bhake) সঙ্গে কথা চালাতে হচ্ছে থংবই সিংটোকে। আপাতত তাঁর সঙ্গে নেগোসিয়েশন চালাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের হেড অব ফুটবল। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই রাট ব্যাককে লাল-হলুদ জার্সিতে দেখা যায় কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। রাহুল ভেকে-কে(Rahul Bheke) নেওয়ার জন্য ক্লাবের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ম্যানেজমেন্টকে। কিন্তু কোচ, থংবই সিংটো সহ ম্যানেজমেন্টের কারোরই নাকি রাহুল ভেকে-কে নেওয়ার খুব একটা ইচ্ছা নেই। যেহেতু ক্লাব থেকে রাহুল ভেকের কথা বারবার বলা হচ্ছে সেই জন্যই নাকি কথাবার্তা চালাতে হচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টকে। রাহুল ভেকের সঙ্গে এই মুহূর্তে প্রাথমিক পর্যায়েই কথা হয়ছে বলে শোনা যাচ্ছে। গতবারের দলের অত্যন্ত কারাপ পারফরম্যান্সের পর থেকেই নতুন ভাবে দল গোছানোর দিকে নজর দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সওল ক্রেসপোকে(Saul Crespo) বাদে এবার ইস্টবেঙ্গলে সব বিদেশিই নতুন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) রাইট ব্যাকের সমস্যাটা এখনও পর্যন্ত মেটেনি। সাইড ব্যাকে যে একজন ফুটবলার লাগবে তা অস্কার ব্রুজোঁও(Oscar Bruzon) বেশ ভালো ভাবেই জানেন। ক্লাব থেকে ম্যানেজমেন্ট সকলেরই নজর রয়েছে সেদিকে। সেই কথা বিচার করেই বেঙ্গালুরু এফসির রাহুল ভেকে-কে দলে নেওয়ার কতা বলা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে। যদিও অস্কারের ভাবনা অন্য কিছুই ছিল। ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টও যে রাহুল ভেকে-কে নিতে খুব এটা আগ্রহী তেমনকা কিন্তু নয়। কিন্তু ক্লাব থেকে বারবার বলার ফলেই রাহুল ভেকের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে তারা। সূত্রের খবর অনুযায়ী কথাবার্তা চালালেও রাহুল ভেকে-কে নেওয়ার ইচ্ছ নাকি নেই ম্যানেজমেন্টের। এই মুহূর্তে কোনও ফুটবলারকে ছাড়তে যেমন চাইছে না তারা, তেমনি আবার নাকি আর নতুন কাউকে নিতেও চাইছে না। বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল সওল ক্রেসপোকেও নাকি ছেড়ে দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এখনও পর্যন্ত সেরকম সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আপাতত ইস্টবেঙ্গল আর কোনো ফুটবলারকে ছাড়তে চাইছে না। এই মুহূর্তে সুপার কাপের প্রস্তুতিতেই ব্যস্ত লাল-হলুদ শিবির। চোট সারিয়ে সৌভিকও ফিরে এসেছেন। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই নাম তুলে নিলেন শ্রেয়স

সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে নামবে ভারতীয় দল। কিন্তু সেই দলেই শ্রেয়স আইয়ারের(Shreyas Iyer) সুযোগ নিয়ে হঠাৎই জল্পনা শুরু। কারণ অসট্রেলিয়া-এ(Australia-A) দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে নাম তুলে নিয়েছেন ভারতীয়-এ(India-A) দলের অধিনায়ক শ্রেয়স। এমনকি শিবির ছেড়ে চলেও গিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ভারতীয়-এ দলের অধিনায়ক এখন ধ্রুব জুরেল(Dhruv Jurel)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল(India Team) ঘোষণা হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধেই ভারতের ম্যাচের দিকেই এখন সকলের নজর। বিশেষ করে শ্রেয়স আইয়ারের(Shreyas Iyer) দিকেই ছিল সবচেয়ে বেশি নজর। কিন্তু তিনিই এবার নাম তুলে নিয়েছেন। শ্রেয়স হঠাৎ কেন এমনটা করল সেটা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। শোনা যাচ্ছে ব্যক্তিগত কারণের জন্যই নাকি নাম তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে স্পষ্টভাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না সেভাবে। দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। শেষবার ২০২৪ সলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে দেখা গিয়েছিল এই তারকা ক্রিকেটারকে। এরপর থেকে আর ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। কয়েকদিন আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও শ্রেয়সের না থাকা নিয়ে নানান কথাবার্তা উঠেছিল। এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া(Team India)। সেখানেই সুযোগ পাওয়াটা এই অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সটাই শ্রেয়স আইয়ারের কাছে ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেখানেও বড় রান পেতে অবশ্য ব্যর্থই হয়েছে। এরপরই শ্রেয়সের শিবির ছাড়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রে তরফে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, হ্যাঁ শ্রেয়স আইয়ার শিবিরে ছেড়ে মুম্বইয়ে ফিরে গিয়েছেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন যে বিরতি নিচ্ছেন এবং অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে খেলবেন না। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে এবার একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার। দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রেয়স আইয়ার রান করেছেন ৮ ও ১৩। তবে কি পারফরম্যান্সের কারণেই দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেও নাম তুলে নিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানকে প্রতিদ্বন্দ্বী মানতে নারাজ সূর্যকুমার

এবার পাকিস্তানকে সরাসরি কটাক্ষ সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। পাকিস্তানকে এখন আর ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে নারাজ সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। সমস্ত সমর্থককে এই ম্যাচকে আলাদা নয়, বরং আর পাঁচটা ম্যচের মতোই দেখার বার্তা ভারতীয় টি টোয়েন্ট দলের অধিনায়কের। সূর্যকুমার যাদবের এই বার্তা যে বিশ্ব ক্রিকেট মহলে ফের একটা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নিয়েই চলছে এখন নানান জল্পনা। পাকিস্তানের(Pakistan) বিরুদ্ধে হ্যান্ডসেক বয়কট আগেই করেছে ভারত। এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচকে রাইভালরি বলতেও মানতে নারাজ তিনি। কার্যত ভারতীয় দল যে পাকিস্তান শিবিরে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না তাই সূর্যকুমার যাদব বুঝিয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই তাঁকে কড়া জবাব দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। পাকিস্তান যে ভারতের কাছে কোনও মতেই আর বড় প্রতিপক্ষ নয়, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপের(Asia Cup) সুপার ফোরের মঞ্চেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একপেশে ভাবেই ম্যাচ জিতেছে ভারত। ভারতের ওপেনিং পার্টনারশিপের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের বোলাররা। অভিষেক শর্মা থেকে শুভমন গিলের ঝোড়ো পারফর্ম্যান্সের সামনে মাথা নত করতে হয়েছে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রওফদের মতো তারকা বোলারদের। এরপরই সূর্যকুমার যাদবের কড়া জবাব। পাকিস্তান দল এখন কোনও মতেই আর ভারতের কাছে কঠিন প্রতিপক্ষ নয়। এমনকি তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও নেই। সূর্যকুমার যাদবের সাফ বার্তা, “ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচকে ক্রিকেটের বাইশগজে এখন চির প্রতিদ্বন্দ্বীতা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বী তখনই বলা যায়, যখন ম্যাচ খুব হাড্ডহাড্ডি হয়। যখন ব্যাপারটা এমন হয় যে ১৫ ম্যাচের মধ্যে দুই দলের জয়ের পরিসংখ্যান ৮-৭। কিন্তু এখানে তেমনটা একেবারেই নয়। এখানে ফলাফল ১৩-১ কিংবা ১২-৩। যা কখনই প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে না”। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে কিছুই করতে পারেনি পাক বোলাররা। পাক ব্যাটাররা ১৭১ রান করলেও, সেই রান তাড়া করতে ভারতের খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। বিশেষ করে অভিষেক এবং গিলের সামনে তারা তো অসহায় ছিল। এশিয়া কাপে এখনও ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে হবে ফাইনালে। কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে কোনওমতেই আর গুরুত্ব দিতে নারাজ।