চার গোলে জিতলেও হিরোশির অপেক্ষাতেই অস্কোর

আইএফএ শিল্ডে(Ifa Shield) দুরন্ত জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। প্রথম ম্যাচেই শ্রীনিধির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে তারা। লাল-হলুদ সমর্থকদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু অস্কোর ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon) কী খুশি। উত্তর কিন্তু না। দল চার গোলে জিতলেও, ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে তিনি একেবারেই খুশি নন। বরং দলের ফুটবলারদের সুযোগ নষ্ট থেকে ধীর গতিতে খেলা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ তিনি। তাই তো ম্যাচ শেষের পর জাপানিজ স্ট্রাইকার হিরোশি ইবুসুকির(Hiroshi Ibusuki) কথাই বারবার শোনা গেল তাঁর মুখে। দল জিতলেও, জাপানি তারকার দিকেই চেয়ে রয়েছেন লাল-হলুদের হেডস্যার অস্কার(Oscar Bruzon)। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) হয়ে অভিষেকেই গোল পেয়েছেন জয় গুপ্তা। এছাড়াও গোল পেয়েছেন সওল ক্রেসপো, হামিদ আহাদাদ এবং জিকসন সিং। কিন্তু তারা গোলের সুযোগও নষ্ট করেছে অনেক। এই ম্যাচে তাদের খেসারত দিতে হয়নি ঠিকই। কিন্তু অস্কারের(Oscar Bruzon) সাফ বার্তা, এমনটা হলে কঠিন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে বড় খেসারত দিতে হতেই পারে। প্রথমার্ধে মিগুয়েলই নষ্ট করেছিলেন বেশ কিছু সুযোগ। দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ নষ্টের খেলা কিন্তু দেখা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে খানিকটা স্লো ফুটবল। সবটা মিলিয়েই ফুটবলাররা মন জিততে পারেনি কোচ অস্কার ব্রুজোঁর(Oscar Bruzon)। আবার হয়ত জয়ের পর যাতে ফুটবলাররে আত্মতুষ্ট না হয়ে যান, সেই কারণেও এমন মন্তব্য করতে পারেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। ম্যাচ শেষেই অস্কার জানান, “আমরা অবশ্যই এদিন চার গোলে ম্যাচ জিতেছি। কিন্তু আমি দলের পরফর্ম্যান্সে খুশি নই। কারণ এদিন আমরা অনেকটাই ধীর গতির ফুটবল খেলেছি। শুধু তাই নয় আমরা বহু সুযোগও নষ্ট করেছি এদিন। এমনটা হলে বড় ম্যাচে আমাদের সমস্যায় পড়তে হতেই পারে। তবে কয়েকদিনের মধ্যই হিরোশি আসছেন, তাঁকে নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী”। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নামধারীর বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচের ফলাফল ভুলে আপাতত সেদিকেই ফোকাস লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোঁর।
শ্রীনিধিকে নিয়ে ছেলেখেলা, ৪ গোল দিয়ে যাত্রা শুরু ইস্টবেঙ্গলের

অভিষেকেই নজর কাড়লেন জয় গুপ্তা(Jay Gupta)। লাল-হলুদ জার্সিতে গোলও পেলেন যেমন আবার প্রতিপক্ষকে রুখেও দিলেন বারবার। আইএফএ শিল্ডের(IFA Shield) প্রথম ম্যাচেই শ্রীনিধি ডেকানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এদিন শুরু থেকেই ম্যাচের দখল ছিল অস্কোর ব্রুজোঁর(Oscar Bruzon) ফুটবলারদের হাতে। দল গঠনে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। শুরু থেকেই চার আক্রমণাত্মক বিদেশিদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন অস্কার(Oscar Bruzon)। প্রতিপক্ষ অ্যাকাডেমি টিম হলেও, লাল-হলুদ কোচের কাছে শুরু থেকেই ছিল এটা সুপার কাপের প্রস্তুতি। তাই তো প্রথম থেকেই পূর্ণশক্তির দল নামিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) ছক ছিল শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলা। গোল না পেলেও, মিগুয়েল(Miguel) ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। প্রতিপক্ষের মাঝমাঠ যেমন তছনছ করলেন, তেমনই একের পর এক সুযোগও তৈরি করে দিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই আবার গোল পেলেন সওল ক্রেসপো(Saul Crespo)। কার্যত প্রথম ম্যাচে শ্রীনিধিকে নিয়ে ছেলেখেলাই করল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল(Eastbegal) এদিন শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। কৌশলটা ছিল প্রথম থেকেই শ্রীনিধিকে(Sreenidhi) চাপের মধ্যে রাখা। সেটাই লালজ-হলুদের ফুটবলাররা বেশ ভালো ভাবে করেছিল। ম্যাচের ২১ মিনিটের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোল। মিগুয়েলের(Miguel) ফ্রিকিক থেকেই গোলটা হয়ে যেতে পারত। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোল রক্ষক তা আটকে দেন। তবে সেই বল ফেরত আসতেই জালে জড়িয়ে দেন জয় গুপ্তা। প্রতিপক্ষকে টাপে রাখার জন্য শুরু থেকে এদিন বিষ্ণুকেও দলে রেখেছিলেন লাল-হলুদ হেডস্যার। ম্যাচের বয়স য়খন ৩৮ মিনিট সেই সময় বিপিনের বাড়ানো বল থেকে ক্রেসপোর দুরন্ত হেড। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। বিরতির চাপ বাড়াতে বেশ কয়েকজন ফুটবলার বদল করেন অস্কার ব্রুজোঁ। ডেভিডদের মাঠে আনেন তিনি। ছকটা যেন ছিল প্রতিপক্ষকে মাঝমাঠ না পেড়োতে দেওয়ার। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যে হামিদের(Hamid) গোল। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের ইস্টবঙ্গল শিবিরে সাফল্য। এবার গোলদাতার নাম জিকসন সিং। ম্যাচের ভবিষ্যৎ তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। যদিও আক্রমণ বহাল রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে শ্রীনিধির গোলরক্ষকের দক্ষতা তাদেরকে লজ্জ্বার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। লাল-হলুদ ফুটবলারদের একের পর এক শট আটকে দিয়েছিলেন তিনি। সেগুলো যদি না হত তবে ইস্টবেঙ্গলের গোলের সংখ্যা অন্যরকম হতেই পারত। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সওল ক্রেসপো। প্রথম ম্যাচেই এমনভাবে শুরুটা যে ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সাফল্যে গম্ভীরকে নয়, দ্রাবিড়কে কৃতিত্ব রোহিতের

ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব হারানোর পরই উল্টো সুর রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) মুখে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব গৌতম গম্ভীরকে(Gautan Gambhir) নয়, রাহুল দ্রাবিড়কেই হঠাৎ দিলেন রোহিত শর্মা(Rohit sharma)। আর তাতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কী গম্ভীরের অঙ্গুলি হেলনেই ভারতীয় দলের নেতৃত্ব হারালেন রোহিত শর্মা! যদিও তা নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। তবে রোহিতের সাফ বক্তব্য, রাহুল দ্রাবিড়ের তৈরি করা মানসিকতাতে এবং পরিকল্পনাতে ভর করেই নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। রাহুল দ্রাবিড়ের(Rahul Dravid) কোচিংয়ে ঘরের মাঠে ২০২৩ সালে ওড়িআ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু জিততে পারেননি তারা। এরপরই ২০২৪ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) ভারত। সেখানেও কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তবে এরপরই ভারতীয় দলের কোচের হট সিটে বসেছিলেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর কোচিংয়ে ভারতীয় দল ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই রোহিত(Rohit Sharma) নন, ভারতীয় দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। এরপরই রোহিত শর্মার এমন একটা মন্তব্য। রাহুল দ্রাবিড়ের দেখানো পথেই নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাদের সাফল্য এসেছে। সাফ বার্তা দিয়েছেন রোহিত শর্মা। একটি অনুষ্ঠানে রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, “যে দক্ষতা গুলো সেখানে দেখিয়েছিলাম, সেটাই আমরা সেখানে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। যই মাত্র আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছিলাম, এরপরই সেই স্মৃতি দূরে সরিয়ে রেখে, পরের ম্যাচের দিকে মন দিয়েছিলাম। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যে পরিকল্পনা গুলো আমরা করেছিলাম, সেটাই আমাদের এখানেও সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছিল”। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই ওডিআই অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক করবেন শুভমন গিল। দলে রয়েছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য হঠাৎই ক্রিকেট মহলে শুরু করেছে নতুন জল্পনা। তবে কী গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সমস্যার জেরেই সরে যেতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। এই নিয়েই এখন জল্পনা কিন্তু তুঙ্গে পৌঁছেছে।
আইএসএলে উত্তীর্ণ হয়ে হোম-ম্যাচের ভেনু ঠিক করতে উত্তরপ্রদেশ ফুটবল সংস্থা, আইএসএলের আয়োজকদের সহায়তা চাইবে ইন্টার কাশী

সুদীপ পাকড়াশীঃ এই মরশুমের আইএসএলে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ১৩ থেকে বেড়ে ১৪ হল। বুধবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) তরফে গত মরশুমের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার কাশীকে (Inter Kashi) চিঠি দিয়ে জানানো হল তারা আইএসএলে উত্তীর্ণ হয়েছে। ফেডারেশনের তরফ থেকে আসা চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘দীর্ঘ আলোচনা এবং CAS-এর রায়কে মান্যতা দিয়েই এআইএফএফ ইন্টার কাশীকে আনুষ্ঠানিকভাবে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করছে। ফিফার সদস্য হিসেবে ফেডারেশন ক্যাসের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরিভাবে সম্মান করে। আই লিগ এবং ভারতীয় ফুটবলের গঠনতন্ত্রকে সম্মান জানিয়ে, এআইএফএফ এবার ইন্টার কাশীকে আগামী মরশুমের জন্য আইএসএল খেলার ছাড়পত্র দিচ্ছে। ইন্টার কাশী, আইএসএল-এর আর্থিক এবং টেকনিক্যাল সমস্ত নিয়মও পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।’ তবে আইএসএলে পা রাখার আগে ইন্টার কাশীর গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হোম-ম্যাচের ভেনু স্থির করা। গত দু’বছর ধরে বারাণসীর সিগরায় সম্পূর্ণানন্দ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ফুটবল স্টেডিয়ামটি ইন্টার কাশী লিজ নেওয়ার চেষ্টা করছে নিজেদের হোম ম্যাচের ভেনু করার জন্য। কিন্তু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই মরশুমে সেই কাজ শেষ হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা। ইন্টার কাশির প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীজিৎ দাস বুধবার প্যারালাল স্পোর্টসকে ফোনে বললেন, “সিগরায় স্টেডিয়ামের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এবছর শেষ হবে কি না সেই নিয়েও প্রবল অনিশ্চয়তা। তবে আগামি মরশুমে আমরা বারাণসীতেই আইএসএলের হোম-ম্যাচ খেলব।” গত দু’মরশুম ইন্টার কাশী কল্যাণী স্টেডিয়ামে আই লিগে হোম-ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু কল্যাণী স্টেডিয়াম আইএসএলের জন্য অনুমোদিত হয়নি। ক্লাব প্রেসিডেন্ট জানালেন তারা উত্তর প্রদেশ ফুটবল সংস্থা এবং এআইএফএফের সহায়তা চাইবেন এই বিষয়ে। “উত্তর প্রদেশ ফুটবল সংস্থা, আইএসএলের আয়োজক এবং সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমরা কথা বলব এই মরশুমের আইএসএলে আমাদের হোম-ম্যাচের ভেনু নিয়ে। ওরা এবছরটা একটু সহায়তা করুক। আমরা নিশ্চিত যে, পরের মরশুমে বারাণসীতেই আমাদের হোম-ম্যাচের ভেনু স্থির হয়ে যাবে। আই লিগে সুযোগ পাওয়ার পর ফেডারেশনকে আমরা কিন্তু বলেছিলাম যে পাঁচ বছরে আমাদের নিজস্ব মাঠ আর স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে,” বললেন পৃথ্বীজিৎ দাস। আইএসএলের দল কি নতুন হবে? দাসের জবাব, “যে ফুটবলারদের জন্য আমরা আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হলাম তাদের ছেড়ে দেওয়া কি মানবিক হবে? এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ ফুটবলারকেই রেখে দেওয়ার ভাবনা আছে, যদি না কেউ অন্য ক্লাব থেকে ভাল আর্থিক প্রস্তাবে চলে যায়। এছাড়া, কোচ হাবাসের পরামর্শে ভাল বিদেশি আনার চেষ্টা তো করবই।”
টেস্ট বোলারদের তালকায় কেরিয়ারের সেরা স্থানে সিরাজ

টেস্ট বোলারদের তালিকায় কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছলেন মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj)। টপ ১০-এর মধ্যে আসতে না পারলেও, ১২ নম্বর স্থানে উঠে এলেন তিনি। এখন পর্যন্ত টেস্ট বোলিংয়ে(Test Ranking) এটাই সিরাজের সেরা প্রাপ্তি। ইংল্যান্ডে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও ঘরের মাঠে দুরন্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছিলেন মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj)। তারই পুরস্কার পেলেন এবার। টেস্ট বোলারদের তালিকায় উঠে এলেন ১২ নম্বর স্থানে। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পরই এই পুরস্কার পেলেন সিরাজ(Mohammed Siraj)। কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। সেখানে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj)। কার্যত ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরানোর অন্যতম প্রদান কারিগড় ছিলেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই তুলে নিয়েছিলেন সাত উইকেট। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। সেখানেও যে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা মহম্মদ সিরাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত জসপ্রীত বুমরার(Jasprit Bumrah) থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। তেন্ডুলকর-অ্যান্ডারসন(Tendulkar-Anderson) সিরিজেও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় জসপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে তিনিই সামলেছিলেন ভারতের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব। সেখানে একাই তুলে নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট। সেই থেকেই সিরাজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সকলের মুখে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও প্রথম টেস্টে সেই ধরা অব্যহত রেখেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ঝুলিতে এসেছিল ৩১ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগেই নিজের পুরস্কার পেয়ে গেলেন মহম্মদ সিরাজ। টেস্ট কেরিয়ারে বোলারদের ক্রম তালিকায় ১২ নম্বর স্থানে উঠে এলেন এই তারকা ক্রিকেটার। এই মুহূর্তে মহম্মদ সিরাজের পয়েন্ট ৭০০। তবে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাও। সিরাজের ঝুলি পরিপূর্ণ থাকলেও, ভারতের আরেক তরুণ ক্রিকেটার কিন্তু নিজের জায়গা হারিয়েছেন। যশস্বী জয়সওয়ালYashasvi Jaiswal) ব্যাটারদের তালিকায় পাঁচ নম্বর স্থান থেকে নেমে গেলেন সাত নম্বরে। সম্প্রতি একেবারেই ভালো ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন না তিনি। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও এই তরুণ ক্রিকেটারের ব্যাটে রানের ঝলক ছিল না। আর তাতেই সদ্য প্রকাশিত আইসিসির টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে থেকে নিজের জায়গা হারালেন যশস্বী জয়সওয়াল।